পাকিস্তানে কুরানের বিরুদ্ধে ব্লাশফেমি করলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং মহানবীর বিরুদ্ধে ব্লাশফেমির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
কুরান তথা আল্লাহর বানীর চেয়ে আল্লাহর রাসুলের মর্যাদা বেশি কেনো গণ্য করা হইলো পাকিস্তানী ব্লাশফেমি আইনে সেই প্রশ্ন যাদের মনে জাগছে তাদের বুঝতে হবে যে মুসলিম উলামা সমাজ 'সুন্নাত' তথা মহানবীর জীবন যাপন কাজ কাম তথা মহানবীরে বিক্রি কইরা জীবন যাপন করে। মহানবী ইসলামে কোন পুরোততন্ত্র তৈয়ার করতে চান নাই। কিন্তু দেখা গেলোযে মহানবীরে কেন্দ্র কইরাই মুসলিম পুরোততন্ত্র গইড়া উঠলো যেই পুরোতরা নিজেদের উলামা বলে পরিচয় দেয়। হাদিসের বইগুলা মহানবীর মৃত্যুর শত শত বৎসর পরে এই উলামাতন্ত্রের হাতেই লিখিত। এই উলামারা জগতে সুন্নাত এবং বিদআত নামক দুইটা বস্তু চালু করেছে যার প্রথমটা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য অন্যদিকে দ্বিতীয়টা শিরকের পরেই প্রধান পাপ। তাদের এই ভাগাভাগির পক্ষে প্রমাণ হলো হাদিসের গ্রন্থগুলা যেগুলা আবার তাদেরই লেখা।
মহানবী তার জীবনে হাদিসের বই লিখে যান নাই, তার বিরুদ্ধে বহুত মানুষ কুৎসা রচনা করলেও তাদের সবাইরে ধইরা ধইরা মৃত্যুদন্ড দেন নাই, সেটা করতে গেলে ইসলাম কোন ধর্ম হিসাবে আবির্ভুত হতোনা। এই কাজগুলা উলামারা করলেও তা তারা বিদআত গণ্য করেনা, কারন সুন্নাত তথা মহানবীর ইমেজএর হেফাজতকারী তারাই, এখন সেই ইমেজ তাদের নিজেদের তৈয়ার হইলেও। তেমনি মহানবী ধর্ম শিক্ষার বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ হারাম ঘোষনা করলেও এই মহানবীর জীবন, যাপন, খানা পিনা কাজ কাম ইত্যাদি বিষয়ক ধর্ম শিক্ষা বিক্রি করেই উলামা সমাজের পেট চলে।