তোমরা পালন কর্তার উপাসনা কর এবং রুকু কারীদের সাথে সেজদা ও রুকু কর (ইমরানঃ আয়াত ৪৩)
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে যারা অবনত হয় (বাক্বারাঃ আয়াত ৪৩)
জামাতে ২৭ গুন বেশি নেকি পাওয়া যায় (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৯৬ পৃঃ)
জামায়াতে না আসলে ঘরে যদি বাচ্চা মহিলা না থকত তাহলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুকুম দিতাম (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৯৫ পৃঃ)
সুস্থ অবস্থায় ফরজ নামায ঘরে বসে পড়লে তা হবে না । সুন্নাত পড়া যাবে তবে অর্ধেক নেকি হবে (বুখারী হাঃ নং ১১১৫)
(বিশেষ কারন ছাড়া) যে ব্যক্তি আযান শুনে জামাতে না আসে তার নামায হয় না (ইবনে মাযাহ, দারাকুতনি, মেশকাত ৯৬পৃঃ)
নির্ধারিত ইমাম মুয়াজ্জিন কর্তৃক জামা’আত হবার পরও প্রয়োজন বোধে একাধিক বার জামা’আত করা যাবে (আবু দাউদ ১ম খন্ড ৬৫ পৃঃ; তিরমিযী ১ম খন্ড ৩০পৃঃ)
ফজর বা অন্য কোন সালাতের জামা’আত শুরু হওয়ার পর কেউ মসজিদে এলে তাকে সুন্নাত না পড়েই জামা’আতে শরীক হতে হবে (বুখারী মিশরী ছাপা ১ম খন্ড ১২১ পৃঃ; মুসলিম ১ম খন্ড ২৪৭ পৃঃ; আবু দাউদ ১ম খন্ড ১৮১ পৃঃ; তিরমিযী ১ম খন্ড ৫৬ পৃঃ; নাসাঈ ১৮৩-১৩৯ পৃঃ; ইবনু মাযাহ ৮১ পৃঃ)
ফরজ নামাজের জন্য ইক্বামত দেয়া আরম্ভ হলে আর কোন নামাযই পড়া যাবে না । এমনকি ফজরের সুন্নাত ও পড়া যাবে না (মুসলিম, মেশকাত ৯৬ পৃঃ)
জামাআত শেষে ঐ সুন্নাত পড়তে হবে (নাসায়ী ১ম খন্ড ১০১ পৃঃ; আবু দাউদ ১ম খন্ড ১৮০ পৃঃ)
পাঁচ ওয়াক্ত নামায
আপনার পালন কর্তার সপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যদ্বয়ের পূর্বে সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবা ভাগে (ত্বোয়া হাঃ আয়াত ১৩০)
অতএব তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা স্বরণ কর সন্ধ্যায় ও সকালে এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে (আর রুমঃ আয়াত ১৭, ১৮)
আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে এবং রাতে ও প্রান্ত ভাগে (হুদঃ আয়াত ১১৪)
সূর্য্য ঢলে পরার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন (বণী ইসরাঈলঃ আয়াত ৭৮)
সময়
নিশ্চয়ই নামায মুসলমানদের উপর ফরজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (আন নেসাঃ আয়াত ১০৩)
প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করা উত্তম (আবু দাউদ ১ম খন্ড ৬১ পৃঃ)
ফজরঃ সূর্যদ্বয়ের আগ পর্যন্ত । রাসুল (সঃ) ফজরের নামায এমন গালছে পড়তেন যে, নামায শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে চিনতে পারতেন না (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৬০ পৃঃ)
যোহরঃ সূর্য মাথার উপর হেলে যাওয়ার পর হতে কোন কাঠি বা মানুষের ছায়া তার সমান দীর্ঘ না হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ, মেশকাত হাঃ নং ৫৮১)
আছরঃ বস্তুর মুল ছায়া একগুন হওয়ার পর থেকে হলুদ রং হওয়া পর্যন্ত বাকি থাকে (মুসলিম, মেশকাত, হাঃ নং ৫৩৪)
মাগরীবঃ সূর্যাস্তের পর থেকে পশ্চিম আকাশে লাল আভা দূর না হওয়া পর্যন্ত থাকে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৫০ পৃঃ)
এশাঃ মাগরীবের পর হতে অর্ধ রাত্র পর্যন্ত (মুসলিম, মেশকাত ৫৯ পৃঃ)
ফরজ/সুন্নাত
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে মোট ১৭ রাকায়াত ফরজ (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৭৯ পৃ
যে ব্যক্তি দিবা রাত্রে ১২ রাকায়াত সুন্নত নামায পড়ে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানানো হয় । তা হল- ফজরের পূর্বে ২ রাকায়াত, যোহরের পূর্বে ৪ রাকায়াত ও পরে ২ রাকায়াত, মাগরীবের পরে ২ রাকায়াত এবং এশার পরে ২ রাকায়াত (মুসলিম, তিরমিযী, মেশকাত ১০৩ পৃঃ)
জানাতে পারেনঃ-
৮) ফজর নামাজের জামায়াত শুরু হলেও সুন্নাত না পড়ে জামাতে শরিক হওয়া যাবে না এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল জানাবেন ।
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





