somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সনেট কবি
সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

কি অলুক্ষণে এ চাকুরী কপালে ঝুটেছে গো! সস-১

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রকল্প রাজস্ব খাতে যাবে, জনবল রাজস্ব খাতে যাবেনা। তারমানে অভিজ্ঞদের তাড়িয়ে অনভিজ্ঞদের নিয়োগ দিয়ে জাতির প্রভুত উন্নয়ন!
এসকল আইন প্রনেতা বেকুব না বুদ্ধিমান?

সরকারী প্রকল্পে চাকুরী


সরকার নাকি তারা সব চারখার
সুখ চিন্তা জনগন ছেড়েই দিয়েছে
এটাই তাদের ভাগ্য মেনেই নিয়েছে
সরকার কি করছে নিজেরা বুঝেনা।
এরাতো বুঝেনা কি যে দেশে দরকার
রাজা মন্ত্রী হয়ে তারা আনন্দ পেয়েছে
যে যার মতন ভাগ্য অনেকে গড়েছে
জনতাতো সুখ আর এখন খোঁজেনা।

ভেবেছিল যুদ্ধ করে শান্তি পাবে কত
এখন যাতনা বেড়ে আশাহত হয়ে
কতজন কত খানে কাঁদে অবিরত।
আশা সব মন থেকে আজ গেছে খয়েে
এখানে মানুষ আছে মরেনাই বলে
অচল জীবন হেথা এভাবেই চলে।

# ছন্দঃ অক্ষর বৃত্ত
# অন্তমিলঃ কখখগ কখখগ ঘঙঘঙচচ
# মাত্রাঃ ৮+৬
# কবিতা প্রকৃতিঃ সনেট।

এ আইন যারা প্রণয়ন করেছে এবং যারা বজায় রেখেছে তাদের কথা চিন্তা করলে হবু রাজা আর গবু মন্ত্রীদের কথা মনে পড়ে। সরকারী প্রকল্পে ঢুকেছি ১৯৯৯ সালে। কথা ছিল ৫ বছর পর ২ মাসের বাড়তি বেতন দিয়ে তাড়িয়ে দিবে। ভাবলাম এ ফাঁকে অন্য চাকুরী ধরে এ ঠ্যাংভাঙ্গা চাকুরী ছেড়ে দেব। ২০০৩ এ একটা ফাজিল মাদ্রাসায় চাকুরী নিলাম। পরে জানা গেল এ প্রকল্প রাজস্ব খাতে যাবে। এখন ২০১৭। এখনো চাকুরী রাজস্ব খাতে যায়নি। এদিকে ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের বেতন এখনো অনেকে পায়নি। সরাকার দিচ্ছেনা, কেন দিচ্ছেনা সে কথা জানা যাচ্ছেনা। তিনটা মেয়ে একটা স্ত্রী চারটা প্রাণীর কি উপায় হবে গো সেই চিন্তায় একটা স্ট্রোক করে না মরে বেঁচে আছি। সবাই বল্ল আন্দোলন কর। কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের যা পিটুনি খেতে হলো তা আর বলতে।

পাত্র সরকারি অফিসের কম্পিউটার মাষ্টার। সে জন্য সবার ভাগ্যে ঝুটল সব সুন্দরী স্ত্রী। আর এখন সেই স্ত্রী বলছে কি অলুক্ষণে তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে গো। আমরা বলছি কি অলুক্ষণে এ চাকুরী কপালে ঝুটেছে গো।

আমি এখন দেশের সকল যুবকদেরকে বলব পারলে বাজারে তরকারী বেচে খাও। তথাপি সরকারী প্রকল্পে চাকুরীতে ঢুকবেনা। কারণ বেতন অর্ধেক। কাজ দ্বীগুণ। সরকারী কোন সুযোগ- সুবিধা পওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। কতিপয় রাজস্ব খাতে নেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা নিবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবেনা।

১৯৯৯ সনে পাওয়া নিয়োগ পত্রের ৫ বছর ২০১৭ তেও শেষ হয়নি। তবে প্রকল্পের স্থানে এখন নাম সমাপ্ত প্রকল্প। আরো বলা হয় প্রকল্পটি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শয়তানি হলো দ্বীগুন খাটিয়ে অর্ধেক বেতন। আবার পদ মর্যাদার কারনে দ্বীগুণ খরচ। সংগত কারণে ওয়ারিশি সম্পত্তি বিক্রি করে ঘাটতি পূরণ। সেটা শেষ হলে রাস্তার মোড়ে বসা ছাড়া উপায় নাই। আর ভবিষ্যত বলতে কোন আশা নেই।

এ দিকে অধিক খুশী হয়ে আল্লাহ তিনটা কন্যা সন্তান দান করেছেন। মনকে যত বলি তাদের বিবাহ চিন্তা আল্লাহ করবেন। ততই চিন্তাটা আমার মাথায় চলে আসে। চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিতে স্ত্রী রোজ মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গে। সহজ বলে চিন্তা মুক্ত থাকতে দু’চারটা সনেট কবিতা লিখি তাও কিছু লোকের সহ্য হয়না। আমি এখন কি করব গো! কোথায় যাব গো! স্ট্রোক করেও মরতে পারলাম না। আবার ফিরে আসতে হল গো!

তথাপি বলতে হবে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি । কারণ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারতো। রোজ একথা পরিবারের লোককে বুঝাই। তথাপি তাদের আক্ষেপেরে শেষ নেই। স্ত্রী বল্ল, মাইয়া বিয়া না দিয়া মইরা যাইবা সেটা হবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×