প্রকল্প রাজস্ব খাতে যাবে, জনবল রাজস্ব খাতে যাবেনা। তারমানে অভিজ্ঞদের তাড়িয়ে অনভিজ্ঞদের নিয়োগ দিয়ে জাতির প্রভুত উন্নয়ন!
এসকল আইন প্রনেতা বেকুব না বুদ্ধিমান?
সরকারী প্রকল্পে চাকুরী
সরকার নাকি তারা সব চারখার
সুখ চিন্তা জনগন ছেড়েই দিয়েছে
এটাই তাদের ভাগ্য মেনেই নিয়েছে
সরকার কি করছে নিজেরা বুঝেনা।
এরাতো বুঝেনা কি যে দেশে দরকার
রাজা মন্ত্রী হয়ে তারা আনন্দ পেয়েছে
যে যার মতন ভাগ্য অনেকে গড়েছে
জনতাতো সুখ আর এখন খোঁজেনা।
ভেবেছিল যুদ্ধ করে শান্তি পাবে কত
এখন যাতনা বেড়ে আশাহত হয়ে
কতজন কত খানে কাঁদে অবিরত।
আশা সব মন থেকে আজ গেছে খয়েে
এখানে মানুষ আছে মরেনাই বলে
অচল জীবন হেথা এভাবেই চলে।
# ছন্দঃ অক্ষর বৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙচচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট।
এ আইন যারা প্রণয়ন করেছে এবং যারা বজায় রেখেছে তাদের কথা চিন্তা করলে হবু রাজা আর গবু মন্ত্রীদের কথা মনে পড়ে। সরকারী প্রকল্পে ঢুকেছি ১৯৯৯ সালে। কথা ছিল ৫ বছর পর ২ মাসের বাড়তি বেতন দিয়ে তাড়িয়ে দিবে। ভাবলাম এ ফাঁকে অন্য চাকুরী ধরে এ ঠ্যাংভাঙ্গা চাকুরী ছেড়ে দেব। ২০০৩ এ একটা ফাজিল মাদ্রাসায় চাকুরী নিলাম। পরে জানা গেল এ প্রকল্প রাজস্ব খাতে যাবে। এখন ২০১৭। এখনো চাকুরী রাজস্ব খাতে যায়নি। এদিকে ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের বেতন এখনো অনেকে পায়নি। সরাকার দিচ্ছেনা, কেন দিচ্ছেনা সে কথা জানা যাচ্ছেনা। তিনটা মেয়ে একটা স্ত্রী চারটা প্রাণীর কি উপায় হবে গো সেই চিন্তায় একটা স্ট্রোক করে না মরে বেঁচে আছি। সবাই বল্ল আন্দোলন কর। কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের যা পিটুনি খেতে হলো তা আর বলতে।
পাত্র সরকারি অফিসের কম্পিউটার মাষ্টার। সে জন্য সবার ভাগ্যে ঝুটল সব সুন্দরী স্ত্রী। আর এখন সেই স্ত্রী বলছে কি অলুক্ষণে তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে গো। আমরা বলছি কি অলুক্ষণে এ চাকুরী কপালে ঝুটেছে গো।
আমি এখন দেশের সকল যুবকদেরকে বলব পারলে বাজারে তরকারী বেচে খাও। তথাপি সরকারী প্রকল্পে চাকুরীতে ঢুকবেনা। কারণ বেতন অর্ধেক। কাজ দ্বীগুণ। সরকারী কোন সুযোগ- সুবিধা পওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। কতিপয় রাজস্ব খাতে নেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা নিবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবেনা।
১৯৯৯ সনে পাওয়া নিয়োগ পত্রের ৫ বছর ২০১৭ তেও শেষ হয়নি। তবে প্রকল্পের স্থানে এখন নাম সমাপ্ত প্রকল্প। আরো বলা হয় প্রকল্পটি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শয়তানি হলো দ্বীগুন খাটিয়ে অর্ধেক বেতন। আবার পদ মর্যাদার কারনে দ্বীগুণ খরচ। সংগত কারণে ওয়ারিশি সম্পত্তি বিক্রি করে ঘাটতি পূরণ। সেটা শেষ হলে রাস্তার মোড়ে বসা ছাড়া উপায় নাই। আর ভবিষ্যত বলতে কোন আশা নেই।
এ দিকে অধিক খুশী হয়ে আল্লাহ তিনটা কন্যা সন্তান দান করেছেন। মনকে যত বলি তাদের বিবাহ চিন্তা আল্লাহ করবেন। ততই চিন্তাটা আমার মাথায় চলে আসে। চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিতে স্ত্রী রোজ মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গে। সহজ বলে চিন্তা মুক্ত থাকতে দু’চারটা সনেট কবিতা লিখি তাও কিছু লোকের সহ্য হয়না। আমি এখন কি করব গো! কোথায় যাব গো! স্ট্রোক করেও মরতে পারলাম না। আবার ফিরে আসতে হল গো!
তথাপি বলতে হবে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি । কারণ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারতো। রোজ একথা পরিবারের লোককে বুঝাই। তথাপি তাদের আক্ষেপেরে শেষ নেই। স্ত্রী বল্ল, মাইয়া বিয়া না দিয়া মইরা যাইবা সেটা হবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫