খুব বেশিদিন হয়নি, আমিও এমনটাই ছিলাম।
কেমন ছিলাম?
?
আরে ভাই আমি সেই পোলাপাইনের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, যাদের কথা লিখছি. ..
.
রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়া মানেই খুশির সংবাদ আমাদের জন্য, কেন জানেন? এই মাসে প্রতিদিন রাতে দেড় ঘন্টার জন্য আমরা বেড়ানোর সময় পেতাম।
এশার নামাজটা পড়লে পড়লাম না পড়লে নাই, তারাবী শুরু হলেই দল বেধে সবাই মসজিদের বাইরে...
কারো হাতে রাবার আর কারো হাতে লাদেন বোম, রাবারের মাথার কাগজ বসিয়ে অন্যের দিকে ছুড়ে মারা, মানুষের বাসার দরজায় দরজায় লাদেন বোম ফোটানো বা বাসার দরজার নিচ দিয়ে বার্মিজ বোমা ঢুকিয়ে দিয়ে মজা নেয়া।
.
বড়ভাইদের দেখতাম মোবাইল হাতে দলবেধে যাচ্ছে, আর আমাদের দেখলেই হেইইইইই শুরু নামাজ পড়িনা বলে ঝাড়ি...
আর আমরাও ছোট বলে তাদের নামাজের ব্যাপারে কিছু বলতে পারতাম না। ..।
.
মুরব্বিদের দেখলে অনেক দুর থেকে দল ভেঙ্গে লুকিয়ে পড়া..
.
নিজের বাসার দিকে ভুলেও যাওয়া যাবেনা ধরনের আতঙ্ক..
.
তারাবী শেষ হলে হুড়মুড় করে আবার মসজিদে ঢুকে বিতর পড়া....
.
.
আর এখন?????
মুচকি হাসা ছাড়া কিই বা করার আছে?.
.
.
.
আরো দেখুন:
পর্ব-২ - Click This Link
পর্ব-৩ - Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



