ইসলামের মহান সত্যর আহবানে কবিগনের ভুমিকা
*************
কোরআনের ১১৪ টি ছুরার একটি ছুরার নাম কবিগন ।
নবীজীর দুনিয়ায় আগমনের ১০০ বছর পূর্বে এক কবি তার আগমন
সংবাদ পৃথিবী বাসীকে জানিয়ে ছিলেন । নাম তার যুবায়ের তালহা
প্রথম কাব্য কথা
হে জগত বাসী জান
কেটে যাবে তমাসাব্রিথা অন্ধকার
তার আগমনে ,
আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের চাইতে
নুরের ঝলক ছড়াবে তার রৌশনে ।
যদি দেখা মিলে সেই মহামহতির
চরন মোবারক দর্শনে
নিজেকে ধন্য জানিব সার্থক রহমতের
এক বেহেস্তের লভিত বাগানে ।
কবির কবিতা নবীজীর দাদা আব্দুল মুতালেব এর দৃষ্টি কেড়েছিল ।
তাই নবীজীর দুনিয়ায় আগমনের সময় আল্লাহর ক্ষুত্রতে এক
নুরের রউশনায় সমগ্র জাহান আলোকিত হয়েছিল ।
মিশরের মনি মুক্তা খচিত ১৪ টি রাজ তোরণ ভেঙ্গে পড়েছিল ।
হাজার বছরের জলন্ত অগ্নিশিখা মুহূর্তেই নিস্প্রভ হয়ে গিয়েছিল । মা আমেনার কুলে বেহেস্তি চাঁদ লুটাইল ।
সারা আরব গগনে আকাশ বাতাস বৃক্ষ তরু মানব দানব জীন ,
ফেরেস্তা সকল মারহাবা , মারহাবা বলিয়া আনন্দ মিছিল সহকারে অনাবিল শান্তি ও মুক্তির বার্তা জ্ঞাপন করিল ।
দাদা আব্দুল মূতালেব দাসির নিকট হইতে এ আনন্দ সংবাদ
পাইয়া ,সাথে সাথে তর্জনী উম্মুচন করিয়া দাসিকে আজাদ করিয়া দিল ।
নবীজী বর্ণনা করেন , আমি দেখতে পাই আমার দাদা মৃত্যুর পর কবরে, তার চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা , সে যখনি কষ্ট
অনুভব করে তক্ষনি যে আঙ্গুলের ইশারায় আমার আগমন শুভ
সংবাদ শুনে দাসিকে আজাদ করে দিয়েছিল , সেই অঙ্গুলি মুখে
পুড়তেই দুযখের আগুন নিভে যায় এবং বেহেস্তের বারী বইতে থাকে ।
হাদিসে কুদসি
ইসলামের ১ম খলিফা এবং দয়াল নবীজীর সদা সাথি প্রিয় বন্ধু সাহাবি আবু বকর রা আনহুম ও ছিল একজন কবি ও সুবক্তা ।
ইসলামের সোনালী যুগে বহু কবি সাহিত্যিক জ্ঞানি গন ইসলামের পক্ষে সত্য সত্য লিখে হেদায়েত এর দিক নির্দেশ
দিয়ে গেছে তাদের রহমি লেখনির মাধ্যমে ।
আত্তাধিক ছুফি কবি গন ইসলামের উজ্জ্বল প্রদীপ হিসাবে সমাদৃত । পারস্য কবি ইবনে খৈয়াম , রুমের কবি মাওনালা জালালুদ্দিন রুম , শেখ সাদি , সহ বহু মুসলিম কবিগন ইতিহাসের জলন্ত সাক্ষি , ।বাংলাদেশ ও পাক ভারত সাম্রাজ্য যিনি সর্বপ্রথম ইসলামের বিজ রূপণ করেন তিনি হলেন ইয়েমেন আরবের বিখ্যাত আউলিয়া ও কবি শাহ জালাল রা
। যার মাধ্যমে আমরা পাইলাম সত্যর সন্ধান ও মুক্তির শানিত
আহবান ।
আরও ইসলামের বাঙালি কবিগন কি কম সাক্ষর রাখল , আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং ফররুখ আহম্মদ , গোলাম মস্তুফা , মীর মশাররফ হোসেন সহ অনেক
নামি দামি লেখক তাদের প্রতিভার উজ্জলতা ইসলামের পক্ষে
রচিয়া গেল ।
তাই কবিগন আল্লাহর রহমতি সংবাদ ।
নবীজী এ সম্পর্কে বলেন
লেখকের বা বিদ্যানের কলমের কালি শহিদের রক্তের চাইতে পবিত্র ""
আল হাদিস ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩১