জুমআ ফরজ-সুরা জুমআ । হে মুমিনগণ ! জুমআহর দিনে যখন নামাযের জন্য আযান দেয়া হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকরের দিকে তাড়াতাড়ি চলে আস এবং বেচা-কেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ (সুরা জুমুআ আয়াত ৯)
সাহাবী সাহল বিন সাআদ (রাযিঃ) বলেন, আমরা জুমুআর নামাজের আগে দুপুরের বিশ্রামও করতাম না এবং দুপুরের খাবারও খেতাম না বরং পরে করতাম (বুখারী মুসলিম, মেশকাত আলবানী ১/৪৪১ পৃঃ);
তবে আল্লাহ তা’আলা সুরা জুমআর ১০ নং আয়াতে বলেন-
“অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা যমীনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর আর আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণ কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার”
জুমআর আযান মাত্র একটি দেখুন (মিশকাত-মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ৩য় খন্ড হাঃ ১৩২০; মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ১৩২০; বাংলা অনুবাদ বুখারি মাওলানা আজীজুল হক ১ম খন্ড হাঃ ৫১৩; সহিহ আল বুখারি আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮৫৯, ৮৬০, ৮৬২, ৮৬৩; সহিহুল বুখারী তাঃ পাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৯১২, ৯১৩, ৯১৫, ৯১৬);
খুৎবার সময় কেউ যদি মসজিদে প্রবেশ করলে রাসুল (সঃ) দু’রাকাত নামায পড়ার নির্দেশ দিতেন (বুখারী ১ম খন্ড ১২৭ পৃঃ; মুসলিম ১ম খন্ড ২৮৭ পৃঃ; আবু দাউদ ১৫৯ পৃঃ; তিরমিযী ৬৭ পৃঃ; নাসাঈ ২০৭ পৃঃ; ইবনু মাযাহ ৭৯ পৃঃ);
আরও দেখুন (মিশকাত-মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ৩য় খন্ড হাঃ ১৩২৬, ১৩২৭; মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ১৩২৭; বাংলা অনুবাদ বুখারি মাওলানা আজীজুল হক ১ম খন্ড হাঃ ৫২০; সহিহ আল বুখারি আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮৭৭, ৮৭৮; সহিহুল বুখারী তাঃ পাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৯৩০, ৯৩১; বুখারী শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৮৭৮, ৮৭৯);
যখনই মসজিদে প্রবেশ করবে এমনকি জুমআর খুৎবা চলার সময় ও দু’রাকাত নামায পরে বসতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত হাঃ নং ১৩২৭);
স্রোতাদের ভাষায় খুৎবা দিতেন এবং কেউ প্রশ্ন করলে তার উত্তর ও দিতেন (বুখারী হাঃ নং ৩৫৮৪);
মাতৃ ভাষায় খুৎবা দেখুন (মিশকাত-মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ৩য় খন্ড হাঃ ১৩২১; মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ১৩২১, ১৩৪২);
কারণ আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাসূলকে তার স্বজাতির ভাষা অনুযায়ী পাঠিয়েছেন, তাদেরকে আল্লাহর বিধান সমূহ ব্যাখ্যা করে বুঝাবার জন্য’ (ইবরাহীম ৪)।
অতঃপর শেষ নবীকে খাছ করে বলা হচ্ছে যে, ‘আমরা আপনার নিকটে ‘যিকর’ (কুরআন) নাযিল করেছি । যাতে আপনি লোকদের নিকট ঐসব বিষয় ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে । যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহল ৪৪) ।
হযরত জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) বলেন যে, খুৎবার সময় রাসূল (ছাঃ)-এর দু’চোখ উত্তেজনায় লাল হয়ে যেত । গলার স্বর উঁচু হ’ত ও ক্রোধ ভীষণ হ’ত । যেন তিনি কোন সৈন্যদলকে হুঁশিয়অর করছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৭) ।
ছাহেবে মির‘আত বলেন, অবস্থা অনুযায়ী এবং মুছল্লীদের বোধগম্য ভাষায় খুৎবা দেওয়ার ব্যাপারে অত্র হাদীছটি হ’ল প্রথম দলীল’ (মির‘আত ৪/৪৯৪-৯৫)।
জুমআ পড়লে গত জুমআ হতে এ জুমআ পর্যন্ত যত সগীরা গুনাহ আছে তা মাফ করে দেবেন (বুখারী, মেশকাত ১২০ পৃঃ);
জুমআ তরক করলে গাফেল হয়ে যাবে (মুসলিম, মেশকাত ১২০ পৃঃ);
রাসুল (সাঃ) বলেছেন যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে সুরা আল কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমুআর মধ্যবর্তী সময় নূরে আলোকিত হয়ে থাকবে (বায়হাকী, মেশকাত ১/৬৬৭ পৃঃ)
জানাতে পারেন
২৫) খুৎবার সময় মসজিদে প্রবেশ করলে নামায পড়া যাবে না । এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল লিখিত জানাবেন ।
২৬) স্থানীয় ভাষায় খুৎবা দেওয়া যাবে না । এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল লিখিত জানাবেন ।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






