somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০ দেশের ১০ পরিচালকের ১০ সিনেমা

২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সিনেমা দেখার প্রতি আগ্রহ ছিল ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু অনেক সময় সুযোগ ও সামর্থের অভাবে দেখতে পারিনি কাঙ্খিত সিনেমাগুলি। আজ যখন সুযোগ ও সামর্থ দুটাই আছে, তখন সময়টাকে নিজের করে পাওয়া কষ্টের হয়ে দাড়িয়েছে। তারপরও দেখা হয়। কিন্তু যা হয় না তা হল ব্লগারদের সাথে শেয়ার করা। চলুন তাহলে আজ সেই শেয়ারের কাজটা শেষ করে নেই আমার জন্মদিনটাকে সামনে রেখে।


১০ দেশের ১০ পরিচালকের ১০টি সিনেমা

আসলে সিনেমা বাছাই করা বিরাট কাজ। ব্লগ থেকে যখন সিনেমা বিষয়ক পোস্টগুলো পড়ি তখন খুব অবাক হই এই ভেবে যে ব্লগাররা কি করে সিলেকশন করেন! ইংরেজি ভাষাভাষির সিনেমাগুলোর মধ্যে আমেরিকা অন্যতম। স্ট্যানলি কুবরিক, অরসন ওয়েলস, ক্লিন্ট ইস্টউড, মার্টিন স্কোরসেজি, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, ডি ডব্লিউ গ্রিফিথি, স্টিভেন স্পিলবার্গ, জেমস ক্যামেরন, উডি অ্যালেনদের থেকে কোনো একজনকে বেছে নেয়া অনেক মুশকিল। তাই ভাবলাম এদের নিয়ে আলাদাভাবে পোস্ট দেয়া যায় কি-না পরে দেখা যাবে। আপাতত এই পোস্টটা দেই-

সিনেমা দেখার আগে সংক্ষিপ্ত ভাবে একটু প্রস্তুতি নিয়ে নেয়া যাক।
মুভিগুলো ডাউনলোড করার জন্য আইডিএম ব্যবহার করতে পারেন। রোদন রহমানের এই পোস্ট থেকে প্যাচসহ ফাইলটা ডাউনলোড করে নিন। (বিঃ দ্রঃ প্যাচ আইডিএম ইন্সটল করলে কখনো আপডেট দিবেন না, তাহলে সারাজীবন চালাতে পারবেন!)
আর যারা মুভিগুলো অনলাইনে দেখবেন ভাবছেন আর মেগাভিডিও টাইপ সাইটগুলোর টাইম লিমিটেশন নিয়ে চিন্তিত, তারা এই সফ্টটা ইন্সটল করে ডেস্কটপে রেখে দিন আর নিশ্চিন্তে দেখতে থাকুন।

আমার দেয়া মুভি সাইটগু লো থেকে দেখতে বা নামাতে যদি কোনো প্রবলেম হয় তাহলে আরো বিভিন্ন সাইটগুলোর সাহায্য নিতে পুশকিন এর এই পোস্টটির সহায়তা নিতে পারেন।

যারা হার্ড কপির মাধ্যমে (ডিভিডি) মুভিগুলো দেখবেন ভাবছেন, তাদের জন্য আপাতত শুধু শুভ কামনা রইলো।

রাশিয়ান পরিচালক ও সিনেমা

Andrei Tarkovsky (আন্দ্রেই তার্কভ্‌স্কি)

(1932 - 1986)
Born April 4, Zavrazhe, Ivanono, Russia

সিনেমার গুরু থেকে শিশ্য মুটামুটি সবাই তার্কভস্কি’র নাম শুনেছে। প্রখ্যাত সোভিয়েত চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক এবং অপেরা পরিচালক।তিনি সর্বকালের সেরা ১০০ জন চলচ্চিত্র পরিচালকের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন ছলচিত্রের কবি। জীবন ও স্বপ্নের প্রতিফলন নির্মাণেই ছিল তাঁর নেশা। তার্কভ্‌স্কির করা সেরা সিনেমাগুলো হচ্ছে, আন্দ্রে রুবলেভ, সোলিয়ারিস, স্টকার এবং মিরর।পরিচালনার পাশাপাশি তার্কভ্‌স্কি চিত্রনাট্য রচনা, চলচ্চিত্রের তত্ত্ব প্রণয়ন এবং মঞ্চ পরিচালক হিসেবে সাফল্য অর্জন করেছেন। প্রায় সবগুলো সিনেমাই সোভিয়েত ইউনিয়নে নির্মাণ করেছেন। শুধু শেষ দুটি সিনেমা দেশের বাইরে করা। শেষ দুটি সিনেমা ইতালি ও সুইডেনে নির্মাণ করেছেন। তার চলচ্চিত্রের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল খ্রিস্টীয় আধ্যাত্মিকতা ও অধিবিদ্যাগত চিন্তাধারা, অতি দীর্ঘ দৃশ্যায়ন, সাধারণ সিনেমার মত নাটকীয় গঠন বা কাহিনীর অভাব এবং মনে রাখার মতো চিত্রগ্রহণ।

তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য কিছু সিনেমাঃ
Ivan's Childhood (1962)*, Andrei Rublev (1966)*, Solaris (1972)*, Stalker (1979)* Worth a Look: The Mirror (1976)*, The Sacrifice (1986)* Approach with Caution: Nostalghia (1983)*

দি মিরর

সিনেমাটির বিষয় তার্কভস্কির ছেলেবেলা। তাই ঘটনার প্রতিফলন এবং বিগত স্বপ্নের ইমেজ তার্কভস্কির ক্যামেরায় কবিতার মত হয়ে ধরা দিয়েছে। তার্কভস্কি অবশ্য নিজে বলেছেন যে, মিররে নিজের ছেলেবেলা বিষয়ে কথা বলার কোনো আগ্রহ আমার ছিল না। আমি তাদের প্রতি আমার ফিলিং কী, তাদের সঙ্গে আমার রিলেশনশিপ কী.. এগুলোই চেয়েছি। তিনি তাঁর বাবার কবিতার মধ্য দিয়ে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন তার ফেলে আসা সময়ের মাধ্যমে। যারা একটু সিম্বলিক সিনেমা পছন্দ করেন, কাব্যিকতা পছন্দ করেন, তারা ১৯৭৬ এ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি দেখতে পারেন।

(সিনেমার পরিচিতিতে যদি কাহিনী/রিভিউ চলে আসে, তাহলে সেই সিনেমা দেখার প্রতি আমার আগ্রহ কমে যায়। আমার মত হয়তো অনেকেই আছেন, তাই সেই বিষয়টি মাথায় রেখে পরিচিতি দেবো।)

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য

ফরাসী সিনেমা ও পরিচালক

Robert Bresson (রবার্ট ব্রোসো)

(1901 - 1999 Born September 25)
Bromont-Lamothe, Puy-de-Dôme, Auvergne, France

ফ্রান্সের ভিন্নধারার রূপকার হচ্ছেন তিনি। যাকে চেনা যায় ‘এ ম্যান এস্কেপড’ সিনেমার পরিচালক হিসেবে। চলচিত্রে মেটাফর এর সবোর্কৃষ্ঠ ব্যবহার লক্ষ করা যায় রবার্ট ব্রোসো এর সিনেমায়। তিনি কাজ করতেন অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রিদের নিয়ে। রবার্ট ব্রোসো তাঁর নিজের কাজ সম্পর্কে বলেন, "My movie is born first in my head, dies on paper; is resuscitated by the living persons and real objects I use, which are killed on film but, placed in a certain order and projected on to a screen, come to life again like flowers in water." - Robert Bresson

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
Les Dames du Bois de Boulogne (1945)*, Diary of a Country Priest (1950)*, A Man Escaped (1956)*, Pickpocket (1959)*, Au hasard Balthazar (1966)*, Mouchette (1966)*, L'Argent (1983)* Les Anges du peche (1943), Trial of Joan of Arc (1962), Une Femme douce (1969), Four Nights of a Dreamer (1972), Lancelot du Lac (1974)*, The Devil Probably (1977)

এ ম্যান এস্কেপডঃ

সিনেমাটি আদ্রে দিভিগ নামক এক বন্দীর স্মৃতি নিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযদ্ধের সময় তাকে বন্দি করে রাখা হয় নার্সি জেলে। সেখান থেকে সে পালানোর চেষ্ঠা করে। যুদ্ধকালীন সময়ে কারাগারের ভেতরে এক বন্দি পালানোর চেষ্ঠা করছে। যুদ্ধের যে ভিন্ন প্রকাশ থাকতে পারে যুদ্ধ না দেখিয়েও এই ছবিটা তার প্রমাণ। যারা এডভেন্চার পছন্দ করেন, যারা করেন না, সবার জন্যই দেখার মত একটা মুভি। একজন্ পরিচালক কতটুকু পারফেক্টশনিস্ট হলে এমন মুভি বানাতে পারেন, এ ম্যান এস্কেপড না দেখলে বিশ্বাস হত না।

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য

জাপানিজ সিনেমা ও পরিচালক

Akira Kurosawa (আকিরা কুরোসাওয়া)

1910 - 1998
Born March 23, Omori, Tokyo, Japan

আকিরা কুরোসাওয়াকে বলা হয় সবচেয়ে সফল শেক্সপিরিয়ান চলচ্চিত্রকার। আরেক পারফেকশনিস্ট। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত তৎকালীন জাপানে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই তার সিনেমার অনেকটা জুড়ে থাকে জাপানী ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতি নিয়ে নাটকীয় পরিবেশনা। আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের চিত্রায়ন তার ছবির অন্যতম আকর্ষণ। ১৯৯০ সালে কুরোসাওয়া তার সামগ্রিক সাফল্যের জন্য অস্কার পুরস্কার লাভ করেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
Rashomon (1950)*, Ikiru (1952)*, The Seven Samurai (1954)*, Ran (1985)* Recommended: Drunken Angel (1948), Stray Dog (1949)*, Throne of Blood (1957)*, The Hidden Fortress (1958), High and Low (1963)*, Dodes'ka-den (1970) Worth a Look: One Wonderful Sunday (1947), The Quiet Duel (1949)**, The Idiot (1951), I Live in Fear (1955), The Lower Depths (1957), The Bad Sleep Well (1960), Yojimbo (1961)*, Sanjuro (1962), Red Beard (1965)*, Dersu Uzala (1975)*, Kagemusha (1980)*, Akira Kurosawa's Dreams (1990), Rhapsody in August (1990), Madadayo (1993)

রশোমনঃ

এক সামুরাই যোদ্ধা নিহত হয়। তার নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ একজনকে ধরে। আদালতের কাছে এই খুনের ঘটনা বর্ণনা করে ৩ জন। এই ৩ জন আবার বর্ণনা করে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। অথাৎ একটা রহস্য তৈরি হয় হত্যাকান্ড নিয়ে। অনেকটা বুদ্ধিদীপ্ত এবং রহস্যময় সিনেমা হল রশোমন।

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য


ইরানি সিনেমা ও পরিচালকঃ

Majid Majidi (মাজিদ মাজিদি)

April 17, 1959, Tehran, Iran.

ইরানের চলচ্চিত্রের কথা উঠলেই যার নাম মনে পড়ে তিনি হলেন, আব্বাস কিরোস্তামি। কিন্তু এছাড়াও ইরানি সিনেমায় আরো যারা প্রাণপুরুষ তাদের মধ্যে মাজিদ মাজিদি অন্যতম। মাজিদির যে বৈশিষ্টের কারণে তিনি বিখ্যাত তা হল কম সংলাপ ব্যবহার করে ক্যামেরার ভাষায় কথা বলার প্রবণতা। মাজিদি সবচেয়ে বেশী পরিচিতি লাভ করেন অস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘চিলড্রেন অফ হেভেন’ এর জন্য। সেই বছর বিদেশী ভাষার সিনেমা গ্রুপে ইতালির রবার্তো বেনিনির ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ পুরস্কার জিতে নেয়।
১৯৭৯ সালে ইরানী বিপ্লবের পর চলচ্চিত্রের দিকে আগ্রহী মাজিদ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শুরু করেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৮৫ সালে মুক্তি পাওয়া মোহসেন মাখমালবাফের ‘বয়কট’ । তিনি শিশুতোষ ও দৃশ্যপ্রধান সিনেমা তৈরি করে থাকেন। তাঁর সিনেমায় তিনি কাহিনীকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে একের পর এক সিম্বল এর খেলা খেলতে থাকেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
father(1996), God will come (1996), Children of Heaven (1997), The color of paradise (1999), Baran (2001), The willow tree (2005), The song of sparrows (2008),

দি কালার অব প্যারাডাইজঃ

মাজিদির ‘চিল্ড্রেন অব হেভেন’ চমৎকার এবং অনেক চর্চিত একটি সিনেমা। তাই একটু সরে তাঁর দি কালার অফ প্যারাডাইজ এর কথা বলছি। যদিও এটাও কম চর্চিত এবং অবলোকিত নয়। মাজিদ মাজিদির এই "The Color of Paradise" ছবিটি পরিচয় করিয়ে দেয় শিশুদের ইনোসেন্স আর ভাগ্য ও মানবতার পরিহাসের সাথে। ছবিটি আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে সুন্দর অভিনয় আর শৈল্পিকতার কারনে। মাজিদ মাজিদিকে আমার ভাল লাগে তার ক্যামেরার মাধ্যমে কথা বলার ধরণের কারণে। সিনেমা হচ্ছে ভিজুয়াল মাধ্যম, সেখানে কথার পাশাপাশি দৃশ্যগুলোও যদি কথা হয়ে ফুটে উঠে না তাহলে কি হয়? এই মুভিটি নিয়ে অনেক ব্লগার লিখেছেন, তাই আর আলাদা করে লিখছি না। তবে শেষ দৃশ্যের পিতা পুত্রের যে সিম্বলিক টেক নিয়েছেন মাজিদ মাজিদি, তা মনে দাগ কেটে যায়।

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য

ইতালিয় সিনেমা ও পরিচালক

Vittorio de Sica (ভিত্তোরিও দে সিকা)

1902 - 1974 Born July 7, Sora, Latium, Italy

বলতে চেয়েছিলাম আমার অনেক প্রিয় সিনেমা রবার্তো বেনিনির ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ এর কথা। কিন্তু শরীরের কথা বলার আগে যিনি মানুষের আত্মাকেও ভিডিও করতে পারেন তার কথা বলা দরকার। চরম বাস্তবতা দিয়েও শিল্প সৃষ্টি করা যায়, কিন্তু তা কতটা কালোর্ত্তীন হয় জানা না থাকলেও সমস্যা নেই। “বাইসাইকেল থিফ” (১৯৪৮) সেই উদাহরণ নিয়ে আছো সিনেমাপ্রেমিদের মনে গেথে আছে। ইতালিয়ান সিনেমায় অভিনেতাদের অভিনয়ের মহিমা আর পরিচালকদের মুন্সিয়ানার সূত্রপাত ভিত্তোরিওদের হাত ধরেই। ভিত্তোরী দে সিকা ইতালিয়ান নিওরিয়েলিজম আন্দোলনের একজন অগ্রনায়ক।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
The Children Are Watching Us (1944), Bicycle Thieves (1948)*, Umberto D. (1952)* Shoeshine (1946)*, Two Women (1960) Worth a Look: Miracle in Milan (1951)*, The Gold of Naples (1954), The Condemned of Altona (1962), The Garden of the Finzi-Continis (1971) Duds: Indiscretion of an American Wife (1953)

বাইসাইকেল থিফ


১৯৪৮ এর ইতালির এক চাকুরীহীন পিতা এন্টনি রিচ্চি (ল্যাম্বার্তো মাজিওরানি)। বহু কস্ট করে এক চাকরী জোগাতে পারল । কিন্তু চাকরীর একমাত্র শর্ত, সাইকেল থাকা লাগবে । আর্থিক দৈনদশার মাঝে সাইকেল কিভাবে পাবে সে! সাইকেল ক্রয় এবং পরে সেই সাইকেল হারিয়ে যাওয়া এবং পিতাপুত্র মিলে খুঁজতে থাকা; ঘটনাটা শুধু এভাবে হলে সাধারণই ছিল, কিন্তু এর নিমার্ণ যে হয়েছে ভিত্তোরীর হাতে। তা কি আর সাধারণ হতে পারে? তাই এই খোঁজা পর্বটাই ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়ে গেছে!

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য


স্প্যানিস সিনেমা ও পরিচালক

PEDRO ALMODÓVAR (পাদ্রো আলমোডোভার)

25 September 1949
Calzada de Calatrava, Ciudad Real, Spain

অস্কার জয়ী স্প্যানিশ চলচিত্র পরিচালক। সাধারণত য়ৌন নান্দনিকতাকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানিয়ে থাকেন। তাঁর সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্প্যানিস পরিচালক তিনি। কমপ্লেক্স নেরোটিভ ও ম্যালোডামা নিয়ে কাজ করেন বেশী। সাইকোসেক্সোয়াল থ্রিলারধর্মী সিনেমার জন্য তিনি ‘স্প্যানিশ হিচকক’ নামে পরিচিত।

আরো কিছু সিনেমাঃ
Matador (1986, Sp.), La Ley del Deseo/Law of Desire (1987, Sp.), Women on the Verge of a Nervous Breakdown (1988, Sp.), ¡Átame!/Tie Me Up! Tie Me Down! (1990, Sp.), Tacones Lejanos/High Heels (1991, Sp.), Kika (1993, Sp.), La Flor de Mi Secreto/The Flower of My Secret (1995, Sp.), Carne Trémula/Live Flesh (1997, Sp.), Todo Sobre Mi Madre/All About My Mother (1999, Sp.), Hable Con Ella/Talk to Her (2002, Sp.), La Mala Educación (2004, Sp.) (aka Bad Education), Volver (2006, Sp.), Broken Embraces/Los Abrazos Rotos (2009, Sp.).

ম্যাটাডোর

তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে ‘ম্যাটাডোর’ অন্যতম। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েই এই সিনেমাটা দেখেছিলাম। এখন মনে দাগ কেটে আছে। সাইকো থ্রিলারধর্মী এই সিনেমাটি পাদ্রো আলমোডোভার অনন্য সৃষ্টি।

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য


পোলিশ সিনেমা ও পরিচালক

Billy Wilder (বিলি ওয়াইল্ডার)

1906 - 2002 Born June 22, Sucha beskidzka, Poland

অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর তিনি চলচ্চিত্র জগতের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাকে হলিউড স্বর্ণযুগের অন্যতম প্রভাবশালী ও কৃতী চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে অভিহিত করা হয়। ওয়াইল্ডারের অনেক ছবিই দর্শক ও সমালোচকদের কাছে বিপুল প্রশংসিত হয়েছে। শক্তিশালী চিত্রনাট্য ও পরিপূর্ণ কাহিনীকে গুরুত্ব দিতেন বিলি ওয়াইল্ডার। রাজনীতির ও সমাজের বদলে তিনি ছিলেন মানব সচেতন। গতানুগতিক বিনোদনের মধ্যেও তিনি শিল্পের জন্ম দিয়েছিলেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
Five Graves to Cairo (1943), Double Indemnity (1944)*^, The Lost Weekend (1945)^, Sunset Blvd. (1950)*^, Ace in the Hole (1951)*^

সাম লাইক ইট হট

বিলি ওয়াইল্ডার পরিচালিত কমেডি চলচ্চিত্র, যা ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অবিনয় করেছেন মেরিলিন মনরো, টোনি কার্টিস এবং জ্যাক লেমন। রবার্ট থিওরেন ও মাইকেল লোগানের একটি ছোটগল্প অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য লিখেছেন যৌথভাবে বিলি ওয়াইল্ডার ও আই এ এল ডায়মন্ড। লোগান এর আগেই একটি জার্মান চলচ্চিত্রের জন্য তার গল্পটি লিখেছিলেন। সেই জার্মান চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ফানফারেন ডের লিবে (Fanfaren der Liebe)। তবে সেই কাহিনীতে কোন গ্যাংস্টার ছিল না। অনেকে অবশ্য এ কারণেই ওয়াইল্ডারের এই চলচ্চিত্রকে রিমেক (remake) বলে আখ্যায়িত করেন।
ফরাসি কমেডি চলচ্চিত্র লা কাজ ও ফল (La Cage aux Folles)-এর বিশ্বব্যাপী সাফল্যের পর ইউনাইটেড আর্টিস্ট্‌স ১৯৮১ সালে চলচ্চিত্রটি পুনরায় নিমার্ণ করে। ২০০০ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট সাম লাইক ইট হট-কে সর্বকালের সেরা মার্কিন কমেডি চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে। এই ছবিতে মেরিলিন মনরোর মনকাড়া অভিনয় আর সৌন্দর্য্য দেখার মত!

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য


ব্রিটিশ সিনেমা ও পরিচালক

Alfred Hitchcock (আলফ্রেড হিচকক)

1899 – 1980
Born August 13, Leytonstone, London, England

চলচ্চিত্র ইতিহাসে তাকেই প্রথম থ্রিলার কিংবা ভৌতিক ছবির সফল ও আধুনিক রূপকার ধরা হয় । আজও তার মুভি গুলো দর্শক, সমালোচকদের চিন্তার খোরাক জোগায় । হৃদকম্পন বাড়িয়ে দেয়া মুভি গুলোর আবেদন আজও বিন্দুমাত্র কমেনি । তিনি ১৯৬০ সালে বিখ্যাত মনোজাগতিক বিকৃতি বিষয়ক চলচ্চিত্র সাইকো নির্মাণ করেন যা বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তবে সেরা পরিচালক হিসেবে কখনই একাডেমি পুরস্কার পাননি হিচকক। তার ১৯৪০ সালের মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার রেবেকা সেরা চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিল। তার করা এটিই একমাত্র চলচ্চিত্র যা সেরা চিত্রের পুরস্কার জয় করে। ড্যাফনে দ্যু মঁরিয়ের বিখ্যাত উপন্যাস রেবেকা অবলম্বনেই এটি নির্মাণ করেছিলেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
The 39 Steps (1935)*, Rebecca (1940)*, Shadow of a Doubt (1943)*#, Notorious (1946)*#, Strangers on a Train (1951)*#, Rear Window (1954)*, Vertigo (1958)*, North by Northwest (1959)*, Psycho (1960)*, The Birds (1963)*, Marnie (1964)* The Lodger (1926), Rich and Strange (1932), The Man Who Knew Too Much (1934), Sabotage (1936), The Lady Vanishes (1938)*, Foreign Correspondent (1940), Mr. & Mrs. Smith (1941), Suspicion (1941)#, Saboteur (1942), Lifeboat (1944), Spellbound (1945)#, Rope (1948), I Confess (1953), Dial M for Murder (1954), To Catch a Thief (1955), The Man Who Knew Too Much (1956), The Wrong Man (1956)*#, Frenzy (1972), Family Plot (1976)

সাইকো


'দ্য মোমেন্ট অব সাইকো' উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয় 'সাইকো'। উপন্যাসের লেখক মন্তব্য করেছিলেন, 'যে কোনো আমেরিকান থ্রিলারধর্মী ছবির জন্য এর প্রতিটি উত্তেজক দৃশ্য একেকটি নির্দেশনা হয়ে থাকবে। এটা ছবির জগতটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।' যারা থ্রিলার পছন্দ করেন তাদের কাছে সাইকো ছবির দৃশ্যগুলো সেই রকম লাগবে।

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য


চেকোস্লোভাকিয়ার সিনেমা ও পরিচালক

Milos Forman (মিলশ ফরমান)

1932 - Born February 18, Cáslav, Czechoslavakia

মিলশ ফরমানকে পৃথিবী মনে রাখবে দু’টা মুভির জন্য; ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট এবং আমাদেউস। মিউজিক প্রিয় মানুষ এবং যারা মিউজিক নিয়ে কাজ করেন তারা মোৎজার্ট কি জানেন। আর তাঁর স্রষ্টাকে নিয়ে কাজ করার সাহস কেমন সাহসীর থাকতে পারে, তা ও জানেন। চেকোস্লোভাকিয়ান এই পরিচালক ৩বার অস্কার মনোনিত হয়ে ২বারই অর্জন, ৪বার প্লোব এওয়ার্ড এ মনোনীত হয়ে ৩বার, ২বার কান এর জন্য মনোনীত হযে ১বার পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর সিনেমার নামের পাশে পুরস্কার হিসাবটা দেখলে মনে হয় তিনি বুঝি সিনেমা বানান পুরস্কার নেয়ার জন্যই! আর সেই পুরস্কারের সাথে থাকে দর্শকদের পূর্ন সমর্থন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
Loves of a Blonde (1965)*, Taking Off (1971), One Flew Over the Cuckoo's Nest (1975)* The Firemen's Ball (1967)*, The People vs. Larry Flynt (1996) Worth a Look: Black Peter (1964), Hair (1979), Ragtime (1981), Amadeus (1984)*, Man on the Moon (1999)

ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট

মিশেল ফকোর ম্যাডনেস এন্ড সিভিলাইজেশন থেকে একজনই পালাতে পেরেছিল- ‘ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুকুস নেস্ট’ অনেকদিন মনে থাকার মত সিনেমা। একজন পূর্বে, আরেকজন পশ্চিমে যায়- কিন্তু পূর্ব-পশ্চিম সবদিকেই দাড়িয়ে থাকে সমাজ। পালিয়ে যায় একজন, সমাজ ছেড়ে দূরে কোথাও।

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য


ইন্ডিয়ান সিনেমা ও পরিচালক

Satyajit Ray (সত্যজিৎ রায়)

1921 - 1992 Born May 2,
Calcutta, West Bengal, India

সত্যজিৎ এর ক্লোজ-আপ এর মাধ্যমে মানুষের মুখমণ্ডলে মানবতা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন। তার “অপু ত্রয়ী” সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্ল্যাসিকের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। সত্যজিৎ পুরো একটি দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের মেরুদণ্ড নির্মাণ করেছেন। পরিচালনা, চিত্রনাট্য, আবহ সঙ্গীত, চিত্রগ্রহণ, পোস্টার তৈরী, শিল্প নির্দেশনা সব দিকেই ছিলেন সমান পারদর্শী।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাঃ
Aparajito (1956)*, The Music Room (1958)*, The World of Apu (1959)*, Charulata (1964)* Recommended: Pather Panchali (1955)*, Kanchenjungha (1962), The Big City (1963), Days and Nights in the Forest (1969)*, Distant Thunder (1973), Pikoor Diary [TV] (1981) Worth a Look: Devi (1960), Two Daughters (1961), Siddhartha and the City (1970), The Home and the World (1984)**, The Branches of the Tree (1990)

পথের পাঁচালী

কাশবনের ভেতর দিয়ে রেল দেখার জন্য অপু ও দূর্গার দৌড়ে যাওয়া কিংবা পুকুরে ছুড়ে ফেলা সেই ঢিল; যারা দেখেননি তারা এর কোনো অর্থই খুঁজে পাবেন না।

অনলাইনে দেখার জন্য
ডাউনলোড করার জন্য
টরেন্ট নামানোর জন্য

...........................................................................................
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩
৪৬টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×