somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Allah Ke Bande মুভি নিয়ে ছড়ানো গুজবটি কতটুকু সত্য??

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগটির উদ্দেশ্য একটাই, কিছু গাধাদের চোখে অঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য যে তারা কত গাধা।

Allah Ke Bande
আল্লাহ্‌ কে বান্দে

এটা একটা বলিউড মুভি। ফেসবুকের এমন কেউ নেই যে এই মুভি সম্পর্কে নেতিবাচক একটা পোস্ট পড়েনি। যেখানে লিখা ছিলো "মুসলিম হলে শেয়ার করুন। এই মুভিটাই রাসূল (সাঃ) এর চরিত্রে অভিনয় করা হয়েছে। আমাদের ধর্মকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। আল্লাহ্‌'র নামের সাথে নেংটা মেয়েদের ছবি পোস্টারে দেওয়া হয়েছে। আপনারা প্রতিবাদ গড়ে তুলুন।"
যতদূর জানি এই পোস্টটি প্রথম বাশেরকেল্লায় প্রকাশ করা হয় এবং তারপর থেকে লক্ষ লক্ষ বার শেয়ার করা হয়.....

বিতর্কিত ব্যপারে আমার ইন্টারেস্ট একটু বেশিই। তাই আজ এই মুভিই দেখতে বসলাম। দেখতে লেগেই আমি হতবাক!!!!!!
যে কেউ হতবাক হয়ে যাবে। কেন?? তাহলে মুভির কাহিনী টা শুনুন.....

মুভির কাহিনী শুরু হয় দুটো পথশিশুকে নিয়ে। যার একজনের মায়ের চিকিৎসার জন্য সোনার দোকানে চুরি করে পালানোর সময় সামহাউ একজনের উপর গুলি করে। তার জন্য দুজনের জেল হয়ে যায়।। জেলের নোংরা পরিবেশে বড় হয়ে বেড়িয়ে আসার পর তারা বাচ্চাদের নিয়ে একটা ক্রাইম গ্যাং বানায়। তারা সেই শহরে বিভিন্ন ক্রাইম করতে থাকে।। গ্যাংয়ে-গ্যাংয়ে লড়াই, পুলিশে-গ্যাংয়ে লড়াই চলতে থাকে। অবশেষে দুই জনের মধ্যে একজন মারা যায় আর একজন সঠিক পথে ফিরে আসে......
এই হলো মুভির কাহিনী।।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে.....
আল্লাহ্‌'র নামের সাথে কোথায় নেংটা মেয়ের ছবি?? যেখানে মুভিতে মাত্র একটা মেয়ে চরিত্র তাও আবার দুই মিনিটের। পুরো মুভিতে একটা খারাপ দৃশ্য নেই সেখানে পোস্টারে কিভাবে নেংটা মেয়ের ছবি আসবে??

যেখানে মুভির সাথে কোন ধর্মের কোন সম্পর্কই নেই সেখানে কিভাবে কেউ বলতে পারে যে রাসূল (সাঃ) চরিত্র দেখানো হয়েছে।। কিসের ভিত্তিতেই বা বলা হয়েছে এই মুভির মাধ্যমে ধর্মে আঘাত করা হয়েছে?? আর কিসের জন্যই বা প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছে??

উত্তর খুবই সোজা। এক শ্রেণীগত মানুষ সবসময় চেষ্টা করে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে।। মানুষে-মানুষে, ধর্মে-ধর্মে, দেশে-দেশে ক্যাচার তৈরি করাই এদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।। কিন্তু যারা এটা অন্ধের মত শেয়ার করলো তাদের আমরা কি বলতে পারি?? ডাম্ব?? জানতাম মানুষ অনেক ডাম্বিশ হতে পারে, কিন্তু তার একটা লিমিট থাকে। কিন্ত না, আমি ভুল ছিলাম। মানুষের ডাম্বিশ হওয়ার কোন লিমিট নেই।। আনলিমিটেড প্যাকেজে মানুষ ডাম্ব হতে পারে.....

যারা এই ধরনের পোস্ট লিখছে সমাজে ফিৎনা তৈরি করার জন্য তাদের বলতে চাই, আপনারা পোস্টেই বলেন "মুসলিম হলে শেয়ার করুন"। একবার নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন তো আপনি নিজে কতটা মুসলিম। যদি মুসলিম হতেন তবে মিথ্যা ছড়িয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করতে পারতেন না।। আল্লাহ্‌ কে ভয় করুন। হাশরের দিন জবাব দিতে পারবেন না যদি আপনার জন্য একটি নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি হয়।।
আল্লাহ্‌ বলেন, "ফিতনা-ফাসাদ হত্যার চেয়েও জঘন্য।" - (সূরা আল্-বাকারা : ১৯১)

"তোমরা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা করবে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।' - (আল্-কাসাস : ৭৭)
একে তো আপনি জঘন্য খারাপ কাজ করছেন তার উপর ইসলাম কে ব্যবহার করে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। আল্লাহ্‌'র নাম দিয়ে মিথ্যা বলছেন।। কত্তবড় পাপ হচ্ছে একবার ভেবেছেন?? তাহলে একবার চিন্তা করুন আপনার উদ্দেশ্য কতটা খারাপ। যদি সত্যিই আল্লাহ্‌'র রাস্তায় থাকেন তবে সত্য বলুন। সত্যের পথে চলুন। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে জয় করা যায় না।।।।

আর যেই গাধারা অন্ধের মত কিছু না যাচাই করেই এসব গুজব ছড়িয়েই যায় তাদের প্রতি কিছুই বলার নেই। কারন আপনারা এতই ডাম্বো যে এসব মাথায় ঢুকবেই না.... শুধু করুনা হয় আপনাদের প্রতি যে আল্লাহ্‌ তায়ালা আপনাদের মাথায় বুদ্ধি নামক বস্তু না দিয়েই দুনিয়াতে পাঠিয়েছে।। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কেন জানেন তো?? কারন আল্লাহ্‌ মানুষের মধ্যে হিতাহিত জ্ঞান দিয়েছেন। মানুষ হতে হলে মানুষের সেইসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হয় যা আপনাদের মধ্যে নেই... সুতরাং আপনাদের কাছে কিছু আশা করাও অরণ্যে রোদনের সমতুল্য।।।

আর সাধারণ পাবলিককে একটা কথায় বলবো, গুজবে কান দেবেন না। যদি দরকার হয় সহজ ইন্টার্নেটের যুগে একটু গুগল করেই নিন। কারন বঙ্গালী গুজব ছড়ানোর ওস্তাদ।
সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ্‌ সবাইকে হেদায়েত দান করুক....

- Sakhawat Hossain Sonnet
23-11-2014
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×