মহানবী (সঃ) সারা বিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেননি। বিদায় হজ্জে তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পূর্ণ করার বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার সাহাবা (রাঃ) সাক্ষ্য দিলেন তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেছেন। তার মানে সারা বিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না করেই তিনি দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেছেন।কাজেই বুঝা গেল সারা বিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা ফরজ নয়।কারণ তিনি বিশ্বনবী, (সঃ) ওটা ফরজ হলে তাঁর (সঃ) দায়িত্ব সম্পূর্ণ হতো সারা বিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর।
জন্মভূমি মক্কায় তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেননি।পরে তিনি মক্কা জয় করেন।তিনি মদীনায় একটা চুক্তি নামার মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন।যাকে মদীনা সনদ বলা হয়। যাতে লেখা ছিল মদীনার ইহুদী খ্রিস্টান ও মুসলমান মিলে একটা জাতি গঠন করবে।তাহলে সনদ বা চুক্তি অনুযায়ী উহা ইসলামী রাষ্ট্র হলে ইহুদী রাষ্ট্র নয় কেন? তাহলে তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন কোথায়? তাঁর পরের যারা, তাঁরা তাঁর খলিফা। তার মানে মহানবী (সঃ) যে রাষ্ট্র রেখে গেলেন তাঁরা সে রাষ্ট্রের খলিফা বা প্রতিনিধি। তা’হলে ইসলামী রাষ্ট্র কোথায়?
ক্বোরআনের আইনের কথা যদি বলেন, তাহলে বলব তিনি ইহুদী শাসন করেছেন তাদের ধর্মগ্রন্থ তৌরাহ দিয়ে। তবে মুসলমানদের শাসন করেছেন ইসলামী আইনে।আর জিহাদ তিনি যা করেছেন তা’ নিস্ফলা ছিল না। ফল না আসার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে তিনি জিহাদ করেননি।তাহলে এখন যারা জিহাদ করছে তারা কেমন কি জিহাদ করছে? তাদের জিহাদে মুসলমান শুধু ক্ষতিই গুণে যাচ্ছে। কোথাও কোন লাভ হচ্ছেনা। এসব জিহাদী এবং তাদের নেতা মুসলীম জাতির অভিশাপ। এমন বৃক্ষের দরকার নেই যাতে ফল ধরে না; শুধুই বিষ ঝরে। জিহাদ হবে মানব মঙ্গলে, অমঙ্গলে নয়।
জিহাদ হলো আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন যাপন প্রচেষ্টা। কারো ক্ষতি সাধন নিশ্চয়ই আল্লাহর ইচ্ছা নয়। কাজেই প্রচেষ্টা এমন হবে যাতে কারো অহেতুক ক্ষতি হবেনা। মহানবীর (সঃ) জিহাদ অহেতুক ও অর্থহীন ছিলনা।
বিঃদ্রঃ ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ততার কারণে কিছু দিন হয়ত আমাকে ব্লগ থেকে দূরে থাকতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩০