somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্বাচিত গিতিকাব্য হৃদয়ে যে সুর বাজে ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

***************হৃদয়ের গান****** ।।
নির্বাচিত গিতিকাব্য হৃদয়ে যে সুর বাজে ।
হামদ নাত / দেশাত্ত বোধক ও লোক গান
হৃদয়ে যে সুর বাজে
কথা ও সুর
এম জি আর মাসুদ রানা ।কবি , সাহিত্যিক ও গীতিকার ।
কাব্য , কথা ও সুর
************* এম , জি, আর, মাসুদরানা ।
নির্বাচিত গিতি সংকলন
******************


************ কাব্যকথা
সুরের ভুবনে মন ঠানে ,তাইত মানুষ অবসর বিনোদনে সুর সঙ্গিত কে প্রাধান্য দেয় । সুরের মাধ্যমে আত্মার প্রশান্তি আসে ।
যুগে যুগে কত মহামুনিষি, কবি , সাধকবাউল , নানা ব্যাঞ্জনায় নানা মূর্ছনায় ফুটিয়ে গেছে সুর মানুষের ভাবতরঙ্গে । সুরের মাধ্যমে সাধক নির্বাণ করে
দেহের অন্ধকার । দিকভ্রান্তকে দেখায় সত্য ও ন্যায়ের পথ নির্দেশ ।
সঙ্গিত চর্চার বিষয় , বুঝার বিষয় ।
সঙ্গিত কে সবাই ভালবাসে । তেমনি আমার রচিত কিছু আধ্যাত্মিক, মুর্শিদী , ও তাত্ত্বিক লোকজ সঙ্গীত
পাঠকের সামনে তুলে দিলাম । নিশ্চই ভাল লাগবে ।

****** এম, জি, আর, মাসুদ রানা
কবি / সাহিত্যিক , সম্পাদক ,গীতিকার , সংঘটক , গবেষক , দার্শনিক , ও আধ্যাতিক ইসলামী চিন্তাবিদ ।।
সংশ্লিষ্ট , জাতীয় প্রেস এবং ইন্টারন্যাট অনলাইন সমন্বয় কমিটি ।
সকল প্রশংসা আল্লাহর ।
হামদে এলাহি
দয়া চাহি ও দয়াময় জগত ও কাণ্ডার
করুণা কর মোদের ওগো পাক পরুয়ার
যত দয়া পাইতে মোরা
তোমারি দরবারে খাড়া
নাই ভরসা তুমি ছাড়া জলিল ও জাব্বার
যদি তোমার দয়া হয়
ভেঙ্গে যায় সকল সংশয়
নাহি থাকে কোন ভয় ঘুচাও অন্ধকার
যেন বিপদে তোমায় না ভুলি
কোন বিপথে নাহি চলি
ফুটাই দিলে মহান ধবনি আল্লাহু আকবর ।
হামদে এলাহি ও সৃষ্টি রহস্য
***************
স্মরণ কর নামটি মাওলার
যিনি পাক পরুয়ার
সবি তার ক্ষুত্রতি কারবার
যখন ছিল আল্লাহ্ই আল্লাহ্‌ নাই কিছুই আর
করতে প্রকাশ ক্ষুত্রতি নুর ইচ্ছা জাগে তার
শুন্য অন্ধকার হইল ঘুয়াকার
সবি একাকারে হইল জলাকার
ঘূর্ণি উটে জলে
সেথা ডিম্ব ফুটিলে
প্রলয় নাছিয়া ডিম্ভু ফাটিয়া
হইল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তৈয়ার ।
নুর হতে নুর স্রিজিয়া
নুর মোহাম্মাদ প্রকাশিয়া
ত্রিভুবন জুড়ে যত সৃজন ও করে
দূর হইল নবীজীর নুরে সকল অন্ধকার ।
আরশ কুরশি লৌহ কলম
১৮ হাজার সৃষ্টি আলম
সাজাইলা প্রেমের কানন
সবি গাহে প্রশংসা তোমার ।
কবি মাসুদ কহে ওহে মাওলা
সবি তোমার ক্ষুত্রতি লিলা
তুমি কর নিজগুনে দয়া
খেলা বুঝার সাধ্য কার ।

**************নুর নবীজীর শুভআগমন রহস্য ।।

তুমি আদিতে নুর আল্লার হে রহমতের ভাণ্ডার
আকার লইলে আসি মানব বেশে
মোহাম্মাদ নামে অবশেষে

ক্ষুত্রতে কামিলে ঝিন্নুকেতে তুমি ছিলে
ডিম্ভু ফুটাইয়া ত্রিভুবন জুড়িয়া সৃষ্টি সমূদয় প্রকাশিলে
দশ দিগন্তে সেই নুর উজ্জ্বল হয়ে ভাসে ।

ছিলে তুমি আরশেতে সেতারা রূপে আকাশেতে
১৮ হাজার মাখলুখাত পয়দা হয় তোমার নুরেতে
নিজে খোদা বন্ধু হইয়া নাম বসাইলেন তার পাশে ।

ফেরেস্তাদের ছুরতে তাদের শিক্ষা দিলে
আরশে মহল্লায় আল্লাহর ক্ষুত্রতি পায়ে সেজদা দিলে
লৌহ কলম ৮০ হাজার আলম নুরে প্রকাশে ।

শাজ্রাতুলে ক্ষিন ডালে ময়ুর রূপে তুমি ছিলে
আল্লাহর ক্ষুত্রতে তোমার নুর হতে সব রুহ স্রিজিলে
রুহ সব জানায় ছালাম তোমারি আশে ।

বানায় খোদা আদম ছবি ফেসানিতে দিল নুরে মোহাম্মাদই
আদম থেকে ক্রমে নুর পৌঁছল এসে কপালে আব্দুল্লার
মা আমেনার কুলে নুরের চাঁদ হাসে

উম্মতি তরাইতে আসিলেন নেমে মক্কাতে
দূর হইল পাপ তাপ তার নুরের ঝলকেতে
করিলেন প্রচার ইসলাম লইয়া পাক কালাম দুনিয়ায় এসে ।

মক্কা আর মদিনার মাঝে সুসংবাদের বাজনা বাজে
কাফেরের দল মরে লাজে
শয়তানের বাসা সব ভেঙ্গে পড়িল খসে ।
ইসলামের আলো মুক্তির বানী
**********
ঈমানের অমুল্য ফসল পাক কালমাতে লুকানো রয়
সুদ্ধ দিলে একবার পড়লে সেইজন খাটি মুসলমান হয়
জপিলে পাক কাল্মা লাইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদ রাছুলাল্লাহ
দূর হইবে দিলের ময়লা
ওরে দেহ হবে নুরে উজ্জলা দিন কাটিবে বরকতময় ।
যেজন পাঞ্জেখানা ছালাত আদায় করে
তার সর্ব অঙ্গে নেকি ধরে
পাপ তাপ যায় ঝরে
সে মুমিন খোদার প্রিয় মিলবে তার জান্নাতের পরিচয় ।
যেজন আত্তসুদ্ধি লাভে রাখে রোযা
পরকালে তার রাস্তা সুজা
থাকবেনা পাপের বুঝা
পাবে সে জান্নাতে সয়ং মাবুদের দিদারের বিনিময় ।
যেজন করবে হজ , যাকাত আদায়
নেকি লিখা হবে তার আমলনামায়
পার হইবে নিধানের পুলছেরায়
পাবে নবীজীর শাফায়াত কবর মিজানে থাকবেনা ভয় ।
এম , জি, আর, মাসুদ রানা



****************
নাতে রাছুল
আরশ হতে সয়ং ইসলাম এল নেমে
সয়ং রহমত এল নেমে
দরুদ ছালাম রাছুল নামে
তার রহমতি খোশবো ফুলে ফুলে
নাম লয়ে পাখিরা মধু বুলে
সারা জাহানে ফুটে তার নুর
আরবের মরু তার চরন চুমে ঐ
তার নুরে রবি শশি গ্রহ তারা
আধারে ফুঁটায় আলোর ফোয়ারা
রহমত ঝরে জগত জুড়ে
দশ দিগন্তের সব মোকামে ঐ
রহমত তার অঝর দ্বারায়
মাটির ডালি সাজে সজীবতায়
ভরে মধু রস ফুল ফসলে
আহার করে তাই আদমে ঐ
হুর গিল্মান আর ফেরেস্তা
নবী অলি সাধু আশেকেরা
তার শাফায়াতের নায়ে দিতে পাড়ি
মদিনায় ছালাম জানায় তাজিমে ঐ
: নুর নবীজীর শানে নাত
****************
আমার জিন্দা নবী আছেন মদিনায়
আমার দয়াল নবী আছেন মদিনায়
অলিগনে সদায় দেখে তার দিলের ও আয়নায়

দয়াল নবীজী কামলে ওয়ালা
উম্মতের লাগি কান্দিলা
শাফায়াত করিবেন উম্মতেরে
কবর , হাসর , মিজান , পুলছেরায়

রবি , শশি , গ্রহ তারা
দয়াল নবীজীর নুরের ইশারা
জীন , ইন্সান , আর ফেরেস্তারা
সদায় ছালাম ভেজে মোবারক রওজায়

যত নবী অলি , মুমিন , সাধু
লভিল সে নামের মধু
নামে ভরা রয় যাদু
ভেজে দরুদ সয়ং মাওলায়

কবি কহে হে রহমতের ভাণ্ডার
যেন মিলে রহমতি দিদার
নুর তোমার বধন মোবারক আনোয়ার
শান্তি দাও মোর কলিজায় ।
নুর নবী হযরত ঈমান
*******

চিনতে হবে ঈমান রত্ন
রাখ দিলে অতি যত্ন
তিনিই খোদার সেরা নেয়ামত
মোহাম্মদ সা নুর নবী হজরত ।
তারি রহমত সকল সৃজন
কুল মাখলুখাত নুরে রৌশন
তিনি খোদার প্রিয় হাবিব
আমরা শ্রেষ্ঠ তার উম্মত ।
ইসলামের সওদা লয়ে
জগত মাঝে দিক চিনায়ে
কোরআনেরও বানী দিল
পাইতে পুন্য পথ ।
এস সবে তারি প্রেমে
জানাই দরুদ ছালাম তাজিমে
ঐ মদিনায় মন ফেরাই
তিনিই সব উম্মতের শাফায়াত ।
হে দয়াময় বারী তায়ালা
দাও সে দয়ার ঈমান নুরেলা
তিনিই আসল কাবা কেবলা
নুরী কালমার জান্নাতি সওগাত ।

*** : হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হেওয়াছাল্লাম এর শানে নাত

পরশ মনি ঈমানি জ্যুতি মোহাম্মাদী নামেতে
ঐ নামের ও ওড়ে নিশান ত্রিভুবন জগতে
চাঁদ সুরুজ পাহাড় দরিয়া
মহিমা গায় ঢেউ খেলিয়া
সৃষ্টি হল আদম হাওয়া
ঐ নামেরও বরকতে ঐ
আরশ কুরশি লৌহ কলম
সৃষ্টি ১৮ হাজার আলম
পড়ে তাজিমে দরুদ ছালাম
দয়াল নামের রহমতে ঐ
নামে ভরা কত মধু
নবী অলি ফকির সাধু
দিবা নিশি ডাকে শুধু
মুক্তি পাইতে তার শাফায়াতে ঐ
ভাবুকে কয় দয়ার ভাণ্ডার
রহমতের দাও হে দিদার
যত রয় উম্মত গোনাহগার
তরাইও কটিন মুছিবতে ঐ
স্বর্গ নরক কর্ম ফলে
ডাকি নামটি তাই নিরলে
রাখিও রহমতের নজর খুলে
জানাই ছালাম মদিনাতে ঐ
****** নাতে রাছুল সাঁ
আমি যাব মদিনায় ২ বার
দিদার দাও ওগো আমার দয়াল নবী মস্তুফায়
ঐ মদিনার ধুলিকনা
খাঁটি সোনার চাইতে সোনা
অঙ্গে মাখলে ঝরে গোনা
তার রহমতের ছোঁয়ায় ঐ
কাবা ঐ কাল পাথর
পবিত্র করে মমিনের অন্তর
নবীজির স্পর্শে এই পাথর
হল রহমত দুনিয়ায় ঐ
আশেক মাসুদ কেঁদে বলে
দয়াল নবীজির দিদার পাইলে
রাখতাম চরন মোবারক মাথায় তুলে
সুরমা বানাইয়া সদা সর্বদায় ঐ
৩।নাতে রাছুল সাঁ
মধুর বাণী শুনি গোঁ দয়াল মধুর বাণী শুনি
আকাশে বাতাসে ভাসে মোহাম্মাদ নামের ধ্বনি
ঐ নামে ফুল ফুটে ভ্রমর অলি ওড়ে
মন জুড়ায় সৌরভে বিশ্ব জগত জুড়ে
তামাম মাখলুক পয়দা হল পাইয়া তার রুহানি ঐ
ঐ নামেতে রবি শশী জগতে ফুটায় গো হাসি
নুরে নুরে দিবা নিশি জ্বলে আলোক রাশি
সেই আলোকের দ্বীপ জ্বেলে পথের দিশা জানি ঐ
ঐ নামেতে পাখিরা গায় উটে নতুন ভোঁর
তার নেয়ামতে শস্য ফলে রস খাইতে কি মধুর
মাসুদ কয় তামাম সৃষ্টির তুমি রহমতের খনি ঐ
*******নাতে রাছুল সাঁ
যার নাম জপিলে শান্তি মিলে পুড়ায় মনের বাসনা
পড় নাম মোহাম্মাদ রাছুল ভেজ ছালাম মদিনা
তার নুরে জমাইয়া বাজার
গড়িলেন সাই ভুবন মাঝার
নবীজী রহমতের ভাণ্ডার
পড়লে দরুদ ঝরে গোনা ঐ
তিনি আশেকের জানেরও জান
সৃষ্টি কুলের মুল ঈমান
নুরে রৌশন তামাম জাহান
তার দুস্ত খোদে রাব্বানা ঐ
প্রেম দরিয়ায় দিয়া সাতার
যে পাইল নবীজীর দিদার
মাসুদ কয় তার চাইবাকি আর
রহমতি জান্নাত মিলে মমিনা ঐ
********* দেহতত্ত্ব
কলের গাড়ী বানাইল মাওলায়
মনরে
বা্তেনি ফুল ফুটে সে আজব মানব কারখানায় ঐ
গাড়ীর ভিতর দরজা জানালা
কোটায় কোটায় রয় যে তালা
হরদমে তায় চলছে লীলা সকাল সন্ধ্যা সর্বদায় ঐ
গাড়ীর ভিতর রয় যে চেকার
সুখ দুঃখ দুই প্যাসেঞ্জার
পাপ পুন্যর চলে কারবার রসিয়া ইঞ্জিন চালায় ঐ
চলছে গাড়ী কোন বা কুলে
থামবে জানি দম ফুরালে
রঙ্গিলা জন কোন কৌশলে খেলছে খেলা অজানায় ঐ
*** :
সাধন তত্ত্ব
********
মাওলা তোমায় চিনতে জানে এমন আশেক কয়জনা
ধ্যানে দেখ কেবলা কাবা নয়নে ফুটবে সোনার মদিনা
ঈমান রাখ পাখা সম্বল দয়াল নবীজি রহমতের ফুল
সূভাস নিলে সুদ্ধ দিলে ভ্রমর মিলে অলি মুল
পড় নামাজ এক মনে হওরে যদি মমিনা ঐ
পাইতে হলে নবীজির চরন ভজ মুরশিদের পায়
মানুষ কে বাস ভাল দিল মোকাম যে সুদ্ধ হয়
ভাঙ্গিবে শয়তানের বাসা সদা আল্লাহু নাম জপনা ঐ
ভাবুক কয় চিনে আসল কোরআন রাখ মগজে
হারাম ছেড়ে হালাল খেও দেখনা প্রেমিক/সাধু সেজে
মাসুদ কয় খোদা নবীজির খাতিরে সাজাইল ত্রিভুবন খানা ঐ

সৃষ্টিতত্ত্ব
ওহে মাওলা বানাইলা আদম ছবি কারখানা
রূপে মজে নিজেই তুমি দিওয়ানা
ফুকারিলায় রুহ তাতে ছিল বড় অন্ধকার
মোহাম্মাদী নুর ফুটিলে দেখায় বড় চমৎকার
প্রান পাখি উটে ডাকি আলহামদুলিল্লাহ শব্দে ঘোষণা ঐ
ফেরেস্তাদের আদেশ দিলায় সিজদা কর তারে
সিজদা দিল ফেরেস্তারা মাটির আদমেরে
শয়তান গেল কাফের হইয়া না মেনে আদেশ খানা ঐ
সাধন ভজন যা কিছু রয় মুর্শিদ ভজ মুমিনে
মিলবে খোদা প্রেম জোদা দিল ক্বাবারই আসনে
মাসুদ কয় রাছুল বিনে নাইরে উদ্ধার তাজিম কর মদিনা ঐ

শানে নুর নবী সাঁ
********
তোমার দিদার বিহনে গো
পার হইব কেমনে
দয়াল নবীজী তরাইও নিধানে ঐ
যখন মরন জ্বালা ভিষময় আসিবে সামনে
সেই সময়ে দয়াল আমায় রাখিও নয়নে গো ঐ
কবর দেশে দেবে হায় রে সাজাইয়া কাফনে
ভাই বেরাদার গুনের স্বজন রাখবে একা অন্ধকার জমিনে গো ঐ
মিজানেতে নেকি বধি যখন করিবে ওজন
হিসাব নিকাশ কেমনে দেব রাখিও রহমতের নয়নে গো ঐ
ফুল ছেরার ঘাঁটে হায় গো হবে অগ্নি পরিক্ষা খানি
হিরার দার চুলের চেয়ে চিকন রাস্তা পার হইব কেমনে গো ঐ
হাসরের মাটে হায় গো জ্বালবে দুযকের আগুনে
মাসুদ কয় রহমত দিও শান্তি দিও নবীজী সেই সংকট ক্ষনে গো ঐ
****
জান্নাতী পোশাক লইয়া কাঁদে নিরালায়
নবী রাজ দুলারি জগত জননী ফাতেমায়
শিশুপুত্র হাছান হুসাইন চাইল জামা ঈদের দিন
হযরত আলী গরীব ছিল দুঃখ তাদের অন্তহীন ঐ
মা ফাতেমা খেয়াল করে আসলেন দুত ঘরের ভিতরে
ছালাম জানায় ভক্তি ভরে উপহার পাঠাইল জামা সয়ং রাব্বানায় ঐ
ছেলেদের হুকুম করে আস অযু গোসল বানায়ে ঘরে
ঈদ গাহে যাবে নতুন জামা পড়ে খুশির আমেজ বয়ে বেড়ায় ঐ
লাল নিল জামা গায় হাছান হুসাইন ছুটে যায়
দেখে চমকে উটে নুর নবীজী নয়ন জলে বুক ভাসায় ঐ
মাসুদ কয় বিঁধির বিধান খণ্ডানো না যায়
নবীজীর নাতী জান কোরবান করে মানবের মুক্তিবারতায়
হাছান মরল জহর খেয়ে আর হোসেনের শীর কাটা যায়
আজও সেই শোকের মাতম বহে দাস্ত কারবালায় ঐ
******** অলি আউলিয়াগনের শান ।

ঈমানের ফুল ফুটাইয়া তুমি বাগদাদে লুকাইলা
ও বড়পির আব্দুল কাদির জগত রৌশন করিলা
নামের গুনে বজ্রাসনে শির পড়িত লুটাইয়া
জীন পরী ফেরেস্তা সকল থাকিত অধীন হইয়া
কাদরিয়া নিশান উড়াইয়া কত ভক্ত বানাইলা ঐ
নবীর বংশে জন্ম নিলা তুমি মহিউদ্দিন জিলানী
মরা মানুষ জিন্দা হইত পাইয়া তোমার রূহানী
অলিকুলের শিরমনি তুমি কত কেরামত দেখাইলা ঐ
মাসুদ কয় ও বড়পির দাও রহমতের দিদার
রহমত লইয়া কত অলি আউলিয়া করিল ইসলাম প্রচার
ঈমানের নক্ষত্র তুমি কোরআন মায়ের গর্ভেই শিক্ষা পাইলা ঐ
৭।
খাজা তোমার নামটি লইয়া ডাকি হায় কাতরে
ফয়েজ দানে রঙ্গিন ফুলটি দাও ফুটাইয়া অন্তরে
যে ফুলের গন্ধ নিলে দিলের তালা যায়রে খুলে
পাপ তাপ সবি ভুলে রহমতের বারী ঝরে ঐ
যে ফুলেতে জগত জুড়া বিলায় কত নুরের দ্বারা
সে নূরেরও ঝর্না দ্বারা বহে আশিকেরও অন্তরে ঐ
মাসুদ কয় সব ছাড়িয়া দাও ঈমানের বাত্তি জ্বালাইয়া
দয়া কর ওগো দয়াল তোমার রহমতের নজরে ঐ

ইসলামের নিশান উড়াইলা বাংলাদেশে আসিয়া
ওগো শাহ জালাল রা আউলিয়া
সুরমা নদী দিলায় পাড়ি জায়নামাজ বিছাইয়া ।
তোমার ক্ষুত্রতের কি শান
বেদীন তীর ছুড়ল হইল তারাই জান কোরবান
তোমার হুকুম পাইয়া পাথর উল্টা যায় গড়াইয়া ঐ
তোমার শুনিয়া মধুর আযান
গৌড় গোবিন্দের প্রাসাদ ভেংগে হইল খান খান
খসিল শয়তানের মূর্তি পায় পড়িল লুটাইয়া ঐ
তোমার ৩৬০ জন ছিল সাথি
জালাইলা সারা বাংলায় ঈমানের বাতি
মাসুদ কয় দলে দলে হয় মুসলমান তোমার কেরামত দেখিয়া ঐ
৯,
বাদশাহি ছেড়ে ফকিরের বেশ ধরে ওগো শাহ সুলতান রা অলি
নেত্রকোনার মদনেতে পড়ল তোমার চরনের ধুলি
দেখে তব নুরেরও শান কত বেদীন হয় মুসলমান
উদিল ইসলামের নিশান হৃদয়ে জ্বলি ঐ
সারে তিন হাত জায়গা লইয়া
পড়তা নামাজ ধ্যানে বইয়া
বনের বাঘ আর পাখিরাও শিখিত বুলি ঐ
আজও কত ভক্ত আসে তব দরবারে
মন বাসনা লয়ে মুনাজাত করে
পুড়াও ভক্তের আশা মাসুদ কয় রহমত ডালি ঐ
১০ ।
শাহ আরপিন রা আউলিয়া বাতাসে ভাসিয়া
পাহাড়ে পড়তায় নামাজ শুন্য বইয়া
পশু পংকি তরুলতা কইত তোমার সাথে কথা
বৃক্ষ ঝর্না মানব জীন তব পায় পড়িত লুটাইয়া ঐ
মেঘে দিত অজুর পানি খেলত খেলা বন হরিণী
আপনা এসে বৃক্ষ দিত তোমায় রিঝিক জুটাইয়া ঐ
জমিন হইত শিতল পাটি ঝিকির করত পাথর মাটি
বেদীন কত হয় মুসলমান মাসুদ কয় বাঘ থাকত সেবক হইয়া ঐ
বায়েজিদ বোস্তামি রা
*********
বায়েজিদ রা অলি হইয়া যায়
তার মায়ের দোয়ায়
একদিন মাতা পিপাসায় তার নিকট পানি চায়
ঘুমিয়ে পড়েন তিনি গভীর রাতের বেলায়
ঘরে নাই পানি তাই বায়েজিদ বাহিরে ছুটে তক্ষনি
পানি সংগ্রহ করে ঝড় বৃষ্টি লইয়া মাথায়
পাত্র ভরে বায়েজিদ দ্বারায় মায়ের শিয়রে
দেখে মা রয় গভীর ঘুমে তাই সে ঘুম না ভাঙ্গায়
পরদিন ভোরে দেখে মাতা শিয়রে
পানির পাত্র লয়ে বায়েজিদ রয় যে অপেক্ষায়
মা বায়েজিদ রা কে বুকে ধরে দুহাত তুলে খোদার দরবারে
সেই দোয়া পাইয়া তিনি অলি হয়ে যায় ।
শাহ আলী রা
*********
শাহ আলী রা আউলিয়ার মাঝার কত চমৎকার
ঢাকার মিরপুরে জমায় তার প্রেমের ও কারবার
বাগদাদ হতে উদয় হইয়া
দর্শন দিল বাংলায় আসিয়া
কত ভক্ত পড়ে লুটাইয়া চরনে তাহার
মাটির মাঝে লাটি গেড়ে
এক ধ্যনে অযু করে
লাটি জিন্দা হইয়া পড়ে এক বৃক্ষের সঞ্চার
মসজিদে নামায পড়ে
কপাট লাগাইয়া দ্বারে
এক সিজদায় ৪০ দিন তিনি করে দিতেন পার ।
গাইতেন আল্লাহ রাছুলের শান
করিতেন ইসলামের বয়ান
কত মানুষ হয় সাধু সজ্জন পাইয়া চরন তাহার ।

১১,
আল্লাহর অলি মজনু শাহ রা শুইলেন ধরম পাশায়
কেহ ডাকে নেংটা বাবা আস্তানা আতকা পাড়ায়
মারফতের খনি তিনি দেখাইলেন কত কেরামতি
মুর্দা দিলে জ্বালাইত তিনি ঈমানের বাতি
তারি দয়ায় বৃষ্টি হইত নিমিষে অঝর দ্বারায় ঐ
গাছের তলায় পড়ে থাকত না ছিল তার বাড়ী ঘর
নুরের আলো জ্বলত সদা তারি কেশের উপর
শোকনো নদে বইত জোয়ার পিপাসা মিটত চাইলে তার চেহারায় ঐ
কত জনা মন বাসনা লয়ে আসত তার দরবারে
সাথে সাথে ফল ফলিত তার রহমতের নজরে
বেয়াদবি করলে কেহ শাস্তি মিলত ভিসময় ঐ
আজও কত ফকির সাধু আসে তার মাঝারে
লক্ষ প্রানের মিলন মেলা ঘটে চৈত্র প্রহরে
মাসুদ কয় মুনাজাত আমার কবুল কর দয়াময় ঐ
১২।
ওগো লোড়া পীর জিন্দা মোরাকাবায়
আস্তানা সাজাইলায় বটেরও ছায়ায়
দেখাইলা কেরামতি আসিয়া রাজনগর
জমায়েত হয় সাথু পীর আশেক ভক্ত ফকির
তোমার চরনের ধুলা লইয়া কত বিমারী ভাল হয় ঐ
পাথর মাটি ঝিকির করে নামটি লয়ে গোপনে
দিবানিশি ফকির ঋষি বসে তব ধ্যানে
মাসুদ কয় কত বাউল সাধক গান শুনাতে আসে তায় ঐ
*******

নেত্রকোনা সতর শ্রীতে উদিল নিশান দেখে আয়
ঈমানের বাগান সাজাইল আল্লামা রেজভি মাওলায়
শত শত আশেক জনা লয়ে ঈমানের ঘ্রান
আল্লাহ রাছুলের নামে বিকিয়ে দেয় প্রান
হরদমে পড়ে দরুদ ভেজে ছালাম মদিনায় ঐ
শুক্রবারে দরজায় আযান আরও কবরের পাশে
জিন্দাছুন্নত ইমানদার গন কতই ভালবাসে
নাবুঝিয়া বেঈমানদের আগুন লাগে কলিজায় ঐ
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সেরা করলেন দলিলে প্রমান
নবীজী সবার ঈমান আশেকের জানের জান
মাসুদ কয় মুর্শিদ ছাড়া দুজাহানে নাই উপায় ঐ
***** ভক্তিমূলক
মায়ের সাথে নাই তুলনা অন্য কারও দুনিয়ায়
সন্তানের বেহেস্ত মিলে জননীর চরন তলায়
মায়ে দশ মাস দশ দিনের তরে
রাখিল তার উদরে
তব সন্তানের মুখ দর্শনে সব ব্যথা ভুলে যায় ঐ
মায়ে নিজে কত কষ্ট করে
বাচায় তার সন্তানেরে
রাখে সদাই সুনজরে বুক ভরা ভালবাসায় ঐ
বাবা মায়ের দোয়া লইয়া
কত সন্তান বাচে জ্ঞানি গুনি হইয়া
মাসুদ কয় হজের ছওয়াব মিলে তাদের সুনজর দেখায় ঐ

১৬, ********* পরমতত্ত্ব
ভব মেলা সাজাইলা
নানা রঙ্গে সঙ্গ দিলা হে পরম রঙ্গিলা
দমের গড়ি চলে তব ভিতরে আর বাহিরে
কোন রূপেতে বিরাজ থাক চিনার সাধ্য নাহিরে
তব তুমি পথ চিনাইয়া কত বুলি শিখাইলা ঐ
আনন্দ দাও জলে ভাসাও পুতুল নাছাও ক্ষনেরে
অপরুপে রূপ মিশাইয়া উদয় হও মন মাঝারে
মিশিয়া মানুষের সনে ভাব সাগরে মজাইলা ঐ
নাহি জানি নাহি বুঝি নাপাই যে কোণ দিশা
মাসুদ কয় সঙ্গি হইয়া থাক মিশে এইতো মোর ভরসা
সদাই স্মরি নামটি তোমার দিবা নিশি ও মাওলা ঐ
*******
মন পাখি তুই কি সন্ধানে
ছট ফট করিস গোপনে
আমি তরে ধরব কেমনে
রঙ্গিলা সাই রঙ মিশাইয়া
খেলে খেলা সঙ্গী হইয়া
নানান রঙ্গে উদয় হইয়া খেলায়রে সঙ্গোপনে ঐ
ভাংগে গড়ে নতুন করে
যোগ বিয়োগের সন্ধি ধরে
সকলমাঝে বিরাজ করে জড়ায় মায়ার বাধনে ঐ
তারে যদি যায়রে চেনা
সৃষ্টি স্রষ্টার ভেদ থাকেনা
মাসুদ কয় ওরে মনা সে বিরাজ থাকে পবিত্র দিল আসনে ঐ
*********
চিনবিনিরে মনের ঘরে যে জন থাকে বিরাজন
তারে খুজে ভাবুক মন
দশ দিগন্তে তারি আভাস
সদা ফুটে দীর্ঘ শ্বাস
সর্বভুমে তার বসবাস করে অহর্নিশে বিচরন ঐ
প্রেম কানন সাজাইয়া
পঞ্চ ভুতে বিলিন হইয়া
অপরুপে রুপ মিশাইয়া গড়িল মায়ার বাধন ঐ
ব্রহ্মাণ্ডে শর্বশক্তি রূপটি ধরি
জ্বালায় আলো গগন জুড়ি
চালায় সেযে দমের ঘড়ি ঘুরিয়া ঘূর্ণি নাছন ঐ
মাসুদ কয় সুদ্ধ দিলে
ভজ মুমিন নিরলে
যদি তার দেখা মিলে ইচ্ছা সব হবে পুরন ঐ

*********
এত মায়ায় গড়িলেন সাই মানুষ নামের কারখানা
আমি তোমার চাহি করুনা
বানাইলা তারে সবার সেরা
সেজদা করল ফেরেস্তারা
জাগল নব বসুন্দরা সাজাইয়া দিলায় ক্ষুদ্রতি আস্তানা ঐ
তারে ফুল ফসলে করাও আহার
সুখে দুখে পাতাও সংসার
বিশ্ব মাঝে রঙ্গের কারবার মাসুদ কয় তারে চিন আপনা ঐ
***** মুর্শিদী গান
মুর্শিদ আমার অমুল্য চাঁদ চিনে নিও আপনায়
শুদ্ধ হবে দিলের আসন দর্শন দিও তারি পায়
কোথায় খোদা কোথায় রাছুল
কেবলা কাবা মুর্শিদ প্রেম ফুল
ঈমানের অমুল্য ফসল লুকানো তারি চিনায়
মিলে দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি
দূর হয়ে যায় শয়তানের ভ্রান্তি
পর দেশের সঙ্গী হবে যদি মুর্শিদ চেনা যায় ঐ
দিন হতে দিন যায় বিফলে
স্বর্গ নরক কর্মফলে
মাসুদ কয় উছিলা ছাড়া পাবে মুক্তি কিবা উপায় ঐ
মাসুদ কয় ধরম পাশার দশ ধরিতে মুর্শিদ মান্নান দিক দেখায় ঐ
*********
মুর্শিদ আমার আজব কারিগর
ঈমানের বাত্তি জ্বালাইয়া রৌশন করে এই অন্তর
দেহের মাঝে যত রিপু তার দয়ায় পুড়ে হয় ছাই
শয়তানের রাস্তা ভুলায় বানায় খাঁটি মুমিন তাই
সেযে দিব্য চোখে দেখতে পারে দয়াল মাওলাজির নুর ঐ
মায়া মোহ সকল ভুলে প্রান সপিলাম তার চরন মুলে
দুনিয়া ও আখেরাতের কামাই মিলে মুর্শিদের উছিলা হলে
দিলের মাঝে রাখি জ্বেলে নুর নবীজীর প্রেম নহর ঐ
*********
না বুঝিয়া না চিনিয়া মিছে জনম হইল পার
সময় থাকতে চিনে নাও মুর্শিদের বাজার ।
সাধন গুনে হও রে মানুষ
আর কাউরে দিওনারে দুষ
মগজে রাখিলে নারে হুঁশ
হইবে কিসে পারাবার ঐ
ভেদ ভেদান্ত যা কিছু রয়
মুর্শিদের নিকট জানতে হয়
শ্রেষ্ঠ জাতী মানব পরিচয়
বিবেক হলে সুদ্ধ তার ঐ
ওরে মাসুদ /ভাবুকে কয় থাকতে সময়
ছয় রিপু কররে জয়
থাকবেনা তোর কোন ভয়
মিলবে দর্শন বিধাতার ঐ
*********
চিনিয়াও কি যায়রে চেনা
কেবা পর আর কে আপনা
এই বহুরুপি খেলা ঘরে
কেন বা রও মোহে পড়ে
সহজে অচেনারে চিনবে কিরে
বন্ধিশালায় সোনার ময়না ঐ
পাশা পাশি থাক বিরাজ
সংসার ধর্ম লরে সমাজ
কিবা মন্দ কি ভাল কাজ
নিরলে বসে ভাবনা ঐ
মাসুদ কয় ভাবনা মনে
সত্য মিথ্যা প্রভেদ কেনে
ফিরাও মন মাওলার পানে
মুর্শিদ ছবি বানাও আয়না ঐ
********

আমি আর কিছু না চাই
মুরশিদ /দয়াল যদি তোমায় পাই
বেলা গেল হেলায় হেলায়
মজে রইলি কোন বা খেলায়
মনেতে রুষ হই যে বেহুস
ঠিকানা ত জানা নাই ঐ
আয়েশ আরাম পাখা বাড়ি
শুন্য হইয়া রবে পড়ি
মন মহাজন করলে ওজন
দেখাব কিসেরও কামাই ঐ
মাসুদ কয় ওরে মনা
বুজবাজির খেল ছাড় না
চলে গেলে মুল্যবান সময়
কোথাও জায়গা হবেনা ভাই ঐ
প্রিয় জেনে নিও *
*****************
লোক ও পল্লীগান
১। হে প্রিয় জেনে নিও ,কত ভালবাসা তোমার জন্য
স্মৃতির বাসরে সাজিও ।
আজি এ লগনে শুধু পড়ে মনে
কেন এত লুকুচুরি হৃদয়ের ও সনে
উদাস এ আশেক ফুল প্রেমের কাননে ছড়িয়ে দিও ।
এই বুকে জমা শুধু তোমাকে পাওয়ার নেশা
সুখের পায়রা হয়ে কখন ও জাগায় আশা
হৃদয় দর্পণে যদি দেখানো যেত এখানে জেগে রও তুমিও ।

২, বাজাইলে মোহন বাশি সুর ঝরে কার মন বীণায়
কারবা সনে কইরা পিরিত টেকলিরে তুই কোন জাগায় ২বার

মনরে ......মিশিয়া মানুষের সঙ্গে
বাস করিলে কতই রঙ্গে
প্রেম সুধা জাগে অঙ্গে মজিলে খেলায় ঐ
মনরে ...... বাসিয়া মানুষে ভাল
দিল মাঝে প্রদীপ জাল
ফুটাও জগতে আলো স্বপন ও বাসনায় ঐ
মনরে ......ভাবুক মাসুদ কেঁদে সারা
কেমনে জুড়াইব অন্তরা
জাগিবে কি প্রেমের মরা এই অবেলায় ঐ

৩। নিরব ও চাহনি কার পানে
সখি কথা কহ না কেন? লাজে
দেখি তোমার নয়নে মেঘ সাজে
হৃদয় নিলিমায় উটে ঝড়
কেটে যায় কত বিষণ্ণ প্রহর
তোমার নুপুরের ছন্দ কানে বাজে ঐ
হারানো সেদিনেরা তাড়িয়ে বেড়ায়
স্মৃতিরা কভু মনকে নাড়ায়
তুমি কভু ছবি হও হৃদয় মাঝে ঐ

৪।দূর থাইকা পুড়াইলি আমায় ও সখিরে
মায়া লাগাইয়া ভুলিলায়
যখন ছিলে অতি পাশে দেখতাম রাঙ্গা মুখ
দুনয়নে দেখতাম ছবি লইয়া কত সুখ
ভরিত এই বুক কত প্রেমের ও সুধায় ঐ
মান অবিমান খেলা হত চাঁদের জোছনাতে
দুরের দেশে মন ছুটত হাত রেখে হাতে
গোপন চিটি লিখে দিতাম পাখিরও ডানায় ঐ
লাজ রাঙ্গা সেই মিষ্টি হাসি বড়ই মনে পড়ে
স্বপ্নলোকে পাই আর হারাই মন বসেনা ঘরে
ভাবুকে কয় তাই ত একা ভাবি নিরালায় ঐ
*** অসময়ে ডাক দিয়া তুই ঘুম ভাঙ্গালি আমারে
ওরে কোকিল ডাকিস না এমন করে
কুল বসন্ত ফুলে ফুলে সাজে বৃক্ষ লতা
বন্ধু বিহনে মনে লাগে ধারুন ব্যথা
কইতে কথা একা একা অন্তর যায় পুড়ে ঐ
ভরা নদীর বুকে হায়রে উথাল পাথাল ঢেউ
সখি তুই বিহনে ভাল লাগার আর ছিলনা কেউ
কত যাদু ভরা ছবি ভাসে এ মন জুড়ে ঐ
*** নব রূপে কে আসে গো সজনী ঘোমটা মাথায়
ফুল চন্দন খোশবো ঝরে মনা নন্দে আজিকায়
পত্র মুকুল পুস্প পরাগ বাজে নব রাগিণী
অনিন্দ্য সুন্দর ঝলক লোক মুখে কানাকানি
গায় পাখি ঐ সে ভোরে বসন্ত বহিয়া যায় ঐ
ধন্য ধন্য স্বজন সভায় অবাক লাগে মনেতে
দৃশ্য লোকে উটে ভেসে সন্ধি জনে জনেতে
মৃদু মন্দ বহে হাওয়া রঙ ছুয়ে যায় আপনায় ঐ

৭,ভোরের পুস্প কি ছিলনা কাননে
দেখি ঐ ফুটে ফুল কার দু নয়নে
অভাগা যে বানাল পথেরও দ্বারে ফাঁসিরও মঞ্চ
নব বধু কেঁদেছিল এলোকেশে
আকাশের গাড় নীল হল কতরক্তিম
সকলও হৃদয়ও গেল বোকা বনে ঐ
কোমল বিস্ময় নীরবও সব লোক
মাতমও করিল বাড়িল তত শোক
যত কচি কচি প্রান নিরবে মায়ের আচলে ডাকে মুখ
সেথা নির্ঝরে ভাসে মেঘ তাপিত গহনে ঐ
৮,
কার লাগিয়া প্রান বন্ধে ভাব বসে একাকি
অনুক্ষনে নিশিদিনে পাইয়াছ তার দেখাকি
নাছে গানে মুখর রাখে মেঠু পথের চারিদার
পায়ে মল মাথায় সিথি হাতে চুড়ি গলায় হার
ক্ষনে কাঁদে ক্ষনে হাসে দেখিলে জুড়ায় আঁখি ঐ
লাজ রাঙ্গা মুখটি তার যেন ভরা চাদের হাসি
চঞ্চলা হরিনির মত ছড়ায় রূপ রাশি রাশি
সারা বেলা করে খেলা সাঁঝের আড়ে দেয় ফাকি ঐ
কলসি কাকে চপল পায়ে ঘোমটা আঁচল দিয়ে গায়
ছোটে চলে জল ভরিতে ছোট্ট নদীর কিনারায়
মাসুদ ডাকে ওগো সখি নয়ন ভরে তারে দেখি ঐ
9
কারবা পানে চাইয়া আমায় ভুল
ও সখি রে মনেতে কি এই ভাবনা ছিল
তোমার কথা হইলে মনে বুকে বিধে তীর
জীবন চলা লাগে হায়রে কত যে অধীর
সেই মধু ক্ষন হয় অকারন উদাস বানাইল ঐ
মান অভিমান কত যে গান কানে কানে বাজে
দেখিলে জুড়ায় প্রান তব মুখটি রাঙ্গা লাজে
হৃদয় জাগে অনুরাগে তার পথ চেয়ে কেরইল ঐ
*********
তোমায় হাসতে দেখলে মন ভরে যায়
তুলনা যে নাই
এমন হাসি আবার হাস মন ভরাতে যাই ঐ
বাজনা বাজে কানের কাছে ঝুম ঝুম ঝুম
শিতল পরশ কেঁড়ে নিল আমার সকল ঘুম
সব ফেলে দেখি তোমায় তুমি যেমন তাই ঐ
আর যত আনন্দ ঝরে তোমার ও ছুঁয়াতে
বসন্ত বহে যে কত সেইরাগিণী সুরেতে
তাই এত ভালবেসে তোমায় নিমিষে হারাই ঐ

১১, আজি এত বেশি মনে পড়ে গো তোমায়
এই নিরব বাতায়নও মধু সন্ধায়
ফুল যে ফুটিল কাননে
প্রজাপতি মেলে দিল ডানা
পুচ্ছ নাছায়ে ডাকিল কোকিল
সুরেলা কণ্ঠ বড় চেনা
আর সেই লগনে
ছবি হয়ে দেখা দাও মনের আয়নায় ঐ
নীল আকাশে সোনা ঝরা রোদ
ভেসে যায় অনন্তে মেঘ মালা
সুরে সুরে কেবা বাজায় বাঁশী
বৃক্ষ শাখে বসে একেলা
তখন উদাস এ মন বারে বারে চাহে তোমায় ঐ
১২,
তুমি কি আপন ও ভাব মোরে সকলও কাজে
সখি দুঃখ সুখ আর আনন্দ মাঝে
অতি দূর দৃষ্টি ফিরায়ে
কার ছবি দুচোখে ভিড়ায়ে
বারেবার রাঙ্গা হও লাজে ঐ
কত যে কথারও মালা
কত বিচিত্র গানেরও ঢালা
হৃদয় ও গহনে বাজে ঐ
ফাগুনও হাওয়ায় এ মনে
লুকুচুরি খেলা সমিরনে
দেখিব তোমায় নব বধু সাঝে ঐ
১৩,
হেমন্ত আঙ্গিনায় কুসুম ফুটিল
সখি লো ......খুল আখি খুল , খুল আখি খুল ।
ভোরের ও শিশিরে বৃক্ষ পত্র পাথারে
ঝিকিমিকি আলোক ও বর্ণীল ও ভাসিল ঐ
ঝাকে ঝাকে পাখি যায় ঐ দূর নিলি মায়
রুদ্র ছায়া মেখে দিগন্তে উড়িল ঐ
ধানের ও সোনা মুখ দেখে জুড়ায় বুক
নবান্নের আনন্দে সকলে জাগিল ঐ
১৪ মনের মাঝে কি যে ঝড় বইয়া গেলরে
ভ্রমর নাছিয়া উটিল সখির নয়নেরে
দেখা হইল নয়ন বাকা
হৃদয় মাঝে হইল আঁকা
কিসে যাদু মধু মাখা
মন রয়না যে ঘরে ঐ
পরান কান্দে পড়ে ফান্দে
ঘুম কাড়িল প্রান বন্দে
মাসুদ কয় মনা নন্দে
আজি কোন ভাবনা নাইরে ঐ
১৫।
আর না দেখি কলসি কাকে বন পথে ও সজনী
মন কাটে নারে দিন রজনি
সাঝের বেলা যেদিন তুমি যাইতা উজান গায়
ফিরে ফিরে বারে বারে হাত নারাইতা ইশারায়
আজও তোমার সেই লগনের বইসারে প্রহর গুনি ঐ
যেবা শাপলা তুইলা বিলের পাড়ে পরাইতা মালা গলে
কাজল চোখে চোখ রাখিয়া দিতাম কানটি মলে
লাজুক লাজুক হাসি হেসে ছিটাই দিতে বিলের পানি ঐ
বনের মাঝে পাখির বাসা আনিতাম পেড়ে ছানা
দুই জনাতে আদর করে খাওয়াইতাম খুট দানা
চাঁদনী রাতে তোমার সাথে খেলিতাম কানাকানি ঐ

১৬, নিঠুর বাঁশি বাজাইওনা কদম্বের ঐ ডালেতে
আজও বন্ধু ঘুম আসেনা চোখেতে
নদী তীরে নিত্য আস সখি ঘোমটা মাথায় দিয়া
দেখিতাম সলাজ বদন দুচোখ ও জুড়াইয়া
ছন্দ তালে যাইতা তব কলসি লইয়া কুলেতে ঐ
কাজল কাল ঐ নয়নে করিত ভ্রমর নাছন
কত আশা ভাল বাসায় জুড়াইতাম দেখে মন
মধু ভরা ছিল যাদু তোমার মুখের হাসিতে ঐ
বন্ধুর বাড়ী ছোট্ট গায়ে মাঠের পাড়ে ঘর
বাও বাতাসে আইত ভেসে তাহারি খবর
চিঁটি হইয়া সুরের সুধা ঢেউ খেলিত কানেতে ঐ
১৭।
অনেক দিনের অনেক কথা না বলা কত কাহিনী
এই হৃদরে জমা পড়ে রয় কেন যে তুমি বুঝনি

নয়নের ভাষা যে পড়িতে জানে
লিখে রাখে সব মনের অভিধানে
কতযে অভিযানে সেই সুর শুধু শুনি ঐ
ভাব সাগরে খেলা হয় হৃদয় পাতায়
বিনিময়ে মন শুধু নিজেরে কাঁদায়
কত যে স্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় উদাস সাজে মন তখনি ঐ
১৮ ।
কে তুমি তাকালে ভুল হল কি নিতে চিনে
এই স্রাবণও দিনে ২
মেঘে মেঘে লুকুচুরি রুদ্দুর
কভু বৃষ্টির ছন্দে বাজে নুপুর
তোমার আঁখি মিতালী দেখি ঐ ঘন নীল আকাশের ও সনে ঐ
নদে জলে ঢেউ ফুটে কত
ফেনিল হাওয়ায় নাছে তরঙ্গ অবিরত
তোমার ছবি ভাসে তেমনি ঢেউ খেলে প্রেম তরঙ্গ এ মনে ঐ
১৯ ।
সেই সে দিনেরা আসবে কি আবার ফিরে
স্মৃতির পাতায় দাগ কেটে যায় তাই বারে বারে
যদি ভাবিস একলাটি মনে
উদাস হাওয়ার সমিরনে
তাকিয়ে দেখিস সেথা আপনারে ঐ
গাও যদি বুক ভরে গান
সজীব দেখিবে তাজা তাজা প্রান
বাজবে রাগিণী নতুন সুরে ঐ
যদি হৃদয় মোহনায় ফুটে ভাষা
খুলে দাও সবটুকু ভাল বাসা
কারও বাধন টুটে দিস নারে ঐ
২০,
আর ডাকিস না ওরে কোকিল বইয়া গাছের ডালে
বন্ধু আমার ভাসিল নয়ন জলে
থোকা থোকা ফুলেফুলে ওরে যেমনি ভ্রমরা
তেমনি সে যে কয় কথা মেলিয়া নয়ন জুড়া
তরে কই ওরে কোকিল যা নারে ডানা মেলে ঐ
ভরা গাঙ্গে ঢেউ ফুটিলে বহে পবন উজানে
মেঠু পথের রাঙ্গা ধুলি লুটায় তার চরনে
ওরে কোকিল আমার কথা দেনারে তার কানে তুলে ঐ

২১ , মন আমার রয়না ঘরে
প্রভাত বেলার ক্ষন গুনে
দূর দিগন্তে ছুটে রহস্য
কই কথা আপন মনে
কারবা মুখে ফুটে হাসি
দুটুঁটের ঐ কিনারায়
আবার কেহ বাজায় বাঁশী
সুরে সুরে আয়েশ মেটায়
আনন্দ আর দুঃখ মাঝে
অবাক যে হই সেই ক্ষনে ঐ
আরশি দেখে কেহ সাজে
কারও মুখে চুন কালি
কেহ কত উগ্র সুখে
ফুঁটায় মধু ফুল কলি
সবি ভাসে দৃশ্য কাব্য
আমি যাই লিখে অবিধানে ঐ

২২, কে গো তুমি স্বপ্ন চারিণী
একলাটি যাও বন পথে
ফুলের কুঁড়ি জড়ান চুলে
এস কথা কহি দুজনাতে
কপালে টিপ অহে চন্রমুখি
যাদু করে দুটি কাল আঁখি
ঘোমটা পড়া নোলক ও নথে ঐ
খেলা চলে কত না নিরবে
তাই দেখি হৃদয়ে অনুভবে
তারে বহুদুর মনে হয় চিনিতে ঐ

২৩, সুখের বেলায় তুমি কাছে এসেছিলে
দুখের বেলায় তুমি আসনি
সজনী জানা হয়ে গেল তোমার এ চিনি
সুন্ধা গনায় ঘুধুলি মুখ লুকায়
তাজা তাজা ফুল নিরবে শোকায়
ভ্রমর কেঁদে সারা হয়ে ফেরেসানি ঐ
পরশ পাওয়া কত যে প্রহর
তোমার ছোঁয়ায় ভরে যেত অন্তর
মনের ময়ূর সেথা পুচ্ছ মেলেনি ঐ


প্রান বন্ধুয়া দুঃখ দিয়া কোথায় রইলিরে
তুই বিহনে একা একা ভাল লাগেনারে
আর বাজেনা কানের কাছে মোবাইল টা
কথা যত গুমরে মরে বুকটা ফাই টা
মন্ তা যে আজ রয় পড়ে গহন দ্বারে ঐ
আর না শুনি মুখের বানি নজর খাঁড়া
অভিমানি দুঃখ জানি করলি ঘর ছাড়া
সময় গেল বসন্ত আইল জলে চিতা অন্তরে ঐ
আকাশ সাজে ঘন মেঘে বাতাস বহে ধিরে
নদী জলে ঢেউ ফুটে প্রলয় নাছন করে
কেন এমন হয় গো সখি থাকলে অতি দূরে ঐ

** শ্রাবন ও দিনে তারে পড়ে মনে
তার প্রিয় মুখ চমকায়
সখি মজে রইলি খেলায় ২
নদীরও বাঁকে
সবুজ কানন চিত্র আঁকে
মোহনীয় শ্রুত দ্বারা বহিয়া যায় ঐ
কভু রুদ্র ছায়ার সঙে
রঙ ধনু উটে রাঙে
নীল ছুঁয়া গগনও আকাশেরও গাঁয় ঐ
ফুটে শাপলা শালুক ঝিলে
মাঠে ফুল ফসল দুলে
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা ছুটে দূর অজানায় ঐ
**
যারে না দেখিলে হইত না ভাব ভালোবাসার খেলা
আমি তারে ভুইলা কেমনে কাটাই বেলা।
সখি রে আজও কাঁদে পরান খানি
মধুর ডাক কর্ণে শুনি
কিসের লাগি অভিমানি
হয়না কথা বলা ঐ

সখিরে চিটি ছিল মনের খুরাক
রাত জাগিয়া হইতাম অবাক
স্বপনে আসিয়া বেবাক
করতে কত লিলা ঐ

সখিরে যদি আবার আস ফিরে
বাধব সুখের স্বপন নীড়ে
থাকবে জুড়ে এই অন্তরে
ভাসাই জীবন ভেলা ঐ
দেশাত্মবোধক গান
*******
১ , আমার দেশের এই মাটির তরে মনরে
দেখলে জুড়ায় নয়ন ভরে
রাঙ্গা রবি ছড়ায় হাসি পুব আকাশের গায়
জাগে পাখি কলতানে গাছের ও শাখায়
নব রূপে উদয় সবি তায় নতুন ভোরে ঐ
ভরা নদী নিরবধি বহে দূর গায়
দুকুলে তার জল টল মল মাটের কিনারায়
বনের বৃক্ষ লতা ফুলে ফুলে ভ্রমর কত ওড়ে ঐ
মাঠে মাঠে সোনার ফসল বায় বাতাসে দুলে
তরুলতায় সজীবতা ফুটে নানা ফল মুলে
মেঠু পথে শোকনো পাতা হাওয়ায় কভু ওড়ে ঐ
*** আমার বাংলাদেশ

তুমি দেখেছ কি ভোরের আলোয়
মেঠু পথের রাঙা ধুলোয়
স্নিগ্ধ সবুজের পল্লী কেশ
এই তো আমার বাংলাদেশ ।।
তৃণলতায় ঝরে শিশির কনা
মাঠে মাঠে সাজে সবুজ সোনা
বনে রয় ফুল , ফলের গুচ্ছ কেশ
এই তো আমার বাংলাদেশ ।।
নদীর তীরে মাঠের পাড়ে
গ্রামবাংলার চিত্র নজর খাঁড়ে
বৃক্ষ শোভিত পত্র পল্লবে অপরূপ বেশ
এই তো আমার বাংলাদেশ ।।
কতই মমতা ঘেরা স্বপ্ন রাশি
পাখিদের গান আর রাখালিয়া বাঁশি
কভু বা ছড়ায় সুরের আবেশ
এই তো আমার বাংলাদেশ ।।
পাহাড় , সাগর , অরন্য ছায়ায়
মনোরম সাজ আর বিচিত্রতায়
রূপে মনোহর তার বর্ণীল কেশ
এই তো আমার বাংলাদেশ ।।


বিজয় দিবস এর গান
***********

বিজয়ের দিন কত রঙিন হৃদয়ে আঁকা এই বাংলাদেশ
ভোরের সূর্য হয়ে ভাসে
উৎসবে মিলে মহাজনতা , উদ্ধে নিশান দুলে বাতাসে

লাল সবুজে আঁকা একটি পতাকা
লক্ষ শহীদের রক্তে লেখা
কত যে স্বপ্ন বহে মুক্ত স্বাধীন প্রান উল্লাসে ঐ

স্মৃতির মিনারে আজও জাগ্রত পথিক
শত বুদ্ধিজীবী আর ভাষা সৈনিক
সকল ও নদীর কুলে , অরন্য মাঠে আমার বাংলা হাসে ঐ

কত মহামুনিষি , , বাউল কবি
কত জলসাগর , আর সংস্কৃতি হবি
সুরে সুরে আমার বাংলা জাগে শিল্পির তুলি আর ক্যানভাসে ঐ
*** ভোরের উদয় রবি ছড়িয়ে দেয় যে হাসি আমার বাংলাদেশে
সেই হাসিতে কত যে তারুন্য ইতিহাসে রয় মিশে ।
হাজার সপ্নে গড়া এই যে ছবি
রয় দৃশ্য মাঝে আঁকা
অগনিত মানুষের ভিড়ে তার সাজানো বাগান
কত যে মমতা ঢাকা
কত বীরোচিত মানুষের জীবনে জাগে সে বিজিত বেশে ঐ
বিশ্ব বিবেকের তীর্থ ভুমি
এই সুন্দরবন আর হিমালয়
নদী ও হাওর ,সমুদ্র সৈকত
দৃশ্য সব কতই না বৈচিত্র্যময়
কবি ও শিল্পির তুলিতে বাউলের সুর আর পাখিদের বুলিতে
চির সবুজ ছোট গ্রাম মেঠু পথ অপরূপ দেখায় মমকেশে ঐ



**** ভাষার গান , একুশ ।।
বাংলার পতাকায় ঐ দেখ জনতা.
শহীদ ভাইয়ের মুখের হাসি.
যারা রেখে গেল প্রান.
প্রান ফসলের দান.
তাদের মুখচ্ছবি উটে ভাসি.

যারা এ ভাষার ফুল ফূটাল.
বিশ্ব বিবেকের ঘুম ভাঙ্গাল.
তাদের চেতনা বৃথা যাবেনা.
তারা নতুন ভোরে যেন আলোক রাশি ।.

গানে আর কথার মালায়.
কাব্য আর বিদ্যাশালায়.
এমন মধুর ভাষার নাই তুলনা.
চল তাই শ্রদ্ধায় স্মৃতির মিনারে আসি ।.
*** স্বাধীনতার গান
বাংলাদেশ তুমি আমার
বাংলাদেশ তুমি জনতার
ওড়ে ঐ পতাকা স্বাধীনতার ।
মোদের গরব মোদের স্বপন
যারা বীর সন্তান
দেশের জন্য তারা দিল প্রান
বিশ্বের বুকে তাই অহংকার ।
একটি গল্প একটি কবিতায়
বাংলার হাসি
কত ভালবাসি
গাইব গান এই দেশ মাতৃকার ।
দেশের মাটি কতযে খাটি
জ্ঞানে বিজ্ঞানে
শিল্প উদঘাটনে
শিক্ষার প্রদ্বীব জ্বালি হৃদয়ে সবার ।
*** ঈদের গান
7৭, বাঁকা চাঁদের হাসি নিল আকাশে
ঈদ মোবারক ঈদ আসে ২
মাহে রমজান মুমিনদের আত্তসুদ্দির সেরা উপহার
সিয়াম সাধনায় পবিত্রতায় দিন শেষে হয় খুশির ইফতার
সবে খোদার দরবারে মোনাজাতে বসে ঐ
সবে ব্যবধান ভুলে করে কুলাকুলি যাকাত দেয় গরিবের তরে
নতুন জামা গায় বাড়ী বাড়ী ছুটে মহব্বত ফেরি করে প্রান ভরে
শান্তির সুবাতাস হেথা রয় মিশে ঐ ।

*** পল্লী মাঠির সুর
কেয়া ঘাটে থাক কেন বইয়া
ও মন রে আমায় যাও না উজান গাঁয়ে লইয়া
মাঠে মাঠে সবুজ সোনা বায় বাতাসে দুলে
কত পাখি গান গায় বইসা গাছের ডালে
দেখব ছবি অপরূপ দুচোখ জুড়াইয়া ঐ
কলসি কাঁকে গাঁয়ের বধু ছুটে নদীর জলে
দুষ্ট হাওয়া কভু মাথার ঘুমটা দেয় যে ফেলে
রাখালিয়া বাজায় বাশি গাছের ডালে বইয়া ঐ
ওড়ায় ঘুড়ি শিশু কিশোর সুতায় মারে টান
পাখির সাথে তাদের আড়ি উড়তে চায় পরান
বাউল সেথা গায়রে গান নাছিয়া নাছিয়া ঐ
***** চির সবুজ গাঁয়ের ছবি বাধনে জড়ায়ে আমায়
ভোরের হাওয়ায় নির্মল উল্লাসে
বারে বারে মন ছুয়ে যায়
শিশিরের জল কনা সূর্যের আঁচ ফেলে
মুক্তা হয় ঘাসের বুকে
কাননে ফুলে ফুলে ওড়ে ভ্রমর অলি
পল্লব পুস্পে মোহনীয় চিত্র আঁকে
বন বাধারে মনের হেয়ালে
বিচিত্র কলতানে পাখ পাখালিরা গায় ঐ
নদী বয়ে যায় মাটির মমতা ধুয়ে
দুকুলে শোভা পায় সবুজ সোনা
স্বপ্নের জাল বুনে সহজ সরল লোকে
কভু আনন্দে গায় গানা
উৎসব মেলাতে হরেক খেলাতে
লোকজ বাউলেরা মন মাতায় ঐ
****** বসন্তের ঐ লাগল হাওয়া
বৈচিত্র্যময় সাজ ধরে
ফুটে ফুল গগন জুড়ে
কৃষ্ণ চুড়া মল্লিকা আর শিমুলেরা
রক্ত রাগে ফুটায় কলি
বিশ্রিত সে পুস্প তরুয়
পাখনা মেলে ভ্রমর অলি
দৃষ্টিরা তায় সৃষ্টির মাঝে
হানে শিখা বিস্ময়েরে ঐ
পল্লবে তায় হিল্লোলে গো
উগ্রবায়ু নাছে হেথা সমিরনে
গায় যে পাখি ঐ সে শাখে
বাজে বাশি নবারনে
হাসে সকল নবাগত
কল্ গানে গুঞ্জরে রে ঐ
ওড়ে ধুলি শোক নো পাতা
মে টুঁ পথের বজ্রাসনে
দুনয়নে কাল ভ্রমর
উটে নেছে সন্ধিক্ষনে
ডাকে আকাশ হটা ৎ কালোয়
পলকে রাংগা রবির ঝলকেরে ঐ
****** শান্তির বারতায় আমরা সবাই
এস এক হয়ে দেশটা সাজাই
নহে অন্যায় অসত্য সন্ত্রাস
নহে বিশ্রিংখলা আর অবিশ্বাস
গড়ব মিলে সুশীল সমাজ
জাগরন ও বন্ধনে এস সাম্যর পতাকা ওড়াই ঐ
সবার মুখে ফুঁটাতে হাসি
নব প্রজন্মের সপ্ন দিগন্ত খুজি
চির মমতায় নব আয়োজনে
পরিবেশ গড়ি এস সবাই সবার পাশে দ্বারাই ঐ
গরিব নিঃস্ব অসহায় যত
তারাও মানুষ আমাদের মত
কেন ওদের লাঞ্ছনা উপহাস
এস সকলে এদের মুখেও হাসি ফুটাই ঐ
****** কত যে রঙের ঝলক
আমার এ দেশের ও গায়
সেথা গাঁড় সবুজ মাটি সোনার আঁচল বিছায়
ছোট ছোট গ্রাম ছায়া ঢাকা
মেঠূ পথ আঁকাবাঁকা
ডাকে দোয়েল কুকিল ময়না শ্যামা
গাছেরও শাখায় ঐ
বহে শত নদী মাঠের বুকে
কত মোহনীয় চিত্র আঁকে
নানা ফুল ফসলে রাঙ্গায় দুকুল
বাহারি সজীবতায় ঐ ।
বৃক্ষ ছায়ে বসে মেলা
চলে কেনাবেচা হরেক খেলা
কত আউল বাউল ছাড়ে রসের গলা
দর্শক শ্রোতা আনন্দ পায় ঐ
** আসে বৈশাখ , শুভ বারতায় পুস্প ফসলে
তাই উৎসবে মুখরিত সকলে ।
কৃষাণের মুখে হাসি নতুন ধানের গন্ধে
নাছেরে কুমদিনি নুপুর পায়ে নানা ছন্দে
বটছায়ে মন মাতানো গান গায় বাউলে ঐ
বসে কোথাও কভু গ্রাম্য মেলা
চলে কেনা বেচা সারাবেলা
পান্তা ইলিশ খায় বাঙালি দলে দলে ঐ
দেশজুড়ে পড়ে সাড়া কতনা আনন্দ জাগে
কতনা জলসায় হাসি খুশি রঙ ভাল লাগে
নতুন বছরের নতুন দিনে সবাই আনন্দে দুলে

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×