somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বীনে হক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দ্বীনের প্রকারভেদঃ It is the who has sent his messenger with guidance & the Din of truth (Islam) to make it superion over all Din-তিনি তাঁর রাসূলকে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও দ্বীনে হকসহ পাঠিয়েছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর তাকে বিজয়ী করতে পারেন (তওবা-৩৩) And who ever seeks a religion(Din) other than Islam, it will never be accepted of Him (Allah).-(Al-Imran:85)
ইসলামই আল্লাহর মনোনীত দ্বীন।
প্রথম আয়াতে ইসলামকে দ্বীনে হক বা সত্য দ্বীন এবং ২য় আয়াতে ইসলাম ছাড়া অন্য দ্বীনের কথা বলা হয়েছে।আর যেহেতু হক(সত্য) এর বিপরীত বাতিল(মিথ্যা)।তাই আমরা দ্বীনকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করতে পারি ।
১। দ্বীনে হক বা সত্য দ্বীন,
২। দ্বীনে বাতিল (মিথ্যা বা অগ্রহণযোগ্য দ্বীন)
দ্বীনে হক মানে আল্লাহর দ্বীন।আর জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধানের অনুসরনই দ্বীনে হকের আনুগত্য।অপরদিকে আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য কারো বিধান মানাই হবে দ্বীনে বাতিলের আনুগত্য।
দ্বীন যেহেতু নির্দিষ্ট একক কোন ঈবাদতের নাম নয় বরং জীবনের সকল কর্মকান্ডের সমষ্টি তাই দ্বীনকে আমরা নিম্নোক্ত ভাবে উল্লেখ করতে পারিঃ
১।ইবাদতের ক্ষেত্রেঃ কেবল মাত্র আল্লাহর ইবাদতই দ্বীনে হকের আনুগত্য।সে ক্ষেত্রে যদি অন্য কারো দাসত্ব করা হয়,অন্য কারো নামে কুরবানী বা বলি দেয়া হয় ,গহিরুল্লার সন্তুষ্টির জন্য দান বা জাকাত সদকাহ করা হয় তা হলে তা গহিরুল্লার ইবাদত হিসেবে দ্বীনে বাতিলের অর্ন্তভূক্ত হবে।

২।আইন মানার ক্ষেত্রেঃ জীবনের সকল ক্ষেত্রে কুরআনের আইন মেনে চলাই হবে দ্বীনে হকের আনুগত্য। আর তা বাদ দিয়ে কোন মানুষের তৈরি আইন মেনে চলার পাশাপাশি আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা না করা আল্লাহর সাথে শিরক হিসেবে তা দ্বীনে বাতিল বলে গন্য হবে।
২(গ) আবার অর্থ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যারা ইসলামী অর্থনীতি মেনে চললো তারা দ্বীনে হক মেনে নিল।আবার যারা পুঁজিবাদ বা সমাজতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থা মেনে চললো তারা দ্বীনে বাতিলের অনুগত্য করল। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে আইন রচনা ও অর্থনীতির ভিত্তি দুটি দিক থেকে গড়ে উঠে।একটি হল আল্লাহর দেয়া আইন ও অর্থনীতি, অন্যটি হল মানুষের তৈরি আইন ও অর্থনীতি।
প্রথমটি দ্বীনে হক বা ইসলাম আর অপরটি মানুষের তৈরি হওয়ায় তা গণজীবন ব্যবস্থা বা গণদ্বীন হিসেবে চিত্রিত করা হয়।অর্থা মানুষ আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে নিজেরাই জীবন বিধান তৈরি করে নিয়েছে। সমাজতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থাও গণদ্বীনের একটি পর্যায় বলে বিবেচিত।এখন যারা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান তারা সে পথে রাজনীতি করে দ্বীনে হক প্রতিষ্ঠার জিহাদে শামিল হবেন।আর যারা পুঁজিবাদ বা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান তারা সেপথে রাজনীতি করে দ্বীনে বাতিল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন ।কারন শেষোক্ত ব্যবস্থা দুটি ইসলামী ব্যবস্থার বিপরীত।তাই সমাজতান্ত্রিক বা গণদ্বীনের রাজনীতি করে দ্বীনে হকের (ইসলামের) অনুসারী হওয়ার কোন সুযোগ বা যৌক্তিকতা নাই।কারন তারা রাজনৈতিক ময়দানে দ্বীনে হকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সত্য দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে বাধা দিচ্ছেন।আবার যারা দ্বীনে বাতিলের বিরোধিতা না করে শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে ধর্মীয় ইবাদত পালন করছেন তারা প্রকারান্তরে দ্বীনে বাতিলেরই আনুগত্য করছেন।কারন দ্বীনে বাতিল তাদের এসকল ইবাদতের স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু দ্বীনে হক তাদেরকে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত দ্বীনে বাতিলের সাথে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বলেছে।সেক্ষেত্রে তারা তারা দ্বীনে বাতিল যা পছন্দ করে না যেমনঃ দ্বীনে হকের আইন, রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও অর্থ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিরব রয়েছে এবং দ্বীনে বাতিল দ্বীনে হকের যতটুকু পালনের অনুমতি দিয়েছে ঠিক ততটুকুই পালন করছেন।যা প্রত্যক্ষভাবেই দ্বীনে বাতিলের আনুগত্যকে স্পষ্ট করে দেয়। কেউ যদি নামাজ,যাকাত,হজ্ব পালন করে আর রোজা পালনের বিরোধিতা করে বা অন্য কোন দ্বীন বা ধর্ম অনুসরন করেন তাহলে তাকে যেমন মুসলমান বলা যায় না, ঠিক তেমনি অন্যান্য ইবাদত পালন করার পাশাপাশি যদি দ্বীনে হককে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠা না করে দ্বীনে বাতিলের রাষ্ট্রীয় রাজনীতি বা আইন বা অর্থ ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলেন তাহলে তাকেও দ্বীনে হকের অনুসারী বলে গন্য হবেন না।



সবশেষে একটি বিশেষ কথা বলি " ১৯৭১ সালে যে সমস্ত রাজাকারেরা পাক সেনাদের গণহত্যা ও নারী ধর্ষণে সহায়তা করেছে তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তিস্বরূপ ইসলামী বিধান অনুযায়ী শিরোচ্ছেদ করে এবং দোররা মেরে হত্যা করা হোক"
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×