পরিবহনে শৃঙ্খলা ও নগরজীবনে স্বস্তি ফেরাতে ফ্র্যাঞ্চাইজিং (একীভূতকরণ) পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে সুশৃঙ্খল হবে যানবাহন, যানজটমুক্ত হবে ঢাকা। এ পদ্ধতিতে একটির পর একটি গণপরিবহন সিডিউল অনুসারে নির্ধারিত স্টপেজে আসবে ও ছেড়ে যাবে। স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো হবে না। সব গাড়ি রাস্তায় নিয়ম মেনে সারিবদ্ধভাবে চলবে, প্রতিযোগিতা করবে না। আগামী ৮/৯ মাসের মধ্যে ঢাকাকে এ থেকে এফ পর্যন্ত ৬টি জোনে ভাগ করা হবে। প্রতিটি জোনে একই রঙের গাড়ি চলাচল করবে। এক জোনে নির্দিষ্ট রঙের ছাড়া অন্য জোনের গাড়ি চলতে পারবে না। রাজধানীর সকল বাস কোম্পানিগুলোকে মোট ৭টি কোম্পানির আওতায় আনা হবে। এসব কোম্পানি চলবে নির্দিষ্ট সংগঠনের অধীনে। সকল বাসের আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে সংগঠনগুলো। যাত্রীদের জন্য স্মার্ট টিকিট বা ই-টিকিটিং সেবা চালু করা হবে। সবাই কার্ডের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করবেন। এর মাধ্যমে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করার আর কোন অপশন থাকবে না। কেউ আশুলিয়া থেকে গুলিস্তান বা সদরঘাট যেতে চাইলে তিনি একটিমাত্র টিকিট কিনবেন। একই টিকিটে গাবতলীতে এসে বাস পরিবর্তন করে আরেকটিতে উঠবেন, নতুন টিকিট নিতে হবে না। তাছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো বাতিল করে ২০১২ সালের পরে যেসব গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে, শুধুমাত্র সেগুলো চলাচলের অনুমতি পাবে। ভালো কন্ডিশনের বাসগুলো সার্ভিসিং করে স্কুলবাস এবং সরকারি কর্মচারী ও পুলিশের কাজে লাগানো হবে। এর ফলে যেসব কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি তাদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যেই নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। টার্মিনাল ও সার্ভিসিং গ্যারেজ নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে, ই-টিকিটিংয়ের কাজ চলছে। বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সব পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হওয়া গেছে। সবকিছু মিলিয়ে একীভূতকরণ পদ্ধতী ঢাকাকে যানজটমুক্ত রাখতে গুরুত্ত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২