somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনিকি কানাডা'র নতুন অভিবাসী হয়ে আসছেন? তাহলে এই লেখাটি আপনারই জন্যে - পর্ব ১০

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কানাডা’র নতুন অভিবাসীদের জন্যে আমার লেখা পর্ব ১ থেকে ৯ ইতিমধ্যে সামহোয়্যারইন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে। বিগত পর্বগুলোতে কানাডা আসার পর একজন নতুন ইমিগ্র্যান্ট কি কি করবেন তা নিয়ে আমার রিয়েল টাইম অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে উল্লেখিত পর্বগুলো কানাডা’র একজন নতুন অভিবাসীর জন্যে ’গাইড’ হিসেবে কাজ করেছে।
পর্ব ১ থেকে ৯ তে আমি কানাডাতে বসবাসের সুবিধা এবং ভালো দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কানাডার সুন্দর বাড়ি, সুন্দর গাড়ি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর আকর্ষণীয় নারী-পুরুষ দেখা শেষ হলে যারা কানাডা’র রিয়েল চ্যালেঞ্জিং লাইফে প্রবেশ করবেন, আজকের পর্বটি মূলত: তাদেরই জন্যে। কাজেই আজকের পর্বটিকে কে ভালো দিক বলা যাবে কিনা জানিনা। তবে আজ এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই, যা একজন নতুন বাংলাদেশী কানাডা’র ইমিগ্র্যান্ট-এর চলার পথে সহায়ক হবে। আজকের কথাগুলো কানাডার টরন্টোতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জীবন থেকে কিছু কেস স্টাডি নিয়ে আমি লেখার চেষ্টা করেছি। তাই সবগুলো বিষয়কে যেমন জেনারালাইজড করা ঠিক হবেনা তেমনি কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের অধিকাংশই আসলেই কেমন আছেন, তার ক্ষুদ্র একটি ফ্লেভার হয়তোবা পাওয়া যাবে।

১. কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং বাংলাদেশিদের সামাজিক অবস্থা:
আমার এক বার্মিজ বন্ধু আছে যার নাম হিউয়াং। হিউয়াং প্রায় এক দশক হলো টরন্টোর বাসিন্দা। বেশ চটপটে এবং আমুদে। তাকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম, ”চাইনিজদের চায়না টাউন আছে, কোরিয়ানদের কোরিয়ান টাউন -এরকম প্রতিটা দেশের মানুষ তাদের নিজেদের কমিউনিটি তৈরি করে নিয়েছে টরন্টোর বুকে। বার্মিজদের কমিউনিটিটা টরন্টোর কোন অঞ্চলে?” উত্তরে হিউয়াং বললো, বার্মিজদের কোন কমিউনিটি নেই। যদিও প্রচুর বার্মিজ টরন্টোর বুকে বাস করে, কিন্তু তাদের কোন টাউন বা এলাকা নেই, সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আর এর কারণ হিসেবে হিউয়াং বললো, বার্মিজরা খুবই হিংসুটে। তারা অন্যের ভালো দেখতে পারেনা। একজন ভালো করছে দেখলেই সবাই তার পেছনে লাগে কিভাবে তাকে টেনে নিচে নামানো যায়। হিউয়াং আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলো, ”টরন্টোতে তোমাদের বাংলাদেশিদের কি অবস্থা?” আমি হাসিমুখে তার মুখের ওপরে ডাহা মিথ্যা কথা ঝেড়ে দিলাম। বললাম, বাংলাদেশিরা তোমাদের বার্মিজদের মতো নয়। তারা একজন আর একজনকে সাহায্য করে, বিপদে এগিয়ে আসে।” মনে মনে বললাম, ”টরন্টোর বাংলাদেশিরা বার্মিজদের থেকে কোন অংশে কম যায়না, তারাতো বাংলাদেশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের থেকেও আর এক স্তর নিচু মানসিকতার।” এখানে তারা এক অসুস্থ প্রতিযোগীতায় নেমেছে যেন। একজনের ভালো আরএকজন কোনভাবেই সহ্য করতে পারেনা। টরন্টোর এই বাংলাদেশিরা তাদের দুইহাতের যথার্থ প্রয়োগ ঘটাতে তাই চরম পটিয়শী। তারা নিজের একহাত অন্যের পশ্চাৎদেশে ঢোকানোর চেষ্টায় সদা সচেষ্ট আর আরএক হাত নিজের পশ্চাৎদেশে দিয়ে রাখে যেন অন্যকেউ আবার এই পশ্চাৎদেশ মেরে না বসে। এরা অন্যকে হেল্প করার থেকে মিসগাইড করতে ওস্তাদ। আর যদিওবা হেল্প করে, তাতেও স্বার্থ জড়িত। আপনাকে একগুণ হেল্প করে দশগুণ ফায়দা তুলে নেবে।

২. প্রফেশনাল জবের ব্যাপারে হতাশা:
বাংলাদেশী কানাডিয়ান ইমিগ্র্যান্টদের বয়স হিসেব করলে দেখবেন, তারা সবাই প্রায় ত্রিশ বছর বা তার আশেপাশে বা তার ওপরে। বাংলাদেশে থাকতে কেউ ছিলেন ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ব্যাংকার ইত্যাদি অর্থাৎ চাকুরীতে তারা সকলেই মিড লেভেলে ছিলেন। টরন্টোতে আসার পর তাদের সেই প্রেস্টিজিয়াস জবটি আর নেই। এখন তারা কেউ হোটেলের কর্মচারী, কেউবা গ্যাস স্টেশনে পেট্রোল বিক্রি করেন, আবার কেউ সেলেস্টিকা/ কসমেটিকার লেবার অর্থাৎ একশত ভাগ কামলা। বাংলাদেশে থাকতে যে কাজ এবং কাজের মানুষগুলোকে তারা কোনদিন গণ্য করেননি, নিচু চােখে দেখেছেন, সেই একই কাজ কিন্তু তারা টরন্টো এসে করছেন! যদিও অনেকেই বলেন, কোন জবকেই ছোট করে দেখার কিছু নেই, সব জব সমান। কিন্তু রিয়েলিটিটা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে এই কামলা জব করতে করতে এবং প্রফেশনাল জব না পাওয়ার ব্যাথায়, আক্ষেপে স্কিলড মানুষগুলোর মাঝে হতাশার জন্ম হয়, তাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। কারণ বয়সতো আর থেমে নেই। আর এরই মাঝে কপালবশত: কারও যদি প্রোফেশনাল জব লেগে যায়, তাহলেতো তিনি সবার চক্ষুশূল। সবাই তাকে জেলাস করবেই করবে। ছোটবেলা থেকে কানাডার এডুকেশন সিস্টেম/ স্কুলিং দিয়ে না গেলে ভালো জব পাওয়াটা আসলেই সোজা ব্যাপার নয়। কানাডা সরকার ইমিগ্রেশন ভিসা দিয়েই খালাস। বাংলাদেশের স্কিলড পপুলেশন কানাডায় আসার পর তাদের স্ব স্ব ক্ষেতে প্রফেশনাল জব পাবে কিনা, সেটা নিয়ে কানাডা সরকারের তথ্য এবং সহযোগীতা থাকলেও চরম সত্যিটি হলো বাংলাদেশের এই স্কিলড পপুলেশন এখানে এসে লেবার পপুলেশনে পরিণত হচ্ছে দিন দিন। বাংলাদেশীদের খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশই কেবল পারছে এই লেবার কাজ থেকে বের হয়ে প্রফেশনাল জব ম্যানেজ করতে। সেটিও তাদের ক্ষেত্রে রাতারাতি হয়নি, ক্ষেত্র বিশেষে ৫-৭ বছর তো লেগেই গিয়েছে। ডাক্তারদের অবস্থা এখানে আরও খারাপ। কানাডায় ডাক্তারির লাইসেন্স পাবার চাইতে খালি পায়ে অক্সিজেন ছাড়া হিমালয়ে ওঠাও আমার ধারণা অনেক সহজ কাজ। কানাডা’র কঠিন জীবনযাত্রা এবং প্রফেশনাল জব পাবার অনিশ্চয়তার কারণেই আমি অনেক বাংলাদেশিকে দেখেছি এখানে আসার পর এই কঠিন জীবন দেখে বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছেন।

৩. বাটি চালান থিওরি:
টরন্টোর বাংলাদেশী ঘিঞ্চি বস্তি ড্যানফোর্থের টিসডেল, ক্রিসেন্ট টাউন, মেসি এলাকাগুলোর হাই রাইজ বিল্ডিংগুলোর জন্যে আমার নিজস্ব একটি থিওরি রয়েছে। সেটি ”বাটি চালান” থিওরি হিসেবেই খ্যাত। ব্যাপারটা একটু খোলাসা করা যাক। ড্যানফোর্থেও ওইসব হাই রাইজ বস্তির যারা ভাবী আছেন, তারা পাশের বাসার ভাবীকে বাটিতে তরকারি রেঁধে পাঠান। পাশের বাসার ভাবীও বিনিময় সৌজন্যতা বশত: পাঠানো বাটিতে তরকারি ভরে সেই বাটি প্রথম ভাবীকে চালান করে দেন। এভাবেই শুরু হয়ে যায় ”বাটি চালান”। এর ব্যাপকতা অনেক বেশি যেটা বাটির মুখোশের আড়ালে প্রথমে বোঝা কঠিন। এই বাটি চালাচালি থেকে ভাবীদের বন্ধুত্ব হয়, আসা যাওয়া বাড়ে, শুরু হয় পার্টি-সার্টি। ধীরে ধীরে ভাবীকূলে ঘনিষ্টতা বাড়ে। শুরু হয় দুনিয়ার মানুষদের নামে গীবত। রান্নার আলোচনার ফাঁকে আরও থাকে কিভাবে স্বামীকে বশে রাখা যাবে, কোন ভাই দেখতে হ্যাণ্ডসাম এবং তার নিজের স্বামীটি দিন দিন উজবুকে পরিণত হচ্ছে, কে বাড়ি কিনেছে, কে গাড়ি কিনেছে, কোন ভাবী সুন্দর শাড়ি-গহনা কিনেছে ইত্যাদি। বাটি চালান থিওরি দিয়ে কিন্তু সংসারে গেঞ্জাম লাগিয়ে দিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র ছাড়াছাড়ি পর্যন্ত করিয়ে দেয়া সম্ভব! বাটিচালান কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী ভাবীরা আবার সামারে নিয়মিত একসাথে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোরাঘুরি করে থাকেন। আর তাদের মুখে একটি কথা খুব শোনা যায়, ”ভাবী, আমি কিন্তু বাংলাদেশিদের সাথে একদমই মিশিনা। সবাই নিচু মানসিকতার, কেউ কারও ভালো চায়না।” বাটি চালান থিওরিতে বিশ্বাসী ভাবীদেরকে আমার মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করতে মন চায়, ভাবী, আয়নার সামনে কোনদিন দাঁড়িয়ে নিজের চেহারাটা একটু ভালো করে দেখেছেন? দেখেন প্লীজ, তাহলে আপনাদের নিজেদের চারিত্রিক ও মানসিক দৈন্যতা চোখে পড়লেও পড়তে পারে।

৪. পলিটিক্স এবং সমিতি সমাচার:
কথায় বলে, ”ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে”। টরন্টো এবং মন্ট্রিয়লের কিছু মানুষকে দেখলে আমার সত্যিই হাসি পায়, অবাক লাগে। তারা এবং তাদের পরিবার কানাডাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেও তারা আওয়ামীলীগ আর বিএনপি নিয়ে নিজেদের মধ্যে দলাদলিতে ব্যস্ত। দেশ থেকে দূরে থাকলেও বাংলাদেশের অসুস্থ রাজনীতি তাদেরকে পিছু ছাড়েনি। তারা দেশে যায়, আওয়ামী বিএনপির বড় নেতা নেত্রীদের সাথে ছবি তোলে, তারপর সেই ছবি টরন্টোর কমিউনিটি পত্রিকায় বড় করে ছাপায়। তারা বরিশাল, নোয়াখালী, সিলেট সমিতি করে, সেখানে বিভিন্ন পোস্ট পদবীর জন্যে লালায়িত থাকে, মারামারি করে। আমার প্রশ্ন হলো, এগুলো করে কি লাভ হয় তাদের? বুঝলাম যে, বাংলাদেশে যখন তারা ছিলেন একটা সময়, এসব রাজনীতি বা সমিতির ধান্দাবাজি করে প্লট দখল, ব্যবসাবাণিজ্য করা, এলাকার ক্ষমতালাভ ইত্যাদি করা যেতো। কিন্তু কানাডাতেতো এসব তারা করতে পারবেননা। কারণ এখানে দুর্নীতি করাটা এতটা সহজ নয়। তাহলে আমার প্রশ্ন, কিসের লোভে তারা তাদের কানাডাতে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে এইসব বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকছেন?

৫. ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যারিয়ার এবং কমিউনিকেশন:
কানাডায় প্রফেশনাল জব পাবার ক্ষেত্রে এখানকার এডুকেশন সিস্টেমে না পড়াসহ অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যারিয়ার এবং কমিউনিকেশন। আমাদের দেশের শিক্ষিত কিংবা আধাশিক্ষিত শিক্ষকরা কোনদিন বুকিশ ইংরেজি আর কঠিন গ্র্যামার ছাড়া আর কি শিখিয়েছেন? অথচ এখানকার চলতি ভাষায় কথা বলা এবং অন্য আরএকজন কানাডিয়ান ইংরেজিতে কথা বলতে পারার মানুষের সাথে সঠিক কমিউনিকেশন থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। এখানকার কাস্টম, কালচার, রীতি-নীতি জানাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অনেকের ধারণা আমরা খুব ভালো ইংরেজি জানি বা বলতে পারি। সত্যিই কি তাই?

৬. পিএই ডি বনাম বর্ন-কামলা:
আমার পরিচিত রফিক ভাই। খুবই অমায়িক মানুষ। তিনি জাপান থেকে টরন্টো এসেছেন পিএইচডি শেষ করে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো তিনি তার ফিল্ড-এ কোন কাজ পাচ্ছেননা। এদিকে বউ-বাচ্চা নিয়ে সংসারতো চালাতে হবে! তাই তিনি একজন বাংলাদেশি মালিকের রেস্টুরেন্টে কাজ নিলেন। রেস্টুরেন্টের মালিক শামসু মিঞা। তিনি অনেক পড়াশুনা করা মানুষ। বাংলাদেশ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করতে পারেননাই। বছর দশেক আগে দালাল ধরে টরন্টো চলে এসেছেন। তারপর টরন্টোতে রিফিউজি ক্লেইম করে এখানেই মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। লেখাপড়া না জানলেও শামসু মিঞা গতরে খাটতে পারেন ভালোই। দিন-রাত পরিশ্রম করে তিনি এখন টরন্টোতে একটা বিশাল বাড়ির মালিক, চালান টয়োটা লেক্সাস রিসেন্ট মডেলের বিলাশবহুল গাড়ি। এইতো কিছুদিন আগেই নিজের মেয়ের ২০ তম জন্মদিনে মেয়েকে একটা মার্সিজিড গাড়ি গিফট করলেন আর অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। সেই অনুষ্ঠানের স্থানে মার্সিডিজ গাড়িটাকে এমনভাবে রেখে ডিসপ্লে করালেন যে, সবাই বলতে বাধ্য হলো, বাপরে বাপ, কি দামী গাড়ি! শামসু মিঞা এখন এলাকার গণ্যমান্য লোক, বিভিন্ন সমাজ সেবা, সমিতি -এগুলোতে এখন তিনি প্রধান অতিথি, প্রেসিডেন্ট। গত মাসে হজ্ব করে নিজের নামের আগে ডিগ্রী লাগিয়ে নিয়েছেন ”আলহাজ্জ”। আবার সম্প্রতি নিজের ছোট ছেলের সুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে এনেছিলেন একঝাঁক শিল্পীকে। এই শামসু মিয়ার অনেকগুলোর রেস্টুরেন্টের একটিতেই পিএইচডি রফিক ভাই ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করেন।

”বাংলাদেশ ছেড়ে কানাডা আসাটা কি আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল? এবং কানাডার ব্যাপারে এতগুলো নেগেটিভ কথা জেনেও কেন বাংলাদেশের ভালো চাকরী ছেড়ে কানাডা আসলেন?” এ দু’টি কথাটা জিজ্ঞেস করেছিলাম বাংলাদেশী ডাক্তার এবং বর্তমানে টিম হর্টনস চা-কফির দোকানের বিক্রেতা ৩৭ বছর বয়সী রবিন ভাইকে। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ”আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ বাংলাদেশের অসুস্থ পরিবেশে আমি না হয় ৩৭ টা বছর পার করেছি। আমার তিন আর চার বছর বয়সী ছোট বাচ্চাদু’টিকে একটা দিনও ওই পরিবেশে পার করাতে চাইনা। কাজেই কানাডা আসার পর আমি যতদিন না নিজের মনমতো জব পাই, ততদিন আমি চা বিক্রেতা হিসেবেই খুশি।”

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
কানাডা'র ইমিগ্রেশন প্রসেসিং খুব কঠিন কিছু কি? এটা সত্যি যে, ইমিগ্রেশন প্রসেসিং সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভব নয়! সামহোয়্যারইন ব্লগের পয়গম্বরের ব্লগ এবং ফেসবুকের পেজটি Facebook page: Click This Link Email: [email protected] আপনার সাথেই আছে ইমিগ্রেশন প্রসেসের প্রতিটি স্টেপে, প্রতিটি সমস্যার আন্তরিক সমাধানে। কানাডা'র ইমিগ্রেশন নিয়ে টেনশন একেবারেই ঝেড়ে ফেলে দিন মাথা থেকে। ফেসবুকের এই পেজে শেয়ার করুন আপনার কানাডা'র ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্ন অথবা সমস্যা। ব্লগ এবং ফেসবুকের এই প্ল্যাটফরমে আমি চেষ্টা করবো সঠিক রেফারেন্স নির্ভর তথ্যটি আপনাকে জানানোর। ইমেইলেও যোগাযোগ করতে পারেন আপনার সুনির্দিষ্ট প্রশ্নটি লিখে: [email protected]

Facebook page: Click This Link
Email: [email protected]

পর্ব ৯ view this link
পর্ব ১১

শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০২
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×