হেফাজতে ইসলাম -– এসেছিল কিছু দাবী নিয়ে। ফেরত যেতে হল সরকারি সুসজ্জিত বাহিনীর গুলি খেয়ে, নিরিহ কতগুলো মানুষের প্রাণ খুইয়ে। ৯০% মুসলিমের দেশে অনেকেই আজ হেফাজতে ইসলাম আন্দোলনের এই করুণ পরিণতি দেখে যারপরনাই উল্লসিত ! ফেসবুকে কারো কারো স্ট্যাটাস দেখে মনে হল, সবাইকে মেরে ফেললেই ওরা খুশী হত। কুকুর বিড়ালের চেয়েও মূল্যহীন এই প্রাণগুলো !
হেফাজতে ইসলামের দাবীসমেত সরব উত্থান সেই থাবা বাবার মৃত্যুর পর নাস্তিক নামধারী ইসলাম বিদ্বেষী/অবমাননাকারী ব্লগারদের কুকীর্তি ফাস হয়ে যাবার পর। একথা সত্য, ইসলাম ধর্ম, আল্লাহ, রাসূল(সঃ) এবং সাহাবাদের (রাঃ) নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষীদের কুরুচীপূর্ণ অপপ্রচার এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, যেটার একটা বিহিত এর প্রয়োজন ছিল। কারণ, মোটাদাগে এরা যেটা করছিল সেটা হল, সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি, সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানকে বিষিয়ে তোলা। সকল ধর্ম এবং মতের সৌহার্দপূর্ণ সহাবস্থানে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তুলে ধরার মতই বলে আমি মনে করি।
মানুষের জন্য জ্ঞান অর্জনের প্রথম মাধ্যম হল তার পঞ্চ ইন্দ্রিয়। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের যেখানে সীমা শেষ, সেখানে মানুষের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম হল বিবেক। প্রত্যেকেরই একটা গন্ডী আছে। এই গন্ডীর বাইরে সে অপারগ। প্রথমোক্ত দুই মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান দ্বারা যারা নিজেদের জীবন পরিচালনার সংবিধান রচনা করেন, তারা হলে সেক্যুলার !
বিশ্বাসীদের কাছে জ্ঞান অর্জনের তৃতীয় মাধ্যম হল "“ওহীয়ে ইলাহি"”! যেখানে বিবেক অক্ষম, সেখানে মানুষের জন্য পাথেয় হল মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ওহী যা আল্লাহ তা’লা নবী রাসূলগণের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন ! এটা হল বিশ্বাসী বা মুসলমানদের জীবন চালনার কর্ম পন্থা। মুসলমান সেই ব্যক্তি যে তার জীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর হুকুম এবং রাসূল(সঃ) সুন্নাহ অনুসারে করে। মানুষের বিবেক কখনোই সমগ্র দুনিয়ার মানুষের জন্য গ্রহণযোগ্য কোন জীবন পন্থা দিতে পারে না। উদাহরণস্বরুপ, একজন ঘুষখোরকে তার বিবেকই বলছে তুমি ঘুষ খাও, দুনিয়াতে আরাম আয়েশ কর। আর যে ব্যক্তি ঘুষ না খেয়ে সৎভাবে জীবনযাপন করছে তাকে তার বিবেকই বলছে, ঘুষ খেয়ো না, এটি অন্যায়। সুতরাং, বিবেকের কর্মপরিধি বড়ই সীমিত। এ কথাগুলোর অবতারনা এজন্যই করলাম, “যেন "৯০% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ"” – এই কথাটাকে আমরা একটু ঝালিয়ে নিতে পারি, চিন্তা করতে পারি...
মূল প্রসংগে আসি। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের এই করুণ পরিণতি কেন হল? তারা কি অন্যায় কোন দাবী নিয়ে এসেছিল? তের দফার দাবীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দাবী আসলে খুব কমই ছিল।
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
এই দাবীটি আসলে না তুললেই ভাল হত। কারণ, আমার মনে হয় এটি আল্লাহর সাথে মশকরা করার সামিল ! বিষয়টা অনেকটা, ডিজে পার্টি শুরুর আগে কুরআন তেলাওয়াত করে অনুষ্ঠান শুরু করার মত ! যাদের মধ্যে ইসলামের কোন বুঝ নেই, তারাতো আইন প্রণয়ন করার আগে কোরান-সুন্নাহর তোয়াক্কা করবেই না, এটাইতো স্বাভাবিক ! সংবিধানে লিখে রাখলাম, "“আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস"” আর কাজ কর্ম সব আল্লাহকে ভুলে গিয়ে! সরকার কি নির্বাচনে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল যে কোরান এবং সুন্নাহ মোতাবেক রাষ্ট্র পরিচালনা করবে?
২. আল্লাহ্, রাসুল (সঃ) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
৩. কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সঃ) এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের উচিত ছিল, শুধু এই দু’টি দাবীই উত্থাপন এবং এর জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশের প্রতিটি ভাল মানুষই তাদের এ দাবীর প্রতি সমর্থন দিত। সত্যি কথা বলতে, এই দাবীগুলোর প্রেক্ষাপটে ইসলাম বিদ্বেষীদের লম্ফ ঝম্ফ কিন্তু আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে ! কারণ, ওরা বুঝে গেছে, শুধু হেফাজতে ইসলামীই নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও ওদের কার্যকলাপ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। হেফাজতে ইসলাম যদি শুধু এ দু’টো দাবী নিয়েই অটল থাকত, তাহলে আজকে দাগী ইসলাম বিদ্বেষী প্রতিটি ব্লগারকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করা যেত ! বাকীগুলোও সোজা হয়ে যেত, আর বিদেশী কুচক্রীগুলো জেনে যেত, এদেশে ওদের দোসরদের পেছনে পয়সা ঢেলে তেমন লাভ হবে না।
৪. ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
"প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ" -৯০% শতাংশ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলমানের অন্তরে যা আঘাত দিয়েছে (!!! ) এরকম হলে নাকি দেশ ১৪০০ বছর আগে চলে যাবে, মধ্য যুগে চলে যাবে, আরো কত কথা !
আসুন দেখি “ওহিয়ে ইলাহি” অর্থাৎ কুরআনে আল্লাহ তায়ালা পর্দার বিধান সম্পর্কে কি বলেছেন।
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
সূরা নূর, আয়াত ৩০
আল্লাহ প্রথমেই পুরুষদের পর্দার নির্দেশ দিলেন। এই আয়াতে যেকোন নাজায়েজ বস্তুর দিকেই দৃষ্টিপাত করতে নিষেধ করা হল মু’মিন পুরুষদের। এর মধ্যে বেগানা নারীও অন্তর্ভুক্ত।
একই সূরার পরের আয়াতে আল্লাহ বলছেনঃ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
আল্লাহ সুবহানাতা'লা সূরা আহযাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে আরো বলছেনঃ
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
এ সবই মুসলমানদের জন্য পর্দার আয়াত। আল্লাহর হুকুম। আমাদের বিবেক বোঝে না কেন আমাকে পর্দা করতে হবে। পুরুষের মন চিন্তা করে, স্বল্পবসনা নারী দেহ দেখলে মনে কতই না সুখ অনুভূত হয়! আর স্বল্পবসনা নারী চিন্তা করে আমার এই রুপ, এই যৌবন যদি পর পুরুষকে না ই দেখাই, আমার লাস্যময়ী আচরণ দ্বারা অন্য পুরুষের হৃদয় যদি দোলা না ই দেই, তাহলে আমার এই সৌন্দর্যের কি মূল্য !! (অবশ্যই সবার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়) এ সবই আমাদের বিবেক আমাদের বোঝায়। বিবেক এখানে তার সীমার বাইরে চিন্তা করতেই পারছে না !
আর এখানেই আল্লাহ তা’লার আসমানী বিধান। তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই আমাদের বিবেক সৃষ্টি করেছেন, তিনি আমাদের নফস সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং মানব চরিত্র কেমন সেটা আল্লাহ তা’লাই সবচেয়ে ভাল জানেন।
কিন্তু, ৯০% শতাংশ মুসলিমের অধিকাংশ এই পর্দার বিধান কি বোঝেন? অন্তরে উপলব্ধি করতে পারেন?
প্রথম আলোর সাংবাদিক কুররাতুল আইন তাহমিনা তার এক লেখা হেফাজতের হেফাজতে আমরা জেনানারা’ তে লিখেছেনঃ
"“জানতে ইচ্ছা করে, মেয়েরা শরীর ঢাকলে কি ‘পর্দারক্ষা’ হয়? পর্দা বলতে বুঝি শালীনতা, অন্যের মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। সে জিনিসটা একা মেয়েদের পালনীয় হয় কীভাবে? পুরুষের ‘প্রলুব্ধ হওয়া’র দায় তো মেয়েদের হতে পারে না।“"
ওনার বিবেক বুঝিয়েছে, পর্দা বলতে তিনি বোঝেন শালীনতা, অন্যের মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা। এই তিনটি জিনিসের মাপকাঠি ঠিক করেছে তার বিবেক। আজকের অধিকাংশ জেনানারাই এই ভাবাদর্শের ধারণকারী। কিন্তু, মিনি স্কার্ট বা টাইট জিন্স আর টি শার্ট পড়ে যখন মেয়েরা শালীনতা বজায় রাখে, তার ফলাফল সমগ্র বিশ্বের নারী নির্যাতন চিত্রের দিকে তাকালেই খুব ভাল করে বোঝা যায়। বিবেককে ছেড়ে "ওহিয়ে ইলাহি"র দিকে ফিরলে সেই মধ্যযুগ বা ১৪০০ বছর আগের যুগ ফিরে আসবে, যখন মক্কা থেকে মদিনা একজন মহিলা একা সফর করলেও কেউ তার গায়ে একটা ফুলের টোকাও দিত না !!
যাহোক, কথা হল, যে সরকারের নেতৃত্বের মধ্যেই নারী পুরুষের বেপর্দা অবাধ মেলামেশা, তার কাছে প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ নিষিদ্ধ করার আইনের দাবী করে কি কোন লাভ আছে? এটাই হল হেফাজতে ইসলামের একটা Strategic mistake, অসময়ে এবং অপাত্রে দাবী করা !!
হেফাজতে ইসলাম কিছু ন্যায্য দাবী নিয়েই এসেছিল। তাদের আন্দোলনের করুণ পরিণতির পেছনে আরেকটা কারণ হল, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীরও এদের আন্দোলনে ঢুকে যাওয়া। এটাও হেফাজতে ইসলামের আরেকটি Major Strategic Mistake ! বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মার খাওয়ার পেছনে একটা বড় কারণ হল, ঐক্য না থাকা। আজকে জামায়াতে ইসলামী এবং হেফাজতে ইসলাম দু’টো বড় দলে বিভক্ত, অবশ্য একটি রাজনৈতিক আরেকটি অরাজনৈতিক। কিন্তু, দু’টো দলইতো চায় দেশে ইসলামী আইনগুলো বলবৎ হোক। তাই, মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য থাকা জরুরী। জামায়াতে ইসলামীকে বুঝতে হবে, গলদ কোন তরীকার অংশ হয়ে হক্ক কিছু প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তাদের বুঝতে হবে, রাজনৈতিক যে পদ্ধতিতে তারা ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে, সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। কারণ, এ দেশের অধিকাংশ মুসলমানের ঈমান এবং আ’'মাল এর অবস্থা খুবই করুন। এই অবক্ষয় শত শত বছরে হয়েছে। এরা মুখে বলে আমি মুসলিম (মুসলিম অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনকারী), কিন্তু কাজে কর্মে অধিকাংশ মুসলমানই আল্লাহর হুকুম এবং রাসূল(সঃ) সুন্নাহ মানতে রাজী নয়। তবে আলহামদুলিল্লাহ, দিনে দিনে দ্বীনদার মুসলিমের সংখ্যা বাড়ছে। জামায়াতের উদ্দেশ্য যদি থাকে শুধু রাজনীতি করা তাহলে কোন কথা নেই, তবে সত্যিই যদি তারা দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক হয়, তবে কওমী ধারার আলেমদের সাথে বসে সহী পন্থা নিরুপন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
লেখা পড়ে কি মনে হচ্ছে আমি হেফাজতে ইসলামের ন্যায্য দাবীগুলোর বিরোধী? অবশ্যই নয়, বরং আমি মনে প্রাণে চাই তাদের ন্যায্য দাবীগুলো এই দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু, এর জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে সেটাতে আমার হিসেবে ভুল ছিল। ৯০% মুসলিমের অধিকাংশের মধ্যে আজকে ইসলামের সঠিক ধারণাই নেই। তারা ইসলামের বিধি-বিধান ঠিকমত জানেনই না। দুর্বল ঈমানের এই মানুষগুলো পত্রিকায় স্বল্পবসনা একটি নারীর ছবি দেখতে যতটুকু উৎসুক ঠিক ততটুকুই অনিচ্ছুক একজন আলেমে দ্বীনের সোহবতে গিয়ে দ্বীন শিখতে, দ্বীনকে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করতে!
তাই, আজকে মুসলমানের ঈমানকে ঠিক করার জন্য কাজ করতে হবে। মানুষকে দ্বীন বোঝানোর জন্য কাজ করতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে, ইসলাম তার জীবনের প্রতিটি কাজের জন্য বিধান দিয়েছে, যেটা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত এবং তার জন্য কল্যাণকর। বিবেক দিয়ে হয়ত আমি অনেক কিছু বুঝব না, কারণ, সেটা বোঝার ক্ষমতা দিয়ে আমার বিবেক বা মস্তিষ্ককে তৈরী করা হয় নি। মুসলমানদের ঈমান এবং আ'’মাল যখন সহীহ হবে, তখন এই মুসলমানগুলোই চাইবে দেশে আল্লাহর আইন এবং রাসূল(সঃ) এর সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা পাক, তারাই এর জন্য কাজ করবে, যারা আজ হেফাজতে ইসলামের আলেমে দ্বীনের মৃত্যুতে উল্লাস প্রকাশ করছে। সেদিন জালিম সরকার পালাতে পথ পাবে না। মনে রাখতে হবে, ইসলাম পেশী শক্তির দ্বারা দুনিয়াতে আসবে না, যখন আমাদের ঈমান এবং আ’'মাল ঠিক হবে এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আমাদের পদক্ষেপ হবে সময়োপযোগী, আল্লাহ তা'’লা আসমান থেকেই তার সাহায্য মুসলমানদের জন্য পাঠিয়ে দেবেন। পুলিশ, RAB বা বিজিবি দিয়ে আল্লাহর গায়েবি মদদের কোন মোকাবেলা করা যাবে না !!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



