somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয়বই (উপন্যাস): ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ _মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

০১ লা মে, ২০০৯ সকাল ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’ বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে প্রবেশ করেছিলেন সাহিত্য জগতে। আর সেই মানিকের হাতেই রচিত হল কালজয়ী উপন্যাস; ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’!
মূলত: ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ এই দুটি উপন্যাসই তাকে কিংবদন্তীর লেখকে পরিণত করেছে।
১৯০৮ সালের ১৯শে মে জন্মগ্রহণকারী মানিক ১৯৩৫ এ লেখালেখিতে প্রবেশ করেন। সেই বছরই আশ্চর্যজনক ভাবে মৃগী রোগ আক্রান্ত হন; যা ছিল মৃত্যু পর্যন্ত। ‘৩৫ এ শুরু করে ‘৩৬ এ লিখে ফেলেন ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’র মতো উপন্যাস। যদিও মাণিকবাবুর চেয়েছিলেন এর দ্বিতীয় খণ্ড লিখবেন কিন্তু তা আর হয়নি ১৯৫১ এর ৩-রা ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত!

একজন মাণিককে গভীর ভাবে পাওয়া যায় তার নিজ্ সৃষ্ঠ কর্মে।
বাংলা সাহিত্যের উল্লেখ্যযোগ্য সংযোজন এই ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ উপন্যাসটি।

আমি এই উপন্যাস এর গল্প কিংবা চরিত্র বিশ্লেষণে যাবো না। শুধু বলব, ফ্রয়েডের ‘লিভিডো’ আর সমাজতণ্ত্রের মন্ত্রে দ্বীক্ষিত মাণিকবাবুকে সম্পূর্ণরূপে পাওয়া যায় এই উপন্যাসে।
এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ‘শশী’। সদ্য ডাক্তারী পাশ করে গ্রামে আসে বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভিন্নতর সংস্কৃতি কিংবা সহজ ভাষায় উন্নত জীবনের সন্ধ্যানে বেড়িয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সে আর প্রথাগত জীবনের বাহিরে যেতে পারে না।গ্রামীণ জীবণের প্রতিবেশ, পরিবেশের বৈচিত্র্যতা আর বাস্তবতার ডালপালা এমন ভাবে তাকে আকড়ে ধরে; যা ছিড়ে বের হওয়া শশীবাবুদের সামর্থের বাহিরে।
আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লেগেছে যে, কোথাও মাণিকবাবু ‘শশী’কে জোড় করে আটকান নি।আর এখানেই একজন লেখকের স্বার্থকতার পরিচয় পাওয়া যায়। মাণিকবাবুর স্বার্থকতা তথা ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’র প্রকৃত স্বার্থকতাই মিশে গেছে জীবনঘনিষ্ট মানুষগুলোর চরিত্রের পুংখানুপুংখ আখ্যান রচণায়।মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনবোধ, সমাজ চেতনা ও বিজ্ঞান মনস্কতার এক পরিপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া হচ্ছে এই উপন্যাসটি।

আমার পছন্দের উপন্যাসের ব্যাক্তিগত তালিকাটি শুরু হয় ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ দিয়ে।
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×