রাসুল (সঃ) যেসব নামাযে কেরাত জোরে পড়তেন সে সব নামাযে আমীন জোরে বলতেন এবং পিছনের তারাও আমীন জোরে বলতেন (যাদুল মায়াদ ১ম খন্ড ৫২ পৃঃ; তিরমিযী ৩৪ পৃঃ; নাসাঈ ১৪০ পৃঃ; মেশকাত ১৭৯, ১৮০ পৃঃ);
তিনি আমীন জোরে বললেন (আবু দাউদ ১ম খন্ড ১৩৪, ১৩৫ পৃঃ);
নারী সাহাবী উম্মে হোসাইন (রাঃ) তিনি বলেন- রাসুল (সঃ) আমীন বললেন । আমি পিছনের মেয়েদের কাতার হতে তা শুনতে পেলাম (মাসমাউজ যাওয়াদের ১৮৭ পৃঃ; তুহ্ফাতুল আহওয়াযী ১ম খন্ড ২০ পৃঃ; তালিকুল মুমাজ্জাদ ১০৫);
সাহাবীদের মধ্যে ইমাম মুক্তাদি সকলেই যেহরী কেরাতে স্বজোরে আমীন বলতেন (বুখারী ১ম খন্ড ১০৭, ১০৮ পৃঃ);
ইমাম যখন আমীন বলে তোমরাও আমীন বলবে (বুখারী ১ম খন্ড ১০৭ পৃঃ);
শব্দ করে আমিন বল সুরা ফাতেহা শেষ হলে, শব্দ করে আমীন বল তখন তোমরা যদি ফেরেশতাদের সঙ্গে একই সাথে আমীন বল তোমাদের অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে (বুখারী ১ম খন্ড ১০৮ পৃঃ; বুখারী ১ম খুন্ড বুক অফ আজান ১১১ অধ্যায় হাঃ নং ৭৮০; বুখারী ১ম খুন্ড বুক অফ আজান ১১২ অধ্যায় হাঃ নং ৭৮১; বুখারী ১ম খুন্ড বুক অফ আজান ১১৩ অধ্যায় হাঃ নং ৭৮২);
إذا قال الإمام غير المغضوب عليهم ولا الضالين فقولوا آمين، فإن الملائكة تقول آمين، وإن الإمام يقول آمين، فمن وافق تأمينه تأمين الملائكة غفر له ما تقدم من ذنبه
(সুনানে নাসাঈ ১/১৪৭)
আমীন জোরে বল (মুসলিম ১ম খন্ড বুক অফ সালাহ ১১৬ অধ্যায় হাঃ নং ৮১১-৮১৬);
সাহাবী ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) হতে উদ্ধৃত তিনি বলেন, আমি নবী মুহাম্মদ (সঃ) কে (غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا (ٱلضَّآلِّينَ ‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায্যল্লীন’ পাঠান্তে آمين ‘আমীন’ বলতে শুনেছি । তিনি (সঃ) আওয়াজকে উচ্চঃস্বরে লম্বা করে টেনে ছিলেন (তিরমিযী ১ম খন্ড ৫৬ পৃঃ);
সাহাবী আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, লোকেরা আমীন বলা ছেড়ে দিয়েছে! অথচ নবী (সঃ) যখন ‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ায্যল্লীন’ তখন এতটা জোরে আমীন বলতেন যে, প্রথম কাতারের সমস্ত লোক তা শুনতে পেতেন এবং মসজিদ বেজে উঠত (ইবনে মাযাহ ১ম খন্ড ৬২ পৃঃ);
আমীন উচ্চঃস্বরে বলার আরও দলিল দেখুন (মুসলিম ১ম খন্ড ১৭৬ পৃঃ; নাসাঈ ১ম খন্ড ১৪৭ পৃঃ; মুয়াত্তা মালিক ৩০ পৃঃ; দারা কুতনী ১২৭ পৃঃ; বায়হাকী ২য় খন্ড ৫৯ পৃঃ; ফাতহুল বারী ২য় খন্ড ২১৭ পৃঃ; নাইলুল আওতার ২য় খন্ড ২৪৪ পৃঃ; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ১ম খন্ড ২৩৬ পৃঃ; সুবুলুস সালাম ১ম খন্ড ২৪৩ পৃঃ; তুহফাতুল আহওয়াযী ১ম খন্ড ১০৮ পৃঃ; তালখিসুল হাবীব ১ম খন্ড ৯০ পৃঃ; আকামুল আহ্কামুল ১ম খন্ড ২০৭ পৃঃ);
আমীন উচ্চ স্বরে বলার আরও দলিল দেখুন (মিশকাত-মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ২য় খন্ড হাঃ ৭৬৮, ৭৮৭; মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ৭৬৮, ৭৮৭; বাংলা অনুবাদ বুখারি মাওলানা আজীজুল হক ১ম খন্ড হাঃ ৪৫২; সহিহ আল বুখারি আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৩৬, ৭৩৮; সহিহুল বুখারী তাঃ পাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৮০, ৭৮২; বুখারী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৪১, ৭৪৩; মুসলিম শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৭৯৭, ৭৯৮, ৭৯৯, ৮০০; আবু দাউদ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৯৩২; তিরমিযী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ২৪৮; ইবনে মাযাহ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮৩৭, ৮৩৮; জামে তিরমিযী মাওলানা আব্দুন নুর সালাফী ১ম খন্ড হাঃ ২৪১)
আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত (এবং ইবনু আব্বাস হতেও) তিনি বলেন যে, রাসুল (সঃ) বলেছেন, ইহুদীরা তোমাদের প্রতি এতটা হিংসা অন্য কোন বিষয়ে করে না যতটা হিংসা সালাম দেয়াতে এবং জোরে আমীন বলাতে করে; অতএব তোমরা বেশী করে জোরে আমীন বল (ইবনু মাযাহ ৬২ পৃঃ);
জোরে আমীন শুনে চটা ইহুদিদের সম্পর্কে আরও দলিল দেখুন (রাফউল উজাজাহ ১ম খন্ড ৩০০ পৃঃ; ইবনু কাসীর ১ম খন্ড ৫৮ পৃঃ; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ১ম খন্ড ১৫০ পৃঃ; জামিউল ফাওয়ায়েদ ১ম খন্ড ৭৬ পৃঃ; নাইলুল আওতার ২য় খন্ড ২৪৬ পৃঃ; কানযুল উম্মাল ৩য় খন্ড ১৮৬ পৃঃ);
জানাতে পারেন
১৩) নামাযে সকল ক্ষেত্রে সুরা ফাতেহা শেষে আমীণ আস্তে বলা এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল জানাবেন ?
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





