# প্রেমের পরিণতি
১। ছেলেটি অক্কা পেল, যা সে পেতে চায়নি। সে শুধু বলেছিল, I love you তা‘তেই মেয়েটি তার মাস্তান ভাইকে ডেকে কথাটা জানাল। তারপর সব ইতিহাস।
২। মেয়েটি বল্ল, রবিন তাকে I love you বলেছে। তার প্রেমিক তাতেই রবিনকে আচ্ছা ধোলাই দিয়ে ধবধবে সাদা করে দিল। সাদা কাপড়ে তাকে সবাই পৃথিবী থেকে চির বিদায় জানাল। পরে জানাগেল, এই রবিন সেই রবিন নয়, এই রবিন তার খালাত ভাই রবিন। কাজেই ছেলেটির সাথে মেয়েটির প্রেমের ইতি ঘটল।
আপনারা বলছেন খুনিদের কি হল? তাহলে রবীন্দ্রের পাগলা মেহের আলীর ভাষায় বলব, সব ঝুট হ্যায় তফাৎ যাও। এদেশে বিচারের ফুটো দিয়ে খুনিরা কেমন করে যেন বেরিয়ে যায়। অনেক সময় তাদের কিছুই হয়না।
# খুনের কারণ
বিচারক আসামীকে জিজ্ঞাস করলেন, আপনি কেন তাকে খুন করলেন?
-নতুবা সে আমাকে খুন করতো।
-এখনো আপনি বাঁচতে পারবেন না।
-মানুষ মরনশীল। তবে আমি এখনো বেঁচে আছি। এটুকুই আমি চেয়েছি।
# বড়লোকের বউ
একজন বল্ল, আপা আপনি বড় লোকের বউ। অন্য জন ভাবল, তবে কি সে ছোট লোকের বউ?
বড় লোকের বউ তাকে দিয়ে দশটা মুরগী কাটিয়ে বিশটা ঠ্যাং উপহার দিল।
-আমি এগুলা দিয়ে কি করব?
-কেন টুক টুক করে হেঁটে বাসায় চলে যাও!
-তবে পাখনা গুলাও দেন।
-কেন?
-তাইলে উড়াল দিয়া যাইতে পারতাম!
-ঠিক আছে নাও!
লটকনের মা বল্ল, কত্ত বড় হৃদয়!
-তাইলেতো আমারে হৃদয় গুলাও দেওন লাগে!
-ঠিক আছে নিয়ে নাও!
গেদার মা ঠ্যাং, পাখনা ও হদয় নিয়ে খুশী মনে বাসায় ফিরল। মনে মনে সে ভাবল ডাল দিয়ে রান্না করে খেলে মন্দ হবেনা।
রাত্রে যখন বড় লোক মুরগীর হৃদয় খেতে চাইল তখন বড়লোকের বউ সুর করে ব্ল্ল, এ হৃদয় তোমাকে দিলাম। তুমি কেন মুরগীর হৃদয় চাও? ও গুলাতো আমি ও ঘরের গেদার মাকে দিয়ে দিছি!
মেডামের হৃদয়ের স্থানে বড় লোক মুরগীর হৃদয় চেয়ে ভীষণ লজ্জায় গলার হাড্ডি চিবুতে লাগলেন।কারণ তাঁর মেডাম ওটা ছাড়া মুরগীর সব অংশই খেতে পছন্দ করেন। আর এভাবে না খেয়ে খেয়ে তিনি নব্বই কেজি হলেন। আর বড় লোক খেয়ে খেয়ে বায়ান্ন কেজি হলেন। তথাপি তাঁর শ্লিম হওয়ার চেষ্টার ত্রুটি নেই। আর তাঁর মেডামের আহাজারি, তিনি না খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছেন! এসব ভেবে বড় লোক দুশ্চিন্তায় পড়ে ভাবেন, তিনি আবার নারী নির্যানের কেসে ফেঁসে যাচ্ছেন নাতো? এ সংক্রান্ত সুকঠিন আইনের কথা ভেবে ভয় পাওয়া তাঁর নিত্য দিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে।
বিঃদ্রঃ পাঠক ব্ল্ল, আপনার পোষ্টে মন্তব্য পড়ে না কেন? লেখক বল্ল, পাঠক ভেবেই আকুল হচ্ছে। কি লিখবে বুঝতে পারছেনা।
# ক্ষুদ্র গল্প পরে যোগ করা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬