তেহরান ছবি ব্লগ !!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
তেহরান এর সবচেয়ে উচু ভবন (চলন্ত গাড়ি থেকে তোলা)
মিলাদ টাওয়ার (বিশ্বের ৬ষ্ট উচ্চতম টাওয়ার, ১৪২৭ ফুট), রাতে সুন্দর লাগে দেখতে, আমার বাসা থেকে চুড়াটা দেখা যায়।
রাতের মিলাদ টাওয়ার (ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে)
সাই পার্ক, এদের পার্ক গুলো বেশ সুন্দর হয়। বাচ্চাদের খেলাধুলা, ব্যায়াম করার সামগ্রীর ব্যবস্থা থাকে। লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে এসে পার্কে ঘুমিয়ে থাকে, খাওয়া দাওয়া করে।
রাস্তাঘাট বেশ ভাল, পরিস্কার পরিচ্ছন আর ভাংগাচুরা নাই।
মহাসড়ক।
শহরের এক প্রান্তে দারবান্দ নামে পাহাড়ের গায়ে একটি জায়গা আছে। গরমের দিনেও জায়গাটা বেশ ঠান্ডাই থাকে। অনেক লোকজন বেড়াতে যায়, তাই প্রচুর রেস্টুরেন্ট আছে এখানে। উপরে ছবিতে এই খাবারগুলো কাবাব হবার অপেক্ষায় আছে।
দারবান্দের রেস্টুরেন্ট।
আচারের দোকান।
গত রমযানে বন্ধু হামিদের বাসায় ইফতারের আয়োজন, এখানকার কনফেকশনারি আইটেম বেশ মজার হয়।
অফিসের এক ইফটার পার্টিতে, এদের ইফতারে প্রচুর ঘাস পাতার উপস্থিতি থাকে।
ইফতারে এই (বাম দিক থেকে) খেজুর, জুলবিয়া আর বোমিয়া আমার খুব পছন্দ।
হোমা হোটেলের ১৭ তলা থেকে তেহরান শহর, সামনের বড় ভবনটি MCCI (Mobile Communication Company of Iran) এর প্রধান কার্যালয়।
হোমা হোটেল থেকে, পাহাড়ের ওপাশে সূর্য ডুব দিচ্ছে।
শহরের এক প্রান্তে, তোচাল নামক পাহাড়ের উপর থেকে তেহরান শহর।
আরজান্তিন স্কয়ার, আমার অফিসের কাছেই।
ছোট ভাই রুপম গতমাসে বৌদিকে নিয়ে ইরান এসেছিল ২০ দিনের জন্য। আমরা যে ক'জন আছি তাদের জন্য বৌদির আয়োজন। এত আইটেম এই হোটেলে বসে উনি করেছেন, সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম !!
তেহরান মেট্রো, ছবি তোলার পর বুঝতে পেরেছিলাম এখানে ছবি তোলা নিষেধ !
তার্কিশ বাকলাভা ! আমার জীবনে খাওয়া সেরা ডেজার্ট আইটেম (বাংলাদেশ সর্বপ্রথম খেয়েছিলাম, ইস্তাম্বুলের হাজি বাবা দোকানের বাকলাভা)। আমাদের এক তার্কিশ সহকর্মী তার এলাকার দোকান থেকে এনেছিলেন, বেশ মজার ছিল।
তান্দিস শপিং মল থেকে তোলা ছবি। এই মলে একটা তার্কিশ বাকলাভা প্রতিষ্ঠানের শাখা আছে (তৈরী হয় ইরানেই)। মান বেশ ভাল, বর্তমানের এটিই আমার বাকলাভা'র জন্য একমাত্র ভরসা !
বিয়ের পোশাকের দোকান। একেবারে ওয়েস্টার্ণ স্টাইলের পোষাকেই এরা বিয়ে করে মনে হচ্ছে !
মূলতঃ যা খেয়ে বেচে থাকি...
আগের ব্লগে অনেকেই এখানকার রুটি বা "সাংগাক" তৈরীর দোকান দেখতে চেয়েছিলেন। তাদের জন্য...
বস্তা ভর্তি আটার স্তুপ।
মেশিনে আটা প্রসেস হচ্ছে।
আমাকে ছবি তুলতে দেখেই ওরা বলল, "বিয়া বিয়া", মানে "আস, আস" ভেতরে এসেই ছবি তোলো !!
এই বোর্ডের উপর এক ব্যাক্তি রুটির কাই টা রাখছে। এরপর এর উপর আরেকজন কিছু তিল ছড়িয়ে দেয়।
রুটি চলে যাচ্ছে উনুনের ভেতর, এটা একটা ঘুরন্ত চাকতি।
এই হল সেই রুটি। একেকটি রুটির দাম বাংলাদেশি টাকায় ১৫/১৬ টাকা পড়ে। লোকজন লাইন ধরে অনেকগুলো করে রুটি কেনে।
শেষ হল আজকের তেহরান ছবি ব্লগ। ভাল থাকুন সবাই।
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছবির গল্প, গল্পের ছবি
সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!
কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে
সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে
আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?
এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন