somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এরই নাম রাজনীতি !!!!! পর্দার আড়ালে আসলে সবই ভন্ডামী !!!!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিপাইমুখ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তর-পূর্ব ভারত ও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্হ হবে ।ভাটি অঞ্চলে নদীর কয়েকটি স্থানে পানির প্রবাহ কমে গিয়ে এ অঞ্চল মরুভূমিতে পরিনত হবে , আবার বর্ষা মৌসুমে বাধের মুখ খুলে দেয়ার কারনে এ অঞ্চলে ব্যাপক বন্যার দেখা দিবে , অথচ এই সাধারন ব্যাপারটিও যেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বুঝতে চায় না ।উল্টো এই হারামজাদা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দিল্লীর সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে বলতাছে এই প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু হবে না।






অন্যদিকে আবার
বহুল আলোচিত টিপাইমুখ প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছিল আমাদের আমজনতার মাথায় ঘোল ঢেলে খাওয়া আরেক দল বিএনপির প্রথম মেয়াদের সরকার। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা বিএনপি ভারতের এ প্রকল্পে সম্মতি দিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কমিটি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে জরিপ পরিচালনা করে এবং প্রকল্পের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। বাংলাদেশ এর থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সে সম্পর্কিত বিবরণও ছিল ওই প্রতিবেদনে। ২০০১ সালে ফের ক্ষমতায় এসেও টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরোধিতা করেনি বিএনপি। যদিও বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকার ফ্লাড অ্যাকশন প্লান (এফএপি) প্রকল্পের আওতায় দেশি ও আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে। দেশি বিশেষজ্ঞদের সবাই বিএনপির সমর্থক ছিলেন। বিএনপির সেই কমিটি টিপাইমুখ প্রকল্পের বহুবিধ ইতিবাচক দিক চিহ্নিত করে। পাশাপাশি দুটি প্রভাবের কথাও উল্লেখ করে। এগুলো হলো- প্রথমত, ভাটি অঞ্চলে নদীর কয়েকটি স্থানে পানির প্রবাহ কমে যেতে পারে; দ্বিতীয়ত, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে গেলে উত্তর-পূর্ব ভারত ও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। অবশ্য এ দুটি প্রভাবকে অমূলক বলেই মত দেন বিএনপির তখনকার সেই কমিটির বিশেষজ্ঞরা(বর্তমানে আম্বালীগের গলার যে সুর)। কারণ শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেরও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানি প্রবাহের বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত।তাই ভারত তার নিজ স্বার্থেই ক্ষতিকর কিছু করবে না । তাই বাঁধ হলে আনুপাতিক পানি প্রবাহে কোনো ঘাটতি হবে না (বর্তমানে আম্বালীগের গলার একই সুর!!!!!!)
এমনকি এই বিএনপি তার দ্বিতীয় মেয়াদেও টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলেনি।পানি বিশেষজ্ঞ ড. এম এ কাশেম ফ্লাড অ্যাকশন প্লান, ১৯৯৩-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে গণমাধ্যমে বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই টিপাইমুখ প্রকল্পকে স্বাগত জানানো সেই বিএনপি নিজেরাই এখন আবার এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে কর্মসূচিও দিচ্ছে সস্তা বাহবা কুড়ানের উদ্দেশ্যে, জনগণের সত্যিকারের উপকারের উদ্দেশ্যে নয়। কেননা জনগনের উপকারই যদি আসল উদ্দেশ্য থাকতো তাইলে বিএনপি ১৯৯১ সালে টিপাইমুখ প্রকল্পকে স্বাগত জানাইতো না ।১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা সেই বিএনপি ভারতের এ প্রকল্পে সম্মতি দিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে না ।যে কমিটি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ এর থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সে খোজে জরিপ পরিচালনা করে এবং প্রকল্পের বিভিন্ন ভাল দিক উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল । বাংলাদেশ এর থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সে সম্পর্কিত বিবরণও ছিল বিএনপি সেই কমিটির ওই প্রতিবেদনে। ২০০১ সালে ফের ক্ষমতায় এসেও টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরোধিতা করেনি এই শালার বিএনপি।


তারপরেও আমরা আমজনতা
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
এই দুই প্রতারক দলকেই আমাদের ভাগ্য নির্ধারনের জন্য বেছে নিই !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!








বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোষ্টটি লিখতে এই নিউজের সাহায্য নেওয়া হয়েছে ।

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×