আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ ও মুক্ত করে তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন কীভাবে? স্বাধীনতাবিরোধীদের কীভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদ
করলেন? স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলে কিছুটা হলেও তাঁর বিবেকে বাধত। ( প্রথম আলো)
এবার শেখ হাসিনার প্রশ্নের সাথে সুর মিলিয়েই জানতে চাই, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার স্থপতি হলে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদের মুক্ত করে দিলেন কিভাবে? কিভাবে তিনি শান্তি কমিটির আহ্বায়ক খাজা খয়ের উদ্দিনকে ছেড়ে দিয়েছিলেন? কেনইবা তিনি দালাল আইন বাতিল করে দিয়েছিলেন?
এবার শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য প্রশ্ন। স্বাধীনতা বিরোধীদের আপনি কিভাবে মন্ত্রী-এমপি করলেন?
শেখ হাসিনার আগের সরকারের মন্ত্রীসভায় দালাল আইনে সাজাপ্রাপ্ত মাওলানা নুরুল ইসলাম ও একে ফায়জুল হক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। আর বর্তমান মন্ত্রীসভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন। আর সাজেদা চৌধুরীসহ ৮৮ জন এমএনএ পাকিস্তানের আস্থাভাজন হিসেবে স্বাকৃতি পেয়েছিলেন। এছাড়া সংসদ সদ্স্য কয়েস চৌধুরী ও ডা. আনোয়ার হোসেনও স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনা কিভাবে এদেরকে মন্ত্রী এমপি করলেন? স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হলে নিশ্চয়ই তার বিবেকে বাধত।
আরেকটা কথা। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনেক মহিলাও অংশ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা, রেহানা কিংবা অন্যান্য মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রীরা কেন যুদ্ধে অংশ নেননি? কেন আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতারা যুদ্ধের সময় কোলকাতায় বসে আমোদ ফুর্তিতে মজে ছিলেন?
জানি, এসব প্রশ্নের কোন উত্তর তাদের জানা নেই। আর এজন্যই হয়তো নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে জিয়া, মেজর জলিল, হামিদুল্লাহ খানসহ প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের সে চেষ্টা সফল হবে বলে মনে হয় না
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:১১