টিপাইমুখ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তর-পূর্ব ভারত ও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্হ হবে ।ভাটি অঞ্চলে নদীর কয়েকটি স্থানে পানির প্রবাহ কমে গিয়ে এ অঞ্চল মরুভূমিতে পরিনত হবে , আবার বর্ষা মৌসুমে বাধের মুখ খুলে দেয়ার কারনে এ অঞ্চলে ব্যাপক বন্যার দেখা দিবে , অথচ এই সাধারন ব্যাপারটিও যেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বুঝতে চায় না ।উল্টো এই হারামজাদা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দিল্লীর সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে বলতাছে এই প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু হবে না।
অন্যদিকে আবার
বহুল আলোচিত টিপাইমুখ প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছিল আমাদের আমজনতার মাথায় ঘোল ঢেলে খাওয়া আরেক দল বিএনপির প্রথম মেয়াদের সরকার। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা বিএনপি ভারতের এ প্রকল্পে সম্মতি দিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। কমিটি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে জরিপ পরিচালনা করে এবং প্রকল্পের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। বাংলাদেশ এর থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সে সম্পর্কিত বিবরণও ছিল ওই প্রতিবেদনে। ২০০১ সালে ফের ক্ষমতায় এসেও টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরোধিতা করেনি বিএনপি। যদিও বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকার ফ্লাড অ্যাকশন প্লান (এফএপি) প্রকল্পের আওতায় দেশি ও আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে। দেশি বিশেষজ্ঞদের সবাই বিএনপির সমর্থক ছিলেন। বিএনপির সেই কমিটি টিপাইমুখ প্রকল্পের বহুবিধ ইতিবাচক দিক চিহ্নিত করে। পাশাপাশি দুটি প্রভাবের কথাও উল্লেখ করে। এগুলো হলো- প্রথমত, ভাটি অঞ্চলে নদীর কয়েকটি স্থানে পানির প্রবাহ কমে যেতে পারে; দ্বিতীয়ত, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে গেলে উত্তর-পূর্ব ভারত ও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। অবশ্য এ দুটি প্রভাবকে অমূলক বলেই মত দেন বিএনপির তখনকার সেই কমিটির বিশেষজ্ঞরা(বর্তমানে আম্বালীগের গলার যে সুর)। কারণ শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেরও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানি প্রবাহের বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত।তাই ভারত তার নিজ স্বার্থেই ক্ষতিকর কিছু করবে না । তাই বাঁধ হলে আনুপাতিক পানি প্রবাহে কোনো ঘাটতি হবে না (বর্তমানে আম্বালীগের গলার একই সুর!!!!!!)
এমনকি এই বিএনপি তার দ্বিতীয় মেয়াদেও টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তোলেনি।পানি বিশেষজ্ঞ ড. এম এ কাশেম ফ্লাড অ্যাকশন প্লান, ১৯৯৩-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরে গণমাধ্যমে বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই টিপাইমুখ প্রকল্পকে স্বাগত জানানো সেই বিএনপি নিজেরাই এখন আবার এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে কর্মসূচিও দিচ্ছে সস্তা বাহবা কুড়ানের উদ্দেশ্যে, জনগণের সত্যিকারের উপকারের উদ্দেশ্যে নয়। কেননা জনগনের উপকারই যদি আসল উদ্দেশ্য থাকতো তাইলে বিএনপি ১৯৯১ সালে টিপাইমুখ প্রকল্পকে স্বাগত জানাইতো না ।১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা সেই বিএনপি ভারতের এ প্রকল্পে সম্মতি দিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে না ।যে কমিটি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ এর থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সে খোজে জরিপ পরিচালনা করে এবং প্রকল্পের বিভিন্ন ভাল দিক উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল । বাংলাদেশ এর থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সে সম্পর্কিত বিবরণও ছিল বিএনপি সেই কমিটির ওই প্রতিবেদনে। ২০০১ সালে ফের ক্ষমতায় এসেও টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরোধিতা করেনি এই শালার বিএনপি।
তারপরেও আমরা আমজনতা
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে বারে
এই দুই প্রতারক দলকেই আমাদের ভাগ্য নির্ধারনের জন্য বেছে নিই !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোষ্টটি লিখতে এই নিউজের সাহায্য নেওয়া হয়েছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




