(এক)
বাসর-১
সে এক বিস্ময় জাগা রাতের পরশ
আস্ত একটা মানুষ আমার নিজের
জীবন সাথী হয়েছে সেকথা সবাই
জেনেও গেছে পুরোটা, অন্য অনুভতি।
মালাতো পরাবই সে মানিক আধাঁরে
ফুলতো ছিটাবই সে রতন চৌপাশে
একসাথে হাত ধরে জীবন চলার
এইতো সময় শুরু, হোক হীরম্ময়।
শুনেছি একে বাসর বলে থাকে লোকে
যা আজ সামনে পড়ে জ্বল জ্বল করে
সাথে সাথী পাশাপাশি সুখের ফোয়ারা।
মৃদু কথা চালাচালি অনুভবে তার
সমগ্র অস্তিত্ব যেন সুবাসিত হয়ে
আবেশের ঘোরে আনে অনন্ত ব্যঞ্জনা।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(দুই)
বাসর-২
এদিনের অপেক্ষার প্রহর গনায়
কেটেছে অনেক দিন, এখন সেদিন
দেখছে উদ্ভাস দৃষ্টি তোমার সত্ত্বায়
তোমাতে তোমায় কত সুন্দর দেখায়।
সেই সাথে ফুল সজ্জা লজ্জা রাঙ্গা দৃষ্টি
ঘুরপাক খেয়ে খেয়ে এদিক সেদিক
ঘুরছে স্বপ্ন নীড়ের আনাচে কানাচে
তা’দেখায় হৃদয়ের পুস্প কলি ফুটে।
বাসর কানন ফুলে সুঘ্রাণে সুবাসে
তোমার অনুভুতির অনুভব পেয়ে
ক্রমাগত দোলা দিয়ে যায় অবিরত।
সন্তানের মধু ডাক কল্পনায় জেগে
তোমাকে আমার কাছে টানে দূর্নিবার
আকর্ষণে যেথা আজ বাধা নেই কোন।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(তিন)
বাসর-৩
হয়ত ভাবনি কোন ভয়াল রাতের
অবশান হয়ে হবে আলো ঝলমল
ভোরের উদয় এক আনন্দ দিবসে
সানাইয়ের সুরের শৌরভ বিলিয়ে।
কিন্তু কেটেছে সে রাত সে কৃষ্ণ পক্ষের
গভীর হতাশা কেটে সর্বসম্মতির
অরুণ আলোয় আজ, এখন বাসর
ফুল সজ্জা তুমি আমি নিশিথে একত্রে।
চল হাত ধরাধরি করে মনরাজ্যে
আজ ঘুরি পাশাপাশি কোমল কমল
ভাবনা চাদর মুড়ি দিয়ে দু’জনায়।
শুন সন্তানের মধু আগমন ধ্বনি
তারা অপেক্ষায় আছে পিতা ও মাতার
আবেদনে সাড়া দিতে এ বেলা বীনয়ে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(চার)
কবি সোনবীজ; অথবা ধুলোবালিছাঁই এর‘ভুলে যাওয়া গান : বহু দিনের পিরিত গো বন্ধু;
পথিক নবী ও তাঁর গান; আমার ছেলেমেয়েদের ছড়া’ পোষ্টে মন্তব্য-
এ যেন একটা মেলা, তারাদের নিয়ে
যেথা আমি পথ ভুলে এসে জমে গেছি,
অবাক বিস্ময়ে দেখে তারার আলোর
চোখ ধাঁধানো রূপের মাধুরী আনন্দে।
গুনী পিতার পরশ পেয়ে সন্তানেরা
অনেকটা পথ চলে পিছন পিছন
পুরোটা পাড়ি না দিতে পারলেও তারা
অনেক দূর অবদি যায় অবশেষে।
ভালো লাগার বিষয় হলে ভালোলাগা
নিজ থেকেই এগোয় পূর্ণতার দিকে
এমনকি হামাগুঁড়ি দিয়ে অতঃপর।
সময়টা কেটে গেছে অননুভবের
পাল্লায় গড়ে নিরবে তবে আনন্দের
অনুভুতি পুরোটাই উপভোগ্য ছিল।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(পাঁচ)
চাাঁদ গাজির‘জলদস্যুর বাচ্চারা বিনা বিচারে, বিনা শাস্তিতে
পার পেয়ে যাচ্ছে বারবার’ পোষ্টে মন্তব্য-
পুরোটাই সুকথন শতভাগ ঠিক
কথা বলে জানালেন দস্যু দানবের
দন্ড-শাস্তি না হওয়া আক্ষেপের কথা
ওরা চায় গায়ে পড়ে ঝগড়া বাঁধাতে।
আমারা ওদের শাস্তি পারছিনা দিতে
অন্যদের এ বিষয়ে মাথাব্যাথা নেই
এ ভাবেই দস্যুদল লাই পেয়ে গেছে
জানিনা ওদের ছ্যাঁকা কখন কে দিবে?
দুঃশ্চিন্তা বাড়ার আরো রয়েছে কারণ
না জানি দস্যুর দল সামনে এগিয়ে
আবার এদেশে কোন হামলা চালায়।
তাতেও ওদের শাস্তি না দিতে পারলে
জানোয়ার দল কত করবে এমন
সেকথা এখন বড় চিন্তার বিষয়।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(ছয়)
পরকালকামী
নেকের সামান্য আয়ে পরকাল খাতে
কর্তন শেষে নগদ যা মিলে তাতে যে
ইহকালে কষ্টসাধ্য জীবন যাপন
সেকথা কিভাবে কাকে বুঝাই এখন?
আর যার প্রাপ্যতার সবটুকু পায়
ইহকালে তার হাতে প্রচুর সম্পদ
গড়াগড়ি খেয়ে চলে জীবনের নদী
তর তর বেগে দ্রুত অফুরান স্রোতে।
ইহকাল কামী আর পরকাল কামী
মনভাবে দু’রকম হয়ে আজকাল
পরস্পরে বোকা ভেবে অবজ্ঞা করছে।
পরকালকামীদের কোনঠাঁসা দুঃখ
ক্লান্ত অবস্থার জন্য এখানে তারাই
আজকাল বোকা বলে অবিহীত হয়।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(সাত)
চাঁদগাজীর‘এবার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা যে আতংকের জন্ম দিয়েছে,
রোহিংগারা ভয়ে ফিরবে না’ পোষ্টে মন্তব্য-
আপনার অনুমান যথার্থ বিধায়
বসে না খেকে ওদের স্থায়ী ব্যবস্থার
পথ খুঁজে বের করে বাস্তবায়নের
পদক্ষেপ গ্রহণের প্রচেষ্টা জরুরী।
মিয়ানমারের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের
মাধ্যমে বিশ্ব মতের হাওয়া নিজের
পক্ষে রেখে সকলের সহযোগীতার
আনুকুল্যে আমাদের একাজ চলবে।
আমরা দানবদের হাতে মানব সন্তান
রোহিঙ্গাদের ছাড়তে পারিনা যখন,
সেজন্য আমরা চাই ইতিবাচকতা।
অসহায় মানুষের মুখপানে চেয়ে
ওদের প্রতি নিষ্ঠুর না হওয়া চাই
আমাদের সকলের বিবেকের দায়ে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(আট)
চাঁদগাজীর‘চাঁদগাজীর‘এবার বৌদ্ধ ভিক্ষুরা যে আতংকের জন্ম দিয়েছে,
রোহিংগারা ভয়ে ফিরবে না’ পোষ্টে মন্তব্য (২)-
শয়তানের চেহারা দেখতে চাইলে
রাখাইন বোদ্ধদের দেখলেই হবে,
গেরুয়া কাপড় পরা শয়তানদের
গুরুদের দেখা যাবে কামানো মাথায়।
সেথাকার সেনাদল সৈন্যদের দেখ,
প্রত্যেকটা যেন কোন ইবলিশ আর
ঘৃণীত খবিশ এসে ঝুটেছে সেখানে
যারা অসহায়দের রক্ত নিয়ে খেলে।
রাক্ষস খোক্কস আজ রুপ কথা নয়,
মিয়ানমার দেশেতে রাক্ষসেরা থাকে
তাদের খোক্কস বন্ধু চায়না হায়না।
রাক্ষস খোক্কস মিলে রোহিঙ্গা জাতির
বিলুপ্তি প্রচেষ্টা করে চলছে প্রত্যহ
দন্ত নখরে খাবলে তাদের অস্তিত্ব।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(নয়)
চাঁদগাজীর‘আফগানিস্তান, ইরান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে
অন্য-ধর্মীদের চলে যাওয়া’ পোষ্টে মন্তব্য-
মক্কার লোকেরা সব মুসলীম হয়ে
মক্কাকে করেছে এক মুসলীম পূর্ণ
শহর যার তুলনা মিয়ানমারের
সাথে চলেনা কখনো, ওরাতো রাক্ষস।
মুসলীম শূণ্য মক্কা হওয়ার পর
সেখানে অমুসলীম বসবাসে কারো
আপত্তি আর স্থানীয় নাগরিকদের
মেরে কেটে বিতাড়ীত করা এক নয়।
মক্কাতেই কেন যত অমুসলীমের
বসবাস প্রয়োজন? হাজীদের কাজে
ওদের প্রয়োজন কি আসলেই আছে?
দেশ ত্যাগে বাধ্য করা সকল ক্ষেত্রেই
অপরাধ সকলের বেলায় সে কথা
সমান প্রযোজ্য হবে নৈতিক কথনে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(দশ)
সত্যপথিক শাইয়্যানের‘গ্রামাঞ্চলে ISI জুজুর ভয়’
ওরে বাপরে বাপ কি চিন্তার বিষয়!
শেষ মেষ আই এস গ্রামেও ঢুকেছে?
কুলাউড়ায় দেখছি প্রাণটা উড়ার
পালা শুরু হয়ে গেছে আম জনতার।
চেয়ারম্যান টাসকি খেয়ে চেয়ারের
থেকে পড়ে গেলে তবে কি উপায় হতো?
জুজুর ভয় তা হবে হয়ত সে ক্ষেত্রে
কিন্তু এ ভয়ানকের দুশ্চিন্তা ভীষণ।
জানি হে সত্য পথিক শাইয়্যান এমন
অমূলক ভয়ে নেই যথার্থ কারণ
তবু ভয়ে মানুষেরা ভোগে নিরন্তর।
পৃথিবীর দারে দারে বারে বারে আসে
নানাা বিপর্যয় কত হর হামেসায়
ডরে ভয়ে মানুষের অবস্থা এমন।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(এগার)
কবি ভ্রমরের ডানার‘ব্যাবচ্ছেদ - ১৭- সবুজ স্বপ্ন,
সবুজ জাল....’ কবিতার সার সংক্ষেপ।
জনসমূদ্রে নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে
হাবু ডুবু খেয়ে ভেসে মানুষের ভিড়ে
তাদের চলাচলের বৈচিত্রে নিমগ্ন
মনের গভীর দৃষ্টি দেখে নির্লিপ্ততা।
তথাপি কিছু বিষয়ে ইতিবাচকতা
মনে জন্মায় আবেগী সবুজ ঘাস
যাতে দৃষ্টির সীমায় আসে ভাললাগা
প্রকৃতির মোহনীয় নানান বৈচিত্র।
কিন্তু মানুষেরা যেন প্রকৃতির সাথে
বেমানান ইয়াতিম, যাদের নিবাস
যেন ইয়াতিম খানা মানব জঙ্গলে।
তথাপি সবুজ ঘাসে মন বদলিয়ে
মনে হয় মানুষেরা প্রকৃতি সন্তান
যাদের চোখে সবুজ, সবুজের জাল।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(বার)
কবি ভ্রমরের ডানার‘ জলকাব্য- ২৩ - সমুদ্র
নেশা তখন... (গান)’ ছায়া অবলম্বনে-
আবেগ সমূদ্রে প্রেম উথাল পাথাল
ঢেউ তোলে ক্রমাগত জলে ভাঙ্গে জল
সাথীর স্বপন রঙে নেশা জাগানিয়া
যাদুকরী রূপে ভাসে অবিরত স্রোতে।
সাথীর চুড়ি মেহেদী রাঙ্গা ঠোঁট চুল
মিষ্টি হাসি ও চিবুক একে একে ভেসে
স্মৃতি সমুদ্রে তুফান ডাকে সে জলের
নিম্ন চাপে প্রেমিকের মাতাল উচ্ছাসে।
সাথীর মোহনীয়তা কাতর মনের
অলিতে গলিতে বাজে তার পদ
নূপুরের ঝঙ্কারের বাজনা নিয়ত।
প্রেম সমুদ্র জলের তোলপাড় তোলা
জোয়ার ভাটার টানে মাতাল মনের
কবি রচে জলকাব্য ভ্রমর ডানায়।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(তের)
কবি খলিল মাহমুদের‘একজন অসূয়াবতী, অহংকারই
ছিল যার সম্পদ অথবা সৌন্দর্য’ পোষ্টে মন্তব্য-
মেয়েরা অপছন্দের মানুষ এড়িয়ে
চলতে স্বচেষ্ট থাকে আর পছন্দের
মানুষে মনের কথা সহজে বলেনা
প্রত্যাখ্যানের নির্মম আঘাতের ভয়ে।
কিন্তু পছন্দের কেউ তার মন বুঝে
সাড়া দিয়ে দিলে তার হৃদয়ের কড়া
নেড়ে দক্ষতায় তবে প্রেম জোছনায়
দু’জনার হাত ধরে হাঁটা দেখা যায়।
আমি এমন দেখিছি ওরা খোঁজে এক
বিশ্বস্ত হাতের ছোঁয়া নির্ভরতায় যে
তার বিশ্বাস অর্জনে নিখুঁত থাকবে।
এটাই নারী রহস্য, অবোধের বুঝা
বোঝা হয়ে মনে হয় নারীরা রহস্য
অথচ সাবলীল এ মানবী সকল।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(চৌদ্দ)
ঈপ্সিতা চৌধুরীর‘আশ্বিনা বৃষ্টি আর বৃষ্টিস্নাত ছাদবাগান---
-ইচ্ছে হলে দেখে যান’ পোষ্টে মন্তব্য-
তরতাজা ছাদে সব তরতাজা ভাবে
বেড়ে উঠা উদ্ভিদের সাথে তরতাজা মনে
বৃষ্টি জল স্পর্শ নিয়ে আনন্দে কিছুটা
সময় কাটানো বেশ স্মৃতিময়তার।
ঈপ্সিতা চৌধুরী পোষ্ট দারুণ বিষয়ে
সাজিয়ে চমৎকার করে তুলেছেন
দেখে ব্লগারেরা মুগ্ধ হয়েছেন বলে
অনুমিত, সে কারণে লাইক দিলাম।
অবশ্য আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি
আপনার অনুভূতির মোহীয়তা ভরা
সুন্দরের প্রদর্শন মনমুগ্ধতায়।
এভাবে কাটিয়ে বেলা চকিত মনের
পুস্প কাননের সব ফুলেরা ফুটুক
বিলিয়ে শৌরভ শোভা অপার আনন্দে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(পনের)
ঈপ্সিতা চৌধুরীর‘আশ্বিনা বৃষ্টি আর বৃষ্টিস্নাত ছাদবাগান---
-ইচ্ছে হলে দেখে যান’ পোষ্টে মন্তব্য-
মন্তব্যে নজর পড়ে দেখলাম দৃষ্টি
এড়ায়নি অনেকের, হাত পা নখের
উপস্থিতি, তবে আমি এক্ষেত্রে নিরব
থাকতে চাই কারণ ভাষার অপ্রাপ্তি।
অনেক কিছুই দেখা গেলেও বলাটা
সমিচিন নয় জানি ক্ষেত্র বিশেষের
প্রেক্ষাপটে, এতে ঘটে কারো মনে তীব্র
ক্ষোভ একান্ত বিষয়ে মন্তব্য কারণে।
নজরুলের মতন বলবনা আমি,
‘তুমি সুন্দর সেজন্য চেয়ে থাকি’ দৃষ্টি
মেলে অপলক এতে অপরাধ হয়।
কি অপরাধ একাজে সেটা টেরপায়
অবশেষে কারো পিঠ, তাই বলবনা
কেমন দেখেছে দৃষ্টি সে সুন্দর দলে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(ষোল)
মুনিরা সুলতানার‘সরলতার কাব্য !!! ’ পোষ্টে মন্তব্য-
অত বড় কবিতার ডাল পালারা
আমাতে ধরেনা বলে ডালপালা সব
কেটে কুটে ছোট করি যাতে অবশেষে
বনসাই হয়ে পড়ে কবিতার বৃক্ষ।
অথচ এখানে এসে পথ হারাবার
উপক্রমে ভয়ে ভয়ে চলেছি অনেক
পথ ছন্দে ছন্দে ভেসে অপার আনন্দে
মুগ্ধতা আবেশ ঘোরে মোহমায়া ছলে।
কবিরা এমন হয়, যাদুকরি শব্দে
পাঠকে বেঁধে আবেশে টানতে টানতে
গহিনে এমনি তারা নিয়ে যায় চক্রে।
কেমন হল সেকথা এখন না হয়
তোলা থাকলো পরের কোন সময়ের
স্মৃতি চারন নিমিত্তে, এ বেলা নিরব।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(সতের)
কাল্পনিক ভালবাসার প্রতি অনুযোগ
আপনার ভালবাসা আমার বেলায়
কাল্পনিক থেকে গেল কেন তা’জানিনা;
নাকি আপনার নিক আমার মতই
অভাগাদের নিমিত্তে তৈরী করেছেন?
বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গেও আমি অপারগ
আপনার সমিহের দেয়াল বাঙতে;
এক্ষেত্রে বলতে পারি আমি অপদার্থ
এক হতচ্ছাড়া ব্যক্তি সামুর ব্লগেতে।
প্রথম পাতার লেখা আমার লেখার
থেকেও উন্নত নাকি? তবে কেন সেথা
আমার লেখার স্থান হয়না এখনো?
বুঝিনা আপনাদের হাল চাল কিছু,
এটাও বুঝিনা তবে কি করতে হবে?
জানিনা আপনাদের মনভাব কোন!
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(আঠার)
রেজাউল ২৭ এর ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ পোষ্টে মন্তব্য-
ধর্ম যার উৎসব একান্তই তার,
তবে অন্যে তাতে বাধা দিবেনা মোটেও
এটুকু সৌজন্য কাম্য, সেটাও পায়না
মানুষেরা ভিন্ন ধর্ম মত থেকে সাদা।
উপাসনালয় ভাঙ্গা, বিতাড়ন করা
দেশ থেকে ভিন্নমত মানুষদেরকে,
মেরে কেটে দূর্বীসহ জীবনের মাঝে
আনা নরক যন্ত্রণা বন্ধ হোক এটা।
গরু কোরবানী হিন্দু উৎসব নয়
মুসলীম উৎসব নয় কালী পুজা
তাহলে এটা সবার কেমন কি হয়?
তারচে সৌজন্য চাই না ঘটানো কোন
ব্যাঘাত কারো ধর্মের কোন উৎসবে
এটুকু হলেই হবে রক্ষা মানবতা।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(উনিশ)
মোঃ নিজাম গাজীর‘বঙ্গবন্ধু,বাঙ্গালি ও
বাংলাদেশ এক সুতোয় গাঁথা’ পোষ্টে মন্তব্য-
একটা স্বাধীন দেশ সেখানে একটা
স্বাধীন জাতির সুখ বোধহীনদের
বোধগম্য না হলেও এটা তারা বুঝে
একাম্য যাদের মনে চির হীরন্ময়।
স্বাধীণতার সুফল ঝুটেনি নানান
দূর্বিপাকে তার জন্য স্বাধীনতা নয়
মূল্যহীন কোন কালে, আর বঙ্গবন্ধু
পাননি সময় তাঁর অকাল প্রয়াণে।
বঙ্গবন্ধু করেছেন যতটুকু এর
জন্য ধন্যবাদ দিয়ে, আমাদের চেষ্টা
যদি চলে তাহলে কি হবেনা মঙ্গল?
যা হয়নি তার জন্য না কেঁদে আমরা
কি করতে পারি তার ভাবনা ভাবলে
অনেক অনেক ভাল হবে আমাদের।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(বিশ)
ডঃ এম এ আলীর‘বিপন্ন রোহিঙ্গাদের মঙ্গল কামনায় সকলের সহযোগীতা ও
সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্র কাছে সাহায্য প্রার্থনা’ পোষ্টে মন্তব্য-
রোহিঙ্গা কষ্ট তাদের পূণ্যের সঞ্চয়
বৃদ্ধি করে হাসরের মুক্তির উছিলা
যদি হয় তবে তারা ভুলে যাবে মগ
নির্যাতনের করুণ ইতিহাস সব।
সেদিন তাদের হবে অনেক সম্মান
আর মগের দূর্গতি বিভৎস রূপে
বদলা নেবে তাদের নিষ্ঠুর কর্মের,
আল্লাহর নিরবতা এখানে যৌক্তিক।
এ লোকেরা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে
যাচ্ছেনা কোথাও, এটা উত্তীর্ণ অবস্থা
আল্লাহর পরীক্ষার, সৌভাগ্য তাদের।
মুসলমান কামনা করেন ওপার
জীবনের সাফল্যের সোনালী অধ্যায়;
সে হিসেবে রহিঙ্গারা রয়েছে মঙ্গলে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(একুশ)
খোরশেদ মাহমুদের“ঈশ্বর ঘুমে আছেন’ পোষ্টে মন্তব্য-
ওদের অত্যাচারের সুযোগ না দিলে
ওরা অত্যাচার করে অপরাধ করে
নাকি না করে কিভাবে সেটা বুঝা যাবে?
সে কারণে পরীক্ষক এমন নিরব।
ওরা অত্যাচার যদি না ভোগে তাহলে
ওরা পরীক্ষকে ছেড়ে যায় কিনা সেটা
কিভাবে বুঝা যাবে? সে জন্য নিরব
পরীক্ষক করছেন ঘন্টার অপেক্ষা।
পরীক্ষার হলে দেখে পরীক্ষক খাতা,
এমন আজব কথা শুনিনি কোথাও!
তথাপি মানুষ বলে অত্যাচার দেখে।
ঘন্টা পড়ুক তাহলে দেখবে তখন
অত্যাচারের কারণে অত্যাচারীদের
কি হাল হয় অবাধ্য জীবন যাপনে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(বাইশ)
মঈনদ্দিন আরিফ মিরসয়ারীর ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইসলামী
আন্দোলনের ভূমিকা ঈর্ষনীয়..’পোষ্টে মন্তব্য-
রোহিঙ্গা ইস্যুতে করে মুহাজির সেবা
ইসলামী আন্দোলন করছে তাদের
যথাযথ ইসলামী দায়িত্ব পালন,
আল্লাহর ইচ্ছেমত আনসার হয়ে।
কথা ও কাজের মিলে মিলছে প্রমাণ
তাদের প্রকৃত মন মানসিকতায়
ইসলামী চরিত্রের হাল চাল সব,
এটাই কাম্য সবার ইসলামী নামে।
পীর সাহেব এভাবে হবেন সবার
ঈমানের পথিকৃত সীপাহসালার
আমৃত্যু সেটাই কাম্য সবার অন্তরে।
আমি তাঁর অনুসারী হয়ত এখনো
হইনি তথাপি তার ভাল কাজে পাশে
থাকতে নিয়ত আছে সমর্থন করে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(তেইশ)
ছোট্ট অঙ্কিতার গল্প
আমি অঙ্কিতার মামা কিন্তু ওর দাদা
অর্ণবের মামা নই অন্তত সেটাই
দু’ভাই বোনের ডাকা থেকে মনে হয়,
কারণ অর্ণব কাকা সম্বোধন করে।
অঙ্কিতা দু’চার কথা শিখেছে এখন
তবে আমি ওর মামা এটা নিজে থেকে
ওর কথা যাতে কারো অবদান আছে
বলে সনাক্ত হয়নি, বিস্ময় এখানে।
ছোট পাখিটি নিতান্ত ছোট বলে তার
মামা ডাক মুখরিত করে সারা বাড়ি
যা আমাকে দেখা মাত্র শুরু হয়ে যায়।
অঙ্কিতা ও তার মামা আলাদা ধর্মের
এটা ওর বুঝা এক সামাজিক বোঝা,
যা ওকে বুঝানো কোন ভাল কথা নয়।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(চব্বিশ)
শান্তি সূত্র
‘শান্তিময়তার শর্ত মানবিকতায়’
পাশবিক মানুষেরা নাদেখলেও তা’
সরাসরি সত্য বলে বিবেচিত হবে
মানবিক সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্লেষণে।
মতভেদ থাকলেও মিলে মিশে থাকা
সকলে মানুষ মেনে, তাহলে মঙ্গল
মানব সমাজে সদা বিস্তারিত হয়ে
পৃথিবীর এগ্রহেতে ছড়াবে প্রশান্তি।
জোর করে নিজ মত অপরে চাপানো
এটাই অশান্তি সূত্র পাশবিকতার
শান্তির নিমিত্তে এর পরিত্যাগ চাই।
ধর্ম বর্ণ ভাষা জাতি ভেদ চিরন্তন
অভেদ্য মানুষদের মিলেমিশে থাকা
এসূত্রে মিলবে সুখ চিরন্ত প্রশান্তি।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(পঁচিশ)
জানার‘নানা রঙের দিনগুলি সোনার খাঁচায় রইলো না’ পোষ্টে মন্তব্য-
আপনার মনভাব মানব শান্তির
নিয়ামক হতে পারে সারাবিশ্ব জুড়ে
এখন প্রচারে চাই অধীক প্রচেষ্টা
গণমাধ্যমের এতে দৃষ্টি দিতে হবে।
মানবতাবাদী সব এগিয়ে আসুক
দানবতাবাদ হোক সম্পূর্ণ নিপাত
সকল মানুষ পাক শান্তির জীবন
নির্যাতন নিপিড়ন বন্ধ হোক সব।
কলমের ধারে কেটে হায়নার মন
সেখানে স্থাপন হোক মানব হৃদয়
মানুষ সবাই হোক সবার আপন।
ধর্মমত সব থাক যার যার মত।
শান্তির বেলায় হোক সবে একমত
মানুষ মানুষ হোক মানুষের মত।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
কবিতার রূপান্তর-
(ছাব্বিশ)
মানবিক মনভাব
মানবিক মনভাব মানব শান্তির
নিয়ামক হতেপারে সারা বিশ্ব জুড়ে
মানুষেরা যদি এটা গ্রহণ করেন
মনপ্রাণ দিয়ে সবে একমত হয়ে।
এখন এ মনভাব প্রচারে অধীক
দায়িত্ব পালনে সব গনমাধ্যমের
এগিয়ে আসতে হবে সকলের আগে,
তাহলে হয়ত হবে প্রত্যাশা পূরণ।
কলম সৈনিক দল চালাও কলম
মানুষের মন হতে তুলতে বিভেদ
মানসিকতার সব কালছিঁটে দাগ।
নিজ নিজ ধর্মমতে থেকে মানুষেরা
মানবিকতার কাজ করুক সবাই
গড়ুক সবাই মিলে শান্তির পৃথিবী।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(সাতাশ)
জানা
জানা চান মানুষের বিবেক জাগাতে
জানা কথায় তাদের প্রেরণা প্রদানে;
জানা অজানা মনুষে উদ্বুদ্ধ করতে
জানা ভাষা ব্যবহারে প্রখর অনেক।
জানা ব্লগ প্রতিষ্ঠার চিন্তা করলেন
জানা যেন হয় সব মানুষের নীতি;
জানা এখন দেখেন কি ফল পাচ্ছেন?
জানা হচ্ছে কি সবার সুনীতি সকল?
জানা জানেন অপেক্ষা বিধেয় সাফল্যে
জানা সেজন্য হতাশ হননা সহসা
জানা আশাহত নন নিজের উদ্দেশ্যে।
জানা কিছুটা হলেও সফল হচ্ছেন
জানা অজানা অনেকে বিবেকে প্রতিজ্ঞ
জানা কিছুটা সফল একথা বাস্তব।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(আটাশ)
জানা ও জানা (নাম ও ক্রিয়া)
জানা জানতে জানেন, জানেন জানাতে
জানা জানাও জানেন, জানেন অজানা
জানা, জানা ও অজানা জগতে জানান
জানা, জানা জীবনের জীবন্ত জহুরী।
জানা জ্বরাগ্রস্থ্য জনে জাগাতে জয়ীতা
জানা জানে জানা জনে অজানা জনেও
জানা ‘জান’ জনে জনে জীবনের জন্য
জানা জোনাকিরা জ্বলে জগৎ জাগায়।
জানা জোছনার জ্যোতি জগতে জড়ায়ে
জানা জোছনার জ্যোতি জগত জুড়ায়
জানা জোছনায় জয়ী জীবন জগত।
জানা, জানি জনে জনে জীবনে জড়ায়ে
জানা, জানি জনে জনে জীবন জুড়ায়
জানা জওহরে জয়ী জাগ্রত জীবন।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(উনত্রিশ)
মনিরা সুলতানার‘কেয়া পাতায় নৌকা
ভাসানোর দিনগুলো’ পোষ্টে মন্তব্য-
আপনার শৈশব যে আমাকেও টেনে
নিয়ে গেল হাত ধরে পুরান ঢাকার
সেই সব স্থানে আর তার আশে পাশে
যে স্থান জুড়ে জড়ায়ে আমর শৈশব।
বলদা গার্ডেনের সে কাঁঠাল চাাঁপার
ঘ্রাণ আজো মনে জাগে অমলিন রূপে,
স্বুল ব্যাগে স্থান হতো সে ঝরা ফুলের
যাতে বইখাতা মন ভরে যেত ঘ্রাণে।
টিপু সুলতান রোড চটপটি স্বাদ
গ্রাজুয়েট স্কুল বন্ধু আঙ্গিনা শিক্ষক
সকল অতীত ফিরে স্মৃতি হয়ে মনে।
মনিরা আপনি নিয়ে গেলেন পাঠকে
শৈশবের ফেলে আসা অতীতে হারাতে
কিছুটা সময় কথা অমৃতের টানে।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
(ত্রিশ)
শ্মশান ঠাকুরের‘ জৈ/চি : এক শ' পনের’ পোষ্টে মন্তব্য-
গভীর দর্শন সিক্ত এপাশ ওপাশ
যার এপাশের জন্য ওপাশ স্বার্থক
এক পাশের কারণে নারী প্রিয়তমা
আর অপর পাশের কারণে ‘মা’ নারী।
প্রিয়তমা না হয়ে মা খুব কম হয়
তবে হায়না ওটার আকৃষ্ট কারণে
নারীকে প্রদান করে জারজ মাতৃত্ব
যা নারীর জন্য খুব অপমাণ কর।
নারীর সম্মান জন্যে দাম্পত্য শৃঙ্খল
আরো বাড়ানো জরুরী যাতে জারজের
জম্ম না হয়ে সমাজ অসুস্থ্য না করে।
হিন্দু মুসলীম সবে নারীকে সম্মান
জানায় হৃদয় থেকে এটা ভাল দিক
বলে এধারা বজায় থাকুক তা’কাম্য।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮