somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সনেট কবি
সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কাব্যে আল্লাহ, সস-৯৩

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



(এক)

প্রতিটি সৃষ্টির হাল অবগত তুমি
অনুভবে অনুপম। প্রতিটি মুহুর্ত
স্মৃতিতে সঞ্চয় করে বিচার নিমিত্তে
প্রভুত্বের দাবিদার যথার্থ সে তুমি।
আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি শুনি চিত্তকর্ণে
অচিন্তনীয়, সে মধু প্রত্যেক সৃষ্টির
অভ্যন্তরে সঞ্চয়নে কারুরূপে করে
বিমহীত আমোদীত প্রতিটি হৃদয়।

শুধুকি পাগল হয় অহেতুক কেহ?
কুদরতের হিসেব মস্তিষ্কে প্রবাহে
জ্ঞান হারা হয়ে হাজির এ হাল।
অথচ কতক আছে অনুভুতিহীন,
বুঝেনা কিছুই তারা। না বুঝে বিভ্রম
ছড়িয়ে সমগ্র মন অপবিত্র করে।


# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দুই)

অন্তহীন হে আল্লাহ অনন্ত হে গুনী
সাজালে এ অনুপম জীবন জগৎ
নিজ ইচ্ছা ক্ষমতায়। যাতে নেই খুঁত
কোন কাজ ব্যবস্থায়, এ মহা বিস্ময়!
হে বরেণ্য বুঝ সব সৃষ্টির অবস্থা
সুখ-কষ্ট কার কত? কি মনে আকুতি
বিরাজে সৃষ্টির মাঝে? দর্শনে সে সব
অবিচল থেকে কর সঠিক ব্যবস্থা।

এত গুণ ওহে গুণী বর্ণনা অসাধ্য
ভাষা জ্ঞানে।ভাবনায় মাথাধরে আসে,
নাহিপেরে দিতেস্থান এ চিন্তা মস্তকে।
সে কারণে কতজন জ্ঞানশূণ্য হয়ে
তোমাতে হারায় নিত্য বিসর্জনে নিজ
অনুভুতি। সেথা শুধু থাক তুমি প্রিয়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(তিন)

হে সুন্দরতম তুমি, অনন্য সৃষ্টির
অপরূপা মনোহরী রূপ বৈচিত্রের
চিত্তাকর্ষ অপলক দৃষ্টির নন্দন
এ জগৎ অবলকে বলে এ হৃদয়।
জ্ঞানান্ধ দৃষ্টি আাঁধার হাতড়ে ‘কোথাও
কেউ নেই’ চিৎকারে অহেতুক তোলে
তোমায় না পাওয়ার ভোগাস জিগির;
অথচ নিকট জনে তুমিতো ভাস্বর।

যে পায় সে থাকে তাঁর ভাবনার বশে
বিমোহীত হয়ে মনে।না পাওয়া জন
না পেয়ে ভাবে এ নেই দূর্ভাগ্য কারণে।
আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি মুগ্ধতায় শুনি
মর্মভেদি স্মরণের কৃতজ্ঞতা স্বরে
সৃষ্টির প্রত্যেক প্রান্ত হতে প্রতিদিন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনে

(চার)

যে দিকে তাকাই আমি অপরূপ তাঁর
সৃষ্টির শোভায় ভরে মুগ্ধ দু’নয়ন।
অপলক চেয়ে থাকি নৈপূণ্যে সাজানো
গড়ে তোলা সৃষ্টি রাজ্যে উদাস পরানে।
দেখ দেখ নিলাকাশ তারাখচা রাতে
ফুরফুরে বাতাসেতে সুখের প্রভাতে
অশান্ত ঢেউয়ে দোলা বিস্তৃত সমূদ্রে
ফুলের কাননে কত ফুলেদের হাসি।

হে আল্লাহ হে আল্লাহ জিকিরের ধ্বনি
মৌনমন মোহনার স্রোতে ভেসে যায়
কি অফুরন্ত সম্পদ সেথায় বিরাজে!
হে ধনি হে ধনি তুমি অনন্ত সম্পদে
অসীম সকল ক্ষেত্রে আমি দেখে তায়
ভাবছি তোমায় শুধু অবিরত মনে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(পাঁচ)


কে সৃজিল চন্দ্ররূপ এ জোছনা কার?
ইচ্ছে কার অবিরত ফুল হয়ে ঝরে?
শিউলি তলার ঘাসে ঝরা ফুল দেখি
ঝর্ণার অঝোর জল নির্ঝর রূপালী।
বকেরা আকাশে উড়ে ধবধবে সাদা
রেখাচিত্রে দেখি কত মনমুগ্ধ ছবি
তীরের ফলার মতো বৃষ্টি নেমে আসে
বালক-বলিকা নামে করতে গোসল।

হে আল্লাহ এসব কি ছন্দে অফুরান
তোমার মহিমা গাহে চিরন্ত এ জানি
ভুলেনা তোমায় তাই এ সজাগ মন।
যে ভুলার সে ভুলুক দ্যুলোক ভূ-লোক,
আমার মস্তকে শুধু মহিমা তোমার
অবনত করে দেয় কৃতজ্ঞ অন্তর।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছয়)

কার খাই কার পরি কে সারে অসুখ?
সুখের বেলায় কারে ভুলে থেকে করি
আমদ প্রমোদ ঢের। চলে যেতে হবে
চিরন্তন একথাটি কোথায় হারায়?
মরাকে ভুলেই গেলে মরা কিহে ভুলে?
সময় হলেই সে যে হয় উপস্থিত
সজনেরা পারে কিহে কেড়ে নিতে প্রাণ
আজরাঈলের (আঃ)হাত, হতে কোন দিন?

এই আছি এই নেই এ জগতে আমি
ফিরছি তোমার কাছে আল্লাহ মহান
একটু আমায় প্রভু রেখ কাছে কাছে।
তোমার ও মনে জানি দয়াভরা আছে
আমি চাই সে দয়ার ভাগ পুরোটাই
আশাকরি দিবে তুমি প্রভু দয়াময়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনে

(সাত)

আদিগন্ত চেয়ে দেখি খোঁজ নেই তাঁর
অনন্ত সৃষ্টির মাঝে, রেখে কুদরত
লুকিয়ে থাকেন তিনি দৃষ্টির আড়ালে
সৃষ্টি দেখে যেন তাঁরে খুঁজে নেয় বান্দা।
দর্শনে করলে তাঁরে অস্বীকার কেউ
উতরে অসীম রাগ বিনাশ ঘটার
কারণ হবে সে রাগ, সেজন্য অদৃশ্যে
এখন আছেন তিনি, আল্লাহ মহান।

‘অবিশ্বাসে অপ্রকাশ্য বিশ্বাসে প্রকাশ্য’
শুধুই দেখবে তাঁরে বিশ্বাসী বান্দায়
নয়ন জুড়িয়ে তার, বিমোহীত হয়ে।
অধমে অগম্য তিনি, বোধগম্য নন,
যতই বুঝাবে তারে সে হবে অবুঝ
কপাল পোড়ার এযে অভাগা কপাল।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আট)

অন্তরে জমেছে কালি ধোঁয়ার আঁধারে
যুক্তিহীন অহেতুক চিন্তা-চেতনায়।
অবিশ্বাস চোরাবালি গ্রাসেতে বিশ্বাস
আগ্রাসনে আছে সদা সাকুল্যে প্রস্তুত।
কে তোমার বন্ধু লাগে শয়তান নাকি?
তবে তার আবাসনে বানাতে ঠিকানা
নিজেরে প্রস্তুত কর; চেয়োনা মঙ্গল।
তোমার কপালে আছে ইবলিশি ঝাঁটা।

আল্লাহ মহান যাঁরে না চিনে নির্বোধ
মনগড়া রাস্তাধরে চলে এলোমেলো
কে তারে দেখাতে পারে সুখের ঠিকান?
আল্লাহ হলেন চির শান্তির মালিক
সেথায় শান্তির খোঁজে আসেনা যে জন
তার জন্য অশান্তির নিশ্চয়তা আছে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(নয়)

ক্বোরআনে অফুরান অমৃতের বানী
নাজিলেতে দেখালে যে আমাদের পথ
সে কারণে কৃতজ্ঞতা নিমিত্তে তোমার
হে আল্লাহ আমাদের নিখাঁদ বান্ধব।
আরো এক নবী(সঃ)দিলে স্নেহের সাগর
উম্মত মঙ্গলে যাঁর আকূল পরান
ছিল নিত্য সে কারণে শীতল অন্তর
তোমায় স্মরণ করে খুশির জোয়ারে।

স্বস্নেহে শুনাও তুমি হাজারে হাজার
আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, শ্রুতির শান্তিতে
ভুলেথাকে মুগ্ধজন আমদ-প্রমোদ।
তোমার স্মরণ লয়ে অবাক জগত
অনুভবে থাকে যার সে বুঝে কেমন
তোমার সান্নিধ্য সুখ, কৃতজ্ঞ অন্তরে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(দশ)

আল্লাহর ইচ্ছে বিনে কি হয়রে আর?
দয়াময় দয়াকরে দিলে উপহার
তখন মানুষ করে অসাধ্য সাধন
যদি পায় আল্লাহর মায়ার বাঁধন।
অকৃতজ্ঞ ভুলে যায় নেপথ্য আল্লায়
নিজের কৃতিত্ব নিয়ে গর্বে উপচায়
অবশেষে ধাক্কা খেয়ে হয়ে চিৎপাত
হয়ে যায় বন্ধ তার সব উৎপাত।

খলের সকল ছল ধরাপড়ে শেষে
সৎজন সত্যে তাই যায় ভালবেসে
যতহোক কষ্ট তার যায়না সে থেমে।
অহেতুক ছলনায় খল নীচে নেমে
চিরকাল ঘরেফিরে ফলশূণ্য হাতে
সত্যের জয় হয় সুখের প্রভাতে।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত ও পয়ার
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ গীতি সনেট


(এগার)

আলো ঝলমলে দ্যুতি দৃষ্টির দুয়ারে,
অপরূপ সে দ্যুতির কিরণ ছড়ায়
মনের গভীরে।তার মোহনীয় রূপের
মহিমায় আলোকিত করে অন্তর আধাঁর।
সেথায় স্বপ্নরা সব জেগে উঠে তুলে
উন্নত মস্তক তাতে। সত্য অনুসন্ধানে
সে স্বপ্নের যাত্রাপথে সে আলো আঁধার
বিনাশে দ্যুতি ছড়িয়ে হয় পথিকৃত।

এদ্যুতি ক্বোরআনের। আল্লাহ প্রদত্ত
এদ্যুতির কার্যকর পথপ্রদর্শনে
পথপেয়ে মু’মিনেরা হয় পরিতৃপ্ত।
এনাহলে পথতবে কোথায় পেতাম?
ক্বোরআনের দ্যুতির জন্য ধন্যবাদ
হে আল্লাহ তোমায় হে মহিয়ান প্রভু।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(বার)

কে আল্লাহ কি আল্লাহ, কেন হবে তাঁর
আরাধনা একমাত্র? এ প্রশ্ন সবার।
পরিচয়ে তাঁর, পেয়ে প্রশ্নের উত্তর
তাঁর পথে চলে কেহ দৃঢ়পদক্ষেপে।
আর যার কাছে নেই তাঁর পরিচয়
সে বুঝেনা তাঁকে তাঁর মহিয়ান রূপে।
আরাধনা জন্যে তারে বুঝে নিতে হবে
আগে ভালভাবে, পরে হবে আরাধনা।

সত্য বুঝার জন্যেতে অনুসন্ধানের
সঠিক পন্থার কোন বিকল্প কোথাও
কোন কালে নেই কভু, এসত্য নিশ্চিত।
ভুল পথে থাকে চির ভুলের মাসুল
গনার অকাজ সদা। যাতে যন্ত্রণার
জ্বালাতনে কাঁদেমন দুঃখে দিবানিশি।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তের)

আমার আপন তুমি, রেখেছ আপন,
আমায় আপন পথে আপন নিয়মে
ভাবতে আপন সবে করতে আপন
পাঠালে আপন বাণী আপন বান্দায়।
বানালে আপন কত আপন ইচ্ছায়
থাকতে আপন মনে আপন মতন
তারাতো আপন হয়ে আপন হৃদেয়ে
সকলে আপন রাখে আপন দায়িত্বে।

আসল আপন জন আল্লাহ মহান,
সজন আপন হয় আপন আলোর
মহান আপন বাঁধে আপন সুখেতে।
অনেকে আপন সাজে নকল আপন
বিফল আপন সব এমন আপন,
আপনে আপন করে রেখেছে আপন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(চৌদ্দ)

নিখুঁত বলেছ নিজ সৃষ্টির বাগান
বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি অভিভূত হয়ে
সেথায় তোমায় পাই অত্যাচার্য রূপে
নিজ শিল্প মহিমায় হে মহান শিল্পী।
কিগুণ বিবৃত করি মথা ধরে আসে
না আঁটে মগজে আর না কুলায় মুখে
মাথা ঘুরে হই যেন ভূ-তলে পতিত
এমন গুণির গুণ বর্ণনা অসাধ্য।

হে আল্লাহ হে আল্লা করি সৃষ্টি দল সাথে
কি করব ভাবনা যদি গুলিয়েই আসে?
তখন জজবা উঠে আল্লাহু আল্লাহ।
একটু জিরিয়ে শেষে ভাবতে আবার
আবার গুলিয়ে মাথা আল্লাহু আল্লাহ
জিকিরে জিকিরে থাকি আবেগ উচ্ছাসে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পনের)

আমাকে আমার চেয়ে তুমি বুঝ ভাল
অনুভবে, প্রতিক্ষেত্রে প্রত্যেক সৃষ্টির
বেলায় এমন হয়। মাথাটা ঘুরায়
তোমার ক্ষমতা ভেবে হে প্রভু আমার।
তথাপি বিপদে কেহ ধৈর্য্য হারা হয়ে
হারায় পুরস্কার এ কাজের বরাদ্ধ।
মানুষ বুঝেনা ভাল নিজেই নিজের
অকারণে আল্লাহর করে বদনাম।

আল্লাহর কোন ক্ষেত্রে কোন দোষ নেই
একথা কেমন করে মানুষ ও জ্বীনে
বুঝাই আমি, জানিনা উপায়-পদ্ধতি।
এটুকু আমার জানা মন ভাল হলে,
উপযুক্ত হলে কেহ হেদায়েত তরে
আল্লাহ নিজেই তারে সকল বুঝান।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(ষোল)

রহমান নিজে দেন ক্বোরআন শিক্ষা
উপযুক্ত হলে কেহ তার থেকে পেতে
জ্ঞানরাজি ছাত্র হয়ে, তখন হবেন
শিক্ষক একান্ত তিনি সে যোগ্য ছাত্রের।
এ শিক্ষক এমন যে মুগ্ধ করে প্রাণ
অনেক কঠিন কথা সহজে বুঝিয়ে
সব প্রশ্নের উত্তর ঠিক ঠিক দেন
স্নেহ তাঁর অফুরান শিক্ষার বেলায়।

প্রশ্নকরে সে উত্তর পেয়ে স্মৃতি ভান্ডে
ক্বোরআনের সাথে এ মিলিয়ে দেখবে
মিলেগেলে মেনেচল, না মিল্লে তা’বাদ।
তুমি কি পেয়েছ একা অপরের তাতে
দায় নেই।সে মানবে শুধু ক্বোরআন
তেমনটাই তার ক্ষেত্রে তাকে বলা আছে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সতের)

আল্লাহ অদৃশ্য আর দৃশ্যমান তুমি
দেখনা দৃশ্যতে খুঁজে অদৃশ্যমানের
আলামত পাওকিনা নিজেই নিজের
সত্ত্বাজুড়ে পরিপাটি ছড়ানো ছিঁটানো।
পেলেই তোমার লাভ না পেলে বিপদ
সেটাও তোমার হবে শাস্তির মাত্রায়
বুঝবে তখন তুমি আলস্যের দায়
কিভাবে বহন করে অবোধ মানুষ।

খুঁজে না পেলেই নেই এটা ঠিক নয়
খোঁজার ত্রুটিতে থাকে বাস্তব অদৃশ্য
যা আছে তা’নেই বলে বেউকূফ জন।
হতেপারে একক্ষেত্রে বিজ্ঞানী সে হয়
অন্যক্ষেত্রে বলবেনা অজ্ঞানী সে নয়
বিজ্ঞানী অজ্ঞানী আছে বিষয়ে অনেক।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(আঠার)

বড় মিয়া কথা খঁটি সব ক্ষেত্রে নয়
না চিনে আসল বড়, বড় মিয়া হয়,
আসলে সে বড় মিয়া বড় মিয়া নয়
আসল বড়রে চিনে বড় হতে হয়।
আল্লাহ অসীম বড় যে জেনে এ কথা
তাঁকে সদা মান্য করে কায়মনে তার
তিনি সে সুবোধে দেন বড়ত্বে আসন
তাঁর কাছে বড় মিয়া এ ছাড়া যে নয়।

বড়ত্বে আসন নিয়ে আল্লাহ হবেন
বিচারক বড়ত্বের তখন অনেক
ছোট মিয়া বড় হবে বড় মিয়া ছোট।
সে দিন বড়াই সব পড়বে গড়াই
অহেতুক বড়ত্বের অগ্নি হবে জল
ভাবহে মানুষ সব ভাবহে মানুষ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(উনিশ)

আজানের সুর মিশে মনের ভিতর
তোলে এক ঝড় যার টানেতে অস্থির
হৃদয় অমনি ছুটে সেজদা নিমিত্তে
দয়ময়ে, যাঁর দয়া পেয়ে আমি বাঁচি।
হে কবি কায়কোবাদ বলেছেন খাঁটি,
আজানের সুর সেতো বাজে সুমধুর
মু’মিনের কানে কানে আত্মায় আত্মায়
শ্রবনেতে এরচেয়ে ভাল সুর নেই।

‘আল্লাহু আকবার’ এ ধ্বনি তোলে বান
ছড়ায় প্রত্যেক মনে এমন তুফান
যাতে উড়ায় সকল দুনিয়াবী কাজ।
মু’মিনকে ধরেরাখে আজানের পর
এমন নেইতো শক্তি দুনিয়াদারির
আল্লাহর প্রতি মন মু’মিনে এমন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বিশ)

মেহেরবান আল্লাহ করেনা মেহের
অসহায়ে নিরাময়ে বিপদ আপদ,
কষ্টতে আকুল হয়ে সকল সময়
পরীক্ষা নিমিত্তে তার আস্তা ও বিশ্বাস।
সে যদি এ বুঝে তবে থাকবে অটল
তার চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসের পথে,
আর যদি অবুঝের মতো বুঝে সব
তবেতো খোয়ানো যাবে অমূল্য ঈমান।

এজীবন নয় কারো স্থায়ী আবাসন
এস্থানতো সে স্থানের মূল্য চুকানোর
অস্থায়ী পরীক্ষা স্থান তা’বুঝে সুবোধ।
নেই যার সত্য জ্ঞান সে অস্থির হয়ে
এখানে তালাশ করে সুখের ঠিকানা,
তা’নাপেরে পরিশেষে করে হাহুতাশ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একুশ)

পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি হয়ে
আল্লাহর কিছুদায় বহনে মানুষ
পেয়েছে দায়িত্ব কিছু। পুরস্কার যার
মানুষেরা পাবে নিজ কাজের ভিত্তিতে।
নতুবা শাস্তির দন্ড ভোগের নিমিত্তে
তাদের থাকতে হবে সর্বদা প্রস্তুত,
কখন যে এসে যাবে অসময় তার
যার থেকে পালাবার পাবেনা সুযোগ।

প্রতিনিধির দায়িত্ব, অনাচার রোধ
সুবিচার সুশাসন সৎমনোভাবে
অপরের সাহায্যতে থাকা নিরন্তর।
আরো আছে আল্লাহর বিধি ও বিধান
তার ভিত্তিতে করা জীবন যাপন,
প্রতিনিধিত্ত্বের জন্য এ হলো উত্তম।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট


(বাইশ)

আল্লাহর প্রতিনিধি মানুষের দল
সক্ষমতা পেয়ে কভু দেখেনা দু’চোখে
দূর্বল মানুষ কত কষ্ট ভোগ করে
অথচ তাদের দায় এসব দেখার।
জীবনের প্রতিক্ষেত্রে অসহায় জন
বাঁচার আকতি নিয়ে অবলম্বনের
পিছেছুটে ক্লান্ত দেহে, তাদের আশ্রয়
সক্ষমেরা হবে এটা কাম্য আল্লাহর।

আল্লাহ ধরায় এসে করেননা কাজ
রাস্তাঘাট নির্মানের, শাসন বিচারে
এখানে মানুষ আছে প্রতিনিধি তাঁর।
কে খায় কে না খায় এ দেখবে মানুষ
মানুষের সুখ শান্তি পরস্পর দেখা,
এসব না করে কেউ পাবেনা নিস্তার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তেইশ)

প্রকৃতিতো আল্লাহর করুনার দান
প্রকৃতির দান সেটা কি অদ্ভুত কথা
প্রকৃতির দান সেতো আল্লাহর দান
প্রকৃত এ কথা কেন বুঝে না মানুষ?
আল্লাহর ইচ্ছে বিনে হয়না কিছুই
যার ইচ্ছা সাথে তাঁর ইচ্ছা যোগ হয়
তার কাজ হয়ে যায় বাধাহীন ভাবে,
ইচ্ছার কারণে দায়ী অকাজের কাজী।

গজর গজর করে গজালের দল
তা’বলে পাপের দায় খসবেনা কারো,
পাপকাজে আল্লাহর কোন দায় নেই।
কেন নেই? কারণতো একটাই এযে
পাপীর ইচ্ছায় যুক্ত আল্লাহর ইচ্ছা
শুধুমাত্র সেইকাজ ঘটার নিমিত্তে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চব্বিশ)

আকাশে তারার দলে দৃষ্টিরা হারায়
কতবড় এ জগৎ ভাবনা উপায়
নেই বলে আমাদের ক্ষুদ্র চেতনায়
অপলক চেয়ে থাকি হয়ে অসহায়।
এতবড় জগতের শ্রষ্টার চিন্তায়
এ হৃদয় ডুবে থাকে মহা মুগ্ধতায়
তারে চায় তারে চায় মন তারে চায়
তিনি ছাড়া এজীবন শুধু নিরুপায়।

যে পায়নি তাঁর কোন হদিস সত্ত্বায়
যে পায়না তাঁরে খুঁজে নিজের আত্মায়
সারাটা জীবন তার বৃথা চলে যায়।
যে জন ‘আল্লাহ’ পায় মন মোহনায়
জিকিরেতে মন থাকে সারাটা বেলায়
তার মনে বহে সুখ স্রোতের ধারায়।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ এক অন্তমিল
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঁচিশ)

আল্লাহ সহজ করে সাজালেন বাণী
ক্বোরআনের আয়াতে সুলালিত্যে সব
হুকুম পালন তরে সকল বান্দার
জটিল আয়াত সেথা নয় হুকুমের।
অখচ জটিলে ঢলে কূটিল জনের
জটিল হৃদয়, খোঁজে কূ-মন্ত্রণা দানে
সরল মানুষ জনে কূপথে চালাতে
সাবধান হে মানুষ এসবের থেকে।

শয়তান কোন কালে নয় বুদ্ধিমান
বেউকূফ অহেতুক বড়াই কারণে
নিজপদে মারে তার নিজেই কুড়াল।
কি দরকারে কে খোঁজে ক্বোরআনে ত্রুটি
যার জ্ঞান ত্রুটিপূর্ণ ত্রুটি সে কি ধরে
ত্রুটি ধরাই যে ত্রুটি বাস্তব সে কথা।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছাব্বিশ)

শুকরিয়া করি প্রভু তোমার দানের
অফুরান হে মহান হে মহা মহিম
আমিতো বোকার মতো ভুলে থাকি তারে
পেয়েছি জীবন আমি যাঁর উপহারে।
আমি কারে ভালবাসি তাঁরচেয়ে বেশী
হিসাবটা করেছি কি, কি ভুল কোথায়?
সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর বুঝাব কি বলে?
মুখটা ফিরালে তিনি কি হবে তাহলে?

কেউ নয় কেউ নয় তাঁর চেয়ে দামী
কেউ নয় কেউ নয় তাঁর চেয়ে মানী
কে আমারে ভালবাসে আমি কি তা’জানি?
তাঁর চেয়ে বেশীভাল বাসেনাতো কেউ
সে আল্লায় ভালবেসে উঠ জেগে উঠ
তাঁর ভালবাসা পেতে ছুট জোরে ছুট।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ মাঝে মাঝে
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাতাশ)

হে আল্লাহ আমি যেন নিজেকে সর্বদা
নিজের মতো ভাবতে রুচি বোধ করি
আর আপনাকে ভাবি আপনার মতো
দয়ালু মেহেরবান অনন্ত অসীম।
আমিতো তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র আর হে আল্লাহ
আপনি বিশাল মনে ব্যাপক বিস্তৃত
ক্ষমতাবান মহান সকলের প্রভু
একচ্ছত্র আধিপত্যে আপনি অনন্য।

হে মানুষ দেখ তাঁর কুদরত কত
আর তাঁকে নিয়ে ভাব সকল সময়
তবেকি তোমার দুঃখ সন্দেহ বিস্তারে?
এটাতো পরীক্ষা এক ঈমান দেখায়
উত্তীর্ণ হলেই পাবে মহা পুরস্কার
জালিম ধরা খায়না সেজন্য এখন।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আটাশ)

জালিমকে জুলুমের সুযোগ দেয়ায়
সে নিজের পায়ে মারে কুড়াল নিজেই
আর মজলুম পায় অনন্ত জান্নাত;
এবার তাহলে বুঝ কার বেশী লাভ?
মজলুম করবেনা খোয়াতে জান্নাত,
আল্লাহর বদনাম, অহেতুক কোন
কথা ও কাজের ফেরে।অপেক্ষায় থেকে
সে চাইবে আল্লাহর হেদায়েত সদা।

হাসরে জালিম হবে দিশেহারা মনে
ছুটোছুটি করা কোন গাধার মতন
সে পাবেনা তার কোন মুক্তির উপায়।
আর মজলুম হবে রাজার মতন
টান টান উত্তেজনা মনে বিরাজিত
মহা পুরুস্কার পাবে জুলুম ভোগার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ঊনত্রিশ)

আল্লাহু আল্লাহু করে মনে সারাক্ষণ
জিকিরের ধ্বনি উঠে মুগ্ধতায় তাঁর
এ যেন প্রভুর দেয়া সেরা উপহার
যাতে মন হয়ে যায় দুনিয়া বিবাগী।
এ স্বর এমন যাতে হয়ে নিমগন
বাঁশে না কোথায় উঠি বোধ নেই তার
এ সুখ পায়নি যারা তাদের কি আর
ভাগ্যআছে হতে কোন এভাগের ভাগী।

চল চল সবে চল জিকিরের সাথে
আল্লাহর ওলি ডাকে আয় ছুটে আয়
এখনি সময় চল আল্লাহর পথে
চেয়ে দেখ কাফেলা ঐ যায় চলে যায়

পীর সাহেবের ডাকে ঐ চরমনাই
থাকতে সময় সবে চল ছুটে যাই।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙচচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ত্রিশ)

যে দিকে তাকাই আমি সে দিকে তোমার
অনুভব আমারে যে পাগল বানায়
সব মন বুঝ তুমি সে কিরে বিস্ময়
সকলের অনুভুতি কর অনুভব।
মানুষ কষ্টতে তার বুঝেনা তোমায়
কত যে মহান তুমি কত দয়াবান
দয়ার সাগরে নিতে কাঁটাভরা পথ
উছিলা তোমার এযে দানের বেলায়।

তোমার ভাবনা জেগে মনের ভিতর
কষ্টকর অনুভুতি দূর হয়ে যায়।
সে মনে তখন তুমি অনুভবে থাক।
যেই মনে নেই তুমি সেই মনে ক্ষোভ
দানা বেঁধে বিশ্বাসের বারোটা বাজায়
সুপথের জন্য চাই তোমার স্মরণ ।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙচচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একত্রিশ)

মানুষের প্রচেষ্টায় আল্লাহর দয়া
হলে কার্য সিদ্ধ হয়ে মানুষ দারুন
খুশীহয়ে কৃতীর্তটা নিজে নিতে চায়
আর আল্লাহর ভাগে দিতে চায় শূণ্য।
মানুষের প্রচেষ্টায় আল্লাহর দয়া
নাহলে মনের দুঃখে নিজেই নিজের
চুলছিঁড়ে হতভাগা মানুষেরা কাঁদে,
তথাপি কৃতজ্ঞাতায় অনিহা অনেক।

ওরে তোর কাজ হবে যদি কৃতজ্ঞতা
অন্তরে পুষিস, তবে তোর কাজ করে
সমাধা আল্লাহ নিজে দিবেন অবশ্য।
তুই আসলেই কিছু পারিসনা নিজে
একা একা শত চেষ্টা সাধনায় থেকে
যদি আল্লাহ সহায় না হন কাজেতে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বত্রিশ)

হৃদয়ের গহিনেতে আছে যাঁর নাম
আমার সকল কিছু শুধু যাঁর দান
তিনি আর কেউ নন আল্লাহ মহান
তাঁর দানে গড়ি আমি সুখের নিবাস।
নিখুঁত কাজেতে তাঁর নেই বদনাম
যে দিকে তাকাই শুধু শোভা অফুরান
ভ্রমরেরা ফুলে ফুলে উড়ে গায় গান
তাঁর দয়া বিনে কভু চলেনা নিঃশ্বাস।

সেই তাঁরে ভুলে থাকে বোকাদের দল
জীবন সময় পার করে বৃথা কাজে
করেনা সঞ্চয় তারা জীবন সম্বল।
এমন মানুষ জন নেহায়েত বাজে
কখন কি করে তার কোন খোঁজ নাই
জানিনা জীবন পথে এদের কি চাই।

# ছন্দঃ অক্ষরবৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙ চচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ গীতি সনেট

(তেত্রিশ)

আল্লাহ বুঝেন সব মনভাব রুচি
দেহ অনুভুতি কষ্ট ক্ষুধার যন্ত্রণা
ইচ্ছা আবেগ প্রত্যাশা ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া
ন্যায় বিচারের স্বার্থে সকলের মাঝে।
মাথাটা ঘুরায় দেখে তাঁর যোগ্যতার
ব্যাপকতা বিস্তারিত সমগ্র জগতে,
এত প্রার্থনার প্রতি মনোযোগে দিয়ে
ব্যবস্থা গ্রহণ করা অসীম বিস্ময়।

কারো ইচ্ছা পূরণেতে কারো ক্ষতি থাকে
সেজন্য কারো খুশির মাঝে কারো দুঃখ,
দুঃখিরে পুষিয়ে দেন অন্য কোন ভাবে।
তাঁকে বুঝার সাধনা নির্জনে একাকী
সুবিধা বলে সাধক তেমন করেন
যা আল্লাহর খুশির কারণ সর্বদা।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চৌত্রিশ)

আমি অভিভূত জেনে আপনি জানেন
মনের সব খবর যা লুকানো আছে
মনের গহিনে যত্নে অন্যের অজানা
সকল সৃষ্টির যাতে কেউ বাদ নেই।
তাহলে কি আপনাকে অবহেলা করা
যায় কখনো বলেন? ক্ষতিটা তাহলে
কার হবে অবশেষে, সে গোপন তথ্য
ফাঁস হয়ে গেলে কার কি উপায় হবে?

তখন নির্ঘাত কেউ নিরুপায় হবে
মন্দ তথ্য এসেগেলে সামনে সবার
মুখ লুকানোর স্থান পাবেনা তখন।
মানুষকে অপদস্ত করতে যে মন
উৎগ্রিব হয়ে কারো গোপন প্রকাশে
শেষ বিচারে সে তার কূকর্ম বুঝবে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঁয়ত্রিশ)

অনাচার অত্যাচার দেখে নির্বিকার
থাকেন সেজন্য কারো সন্দেহ বাতিক
মাথাচাড়া দিয়ে উঠে আবল তাবল
বলে ফেলে আপনার সম্পর্কে সহসা।
অথচ এটাই হলো আসল পরীক্ষা
অত্যাচারী জন্য আছে নির্মম শাস্তির
ঘোষণা, এখন যার অবকাশ কাল
মজলুমের বরাদ্ধ মহা পুরস্কার।

আল্লাহর হিসেবেতে নেই ফাঁকফোঁক
তেমন নাহলে কেন এমন রাজার
হালেতে মানুষ রবে অনন্ত জান্নাতে?
সে জন্য জালিম হয় এমন কঠিন
নতুবা মজলুমের সৌভাগ্য নসিব
হয়না কখনো অন্য কাজের গুনেতে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছত্রিশ)

আল্লাহ নিরাকার

নিরাকার আল্লাহর আকার সাব্যস্ত
অনেকেই করে থাকে অথচ বুঝেনা
সমগ্র জগৎ হতে আকারটা ছোট,
আল্লাহকে ছোট করা উদ্দেশ্য এদের।
আল্লাহ শব্দের অর্থ অভিধানে নেই
পরিভাষা দিয়ে তাঁরে বুঝা যায় ভাল
অভিধান দিয়ে তারে বুঝতে গেলেই
আল্লাহ আর আল্লাহ রবেননা তাতে।

আল্লাহর সবগুণ ঠিকঠাক রেখে
আল্লাহর আলোচনা করতে গেলেই
কিছুক্ষেত্রে পরিভাষা মানতেই হবে।
অভিধান দিয়ে অর্থ করে যদি হয়
আল্লাহর গুণ ক্ষুন্ন, তবে পরিভাষা
দিয়ে সেটা ঠিক রাখা কর্তব্য সবার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাঁইত্রিশ)

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান

সর্বত্র আল্লাহ যদি না থাকেন তবে
সর্বত্র আল্লাহ থেকে বড় হয়ে যায়
আল্লাহ সর্বত্র এর পরেও আছেন
কারণ আল্লাহ বড় সকলের চেয়ে।
যখন ছিলনা স্থান তখন আল্লাহ
থেকেই থাকেন যদি তবে কেন স্থানে
আবদ্ধ হবেন তিনি? কাজেই স্থানেতে
অবস্থান নয় তাঁর, শুধু অধিষ্ঠান।

অভিধান আল্লাহর বন্ধিশালা নয়
তাঁর কাজ বুঝা হবে পরিভাষা দিয়ে
অভিধান হবে শুধু প্রয়োজনমত।
আল্লাহ শব্দের অর্থ অভিধানে নেই
অভিধানে তাঁকে বাঁধা অযোক্তিক কাজ
আল্লাহকে তাঁরমত বুঝে চলা ভালো।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আটত্রিশ)

আল্লাহর পুরস্কার

আমার লেখায় নেই সক্ষমতা কোন
আল্লাহ লেখান বলে টুকটাক লিখি
ইচ্ছে এই হাসরেতে তাঁর কাছে থাকা
তাঁর মন সন্তুষ্টির অনন্ত মায়ায়।
দয়াময় থেকে লাভ অনেক উত্তম
পুরস্কার নিজ জন্যে প্রত্যাশায় এর
মন শুধু সারাক্ষণ উড়াউড়ি করে
করতে প্রভুর কাজ যা পারি যখন।

কার কাজ কারো কাছে না লাগলে ভাল
কি আর করার থাকে সেক্ষেত্রে করার
নিজ নিজ কবরেতে সবে যাবে একা।
জান্নাত যে পথে আছে সেপথ খোঁজার
দায়িত্ব সবার আছে নিজের উপর
ভুল হলে খেসারত নিজে দিবে সবে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ঊনচল্লিশ)

আল্লাহর নামে কাব্য

আল্লাহ তোমার নামে কাব্য লিখে ভাবি
তুমি যদি টাকা দাও তোমার এ কাব্য
প্রকাশের জন্য আমি খাটতেই পারি;
নতুবা তোমার কাব্য প্রকাশ পাবেনা।
আর যদি টাকা তুমি না দাও তাহলে
তুমি ছাড়া কারো কাছে পাতবনা হাত
আমার লেখার কাজ শুধু লিখে রাখি
প্রকাশ কিভাবে হবে সে জানা তোমার।

তুমি না লেখালে আমি লিখতে পারিনা
তুমি না করালে আমি করতে পারিনা
বলেছ চেষ্টার কথা তা’করছি শুধু।
তুমি নাকি সব পার তবে তাই কর
অক্ষমের তুমি ছাড়া নিরুপায় সব
সাফল্য তোমার হাতে সে আমার জানা।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চল্লিশ)

প্রভুর ইঙ্গিত

একামনে লিখে যাই সনেটের রাশি
ভাসা ভাসা কথা পেয়ে মুখে আসে হাসি।
যে দেয় আমার মনে কথার যোগান
তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা মনে অফুরান।
যত গুণ যত জ্ঞান আল্লাহতে আছে
ছিঁটে ফোঁটা নেই এর অন্য কারো কাছে।
আল্লাহ পারেন সব যা চান যখন
সে জন্য তাঁকেই ভাবি বসে সারক্ষণ।

মানুষের দুঃখে প্রভু দেখেন কি করে
সইতে যে পারে তারে জড়ান আদরে।
জালিমের জন্য থাকে শাস্তির বরাদ্ধ
অসভ্য করেই চলে যে কাজ অশুদ্ধ।
জ্ঞানীগন বুঝে সব, প্রভুর ইঙ্গিত
সে জন্য তাদের মনে তাঁরই সঙ্গীত।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একচল্লিশ)

জালিম ও মুমিন

একামনে ভাবি কত কান্ড ঘটে হেথা
যা দেখে মানুষদের ঘুরে যায় মাথা,
অত্যাচারী চিরকাল পেয়ে যায় পার
মজলুমের কাতরতা হয়ে যে অসার।
হতাশায় বলে কেউ আল্লাহ কি নেই?
আল্লাহ বলেন আমি থাকি গোপনেই।
প্রকাশ না হতে তিনি সাড়া শব্দহীন
সে জন্য জালিম বুঝে সে আছে স্বাধীন।

জালিমেরা খুশীমনে করে অপরাধ
মিটায় সকল আশা জীবনের সাধ,
মজলুমের দু’চোখে পানি থাকে অনিবার।
অবকাশ শেষহলে জালিম অসার
দেখবে সমুক্ষে তার কি মহা বিপদ,
মুমিন জান্নাতে পাবে অপার সম্পদ।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বিয়াল্লিশ)

সাধনা ও প্রার্থনা

সাধনার অনুকুলে আল্লাহ মিলান
সাফল্যের শেষহাসি নিরপেক্ষ ভাবে
এ ক্ষেত্রে সকল সৃষ্টি সমান বিবেচ্য
তাঁর ন্যায় বিচারের কার্যব্যবস্থায়।
আল্লাহর অনুগত জন প্রার্থনায়
চায় তাঁর অনুগ্রহ বিনীত মনেতে
কারণ তাদের জন্য পরকাল আছে,
সেজন্যই ইহকাল তাদের কঠিন।

প্রার্থনা মুমিন জন্যে প্রাপ্তির কারণ
ইহকালে হতে পারে সাধনার পর
অমুমিন জন্য এটি দরকার নেই।
অমুমিন জন্য প্রাপ্তি ইহকালে বেশী
সেজন্য তাদের আছে অগ্রাধীকারের
দায় হেথা যা কর্তন প্রার্থনার সাথে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(তেতাল্লিশ)

ভাবনার ফল

ভাবনারা ডানা মেলে উড়ে আকাশের
তারাদের দেশে ভেসে দেখে নীলিমার
নীচে গভীর অরন্য বন বনান্তরে
তরুছায়া প্রাণীদের জড়ানো বিস্ময়।
তারা দেখে সৃষ্টি চারু কারুকাজ ঘেরা
আনন্দ দুঃখ বেদনা সুখ কষ্ট হাসি
অভিযোগ অনুযোগ প্রত্যাশা হতাশা
যেথা বিরাজিত অন্য অনুভুতি সব।

ভাবনার হিসেবেতে আল্লাহ আছেন
মহিমায় বিস্তারিত নিজ গুণাগুণে
দৃষ্টির আড়ালে থেকে বুদ্ধি পরীক্ষায়।
বুদ্ধিমান ভাবনার দৃষ্টি এড়ায়না
আড়ালে লুকিয়ে থাকা আল্লাহর দীপ্তি,
যাঁকে তারা বরে থাকে নিখাদ বিশ্বাসে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(চুয়াল্লিশ)

চিরন্তন সত্য

জগৎ যে ভাবে আছে শৃঙ্খলা সাজানো
সর্বক্ষেত্রে কারুকাজে সুচারু সুন্দর,
তাতে এর সৃষ্টিকর্তা আছে বুঝাযায়,
একমাত্র নিজে নিজে হয়েছেন তিনি।
নিজে নিজে হতে পারে শুধু এক জন,
কারণ যে হবে নিজে সে হবে অসীম;
বাধা না থাকায় তার অসীমত্ত্বে কোন
সে সসীম হবেনা এ সুনিশ্চিত কথা।

সীমা দিতে অসীমের সীমানা পাওয়া
অসম্ভব বলে এটা সীমা দিয়ে করা
একাধীক কোন কালে হয়না সম্ভব।
নিজে নিজে একজন হলে বাকীদের
সৃষ্টিকর্তা সেইজন এ সহজ কথা
চিরন্তন সত্য কথা যা মানা উচিত।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঁয়তাল্লিশ)

আল্লাহর অপার সন্তুষ্টি

আমি চাই আল্লাহর অপার সন্তুষ্টি
যাতে আছে অনুপম সম্পদ সমগ্র
ইচ্ছে তাঁর এনে দেয় অপার মঙ্গল
সাময়িক যদিওতা কষ্টকর হয়।
আমার কি প্রয়োজন আল্লাহ বুঝেন
আমি যদি বেশী বুঝি তবে ক্ষতি হবে
নিজের বুঝায় চাপে কষ্টকর বোঝা
তার চেয়ে আল্লাহর বুঝা বেশী ভাল।

আল্লাহর বুঝাতেই প্রাপ্যতা অনেক
তাঁর উপরেতে কারে স্থান দেয় কেউ?
এমন কর্মতো হলো মহা অবিচার।
আল্লাহর সম আর তাঁর থেকে বড়
কোথাও তো’ নেই কেহ আর কোন জন
তাঁর অপমান ফল কভু ভাল নয়।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(ছিচল্লিশ)

আল্লাহর হিসেব

সামান্য সময় শুধু ইচ্ছে মত চলা
পরীক্ষা নিমিত্তে তাও না বুঝে বিপদ
ডেকে আনা আরো জন্য সমিচিন নয়,
অত্যাচারিত করুন সামান্য অপেক্ষা।
অত্যাচারী মনে করে কিছুই হবেনা
অপকর্মে তার সেতো পেয়ে যাবে পার,
অথচ সে অবকাশ শেষে পাবে সব
জুলুমের কড়াগন্ডা ফল পূর্ণরূপে।

জাহেলেরা বলে তারা বুঝে নাকি সব
অনুমান করে করে কি চমৎকার
খুশী মনে করে তারা যা’খুশী যখন।
আল্লাহর ধরা খেলে বুঝা যাবে শেষে
কতধানে কতচাল গনেদিতে হবে
হিসেবের বাইরেতে রইবেনা কিছু।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(সাত চল্লিশ)

আল্লাহর শর্ত

শর্ত সাপেক্ষে আল্লাহ দেন সব কিছু,
প্রাপ্তির সে শর্ত জানা বাস্তবিক জ্ঞান
সে শর্তের ভুল জ্ঞান জাহিলিয়াতের
জ্ঞান বলে সর্ব ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে।
আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান আল ক্বোরআন
অভিধান পরিভাষা সাকুল্যে বিবেচ্য
কোন ক্ষেত্রে কোন অর্থ হবে নির্ধারণ
সে কথা যাচাই করে জেনে নিতে হবে।

যেথা হবে পরিভাষা সেথা তা’ নামানা
অভিধান নিয়ে শুধু টানাটানি করা
ক্বোরআনের অর্থের ভুল ব্যাখ্যা হয়।
ক্বোরআন হাদীসের প্রকৃত মর্মের
অনুসন্ধান করাটা সবার দায়িত্ব
সে শর্তে পাওয়া যাবে আল্লাহর পথ।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(আট চল্লিশ)

আল্লাহর বিচার

জালিমের পূণ্যকরা অতি প্রয়োজন
মজলুমেরে প্রদানে প্রাপ্য বিনিময়ে,
মজলুমের পাপের ভাগ জালিমের
এসকল ভেদবুঝা বড় দরকার।
পৃথিবীতে ঘটেকত অনাচার কান্ড
কেউহাসে কেউ কাঁদে সকল সময়
এসবের একদিন হিসেব হবেই
আল্লাহর কথাসব প্রমাণীত সত্য।

চোখবুঁঝে বাস্তবের অস্বীকৃতিকারো
কাকদের অনুরূপ স্বভাব অযথা
অবকাশ শেষে সেটা হবে পরিস্কার।
জোর করে আল্লাহকে অস্বীকার করে
কেউ পার পাবেনাতো হাসরের দিন
সে দিন এসবে হবে কঠিন বিচার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(উনপঞ্চাশ)

পরকাল

ওহে মূঢ় খাও গুড় মজাকরে বেশ
কার গুড় খাও এর আছে কি হিসেব?
কবরে যখন খাবে মুগুর পিটনী
তখন কি হবে কিছু ভেবেছকি কোন?
ওরে শুন এ বেলাই শেষ বেলা নয়
পরকাল আছে বাকী ইহকাল পরে
নাস্তিক বৌদ্ধরা যেটা করেনা স্বীকার
যদিও তাদের কথা অসত্য এ ক্ষেত্রে।

পরকাল হবে এর হাজার প্রমাণ
না দেখে করলে ভুল কি করার আছে?
অহেতুক ধারণার কোন মূল্য নেই।
পাপি দল যতপার কোলাহল কর
একদিন থেমে যাবে এ আনন্দ সব
একদিন দেখবেই অনন্ত আঁধার।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(পঞ্চাশ)

তামাশা

তামাশায় ঝুটে যদি তামাশা তেমন
তখন বুঝবে এটা সইতে কি পার
তখন বুঝবে মুখে কি কইতে পার
হাসিগুলো বদলাবে কান্নার রূপে।
তামাশার বদলার দিন এলে পরে
বিপদের টের পেয়ে ভাববে কি করা
যাবে এ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে নিজে
কিন্তু তখন পাবেনা বাঁচার উপায়।

ওরে পাপি মাথামোটা ভারী কথা বলে
কোন পথে আনন্দেতে যাও তুমি চলে?
জাননা সে দিকে কত বিপদ তোমার।
এখনো সময় আছে ফিরবার জন্য
খুঁজে নাও কোন দিকে সুখের জান্নাত
তামাশায় নিজ পায়ে মেরোনা কুড়াল।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(একান্ন)

ভাগ্য নিয়ন্ত্রক

ভাগ্যের চাকা কখন ঘুরবে জানেন
আল্লাহ।যাঁর আয়ত্বে সমগ্র জগত
তিনি না ঘুরালে জানি কোন চাকা ঘুরা
অসম্ভব সে যে চাকা হোক, ঘুরবেনা।
ভাগ্যের চাকা থামেনা আল্লাহর ইচ্ছা
ব্যতিরেকে অন্য কার কূটিল জটিল
কোন ইচ্ছার কারণে সে ক্ষমতা কারো
নেই সে আমার জানা সর্বান্ত করণে।

ইবলিশ অহেতুক একটা মিশন
চালায় তার দলের লোকদের নিয়ে
আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা মেনে।
তাহলে বুঝুন ভাগ্য কোথায় আটকে
থেকে আপনাকে কোন ভুল পথে টেনে
নিয়ে যায় নিরবধি প্রতারীত করে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

(বায়ান্ন)

আল্লাহর ইচ্ছা

তাঁর ইচ্ছা ভিন্ন আমি করতে পারিনা
ভাল-মন্দ কোন কাজ বেলা অবেলায়
যদিও মন্দের দায় একান্ত আমার
ইচ্ছা প্রচেষ্টা কারণে, এ অবোধ্য নয়।
ভাল জন্যে ধন্যবাদ তাঁকে দেব একা
কারণ তাঁর অনিচ্ছা এক্ষেত্রে আমার
ইচ্ছা অসফল করে দিলে সেথা আমি
পরতাম না একলা কিছুই করতে।

ভাল-মন্দে দু’রকম কারণ মন্দেতে
আমার ইচ্ছায় হয় আল্লাহর ইচ্ছা
অথচ ভাল হয়না তাঁর ইচ্ছা ভিন্ন।
আমি অপারগ হই সুকাজে আল্লাহ
যদি না দেন ক্ষমতা সে ক্ষেত্রে কূকাজ
আমার ইচ্ছায় নিত্য ঘটা করে ঘটে।

# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট

বিঃদ্রঃ এ পোষ্টের সনেট সংখ্যা একশতে উপনিত করতে চাই। বাঁকী আল্লাহর ইচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
৩৫টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×