গতকাল অনলাইনে সারা রাতের সফল তীব্র ছাগু নিধন অভিযানের পর আজ অনলাইন স্পেসে ছাগুশুয়োরদের ল্যাদানো কিছুটা কম ! কিন্তু আজকে দুপুর থেকে খেয়াল করছি ছাগুশুয়োরেরা নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে । কিছু আপাত:নিরীহ নিক থেকে এখন বারবার প্রচারণা চালানো হচ্ছে শাহাবাগে কেন দেশের অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আন্দোলন চালানো হচ্ছে না ? কেন সাগর-রুণী, শেয়ার বাজার, আবুল সেতু, কালো বিড়াল, সিমান্তে হত্যা এইগুলা নিয়ে বলা হচ্ছে না ইত্যাদি । যদিও এইগুলো অবশ্যই অনেক বড় বড় ইস্যু কিন্তু এই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইস্যু, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে 'রাজাকারদের ফাসি' যেটির সমাধান ৪২ বছর আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। তাই এইটার সমাধান হওয়া সবচেয়ে আগে দরকার - এতে কোন প্রশ্ন নাই । আর রাজাকারদের অপরাধের সাথে কোনও কিছুই তুলনীয় নয় । সবকিছুই হবে কিন্তু সবার আগে দরকার রাজাকারগুলাকে ঝুলানো । তারপর এই তরুণসমাজ এক এক স-ও-ব কিছুরই হিসাব নেবে - কিচ্ছু বাদ যাবে না । কিন্তু এই মুহুর্তে রাজাকারগুলাকে ঝুলানোর দাবী থেকে ডি-ফোকাস্ড হওয়া কোনও মতেই যাবে না । হলেই পুরো আন্দোলনটাই লেজে-গোবরে হয়ে যাবার চান্স আছে । আর ছাগুশুয়োর গুলাও ঠিক তাই চায়। সুতরাং এখন সফ্টলি শুয়োরগুলা এই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নেমেছে, যাতে করে আমরা ডি-ফোকাস্ড হই । মজার ব্যপার হলো জামাতের বি-টিম বিএনপিও (হ্যা, ঠিকই পড়েছেন । এক সময় জামাত বিএনপি'র বি-টিম থাকলেও এখন বিএনপি'ই জামাতের বি-টিমে পরিণত হযেছে) গতকাল থেকে বারবার একই সুরে কথা বলছে - "শাহাবাগের আন্দোলনের সাথে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীটি যোগ করা উচিৎ", "শাহাবাগে সরকারের দূর্ণীতি, সিমান্তে হত্যা এইগুলো নিয়েও তরুণদের কথা বলা উচিৎ" ইত্যাদি ইত্যাদি (দালালের বাচ্চারা আমরা কি নিয়ে কথা বলবো সেটা তোদের মত রাজনীতিবিদদের বলতে হবে না) । আসলে এসবই একই স্ট্র্যাটেজি - সরাসরি না পেরে এখন কৌশলে পুরো আন্দোলনকে ডি-ফোকাস্ড করা।
তাই সহযোদ্ধাদের বলছি, এইসব ছুপা ছাগুশুয়োরদের পাইলেই গদাম দিন । শুয়োররা কি আমাদের বলদ পেয়েছে না কি যে আপ-ঝাপ বুঝাবে ! আমরা ইন্টারনেট, ফেসবুক জেনারেশন - অশিক্ষিত মুর্খ না ।
আজ ওদের জানিয়ে দেবার সময় "এই দেশটা আমাদের ; কোনও পরাজিত শুওরছানাদের নয় ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


