নাট্য ব্যক্তিত্ব সমি কায়সারের মা পান্না কায়সার, যাঁর স্বামী প্রয়াত সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার। শহিদুল্লাহ কায়সার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় আল বদর বাহিনী তাঁকে হত্যা করে। কিন্তু মাত্র ক’দিনে সংসার ভুলে সাহিত্যিক পান্না কায়সার আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেনননি।সে জন্য কবি দিলারা বেগম মেরী তাঁর ভক্ত হয়েছেন। এরপর তিনি পান্না কায়সার রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধঃ আগে ও পর’ পড়ে আবেগ তাড়িত হয়ে তাঁকে নিয়ে ‘প্রতিবাদী শিখা পান্না কায়সার’ কাব্য গ্রন্থ্ লিখে ফেল্লেন। এদিকে সনেট কবি হিসেবে আমার নাম কিছুটা ছড়িয়েছে।বাগের হাট থেকে ঝালকাঠি মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসে কবি আমার সাথে দেখা করার আগ্রহ জানালে আমি নিজেই তাঁর সাথে দেখা করতে গেলাম। তখন তিনি তাঁর লেখা বইখানি আমাকে উপহার দিলেন। এরপর পান্না কায়সারের কথা বলে তিনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। জানালেন বইখানি নাকি শহীদজায়া পান্না কায়সার সিঁথানে নিয়ে ঘুমান।
বই খানি পড়ে আমার মনে কবির প্রতি যে আবেগ তৈরী হলো তা’ আমি একটা সনেটে সঞ্চয় করলাম।যেমন-
কবি দিলয়ারা বেগম মেরী
প্রতিবাদী দিলয়ারা বেগম মেরির
কবিতারা অগ্নি শিখা হয়ে ঝরে পড়ে;
তিনি কবিতা লেখেন স্বপ্ন-সুন্দরের,
স্বাধীণতা ও দেশের, মুক্তিযোদ্ধাদের।
কবি মেরির কবিতা ফুল হয়ে ফুটে
কাব্য কাননে সাজানো তরুর শাখায়
পাখিদের কাকলিতে সে কবিতা ঝরে
বিমোহীত হয়ে শুনি মনমুগ্ধতায়।
প্রয়াত শহীদুল্লাহ কায়সার যাঁর
পত্নী পান্না কায়সার, সে পান্না রত্নের
নামে কবিতা হয়েছে মেরির কলমে।
কবি মেরি বেঁচে থেকে আরো লিখবেন
মুক্তা ঝরা কবিতার রাশি রাশি পদ্য;
পাঠকদের প্রত্যাশা জেনেছি এমন।
# ছন্দঃ অমিত্রাক্ষর
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট
কবি দিলয়ারা বেগম মেরী কবি হোসনেয়ারা সুলতান সাহিত্য পুরস্কার’১২ ও কবি নাসির উদ্দিন সাহিত্য পুরস্কা’১৩ লাভ করেছেন।
পান্না কায়সারের প্রতিবাদী কন্ঠ-
আজ আবারো চিৎকার করে বলছি, জাগো
বাংলাদেশ জাগো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
উদ্ভাসিত হয়ে রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ
গড়ে তোলো। নতুন প্রজন্মের প্রতি আমার
অনেক আর্শীবাদ। তোমরা মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
পান্না কায়সারের ‘মুক্তিযুদ্ধঃ আগে ও পরে সম্পর্কে কবি দিলয়ারা বেগম মেরী যা লিখেছেন-
মেঘলা আকাশ-
তবু যেন এক আকাশ স্নিগ্ধ জ্যোতি!
পড়তে আমার সময় লাগেনি মোটেও
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারও থামিনি
জানতাম না এত প্রচন্ডভাবে আলোড়িত হতে পারে জীবন!
সমস্ত ইন্দ্রিয় গুলি অবশ ছিল কতক্ষণ - আমি জানি না।
কতটা যে নির্মম ব্যথার ম্যাসেজ ছিলো এটা-
(মুক্তিযুদ্ধঃ আগে ও পরে) তা-ও আমি জানিনা।
আমার অভিজ্ঞতার শ্রেষ্ঠ নাম পান্না।
নেহায়েত বেউকুফ বলেই পাকিস্তান ৭১ কান্ড ঘটিয়েছে। বুদ্ধি থাকলে গণভোট দিয়ে তারপর মৈত্রি চুক্তি করে মানে মানে কেটে পড়তো। তাদের বুঝার দরকার ছিল ৪৭ এ যারা তাদের সাথে থাকতে চেয়েছিল এখন তারা তাদের সাথে থাকতে চায় না। আর এখন এ বিষয় নিয়ে আমাদের কত মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে আর তারাও আমাদের বন্ধুত্ব পাচ্ছেনা।
বিঃদ্রঃ আজ সামু আমাকে সেফ করল সে জন্য সামুকে অনেক ধন্যবাদ। এখন চিন্তা কতদিন নিরাপদ থাকতে পারি। সবাই আমার জন্য খাস করে দোয়া করবেন যেন যা পেয়েছি তা’ হাত ফসকে না যায়। তবে সেফ হলেও খুব কম পোষ্ট দেব ভাবছি। এ পোষ্টের ম্যাসেজ হলো দেশ উন্নত হতে উন্নত নাগরিক লাগে। সেজন্য যারা দেশের ক্ষতি করতে চেয়েছে তারা উন্নত নাগরিকদের হত্যা করেছে। অবশ্য ঘাতকেরা এসব নাগরিদেরকে তাদের মতবাদ প্রসারের অন্তরায় মনে করেছে। কিন্তু আমার কথা হলো দেশ যদি পিছিয়ে পড়ে তবে মানুষ কি মতবাদ ধুয়ে পানি খাবে। ভিন্নমতের গুণীজনদের না মেরে বরং পক্ষে টানার প্রচেষ্টা থাকা জরুরী।
কবিতাটি রিপোষ্ট আর ছবি গুগুল থেকে প্রাপ্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯