somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমিনীর পাছায় লাথি দিয়ে সৌদি আরব পাঠানো হোক

০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমিনীর কার্যকলাপে মনে হচ্ছে উনি পাগল হয়ে গেছেন। উম্মাদের মত আচরন শুরু করেছেন। আজকের হরতালের পর ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী আগামী ১০ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত ছয়টি বিভাগে মহাসমাবেশ আর ২৭ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ, ২০ এপ্রিল ঢাকায় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবি করেছেন। আর মুক্তি না দেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুমকি তিনি দিয়েছেন।

ভাবতে অবাক লাগে, ছোট একটা ইসলামী দল, তারও আবার ভাগ আছে, দলটার একটা অংশের চেয়ারম্যান আমিনী। উনি আবার হরতালও ডাকার সাহস পান, অবাক ব্যাপার হচ্ছে আজকের হরতাল কর্মসূচীতে আমিনী ভালভাবেই সফল হয়েছেন। অধিকাংশ মানুষ আজকে অফিস করে নি, সরকারী বাস গুলো একটাও আজ বের হয় নি, রাস্তাঘাত মুটামুটিভাবে ফাঁকা ছিল সারাদিন।

এই উম্মাদ লোকটাকে মনে হয় বেশি প্রশ্রয় দেওয়া হয়ে যাচ্ছে, একের পর এক কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছেন, অগনতান্ত্রিক আচরন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ একটা গনতান্ত্রিক এবং সেকুলার রাষ্ট্র। একটা গনতান্ত্রিক দেশের সাথে ইসলামী আইন কোনভাবেই খাপ খায় না। গনতান্ত্রিক দেশে নারী পুরুষের সমান অধীকার থাকবে এটাই স্বাভাবিক, আমিনী সমান অধিকার চান না, নারীর ক্ষমতায়ন চান না, ১৪০০ বছর আগেকার আরবীয় আইন কানুন চান। এত ইসলামী আইন চাইলে এদেশে থাকারই দরকার কি‍! সৌদি আরব যেয়ে সৌদি বাদশার পা চাটুক।

আমিনীর দাবী অনুযায়ী সরকার কুরান ও হাদিস বিরোধী আইন করতে চাচ্ছেন। এদেশের আইন অনুযায়ী নারী পুরুষের অধিকার সমান, সেক্ষেত্রে সম্পত্তিতেও নারী পুরুষ সমান অধীকার পাবে এটাই স্বাভাবিক। সম্পত্তিতে নারীদের বঞ্চিত করা হলে নারী পুরুষ সমান অধিকার আর কিভাবে হলো! যারা ইসলাম পুরোপুরি ফলো করেন, তারা ছেলেদের যা সম্পত্তি দিবে, মেয়েদের যদি তার অর্ধেক দিতে চায়, তো দিক, সরকার আর আইন তো সেক্ষেত্রে নাক গলাচ্ছে না। বিষয়টা আইনের আওতায় আসবে তখনই যখন মেয়েটা অভিযোগ করবে এবং আইনের আশ্রয় চাইবে সম্পত্তির সমান অধিকারের জন্য। ধর্ম পুরোপুরি পালন করে এমন কয়টা মেয়ে আছে যারা বাপ মায়ের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবে! মোট কথা যারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করবে এবং আইনের সাহায্য চাইবে, তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই এ আইন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এ আইন করতে চেয়েও মোল্লাদের লাফালাফির কারনে তারা করতে পারেন নি। বর্তমান সরকারও যদি গুটিকয়েক মোল্লার ভয়ে নতুন নারী নীতিমালার এ বিয়ায়টি সংশোধন করে তাহলে সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা পুরোপুরি চলে যাবে। ভাবতে অবাক লাগে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সামনের রাস্তায় লালনের ভাস্কার্যের পরিবর্তে যেটি স্হাপন করা হয়েছে তাতে আরবীতে লেখা। বাংলা নাই, ইংরেজি নাই, আছে আরবী! মানুষ বাংলাদেশে ঢুকে প্রথমেই যা দেখবে তা হলো আরবি। কত বড় অপমান বাংলা ভাষার উপর!! শুধু ভাষা না, বাংলাদেশের সংস্কৃতির উপরও একটা আঘাত। কারন ঐ বস্তুটা আমাদের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না, করে আরবীয় সংস্কৃতির।

দেশের ইসলামী দলগুলোর আবার দুটো ভাগ। জামায়াতী ইসলামী পাকিস্হানকে ফলো করে, পাকিস্হানী রাজনীতি আর পাকিস্হানী সংস্কৃতি তাদের আদর্শ। এদের গুরু পাকিস্হানের বর্বর ধর্মীয় নেতা মওদুদী। আর অন্য ছোট দলগুলো সৌদি আরব ফলো করে। এদের কেওই পরিপূর্ণ গনতন্ত্র চায় না, ১৪০০ বছরের পুরোনো বর্বর আইন চায়।

জামায়াতে ইসলামী হরতালে অংশগ্রহন করে নি এই ভয়ে জনগন বুঝে ফেলবে যে তাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করাই আসল উদ্দেশ্য। কিন্তু ঠিকই তারা তল দিয়ে উৎসাহ যুগীয়ে যাচ্ছে আর মূল উদ্দেশ্য ঐ একটাই – যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করা। কয়েকটা বছর অপেক্ষা করাতে পারলে পরের নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা বেঁচে যায় আর দলটাও টিকে থাকে।

একটা স্যেকুলার রাষ্ট্রে ধর্মীও রাজনৈতিক দল শোভা পায় না। রাষ্ট্র থাকবে ধর্ম থেকে পৃথক, ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্রিয় আইন প্রাভাবিত হবে না। আইনের দায়িত্ব জনগনকে রক্ষা করা করা, জনগনের অধিকার নিশ্চিত করা। ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা পেলে ও ইসলামী দলগুলো ক্ষমতায় গেলে তারা প্রথমেই দেশের সংস্কৃতিকে প্রহার করে বিতারিত করার চেষ্টা করবে। এরা দেশের চাইতেও ধর্ম আর ধর্মীয় সংস্কৃতি বেশি ভালবাসে। আমার মতে এরা দেশদ্রহী। দেশদ্রহী আমিনী আর তার সাঙ্গপাঙ্গদের দেশ থেকে বিতারিত করে সৌদি আরব পাঠানো হউক, তারা সেখানে মনের ইচ্ছামত ইসলাম পালন করে ইসলামের গুষ্টি উদ্ধার করুক।
২১টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×