স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু
************
এক জাতীয় সত্ত্বার ধারক বাঙ্গালীর প্রানপুরুষ
যার বক্ষে ছিল স্বাধীনতার বজ্রকন্ঠ
উদ্যাত আহবান শকুনের বিরুদ্ধে ,
হাজার বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এ জাতীর বিনাশ
মেনে নেয়নি জাতীর কাণ্ডার বাংলার সূর্য সন্তানেরা
তাইত বিপ্লবি চেতনার উম্মেষ ।।
বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র স্বত্বা মিশিয়ে দিল জাতীর পাশে ।
তার শাশ্বত ডাকে এক হল বাঙ্গালি , এল স্বাধিকার
তার ঝনসানি তেজদিপ্ত ভাষণ রেসকোর্স ময়দানে
মহাসমুত্র জনতার ।
উচ্ছারনে ছিল দূর্বার চেতাগ্নি
ঃ রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব তবুও এ দেশকে
মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ । এ বারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম '
ঘুমন্ত জাতীর বীর দামাল সন্তানেরা জেগে উটল
শেখ মুজিব হল রাজনৈতিক গ্রেফতার
পাকিস্তানিরা নির্বিচারে ঘুমন্ত জাতীর উপর চালায় গুলি
মুক্তিবাহিনী ধিরে ধিরে ওদের সাজুয়া বাহিনী কে পরাস্ত করে
নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে আনে ।
২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জত আর ৩০ লক্ষ শহিদের ত্যাগের
বিনিময়ে আসে কাংকিত স্বাধীনতা ।
বন্ধবন্ধু মুক্তি পায় , ফিরে আসে বাঙ্গালীর প্রানে
শুরু হয় দেশ গড়ার সংগ্রাম ।
মানুষ শোক ভুলতে শুরু করে লাউয়ের ডাটা আর ঝাউ খেয়ে
এর পরেও মানুষ বন্ধবন্ধুর সাহসি পদক্ষেপে ঘুরে দ্বারায় ,
আসে বাঙ্গালীর মুক্তি , নানা কাজে নানা চেতনা সংস্কৃতিতে ।
হটাৎ একদিন আবার বাংলার বুকে যেন নেমে আসে
ভিবিসিকাময় অন্ধকার ,
বঙ্গভবনে পি্চাশের নারকিয় কালছায়া
স্বপরিবারে ধুলায় লুটায় বাংলার তেজদিপ্ত কণ্ঠের মহানায়ক ।
রক্তের প্রতিটি ক্ষনায় উচ্ছারিত হয় স্বাধীনতার কথা ।।
আমরা সেই চির অজেয় বাঙ্গালী শেখ মুজিব কে কখনও ভুলবনা ।