চন্দ্ররূপা জোৎস্নার স্নিগ্ধতায় স্নাত
দেহবর্ণ মৌনমন জ্ঞান-গুণ, দেখি
মাঝে মাঝে তার থেকে কথাবলা শিখি
স্বপ্নজাগে সাথে তার বাঁধি সুখ নীড়।
লাজলজ্জা ঝেড়ে ফেলে একদিন রাত
মনকথা বলে দেই কাগজেতে লেখি
সম্মতিটা জানা যায় দেখে পদ্ম আঁখি
তারপর দু’টি মনে প্রেম করে ভীড়।
একদিন শুনি এক তুফানের ডাক
কেউ তারে নিতে চায় তেপান্তর গ্রামে
চন্দ্ররূপা বলে দেয় সে এখন থাক!
হবেনা এ, অভিজাত সজনের নামে।
আঁখি জল মুছে ফেল ও আমার বেলি,
থাক চল কোর্টে যাই বিয়ে করে ফেলি।
# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রা বর্ণঃ চার চার চার দুই
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
বিঃদ্রঃ কবিতাটি আমার ২০০২ সালের চতুর্দশপদী কবিতার সনেট রিমেইক। মূল কবিতা-
কঙ্কন শিঞ্জন ধ্বনি টুং টাং টুং
মোমল কমল দেহে অপরূপা রং।
ভাল কিগো আছ বল চন্দ্ররূপা তুমি?
এস গাঁথি ফুলমালা বসন্ত মৌসুমী।
একি এমন নয়নে দেখ কিগো বল?
হঠাৎ এমন করে দেখার কি হলো?
শুনেছি বাসায় নাকি কারা এসেছিল
জেনেছি সকল আমি, রিনি বলেগেল।
চন্দ্ররূপা শুভদিন সন্নিকটে তবে?
নতুন নীড়ের স্বপ্ন, কি যে মজা হবে।
কি বল্লে আমায় তুমি আমি জানোয়ার?
হলোনা হলোনা প্রিয়া আমি আনোয়ার।
একি তেড়ে আস দেখি, ও আমার বেলি?
থাক চল কোর্টে যাই, বিয়ে করে ফেলি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:২৫