অলি আউলিয়ার দেশ বাংলাদেশ ।
পীর মুর্শিদ অলি আউলিয়া দের শানে বেয়াদবি করা মানে আল্লাহ রাছুলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা
***************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
যারা নুর নবী হজরত সা কে মানেনা , অলি আউলিয়াদের মানেনা
তারা মুলত কোরআন না বুঝে আল্লাহকেই মানেনা ।
আলা আউলিয়া আল্লাহু লা কাউফুন অয়ালাইয়াহযানুন ।
অর্থ নিশ্চয় আমার বন্ধু বা অলিদের ভয় নেই দুনিয়া ও আখেরাতে ।
কোরআন ।
এখন অলি কারা , হজরত বড় পীর শাহসৈয়দ সুলতান আব্দুল কাদির জিলানী রা , বায়েজিদ বোস্তামি , খাজা মাইন উদ্দিন চিশতী ,
হজরত শাহ জালাল ইয়েমেনি রা , হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি রা , , হজরত নিযাম উদ্দিন আউলিয়া প্রমুখ গন আল্লাহর অলি , আউলিয়া বা আল্লাহর বন্ধু ।
নবীজী বর্ণনা করেছেন , আল্লাহ বলেন আমার বন্ধু বা অলি যারা
তারা আমার জোব্বার চাইতেও নিকটে এবং অলিদের বিরুদ্ধে
অবস্থান নিলে আমি সয়ং মাবুদ যুদ্ধ ঘোষনা করি , হাদিস বায়হকি ।
পীর মুর্শিদ অমান্য করে তারা আল্লাহ ও তার রাছুল কে অমান্য
করে এবং তারাই মাঝার বা অলিদের মর্যাদা পূর্ণ পবিত্র সমাধি
ধংশ কারি ।
পীর অর্থ পথ দেখানো ওয়ালা / মুর্শিদ অর্থ দিক চিনানো ওয়ালা
নবীজী বলেন আল্লাহর বন্ধু বা আউলিয়া গনের মর্যাদা অতি উচ্ছ ,
তারাই আখেরি নবীর ইসলামকে জিন্দা রাখবে তার শাশ্বত কল্যানে ।
হাদিস , দুররে ছমিন । ৫১ কথিকা ।
কোরআনের আয়াত
যারা বায়াত হয় বা মুরিদ হয় তাদের হাত রাছুলের হাতের উপর আর রাছুলের হাত আল্লাহর হাতের উপর । নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা শীল ।
কোরআনের একটি অক্ষর বা আয়াত কে অস্বীকার কারী আল্লাহকে অস্বীকার কারী , আর যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে
তারা নাস্তিক , তাদের ধর্ম কর্ম , এবাদত , আল্লাহর নিকট গ্রহণীয়
নয় ।
সয়ং নবীজী ইসলামের মুর্শিদ
*************************
তৌহিদেরও মুর্শিদ আমার মোহাম্মাদের নাম
অলি আউলিয়াদের মাজার প্রসঙ্গ এবং তার হেফাজত
*************************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
মাঝার প্রসঙ্গ
কবর ৩ প্রকার
১ সাধারন মানুষের সমাধি
২ অলি আউলিয়া গন বা আল্লাহর বন্ধুগনের মাঝার বা পবিত্র সমাধি
৩, দয়াল নবীজী সা এর রওজা মোবারক ।
আল্লাহর পরে যার স্থান তার রওজা শরিফের নাম নিতে হলে মোবারক শব্দটি তাজিমের সহিত ব্যবহার করতে হবে ।
সৃষ্টি জগতে তার রওজা মোবারকের সহিত আর কারও কিছু র
তুলনা করা বেদাত ।
মাঝার হল আল্লাহর বন্ধুগন যারা অতি পবিত্র আত্মা তাদের পবিত্র
সমাধি ।
একটি উদাহারন
খাজা মাইনুদ্দিন চিশ্তি রা এর মাঝার শরিফ আজমির
বাদশা আওরংগ জেবের আমলে এক দল লোক বাদশাহের দরবারে ফরিয়াদ জ্ঞাপন করেন , বাদশা নামদার মাঝারে গান বাজনা হয় এবং তা ইসলামে বেদাত যদি মাঝারটা ভেঙ্গে ফেলতেন উপকার হত ।
বাদশা নিজের মাঝারের সম্মুখে উপস্থিত । হে খাজা মাইন উদ্দিন
চিশ্তি রা আপনি যদি আল্লাহর সত্য অলি হয়ে থাকেন তাহলে
আমার ছালামের উত্তর দিন আর যদি মিথ্যাবাদি হন তাহলে
ভেঙ্গে ফেলব । একবার দুইবার তিন বার চারবার , চার বারের
সময় উত্তর আসল অয়া আলাইকুম ছালাম ইয়া বাদশা আওরংগ
জেব ।
বাদশা , হুজুর আমি চার বার ছালাম দিলাম বাকি ৩টি ছালামের সময় আপনি কোঁথায় ছিলেন ।
হে বাদশা আমি ১ম ছালামের সময় ছিলাম আল্লাহর দরবারে
২য় ছালামের সময় ছিলাম
নবীজীর রওজা মোবারকে
এবং ৩য় ছালামের সময় ছিলাম বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী
রা এর হেরেম শরিফে
এবং ৪তুরথ বার এসে উত্তর দিলাম ।
বাদশা ভয়ে কম্পমান হয়ে তার সমাধিকে কোটি টাকা খরচ করে
উজ্জ্বল আদর্শ সৃষ্টি করলেন ।
মৃত্যুর পর আউলিয়াদের রুহ আত্তাধিক রহমতে আরও প্রবল হয় ।
***********
এই মাঝারের খাদেম আল বিরুনি , তার বাবা ১২ বছর পরে তাকে
আল্লাহর কৃপায় লাভ করেন ।
তারা শোকরিয়া এবং মানত অভিপ্রায়ে মাঝারে আসে
পাশেই ঘরম পিরের মাঝার তার নিকটে গেলে বাচ্চাটি প্রশ্রাব করে
দেয় , সাথে সাথে শিশুটি মারা যায় । শিশুটির পিতামাতা মৃত
লাছ টিকে খাজা মাইনউদ্দিন চিশতীর মাজারে নিক্ষেপ করে , এবং ফরিয়াদ জানায় এতদিন পর আমাদের আশা জীবিত পুত্রকে
নিয়ে এসেছিলাম আজ এখানেই মরল তাই লাছটিও তোমার
পায়ে রেখে গেলাম ।
মাঝারের স্পর্শ পাওয়া মাত্রই বাচ্চাটি জিন্দা হয়ে কাদতে লাগল ।
নবীজীর বানী
তোমরা দুনিয়ার চাইতে কবরকে বেশি ভালবাসবে এবং হেফাজত
করবে এতে পুন্যর কাজ ।
হাদিস বায়হকি ।
এতএব মহান অলিদের পায়ের ধুলির সমান বর্তমান যামানার
আলেমগন নয় ।
মহান আউলিয়া কেরাম গন সাহাবিদের আউলাদ ।
আর বর্তমান যামানার কীর্তিকলাপ ভাল নয় ।
অনেকেই পীর সাজে ভণ্ডামি করে , মিথ্যা কাজকারবার করে
এদের নিকট থেকে সাবধান ।
আর যারা ভাল তাদের নিকট গিয়ে সত্য জানা এবং তওবা করা
ফরজ ।
ভণ্ডদের নিকট থেকে রক্ষা আর ভালর দিকে যাওয়া আল্লাহর
হেদায়েত ।
এখন কেমনে ভাল মুর্শিদ বা পীর চিনব ।
ভাল মুর্শিদ বা পথ দেখানোওয়ালা কখনও কোরআন হাদিস
অমান্য করবেনা , বেদাতি কাজকারবার করবেনা , শরীয়ত বজায়
রাখবে ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে দূরে
থাকার নির্দেশ দেবে ।
এমন মহান ব্যক্তির নিকট তওবা করা ফরজ ।
আল্লাহর ক্ষুত্রত
অলি আউলিয়াগনের আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা ও হেদায়েত এর নুর
****************************
******************************
রচনা , ডঃ আল্লামা মাওলানা মোহাম্মদ মাসউদ মিয়া শাহী
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
*************
আত্তাধিক উত্তম জীবন আদর্শ
***********************
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
: আউলিয়াগনের আল্লাহ্ প্রদত্ত ক্ষমতা ও মর্যাদা ।
আউলিয়াদের আল্লাহ্ প্রদত্ত ক্ষমতা এবং রহমত
******************************************
নবীজীর মুজেজা এবং আউলিয়া কেরামগনের কারামত আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব মুক্তির দিশা ।
আল্লাহর ক্ষুত্রত নবীজী ও আউলিয়াদের রূহানী শক্তি মুসলমানদের জন্য মস্তবড় রহমত ।
********************************
আল্লাহর বন্ধুর সাথে শত্রুতায় আল্লাহর যু্দ্ধ ঘোষণা
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]
নবীজীর আদর্শ জীবনী ও মুজেজা থেকে
শিক্ষা
******************************
মুজেজা নবীজীর প্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।
*******************************
মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা সাহাবিদের নিয়ে মদিনায় পরিখা
খননে ব্যস্ত , শত শত সাহাবি প্রানান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটি
মাথায় বহন করে শক্ত বাধ নির্মাণ এবং মদিনাকে শত্রুদের হাত
থেকে রক্ষা করতে খাল খননে ব্যস্ত ।
নবীজীর প্রিয় সাহাবী লক্ষ্য করলেন নবীজীর পেটে পাথর বাধা ,
পেট মোবারক ইশদ কুঞ্জিত ।
সাহাবী নবীজীর শুকনো মুখ মোবারকলক্ষ্য করে বাড়ি চলে আসে
একমাত্র সম্ভল মেষ ছাগ জবাই করে স্ত্রীকে কিছু যব পিষে খামি
বানাতে তাগদা দেয় ।
নবীজীর কানে কানে দাওয়াত দেয় সাহাবী , নবীজী তাৎক্ষনিক
সব সাহাবাকে দাওয়াত দিতে তাগদা দেন ।
সাহাবী দাওয়াত দেন সবাইকে
যথা সময়ে দলবল লয়ে নবীজী ঐ সাহাবীর বাড়িতে উপস্থিত ।
আবুআইয়ুব আনসার রা এর স্ত্রী হতবাক , খাবার মাত্র ২/৩ জনের
আর লোক ৪ হাজারের অধিক হবে ।
নবীজী রান্না করা মাংস এবং খামির মধ্য কিছুটা থুথু মোবারক
মিশিয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে বললেন ।
সাহাবী তাই করলেন এবং সমস্ত সাহাবিদের মধ্য বিতরন করার
পরও আরও খাবার বারন্ত রইল ।
এবার সাহাবীকে ডাকলেন দয়াল নবীজী তোমার ২ সন্তান কোথায়
ডেকে নিয়ে এস । উল্লেখ্য আবু আইয়ুব রা এর ২ ছেলে কে নবীজী খুব স্নেহ করতেন এবং যখনি আসতেন তারা দূর থেকে
নবীজীর নিকট দৌড়ে যেতেন ।
সাহাবীর মৌনতা দেখে নবীজী কিছু আচ করতে পেরে ডাক দিলেন
হে নাতি ইব্রাহিম ও সাদি তোমরা আমার নিকটে এস । আমি তোমাদের রেখে কখন ও কিছুই মুখে দেয়নি । ডাকের সাথে সাথে
ঘরের কোনে চাদর দিয়ে মৃত দুভাই জিন্দা হয়ে নবীজীর
পাশে চলে এল এবং জবাব দিল আনন্দে নবীজীর ললাট মোবারকে খুশি প্রকাশ পাইল ।
ঘটনা ক্রমে দুভাই পিতার মেষ জবাই দেখে চুরি লয়ে পাশের জংগলে চলে যায় এবং একে অপর জনকে ছাগল জবাই করার মত খেলাচ্ছলে চুরি চালিয়ে দেয় এবং জবাই করে বসে ।
অন্য ভাই ভয় পেয়ে ঘরের ছাঁদে আশ্রয় নেয় এবং সেখান থেকে ভয় ও অনুসুচনায় লাফিয়ে সেও মারা যায় । অথচ
কেমন সাহাবা ছিল শুধু নবীজীকে রাজি খুশি রাখার জন্য
এতবড় শোক ভুলে ছেলেদের লাশ চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন
ঘরের কোন এক স্থানে ।
নবীজী তাদের নাম ধরে ডাক দেওয়ার সাথে সাথে তারা দিব্বি
জিন্দা হয়ে নবীজীর সাথে বসে খানা খায় এবং কথা বলেন ।
আল্লাহু আকবার / ছুবহান আল্লাহ বলুন
নবীজী দাওয়াত খেয়ে আবার পরিখার কাজে চলে গেলেন তার
প্রিয় সমস্ত সাহাবাদের নিয়ে ।
আর আশ্চান্নিত হলেন অনেকেই ।
পরের দিন ১০০ শত নব্য সাহাবি কালমা পাঠ করেন ।
লাইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুররাছুলুল্লাহ ।
মুজেজা নবিজিরপ্রতি আল্লাহর মহত্ত্ব ।
হাদিস সংকলন থেকে ।
সালতানাত নুর নবী সাল্লাল্লাহু আ কে দেখতে চান ?
বিশিষ্ট সাহাবা গনের অভিমত ।
হযরত আবুবকর রা আনহু কবি ও সুবক্তা ছিলেন । তিনি এক রেওয়াতে ফরমান নবীজী কে তখনকার আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলেই ভালবাসতেন এবং আলামিন নামে ডাকতেন । দূর দেশের
এক পথিক ইসলাম গ্রহন করলে ঐ সাহাবা ফরিয়াদ করলেন ইয়া
রাছুলাল্লাহ আমার একটি মাত্র মেয়ে তাও বোবা আপনার যদি
দয়া মিলে । নবীজী বললেন বাড়ী ফিরে যাও । অনেকেই আশ্চর্য্য
হলেন । লোকটির বাড়ী হাজার মাইল দূরে আবিসিনিয়ায় । ২য়
বছর ঐ লোকটির সাথে আবুবকর রা এর সাথে বানিজ্য সাক্ষাৎ
হে বন্ধু তোমার মেয়ের খবর জানতে চাই । আল্লাহর কসম
আমি বাড়ি গিয়ে আমার মেয়েকে কথা বলতে শুনেছি । এবং তার
মুখে নবীজীর পবিত্র নাম ও দরুদ শুনেছি । প্রস্ন করলাম দরুদ কে
শেখাল । উত্তর এক সুন্দর লোক আমার মাথায় হাত বুলাল ।আমার জবান খুলে গেল এবং আমাকে এই দরুদ শিখাল । ছুব হান আল্লাহ । আমি যখনি লোকটিকে দেখবার ইচ্ছা রাখি ১০০০
বার দরুদ পড়ে ডান কাঁতে শুয়ে থাকি তন্দ্রার মধ্য তিনি সাক্ষাৎ দেন ।
ছহি মুসলিম । দুনিয়াতে একবার যার ভাগ্য দয়াল নবীজীর দিদার মিলবে হযরত আলী কাররামুল্লাহ বলেন তার জন্য
দুযখের আগুন হারাম এবং বেহেস্ত অয়াজিব । ফারুকে আজম
ওমর রা বলেন নবীজীর দরুদ ব্যথিত কোন এবাদতেই আল্লাহর
দরবারে কবুল হয়না । ও সমান গনি রা বলেন যারা তার প্রানের
চাইতে নবীজীকে ভাল না বাসে ততক্ষণ সে ইমানদার নয় ।
হযরত আবু হুরাইরা রা বলেন যে নবীজীর উপর একবার দরুদ
পাট করে আল্লাহ বদৌলতে দশবার রহমত বর্ষণ করেন দশ গোনাহ মাফ করে দেন্ দশ মর্যাদা বাড়িয়ে দেন । হযরত ইবনে
মাস উদ রা বলেন আল্লাহর কতক ফেরেস্তা পৃথিবীতে ভ্রমন করে
এবং আমার উম্মতের ছালাম আমার নিকট পৌঁছায় ।নাসায়ি ও
দারেমি / মুসলিম শরিফ ।
নবী পাক সা আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম এর জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আরশ মহল্লা ধন্য হয়েছিল ।
******************
মেরাজে গমন বোরাকে চড়ে আল্লাহর দরবারে যান মহানবী হযরত
মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম । জিবরাঈল আ সফর সঙ্গি আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয় । লক্ষ কোটি ফেরেস্তা দরুদ ছালাম ভেজে নবীজীকে স্বাগতম জানায় । ১ম আকাশে আদি
পিতা আদম আ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন । ২য় আকাশে মুসা আ ,৩য় আকাশে হারুনইদ্রিস আ ৪রথ আকাশে ইশা আ ৫ম আকাশে ইয়াকুব ৬স্ত আকাশে নুহ লুত আ ৭ম আকাশে ইব্রাহিম আ সবারসাথে ক্রমান্বয় সাক্ষাৎ লাভ করেন । ৭ম আকাশ পাড়ি দেবেন জিব্রাইল আ বিদায় আরজ করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ আমার
আর তিল পরিমান অগ্রসর হওয়ার সাধ্য নাই । যদি হই আমার সারে ৬ শত নুরের পাখা জ্বলে ভস্ম হয়ে যাবে । নবীজী একাই রব রবে আরোহণ করলেন । সিদ্রাতুল মুন্তাহা নামক আরশ মহল্লায়
পদার্পণ করলেন । তিনি জুতা মোবারক খুলবেন কি খুলবেন না ইতস্ত মনোভাব ।গাইবি আওয়াজ আসল হে আমার প্রিয় মাহবুব
আপনি যেমন অতি পবিত্র আপনার জুতা মোবারক আমার দরবারে তেমনি পবিত্র ছুবাহান আল্লাহ । আর দুনিয়ার জমিনে
তার উম্মতের নাজাতের জন্য মদিনার মাটিতে শুয়ে ইয়া হাব্লি
উম্মতি অর্থাৎ হে আল্লাহ আমার উম্মত কে বাচাও ।নাজাত দাও
প্রভৃতি আরজ করে কাদছেন । আজ আমরা তার কেমন ইমানদার উম্মত হয়েছি । কবি আল্লামা মাওলানা রুম বলেন
আসলে ঈমান রুহে কোরআন মগজেদিন হাস্তে হুব্বে রাহ মাতুল্লিল আলামিন অর্থ ঈমানের মুল কোরআনের জ্যুতি ইসলামের মগজ তিনি যিনি সমস্ত জগতের রহমত । আর বেঈমান বেদীন কাফের মুস্রেক গন নবীজিকে লয়ে ছবি বানিয়ে
বিক্রিত করে তার মহান শান কে । আল্লাহ পাক বলেন হে মানব
ইচ্ছা করলে আমার হাবিবের খাতিরে আমি সমস্ত জাতিকে মাফ
করে দিতে পারি কিন্তু আমি তা করবনা যতক্ষন আমার দুস্ত আমাকে না বলবে । আল্লাহ সবাই কে হেদায়েত ও রহমত দিন ।
দয়াল নবীজির উপর আমাদের অজস্র দরুদ ও ছালাম আচ্ছালামু
আলাইয়েকা ইয়া রাছুলুল্লাহ তাজ দারে মদিনা দুজাহান কা সুলতান । আমাদের জন্য আপনার দয়া দৃষ্টি হোক । আমিন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৬