somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উপমহাদেশের শান্তি সুস্থিতি ও ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশের বিকাশের স্বার্থে তালিবানি, হিন্দুত্ববাদী, জামাতি/হেফাজতি শক্তিকে রোখাটা বিশেষ জরুরী

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কংগ্রেসের একের পর এক দুর্নীতি আর নয়া উদারবাদী, আমেরিকাপন্থী, আমীরপন্থী নীতিমালা দেশের জনগণকে তাদের প্রতি ক্রমশই ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তাদের প্রতি সমর্থন ক্রমশ কমছে, আর কোনও প্রগতিশীল বিকল্প ভারতে পাওয়া যাচ্ছে না, যারা কংগ্রেস শাসনকে প্রতিস্থাপন করতে পারে। বামেরা গোটা তিন চার রাজ্যের বাইরে বেশ দুর্বল। পশ্চিমবঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া কয়েক দশক ব্যাপী অপশাসন, শেষদিকের গণহত্যা, দেশী বিদেশী পুঁজির পক্ষে ওকালতি করে কৃষক হত্যা, শ্রমিকদের সঙ্গে ইউনিয়ন নেতাদের লাগাতার বিশ্বাসঘাতকতা - তাদের নৈতিক জোরটাও একেবারে ধ্বসিয়ে দিয়েছে। একারণেই যথেষ্ট সুযোগ থাকা স্বত্বেও দেশব্যাপী এস ই জেড বিরোধী লড়াইয়ে তারা অংশ নিতে পারে নি, যে লড়াইয়ে মূলত বিভিন্ন প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে নকশালবাড়ির পর আবার একটা বলিষ্ঠ কৃষক আন্দোলন ও পটপরিবর্তনের ইঙ্গিৎ দিয়েছিল।উল্টে তারাই পশ্চিমবঙ্গে এই আন্দোলনের বর্ষামুখ হয়ে দাঁড়ায়। তার শরিকরাও সরকার ছাড়ার মোহ ছাড়তে না পারায় সি পি এমের সাথে সাথেই জনবিচ্ছিন্ন হন।
এস পি, বি এস পি, আর জে ডি, ডি এম কে, এ আই ডি এম কে-র মত আঞ্চলিক দলগুলিও চরম দুর্নীতিতে আক্রান্ত ও সে কারণেই গুরূত্বপূর্ণ সময়ে সি বি আই জুজুর ভয়ে তারা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে নি।
এমন একটা অবস্থায় সবচেয়ে বেশি গণভিত্তি সম্পন্ন প্রধান বিরোধি দল বিজেপি ক্ষমতার কাছে এক দশক পর আবার আসার স্বপ্ন দেখছে। এজন্য তারা সামনে রাখছে তথাকথিত 'হিন্দু হৃদয় সম্রাট' বলে পরিচিত মোদীকে। মোদীও যথেষ্ট আক্রমণাত্মকভাবে কংগ্রেসের মোকাবিলা করে চলেছেন। বিজেপির মধ্যে আদবানী বা সুষমা স্বরাজের বিরোধিতা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠর কাছে তেমন গণ্য হচ্ছে না, অবশ্য এন ডি এ শরিকদের কেউ কেউ বিশেষত নীতীশ কুমার ও তার দল জে ডি ইউ যেভাবে মোদীতে আপত্তি তুলছেন তাতে এই জোট রাজনীতির যুগে মোদী ও বিজেপি নেতৃত্বকে খানিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন বিজেপি স্বাগত, কিন্তু মোদী নয় - এই অবস্থানের হিন্দুত্ববাদ বিরোধী সারবত্তা কতটা সেটার সঙ্গে এটাও দেখার হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থান এর আওয়াজ রুখতে এটা কতটা সাহায্য করে।
তবে যাই হোক এক জটিল অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতীয় রাজনীতির ক্ষমতার বিন্যাস কি হবে সেই অঙ্ক। ভারতের প্রগতিশীল মানুষ দুর্নীতির দায়ে কলঙ্কিত কংগ্রেসকে যেমন দেখতে চায় না, তেমনি হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির কোনও পুনরুত্থানও প্রত্যক্ষ করতে চায় না।
ভারতে হিন্দুত্ববাদের জাগরণের অর্থই দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্থান ও বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদের পালটা উত্থানের জমি তৈরি হয়ে যাওয়া। কে না জানে এক মৌলবাদ আরেক মৌলবাদের দিকে জনগণের নজর ঘুরিয়ে নিজের শক্তি সঞ্চয় করে এক উত্তেজনাপূর্ণ আবহাওয়ায়। বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদীরা গোপনে একারণে বিজেপিকে আর বিজেপি একারণে গোপনে বাংলাদেশে জামাত বা হেফাজতের মত শক্তির উত্থান বা পাকিস্থান আফগানিস্থানে তালিবানি শক্তির উত্থান কামনা করতেই পারে, যাতে তাদের নিজেদের উত্থানের পরিবেশ জোরদার হয়। গোটা উপমহাদেশের শান্তি সুস্থিতি ও ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশের বিকাশের স্বার্থে তালিবানি, হিন্দুত্ববাদী, জামাতি/হেফাজতি শক্তিকে রোখাটা বিশেষ জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×