অফিসে কাজের প্রেসারের কারণে আজ দু’দিন পরে সামুতে আসলাম।
সনি আপুর লেখাটা পেলাম, শিরোনাম টা আকর্ষণীয় বলে ভেতরটা পড়লাম ।
উনার প্রথম দুটো প্যারার সাথে আমি কঠিন ভাবে সহমত।
তবে লেখার শেষ অংশের সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না বলে একটু লেখার বা বলার চেষ্টা করছি , নিজের জানা বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে।
আমার মতে ছেলেদের ম্যানিয়া পর্নো না, মাদক বা ড্রাগ এবং সিগারেট-ই ছেলেদের ম্যানিয়া।হতে পারে পর্নোর প্রতি ছেলেদের আকর্ষণ টা খানিকটা বেশি , কিন্তু তাকে কোন ভাবেই ম্যানিয়ার পর্যায়ে ফেলা যাবেনা।
বিভিন্ন কারনে আমার মনে হয়েছে, পর্নোর প্রতি মেয়েদের আগ্রহটা ছেলেদের মতই প্রবল।
স্কুলে পড়াকালীন সময়ে আমার সহপাঠী মেয়েদেরকে বিভিন্ন চটি বই বা এক্সমুভি সাপ্লাই দিত আমাদের-ই কিছু ছেলে সহপাঠী ।মেয়েরা ক্লাস রুমে বসে বইয়ের ভেতর লুকিয়ে চটি পড়তো, পড়া শেষে আরেকজন কে দিত।এমনি করে প্রায় পুরো ক্লাস।
আর মেয়েরা যেহেতু সমবয়সি ছেলেদের তুলনায় শারীরিক ভাবে বেশি এগুনো ,তাই এ বিষয়ে তাদের জানার আগ্রহ টাও বোধহয় বেশি থাকে।
কলেজে পড়ার সময় আমি নিজে আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে ভিডিওর দোকান থেকে এক্সমুভি ভাড়া নিতে দেখেছি।
গালফ্রেন্ড ওয়ালা বন্ধুর কাছ থেকে বন্ধুর কল্যানে জানতে পেরেছি, মেয়েদের হোস্টেলে বেগুন নামক নিরীহ সবজিটির অসীম কদর সম্পর্কে ।
তবে এসব বিষয়ে কথা কম বলাই ভাল। সব সত্যি কথা প্রকাশ করতে নেই।
ছেলেদের ম্যানিয়া মাদক আর সিগারেট এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।
আমার একজন মেধাবী ক্লাসমেট শুধুমাত্র মাদকের কারনে আজ সমাজের কাছে অপাংতেয়। আর, সিগারেট এটা ত ক্লাস নাইনে উঠার পর থেকেই শুরু।তারপর, চলতেই থাকে।
সিগারেট আর মাদক আমাদের ছেলেদের নষ্ট করে দিচ্ছে, আর পর্ণ সেই নষ্টামি তে আর ও বেশি নষ্ট হবার ঘি ঢালছে ।
মনে রাখতে হবে, ঢাকা বা অন্যান্য বড় শহর-ই কেবল বাংলাদেশ না। বাংলাদেশের এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে বিদ্যুৎ নেই, ইন্টারনেট নেই, মেমোরি কার্ড যুক্ত ফোনও নেই, ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের কথা নাই বা আর বললাম।
কিন্তু সেখানে দুটাকা দামের বিশ শলাকার বিড়ি আছে, প্রয়োজনীয় আগুন আছে। আর সীমান্তবর্তী এলাকায় বানের পানির মত মাদকও ঢুকছে ।
এসব-ই আমাদের তরুন-যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
পর্ণের কারনে গুটিকয় ছেলে ব্যক্তিগত ভাবে হয়ত নষ্ট হচ্ছে, আর মাদক- বিড়ি- সিগারেট এর কারনে নষ্ট হচ্ছে প্রায় পুরো যুব সমাজ।
এখন কোনটাকে আপনি ম্যানিয়া বলবেন? সে বিচারের ভার আপনার হাতেই সঁপে দিলাম।
তারপরও কিছু কথা বলে নেয়া প্রয়োজন। হাতের পাঁচ আঙ্গুলের মত সবাই খারাপ আর সবাই ভাল এমন কখনও বলতে চাইনি। এ লেখায় মেয়ে বিষয়ক যে বিভিন্ন উদাহরণ দেয়া হয়েছে, তা সমাজের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি সারাদেশ জুড়ে থাকা আমাদের কিশোর-তরুন বোনগুলো বা ভাইগুলো বেশিরভাগই মনন-মানসিকতায় ভাল, ম্যানিয়ার মত নষ্টামি তাদের পবিত্র সত্তাকে এখনও স্পর্শ করেনি, করবেও না।
তবুও এ লেখাটা কাউকে আঘাত করে থাকলে অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



