somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেমন বর চায় মেয়েরা মধ্য রাতের লুল রা গা গরম করার জন্য এদিকে আসেন :P:P:P:P

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেখতে খুব বেশি সুন্দর হতে হবে, এমন নয়। তবে ছেলেকে হতে হবে আকর্ষণীয়। তাঁর কথা শুনে যেন মানুষ বলে ওয়াও, দারুণ একজনকে বিয়ে করেছ তো বিন্দু। যে ছেলেকেই বিন্দু বিয়ে করবেন, তার পূর্বশর্ত হলো, ছেলের উচ্চতা হতে হবে বিন্দুর চেয়ে বেশি। বয়স হতে হবে বিন্দুর চেয়ে অন্তত ছয় বছরের বড়। আর্থিকভাবে খুব বেশি সচ্ছল হতে হবে বলে মনে করেন না বিন্দু। তবে দুজনেই যেন একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারেন, এমন মন-মানসিকতার ছেলে হবে।
বিয়ের আগে বিন্দুর আরেকটি চাওয়া হলো, ছেলেকে অবশ্যই বিন্দুর পেশাকে সম্মান জানাতে হবে।
বিন্দু বললেন, ‘আমি চাই, স্বামী আমার বন্ধু হবে। আমি কখনোই তার অতীত জীবন নিয় কথা বলব না। যদি আগে তার সঙ্গে কারও সম্পর্কও থেকে থাকে, তবে তা নিয়েও মাথা ঘামাতে চাই না। আর আমি আসলে এতটুকু বুঝি যে আমার এখন আর প্রেম করার সময় নেই। তাই পারিবারিকভাবেই বিয়েটা করব। ছেলের পরিবারে যদি তার মা থাকেন, তবে তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা হবে আসলে মা-মেয়ের মতো। আমার যেহেতু কোনো বোন নেই, তাই ছেলের বোন থাকলে সে হবে আমার বোন। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে অবশ্যই গ্র্যাজুয়েট।’
জাত, বংশ এসব নিয়ে মীমের ভাবনা নেই। মা-বাবার পছন্দের ছেলেকেই তিনি বিয়ে করবেন। তবে বিয়ের আগে ছেলেটি কেমন হবে বলে মীম প্রত্যাশা করেন?
‘আসলে আমি চাই যে ছেলের উচ্চতা যেন আমার মতোই হয়। শরীরে কোনো মেদ থাকাটা আমার পছন্দ নয়। মাথায় যদি টাক থাকে, তবে সেটিও ভালো লাগবে না। পড়াশোনায় অবশ্যই উচ্চতর ডিগ্রি থাকতে হবে। ছেলের অনেক টাকাপয়সা থাকতে হবে, এমন ধারণায়ও আমি বিশ্বাসী নই। ছেলেকে সংস্কৃতমনা হতে হবে। দেখতে অভিষেক বচ্চনের মতো হলে খুশি হব। সবার আগে একজন ভালো মনের মানুষ হতে হবে তাকে,’ বলছিলেন মীম।
মীমের আরও চাওয়া হলো, যাঁকে তিনি বিয়ে করবেন, সেই মানুষটিকে তিনি যেমন ভালোবাসবেন, মানুষটি তার চেয়েও তাঁকে বেশি ভালোবাসবেন। ছেলে মিষ্টভাষী হলে মীম খুবই খুশি হবেন। ছেলেকে পেশায় চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী হতে হবে।
বেশি ফরসা রঙের ছেলেকে বিয়ে করতে চান না শখ। ‘ছেলেরা বেশি ফরসা হলে তখন মেয়ে মেয়ে মনে হয়। এ জন্য ছেলের গায়ের রংটা শ্যামলা হলেই আমি খুশি। তবে ছেলেকে গুড লুকিং হতে হবে। তার উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি। ছেলে মধ্যবিত্ত হলেও আমি মেনে নেব, যদি সে একজন সৎ ও ভালো মানুষ হয়। ছেলের পরিবার যদি ভালো হয়, তবে সেই পরিবারের সঙ্গেই আমি ছেলেকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করতে চাই। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা চলনসই হতে হবে। আমি যেহেতু এখনো কারও প্রেমে পড়িনি, তাই বিয়ের পরই আমি আমার স্বামীর সঙ্গে প্রেমটা করে নিতে চাই,’ বললেন শখ।
সারিকার প্রথম চাওয়া হলো একজন সৎ মানুষ। যেকোনো পেশার ছেলে হতে পারেন, তবে যেন চিকিৎসক না হন। কারণ সারিকার বাড়িতেই এত চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁদের জীবনযাপন দেখলে মনে হয় চিকিৎসক ছেলে বিয়ে করলে সকাল আর গভীর রাতে ছাড়া তাঁর দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে কম করে হলেও গ্র্যাজুয়েট। ছেলের অর্থনৈতিক অবস্থা হতে হবে এমন, সারিকা এখন যেভাবে জীবন যাপন করছেন, সেভাবে জীবনযাপন যেন করে যেতে পারেন, সে দায়িত্ব নিতে হবে ছেলেকে। দেখতে অবশ্যই সুন্দর হতে হবে।
‘আমি যাকেই বিয়ে করি না কেন, সেই ছেলেটিকে আসলে আমার মন-মানসিকতার হতে হবে। আমাকে বুঝতে হবে। আমার চাওয়া-পাওয়াকে মূল্য দিতে হবে। বিয়ের পর আমি এখনকার মতোই অভিনয় ও মডেলিং করব, এ নিয়ে কোনো আপত্তি চলবে না। মনের দিক থেকে আধুনিক হতে হবে। অবশ্যই আমি তার কাজকর্মে সহযোগিতা করব। তার যেকোনো সুঃখ বা দুঃখের সাথি আমি হব। কিন্তু আমাদের দেশে সমস্যা হলো, আমরা বিয়ের সময় অনেক ভালো ভালো কথা বলে বিয়ে করি। বিয়ের পর আমাদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে আসে। আমি এই ভণ্ড মানুষ আমার জীবনে প্রত্যাশা করি না। এ জন্য আমি গুণবিচারী ও দর্শনধারী দুটোতেই বিশ্বাসী। বাকিটা নিয়তির ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’

পুত্তুম আলু
৪১টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×