আমি কখনোই এমনটা হয়ে উঠতে চাইনি
মানুষের ভেতরে যে হিংস্র পশুটা বাস করে
হেঁচকা টানে তা ছিঁড়ে আনতে চেয়েছিলাম
হাতের মুঠোয় একবার দেখবো বলে
ঈশ্বরের সেখানে কেমন বসবাস,
জঠর-ঊত্থানে যে আর্তনাদ উঠেছিল
অবাধ্যতার সূর্য সেদিন এনেছিল
নিরন্তর মুক্তির দ্যুতি আমার চোখে.
মাটি ফুঁড়ে লাল ডুমুরের পড়ন্ত বীজ
যেমন চিরন্তন আগ্রাসনে ধরনীর বুকে
জেগে ওঠে, আমিও মাথা হাত-পা ছাড়িয়ে,
জগতের অগণিত অদেখা অশেষ দিগন্তর-প্রান্তর,
আকাশ-আলো-মাটি, মানুষ আর মানুষী,
জীবনের অজানা গন্তব্য আর তার প্রাপ্তি,
একটা পূর্ণ তৃপ্ত নিঃশ্বাস , , ,
ঈশ্বর কোনদিন সামনে বা গোপনে এসে
অথবা একটিবারের জন্যেও একটু আলোর ইশারা
করে যায়নি। কোন আক্ষেপ বা অভিযোগ নেই।
তবু আমি মানুষের ই পক্ষে কথা বলি,
যারা নিরীহ, যারা খুনি, যারা কাপুরুষ, যারা দুঃসাহসী,
ধনী-গরীব, কামার-কুমার, নাপিত-মুচি, মজুদ্দার-মাতাল,
যারা অবোধ-অজ্ঞ, যারা হিংস্র-নীচ-অত্যাচারী,
যারা ধোঁকাবাজ, যারা হাসির মত সরল;-
তাদের সবার জন্যে, মানুষের মুক্তির জন্যে
আমি আজো নূর হোসেনকে মরতে দেখি অকাতরে।
রফিক,সালাম,জব্বার আজো গনবিক্ষোভের নেতৃত্বে
বুকে পুরনো বুলেট নিয়ে মিছিলের সামনে হেটে চলে।
আমি চিৎকার করে বলতে চাই-
’৫২-র ভাষা আন্দোলনের মিছিলে আমরাই ছিলাম।
’৬৯-র অভ্যুত্থানে আমরা রাজপথে আগুন জ্বেলেছি,
’৭১ এর যুদ্ধে আমার মা-বোন,আমার বাপ-ভাই
মান দিয়েছে, প্রান দিয়েছে আমাদেরই জন্যে।
’৯১ এর স্বৈরাচার পতন আমারাই করেছি
নূর হোসেনের পাশে হাত তুলে মিছিলে।
আজ আমরা বাঙ্গলার ১৬ কোটি জনতা
আর একবার দেশ ও দশের জন্যে রাজপথে,
নতুন একটি গানের জন্যে, একটি মুখের হাসির জন্যে,
আমারা অস্রের বদলে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়েছি।
সোনালি দিনের একটি বাংলার জন্যে,
আগামীর একটি সুন্দর প্রজন্মের জন্যে
আজ আমরা যুদ্ধংদেহী উদ্যোত প্রানে
একটি বিপ্লবের প্রতীক্ষায় ......
বাঙলার বুকে আরেকবার গণবিক্ষোভে জেগে উঠি।
অগাস্ট,২০১১।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



