অনেকেই আল্লাহর বিভিন্ন দোষের কথা বলে, কিন্তু কেন বলে? এতে কি প্রমাণ হয় যে আল্লাহ নেই? আর যেহেতু অকাট্য প্রমাণে আল্লাহ আছেন, কাজেই তাঁর দোষ বলে তাঁর শাস্তি থেকে রেহাই মিলবে কি? যদি ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ না থাকে তবে আল্লাহর দোষ খোঁজার দরকার কি?
অনেকেই মহানবির(সা.) বিভিন্ন দোষের কথা বলে, কিন্তু কেন বলে? এতে কি প্রমাণ হয় যে মহানবি (সা.)আল্লাহর নবি নন? আর যেহেতু অকাট্য প্রমাণে মহানবি (সা.)আল্লাহর নবি, কাজেই তাঁর দোষ বলে আল্লাহর শাস্তি থেকে রেহাই মিলবে কি? যদি ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ না থাকে তবে মহানবির (সা.) দোষ খোঁজার দরকার কি?
অনেকেই কোরআনের বিভিন্ন দোষের কথা বলে, কিন্তু কেন বলে? এতে কি প্রমাণ হয় যে কোরআনের বাণী আল্লাহর বাণী নয়? আর যেহেতু অকাট্য প্রমাণে কোরআনের বাণী আল্লাহর বাণী, কাজেই কোরআনের দোষ বলে আল্লার শাস্তি থেকে রেহাই মিলবে কি? যদি ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ না থাকে তবে কোরআনের দোষ খোঁজার দরকার কি?
দোষ সনাক্ত করণ প্রকল্প দ্বারা আল্লাহ, কোরআন ও মহানবি (সা.)সঠিক নয় প্রমাণীত হবেনা। কাজেই এ প্রকল্প চালু রেখে মানুষের সময়ের অপচয় করা অর্থহীন।যেহেতু আল্লাহ, কোরআন ও মহানবির দোষ (সা.) বলে গুণাহ ছাড়া সাওয়াব নেই সেহেতু মুসলমান আল্লাহ, কোরআন ও মহানবির দোষ (সা.)কখনো স্বীকার করবে না।এমনকি তারা মনে মনেও এটা স্বীকার করবেনা। কারণ তারা বিশ্বাস করে আল্লাহ মনের কথা জানেন।আর মুসলমান ছাড়া অন্যকেউ আল্লাহ, কোরআন ও মহানবির দোষ (সা.)বলে লাভ কি? তারাতো আল্লাহ, কোরআন ও মহানবিকে (সা.)বিশ্বাসই করেনা। যদি অন্যকেহ মুসলমানকে খোঁচা মারার জন্য আল্লাহ, কোরআন ও মহানবির দোষ (সা.)বলে আর এতে কোন অঘটন ঘটে তবে তার দায় তার। যদি কেউ বলে মুসলমানকে বেঠিক পথ থেকে সঠিক পথে আনার জন্য আমরা এমন করছি সে বেকুবদের বলব আল্লাহ, কোরআন ও মহানবির দোষ (সা.)বলে আল্লাহ, কোরআন ও মহানবিকে(সা.) বেঠিক প্রমাণ করা যায় না।বড়জোর খারাপ বলা যায়, আর খারাপ ও বেঠিক এক কথা নয়। আর সঠিক কথা হলো আল্লাহ, কোরআন ও মহানবিকে (সা.)অকাট্য প্রমাণে সঠিক প্রমাণ করা যায়।কাজেই পারলে আল্লাহ, কোরআন ও মহানবিকে(সা.)বেঠিক প্রমাণ কর, নতুবা অহেতুক আল্লাহ, কোরআন ও মহানবির দোষ (সা.)বলে মুসলমানকে উত্তেজিত করবে না।অন্যদের ক্ষেত্রেও এমন অহেতুক কাজ করতে আল্লাহ মুসলমানদেরকে নিষেধ করেছেন।ধর্ম স্থান ও ধর্ম বিষয় অসম্মান নয় পারলে অসারতা প্রমাণ কর।তা’ না পারলে একদম চুপ থাক। আবার বলছি দোষ দ্বারা দোষী হয় অসার হয়না। কারণ দোষীরও সার থাকে।কাঁটা ফুটালে ব্যথা লাগবেই যদিও কাঁটা মন্দ হিসেবে সনাক্ত।কাজেই মন্দ বিষয় নেই বলার অহেতুক প্রচেষ্টা অবশ্য পরিত্যাজ্য।অবশ্য আল্লাহ, কোরআন ও মহানবির দোষ (সা.)বলা সত্য নয়। কারণ অকাট্য প্রমাণে প্রমাণীত তাঁদের কোন দোষ নেই।তওবা কি করে করতে হয় সেটা দেখাবার প্রয়োজনে গুণাহ করতে হয়। কারণ গুণাহই যদি না করবে তবে তওবা করবে কেমন করে?কাজেই মডেলিং গুনাহ মূলত গুণাহ নয়। এটা বুঝার জন্য কোরআনের সূরা কাহাফের নবম রুকু অবশ্য পঠিতব্য।যে মডেল তার সাথে যে মডেল নয় তাকে মিলকরা সম্পূর্ণ অর্থহীন কাজ।মডেলের তওবার অনুসরন করা হলেও তাঁর গুণাহের অনুসরন করা যাবেনা। কারণ মডেল দেখিয়েছেন তওবা কি করে করতে হয়। কাজেই কারো গুণাহ হয়ে গেলে সে মডেলের অনুসরনে মনযোগী হবে এবং তওবা করে নিবে।কিন্তু যেহেতু সে মডেল নয়, তাকে তওবার মডেল দেখানোর দায়িত্ব কেউ দেয়নি, সেহেতু সে তওবার জন্য গুণাহ করবে না।যদি সে এমন করে তবে তার ক্ষমা মিলবে না। কারণ সে অনধিকার চর্চা করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬