somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্যারিস ভ্রমণঃ একটি নির্দেশনামূলক পোস্ট ভ্রমণপর্ব

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্যারিস ভ্রমণঃ একটি নির্দেশনামূলক পোস্ট প্রস্তুতিপর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।



প্যারিস ভ্রমণে কোথায় যাবেন তা নির্ভর করছে আপনি কতদিন প্যারিস থাকবেন তার উপর। আমি মনে করি প্যারিস ভ্রমণে আসলে কমপক্ষে ৭দিন সময় নিয়ে আসা উচিৎ। তা না পারলে নিদেনপক্ষে ৩দিন হাতে রাখা চাই। ৭দিন ভ্রমণ করলে আপনি মোটামুটি ভ্রমণের একটা সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরে যেতে পারবেন। সেই হিসেব মাথায় রেখে আমি চেষ্ঠা করছি ৭দিনের একটা ভ্রমণ পরিকল্পনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। সেখান থেকে গ্রহণ, বর্জন এবং সংযোজন করে আপনি আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা সাজাতে পারেন।

প্রথমেই এক নজরে দেখে নেই বিশেষ বিশেষ দর্শণীয় স্থানসমূহঃ

প্যারিসে দর্শণীয় স্থানের তো অভাব নেই। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সেই সকল স্থানগুলোকে বিষয় এবং জনপ্রিয়তা অনুসারে সাজিয়ে নেয়া যায়।* যেমনঃ
* প্রতিটি নাম আমি ইংরেজি অক্ষরে লিখছি যেনো কপিপেস্ট করে নেট থেকে আরো তথ্য সহজে পেতে পারেন।


মিউজিয়াম



উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- Musee du louvre, Musee ’Orsay, Musee Cluny ***
Mosee carnavalet, musee Picasso, musee rodin ** Catacombes de paris
cinematheque francaise, crypte archeologique, forum des halles, Jeu de paume, La coupole, Musee de l’Armee, Musee de l’Homme, Musee de l’Orangerie, Musee de la marine, Musee de la poupee, Musee de Montmartre, Musee de Arts de la mode, Musee des Arts decoratifs, Musee Eugene Delacroix.


স্থাপনা



উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- Eiffel Tower, Versailles, ***
La Defense, Hotel des Invalides, Opera de Paris Garnier, Pompidou Centre, **
Assemblee Nationale, Bibliotheque Nationale, College de france, Comedie francaise, conciergerie, grand palais, hotel de ville, hotel dieu, la Sorbonne, maison de victor hugo, opera de paris bastille, palais de chaillot, palais de justice, palais du Luxembourg, palais royal, petit palais, tour Montparnasse.


মনুমেন্টস/স্মৃতিস্থম্ভ



উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- Arc de Triomphe,***
* Arc de Triomphe du Carrousel, Fontaine de Medicis


পার্ক/উদ্যান



উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- ** Disneyland Paris, Jardin des Invalides, Jardin du Luxembourg, Parc zoologique de paris, France miniature, Futuroscope,
*Arenes de Lutece, Bois de Boulogne, Champ-de-Mars, Cimetiere de Montmartre, cimetiere du pere Lachaise, Jardin des plantes, Jardin du Palais royal, Jardin du trocadero, Parc de la vilette


• সরণী, চত্তর ও সেতু



উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- *** Avenue des Champs-Elysees *Boulevard st-Germain, Boulevard st-Michel, Rue Mouffetard, ** Etoile, Pont Neuf, Place des Vosges * Place Dauphine, Place de la concorde, Place du tertre, Place Vendome, Square du vert-galant, Pont Alexandre 3


প্রার্থণালয়



উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে- *** Notre-Dame, Sacre-Coeur, Sainte Chapelle ** St-Germain l’Auxerrois
* Mosquee de paris, Madeleine, Pantheon, St-Eustache, St-Germain-des-pres, St-severin, St-sulpice


শপিং মল, বার/রেস্তুরা



Gelaries La Fayette, Louvre des Antiquaires, Rue de Rivoli, Samaritaine, Au Lapin agile, Les Deux Magots, Moulin Rouge, Val d'Europe.


প্রাক-কথন



• আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনায় সকালটা হাঁটার জন্য রাখুন।
• আপনি যদি ৩ দিনের প্যারিস ভ্রমণে এসে থাকেন তাহলে ‘ভার্সাই’ (Chateau de Versailles ) ভ্রমণটা শেষের দিন সকালে অথবা দ্বিতীয় দিনের দুপুরে রাখুন।
• মিউজিয়াম ভিজিট সকালেই করা ভালো। প্রচুর হাঁটতে হয় বিদায় বেশিক্ষণ সময় নিয়ে ঘুরার ধৈর্য্য থাকে।
• প্রতিদিন রাতে ফিরে এসে ক্যামেরার ব্যাটারী চার্জে লাগাতে ভুলবেন না। মেমরী কার্ড এক্সট্রা না থাকলে ল্যাপটপে ফটো ট্রান্সফার করে খালি করে রাখুন পরের দিনের জন্য।
• অনেকেই প্যারিস এসে মনে করেন, আরে মিউজিয়াম/পার্ক/স্থাপত্য দেখে কি হবে? এগুলো তো আমাদের ওখানেও আছে। হ্যাঁ আপনাদের ওখানে আছে বা থাকতে পারে। কিন্তু থাকলেও তা এমন নয়! এটা অবশ্যই ভিন্ন। শিল্প-সাহিত্যের নগরী প্যারিস তাই তো মানুষ এখানেই ছুটে আসে বারবার। তাই মনযোগ দিয়েই দেখুন। শুধু চোখ ভরে নয়; প্রাণ ভরে দেখুন।


দিন * এক

সকালঃ
আপনার সকালটা শুরু হউক ‘Old Paris’ খ্যাত ঐতিহাসিক প্যারিসের পায়ে হাঁটা রাস্তায়। যা Châtelet থেকে শুরু হয়ে Paris town Hall (Hotel de Ville) এর দিকে যেতে যেতে Ile de la Cite এবং Saint-Louis এর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও প্যারিসের মধ্যযুগীয় নির্মাণগুলো দেখার সুযোগ করে দেবে।


হাঁটা শুরু করুন Place du Châtelet, Paris (Metro Lines 1, 4, 7, 11, 14) এবং শেষ করুন Rue de Lobau, 75004 Paris, France এখানে। ৩.৩ কি.মি এর এলাকাটা পেরুতে লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট এর মতো। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে এবং মানচিত্রে পায়ে হাঁটা পথ দেখতে কিংবা প্রিন্ট করতে এই লিংকে যেতে পারেন।



দুপুরঃ
দুপুরটা শুরু করুন পালে গার্নিয়ে (Palais Garnier) বা Opera House ভ্রমণের মাধ্যমে। মনে রাখবেন স্থাপত্যের অসাধারণ নিদর্শন এই অপেরা হাউজ কোনো অংশে মিউজিয়াম থেকে কম নয়। “পালে গার্নিয়ে (ফরাসি: Palais Garnier) প্যারিসের একটি গীতিনাট্যশালা। এটি স্থাপত্যকলার একটি অপূর্ব নিদর্শন। এতে সর্বমোট আসনসংখ্যা ১৯৭৯টি। সম্পূর্ণ ভবনটি ১১,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত।“



তারপর দিনটা শেষ করুন মোহময়ী বিপনী বিতান গ্যালারি লাফায়েত (Printemps Department stores) এর ছাদ থেকে সন্ধ্যার প্যারিস দেখে।

* সময় থাকলে আজই চলে যান প্যারিসের লাভ লক ব্রিজ এ। সময়ে সময়ে কর্তিপক্ষ এর তালা খুলে নিয়ে যায়, ভালবাসার তালা লাগানো বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তা বেশীদিন পারে না। মানুষ তার ভালবাসার তালা মেরে চাবিটা ঠিকই নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দিতে এখানেই ছুটে আসে বারবার। বিস্তারিত জানতে এই লেখাটা পড়তে পারেন।
উইকিতে




শেষ বিকাল/সন্ধ্যাঃ
শেইন নদীকে বলা হয় প্যারিসের হৃদয়তরঙ্গ। আর নৌকা করে এই হৃদয় তরঙ্গে ভেসে যেতে যেতে নরনারী আপ্লুত হয় রোমান্টিক আবহে। তাই অনেকেই ছুটে যান রাতের খাবারটা আইফেল টাওয়ারের পাদদেশঘেরা নদীর বুকে সারতে। যারা খেতে চান না তারা অন্ততঃ মুর্হূতটাকে স্মরণীয় করার জন্য হলেও একবার নৌবিহারটা করে আসেন।



তবে তার আগে দেখা করুন আয়রণ লেডি’র সাথে! আয়রণ লেডি মানে আইফেল টাওয়ার। সেই লেডিকে বিকালে এবং রাতে দুই সময় দেখা দিতে হয়। তা না হলে তিনি মাইন্ড করেন! বিকেল বেলা ছবি তুলার জন্য এবং রাত্রিবেলা হলো উপভোগ করার জন্য! যদি উপরে উঠতে চান তাহলে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি এবং সময় নিয়ে যাবেন। আইফেল টাওয়ারে যখনই যান না কেনো রাত দশটার আলোর-নাচন না দেখে আসবেন না।


আইফেল টাওয়ার (Tour Eiffel ) নিয়ে বেশী বর্ণনা লেখার প্রয়োজন মনে করছি না। অনেকেই লিখেছেন, লিখছেন এবং লিখবেন। তবুও বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটা পড়তে পারেন।

প্রথম দিনের ক্লান্তি আর মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে আসুন দ্বিতীয় দিনের প্রস্তুতির জন্য।


দিন * দুই

সকালটা শুরু করার প্রস্তুতি নিন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কথা মাথায় রেখে। অর্থাৎ আজ আপনি মোনালিসার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। আর মোনালিসার বসত হচ্ছে ল্যূভর মিউজিয়ামে। কিন্তু সেখানে পৌঁছুন মিউজিয়াম খোলার ৩০ মিনিট পূর্বে।



মনে রাখবেন, আপনার যদি স্টুডেন্ট আইডি থেকে থাকে এবং বয়স ২৫ এর ভিতরে হয় তাহলে আপনার প্রবেশ ফ্রি। চেষ্টা করুন মাসের প্রথম রবিবার ল্যূভর ভিজিট করার। কারণ এই দিন সকলের জন্যই প্রবেশ ফ্রি থাকে। যেকোনো স্থানে যাওয়ার আগে নেট থেকে দেখে নিন তা খোলা আছে কি না।

লূভ্যর মিউজিয়াম অনেক বড়। শিল্পবুদ্ধা বা শিল্পরসিক মানুষজনের সারাদিনই লেগে যাবে দেখতে। সাধারণ চোখে দেখলেও অর্ধদিবস নিয়ে নিবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই যাদুর-ঘর। মোনালিসা দেখার ক্ষেত্রে আমার সাজেশন হচ্ছে সবার আগেই দেখে ফেলুন মোনালিসার কক্ষটি। তাহলে অন্যান্য বিভাগগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারবেন। তা না হলে আপনার কানে কেবল মোনালিসা’র হাসিই খিলখিল করতে থাকবে।


বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটা দেখতে পারেন।

বিকেলঃ
যেহেতু সকালে হাঁটেননি তাই বিকালে হাঁটুন। লূভ্যর মিউজিয়ামের ভিতরে যে মানুষগুলোর শ্রম ও নিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি দেখে এসেছেন তার রেশ থাকতে থাকতে একবার ঘুরে বেড়াঁন সেই সকল মানুষ যে পথে হেঁটেছিলো সেই পথে। অর্থাৎ প্যারিসের ঐতিহাসিক পটভূমি দিয়ে। হাঁটার জন্য এই সাইটটার সহায়তা নিতে পারেন। এই সাইটের সুবিধা হলো ইতিহাসসহ পায়ে হাঁটা পথের বর্ণনা এবং মানচিত্র আপনি পিডিএফ ফরমেটে ডাউনলোড করে সাথে রাখতে পারবেন।



সুতরাং ইতিহাসের কোন শতাব্দির পথে হাঁটতে চান আপনিই আজ ঠিক করে নিন।




Middle Ages Paris
16th Century Paris
17th Century Paris
18th Century Paris
19th Century Paris
20th Century Paris

সন্ধ্যাঃ
আপনার আজকের সন্ধ্যাটাকে আরো তাৎপর্যময় করে তুলতে চলে যান নোত্র্ দাম দ্য পারি (Notre Dame de Paris) সামনে। ফ্রান্সের কুমারী মেরির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি প্রাচীন গির্জা। এইটি গোথিক জাতিদ্বারা নির্মিত অন্যতম প্রাচীন গির্জা। এর নির্মাণকাল ১১৬৩-১৩৪৫। এর উচ্চতা ১৩০ মিটার (৪২৭ ফুট)। (সূত্রঃ উইকি)



এই পোস্টটা দেখতে পারেন। নটরড্যাম (নোত্র দাম) গির্জার সবুজ ঘাষে বসে অথবা পূর্বের আলোচিত যেকোনো স্থানে আপনার রাতের খাবার শেষে ফিরে আসুন আর চোখের কোণে অগোচরে জমে থাকুক প্যারিসের গোধূলীবেলার চমৎকার প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ!



দিন * তিন

আজ মিউজিয়াম ডে! সকাল সকাল উঠে মিউজিয়াম খোলার ১৫ মিনিট আগেই পৌঁছে যান। সেখানে যাবেন তার নাম হচ্ছে মুজে দর্সে (Musee d’Orsay)


প্যারিস শহরে অবস্থিত একটি যাদুঘর। এটি শ্যেইন নদীর তীরে মুজে দর্সে স্টেশনের কাছে অবস্থিত। এখানে মূলত ১৮৪৮ হতে ১৯১৪ পর্যন্ত সময়কালের ফরাসি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চিত্রকর্ম, ভাষ্কর্য, আসবাবপত্র, এবং আলোকচিত্র। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এগুলির অধিকাংশই গালেরি নাসিওনাল দ্য জো দ্য পোম-এ সংরক্ষিত ছিল।
এখানে শেষ করে দুপুরের খাবার সঙ্গে নিয়ে চলে আসুন রঁদা মিউজিয়ামের বাগানে। চমৎকার বাগানে বসে অন্ন সাবার করুন। তারপর ঢুকে পড়ুন যাদুর-ঘরে!


মুজে রঁদা Musée Rodin, 79, rue de Varenne, 75007 Paris, France এই মিউজিয়াম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে দেখতে পারেন।



বিকালঃ
আজ ঘুরে ফিরে বারবার পাজলের মতো যাদুর-ঘরেই আসুন। অর্থাৎ আবারো যাদুঘর। ভিজিট করুন আর্মি মিউজিয়াম (Musee d’Armee) 129 Rue de Grenelle, 75007 Paris) কেনো যাবেন আর্মিদের মিউজিয়ামে? কারণ সেখানে পাবেন সম্রাট নেপোলিয়নের দেখা!



খুটিয়ে খুটিয়ে দেখা অনেক হলো। চোখ ও মনকে এবার নিস্তার দিন। মুক্ত আলোয় আপন মনে হাঁটুন। মানে আজকের মতো মিউজিয়াম পরিভ্রমণ শেষ করে আবারো সন্ধ্যায় মায়াবী আলোয় হাঁটতে বের হউন। কারণ আলোর শহর প্যারিস আপনি যদি রাতেই না দেখেন তাহলে তো সবই বৃথা!



তাহলে কি করে বুঝবেন প্যারিসকে কেনো City of Light বলা হয়।



আজকের পথের নাম হচ্ছে ঐতিহাসিক লাতিন কোর্য়াটার (The Latin Quarter)

যথারীতি নিদের্শনা এখান থেকে নিয়ে নিন।



আজকে সারাদিনে যে পরিমানে হেঁটেছেন তাতে নিশ্চয়ই পায়ের স্বাস্থ্য অনেকখানি বেড়ে গেছে! রাতে খাবারের পর ফরাসি একটা ডলিপ্র্যান (এক হাজার এমজি, পানিতে ঘুলে খেতে হয়। আমাদের দেশের প্যারাসিটামের মতো, এক বোতলে ৮টা ট্যাবলেট ২.৫০ ইউরোর মতো, যেকোনো ফার্মেসীতে পাবেন।)
খেয়ে দেখুন ম্যাজিক! সকালে আপনার নতুন আমিকে পাবেন।




দিন * চার


যান্ত্রিক নগরী দেখে হয়তো হাঁপিয়ে উঠেছেন। তাহলে আজকে চলে যান প্রকৃতির কাছাকাছি কোনো রাজ প্রাসাদে! জি, রাজবাড়ির কথাই বলছি! মানে শাঁতো দো ভার্সাই। ভার্সাই নগরী এবং রাজ প্রাসাদের কথা শুনেছেন অবশ্যই। রাজতন্ত্রের শেষ সূর্য্য যেখানে অস্তঃ গিয়েছিলো! চোখ ধাঁধানো সুন্দর আর পরতে পরতে ইতিহাসের রাজকীয় চরিত্রগুলোর মূর্তিময় উপস্থিতি আপনাকে অন্য এক ভূবণে নিয়ে যাবে যেখানে আপনি হয়তো কখনো যান নি, এমকি স্বপ্নেও!




দিনের বেশীর ভাগ সময় কেটে যাবে সেখানে। খাবার দাবার নিয়ে যান, ইচ্ছে মতো ঘুরে দেখে আসুন। কিছু ছবি দেখতে এর গল্প জানতে এখানে দেখুন

*এমনই নৈসর্গিক সুন্দরের আরেক প্রাসাদ আছে। যেখান থেকে নেপোলিওন শেষ বিদায় নিয়েছিলেন। তার নাম শাঁতো দ্য ফন্তেনব্লো। সেই স্থানটার কথাও মাথায় রাখবেন। আজকে যেতে পারবেন না, তবে পারলে কখনো যাবেন।
Château de Fontainebleau



বেলা থাকতে প্যারিস চলে আসলে সন্ধার পর হাঁটতে বের হন। আজ হাঁটবেন Montmartre এলাকা দিয়ে। কেনো হাঁটবেন জানতে এই সাইটটা দেখতে পারেন। এখান থেকে প্রয়োজনীয় হাঁটুনির টিপস পেয়ে যাবেন।




দিন * পাঁচ


সকালঃ
যথারীতি আপনাকে সোনাবন্ধুর গান গেয়ে গেয়ে হাঁটা শুরু করতে হবে। তবে আজকের পায়ে হাঁটা পথটা একটু ব্যতিক্রমী হলে কেমন হয়? মনে করুন Street Art মানে রাস্তায় আঁকা চিত্রকর্ম দেখে দেখে আপনি প্যারিসের একটা সাইড ভ্রমণ করলেন!



তাহলে এই লিংক এবং এখান থেকে থেকে বিস্তারিত জেনে গান গাওয়া শুরু করুন, মানে হাঁটা আর কি!



সর্তকতাঃ যেহেতু পায়ে হাঁটা পথ তাই পথে পথে ‘রেড লাইট এরিয়া’ পেয়ে যেতে পারেন! আবার কোনো স্বর্ণকেশীর মুচকি হাসিতে পটে যাবেন না। তাহলে মানিব্যাগ তো হালকা হবেই সাথে প্রিয় মোবাইলটাও যেতে পারে! আর মামুদের হাতে যেখানে সেখানে ধরা খেলে জড়িমানা গুনতে হবে আপনাকেই।

এই দেশে উল্টা নিয়ম, ক্রেতার জড়িমানা হয় বিক্রেতার নয়!



যদি Street Art রাস্তার ইনফো আপনার জটিল মনে হয় তাহলে সোজা পথে হাঁটুন। মানে বিকল্প পথ আর কি। আর তা হচ্ছে, প্রথম দিনের হাঁটা যেখানে শেষ করেছিলেন তার কাছাকাছি, The Marais এলাকা।
এখান থেকে দেখে নিন কিভাবে কি করবেন।



দুপুরঃ

হাঁটা শেষ করে সোজা চলে যান (Catacombes de Paris) কংকালদের কাছে। কংকালদের একটা অদ্ভূত মিউজিয়াম। যা দেখতে সবার আগে লাগে অনেক চ-উ-ড়া একটা বুকের পাটা! বিস্তারিত জানতে এবং ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন



দুপুরের শেষের দিকে চলে আসুন জর্জ পম্পিদু সেন্টারে। Centre Georges-Pompidou) প্যারিসে অবস্থিত একটি আকর্ষণীয়য় ভবণ। এর নির্মাণকাল ১৯৭১-১৯৭৭। ফরাসি রাষ্ট্রপতি জর্জ পম্পিদুর নামে এর নামকরণ করা হয়। এখানে একটি পাবলিক লাইব্রেরি এবং একটি চিত্র জাদুঘর আছে। ভবনটির প্রধান আকর্ষণ এর বাইরের নলসমূহ। পানির নলগুলি সবুজ, বিদ্যুতের নলগুলি হলুদ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের নলগুলি নীল রঙের। এই ভবনটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেনো কোনো কারণে প্রয়োজন হলে এর নাট-বল্টু খুলে স্থানান্তর করা সম্ভব হয় কোনো ক্ষয়-ক্ষতি না করেই। মূলত এই বিস্ময়কর প্রযুক্তির কারণে আর এর নান্দনিকতার জন্যই পর্যটকরা দেখতে আসেন।



বিকেল/সন্ধ্যা
প্যারিসে বিকালটা অবশ্যই স্পেশাল। তাই ১২৫ বছর যাবৎ কোনোদিন যে গির্জায় কখনোই প্রর্থনা থামেনি সেখানে যাওয়া যায়। তার নাম হচ্ছে সাক্রে ক্যর মঁমার্তে (Sacre Coeur Montmartre)



এটি প্যারিসের উঁচু স্থানগুলোর একটি। যেখানে দাঁড়িয়ে প্যারিসের প্যানারমিক ভিউ দেখা যায়। এছাড়া এখানের আর্টিস্টরা মুহূর্তের মধ্যে তুলি দিয়ে আপনার পোর্টেট এমন ভাবে একেঁ দেবে যা নিঃসন্দেহে একটা বড় সংগ্রহ হতে পারে।




আজ আর যেখানে যেখানে যেতে পারেন, তা হচ্ছে-

পিকাসো মিউজিয়াম (Musee de Picasso)



সিমেট্রি (Pere lachaise cemetery)



কার্নিভালে মিউজিয়াম (Musee Carnavalet)



কবিপার্ক (Le square des poètes)



গুণীজনের সমাধীস্থলঃ
আপনি জিম মরিসনের ভক্ত হলে তাঁর সাথে আর কোন কোন বিখ্যাত ব্যাক্তি শুয়ে আছেন সমাধিস্থলে দেখে আসতে পারেন।



লা ডিফন্স (La Défense) ইউরোপের বাণিজ্যিক রাজধাণী বলা হয় যাকে সেখান থেকেও খুব কম সময়ে ঘুরে আসতে পারেন।



ঐতিহাসিক বাস্তিল দূর্গ (La Bastille ), এবং হটশট পিগাল এলাকা (বাচ্চা-কাচ্চা সাথে নিবেন না, সেক্সশপ বেশী) ও নাইট ক্লাব বা মুলা রু (Moulin Rouge )



** আর যা মিস করা যাবে না তা হচ্ছে প্যারিস গেইট (Arc de Triomphe)

থেকে শঁজে লিজের (Avenue de Champs Elysees) দিকে হাঁটা।



‘হাঁটা শুরু হতে পারে পশ্চিম থেকে পূর্বে। আর্ক দো ত্রিওম্ফ থেকে শুরু। শঁজে লিজের শীর্ষ এই বিজয়তোরণ। এখান থেকে লা কনকর্ড স্কয়ারের দিকে হাঁটতে থাকুন। পথের দুই পাশে শ্যানেল, ডিওর, ইভস সাঁ লোর, ল’রিয়াল- এসব ফ্যাশন আর বিউটি জায়ান্টের আউটলেট আপনাদের দৃষ্টি তো বটেই, গতিও আটকাবে। প্রিয়জনের মন রক্ষায় হয়তো ফতুর হওয়ার জোগাড় হবে। তবে এসব ব্র্যান্ডের জিনিস তাদের সদর দপ্তর থেকে সংগ্রহ করার আনন্দটাই বা কম কিসের?

শঁজে লিজের অন্য প্রান্তে পতি প্যালেস ও গ্রাঁ প্যালেস। পার হলেই প্লেস দো লা কনকর্ড। জায়গাটার মাহাত্ম্য অনেক। এখানে দাঁড়িয়ে যেদিকেই তাকাবেন- দেখবেন প্যারিসের একেকটি অমূল্য স্থাপনা। সামনে তুইলেরিয়াস। পেছনে শঁজে লিজে আর আর্ক দো ত্রিওম্ফ। ডানে আইফেল টাওয়ার এবং মুজে দ্য’ওরসে। বাঁয়ে ম্যাডেলিন গির্জা। যেখানে থামতে বাধ্য হয়েছিলো হিটলার পর্যন্ত! আরেকটু সামনে ল্যুভর আর নটর ডেম’ (‘একটু কপিপেস্ট বর্ণনা’)



দিন * ছয়

ডিজনিল্যান্ড (Disneyland)

ডিজনিল্যান্ড ও ডিজনিপার্কে পুরোপুরি ঘুরে বেড়াতে সময় লাগে তিন থেকে চার দিন। এখানে অনেক রকমের রাইডস্ আছে, বাচ্চাদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন প্যারেড ও ডান্স শো। ডিজনিল্যান্ড ও ডিজনিপার্কে ঘোরাফেরা করে এবং কাল্পনিক শিশুচরিত্রগুলির সঙ্গে ভাব-বিনিময় করে দুতিন দিন কেটে যাবে। অর্ধেকের ওপর রাইড প্রথমদিনে ওঠাও হবে না। প্যারিসের ডিজনিল্যান্ড শহরের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত। গোড়ার দিকে “ইউরো ডিজনিল্যান্ড” নামকরণ হলেও এখন “প্যারিস ডিজনিল্যান্ড” নামেই খ্যাত। এই বিনোদন ক্ষেত্রে রয়েছে দুটি থিম্ পার্ক, একটি সুবিশাল সুভেন্যির, খাবার ও ঘুরে বেড়ানোর জায়গা এবং সাতটি ডিজনি পরিচালিত হোটেল। ১৯৯২ সালে ডিজনিল্যান্ডের উদ্বোধন হয় প্যারিসের মাটিতে। ডিজনিল্যান্ডের গড়ে ওঠার ইতিহাস খুব একটা সুখকর নয়। এটি নির্মাণ হওয়ার সময়ে সমগ্র দেশ জুড়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এ কথা সকলেরই জানা যে প্যারিসকে “কালচারাল ক্যাপিটাল অফ দ্য ওয়ার্ল্ড” বলা হয়ে থাকে। প্যারিসবাসীর গর্ব তার সমৃদ্ধশালী সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্প ও স্থাপত্য। সেই প্যারিসের বুকে ডিজনিল্যান্ড খোলা হলে পরে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “কনজিউমার কালচার” বা “ভোগবাদী কৃষ্টি”-কে সানন্দে ডেকে আনা হবে এটা প্রথমে মেনে নিতে পারেননি ফরাসিরা। তাই গোড়ার দিকে বেশ কিছুদিন আন্দোলন ও প্রতিবাদের জন্য ডিজনিল্যান্ড গঠনের কাজ স্থগিত থাকে। পরে কিছু নির্দিষ্ট লেবার আইন মেনে ও বৃহত্তর স্বার্থে শিশুদের বিনোদনের কথা ভেবে বুদ্ধিজীবি মানুষ নেতিবাচক মনোভাব দূর করে ডিজনিল্যান্ড গড়ে তোলার কাজে সম্মতি দেন। বর্তমানে আইফেল টাওয়ারকে পিছনে ফেলে ডিজনিল্যান্ড হয়ে উঠছে পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যস্থলের মধ্যে অন্যতম।




• প্যারিস থেকেই ডিজনিল্যাল্ডের টিকেট বুকিং করুন। বাহির থেকে বুকিং দিলে রেট বেশী দেখাবে।
• খাবার সঙ্গে নিয়ে যান। বসে খাবার জন্য আলাদা জায়গা আছে।
• দুই পার্ক একবারে ভিজিট করা সম্ভব হবে না। তারপরও যদি একবারে দেখে চলে যেতে চান তাহলে আগে স্টুডিও দেখে ১২টার ভিতরে থীমপার্কে প্রবেশ করুন।
• সম্ভব হলে আগেই ডিজনিল্যান্ডের প্ল্যান নেট থেকে ডাউনলোড করে কোথায় কোথায় যেতে চান তার একটা তালিকা করে রাখুন। পার্কে প্রবেশের পর সোজা দৌঁড়ের উপর থাকুন।
• টিকেট করার সময় ‘FastPass’ সহ টিকেট করুন। তাহলে অনেক জায়গায় লাইনে দাঁড়ানো থেকে বেঁচে যাবেন।
• মনে রাখবেন, একদিনে শত চেষ্টা করেও এক-তৃতীয়াংশের উপরে দেখাটা মুশকিল হয়ে যাবে। তাই সবকিছু প্ল্যান মোতাবেক করুন।
• বিকাল ৫.৩০ মিনিটের প্যারেড এবং রাত ১১টার ফায়ারওয়ার্কস কোনো ভাবেই মিস করা যাবে না। দুটার জন্য সময়ের ৩০ মিনিট আগেই যথাস্থানে উপস্থিত থাকবেন।



* যদি সম্ভব হয় ১৫ থেকে ৩০ দিন আগে জানালে আমি আপনাদের অর্ধেক মূল্যে ডিজনিল্যান্ডের টিকেটের ব্যবস্থা করে দিতে চেষ্ঠা করতে পারি। সেজন্য আমাকে মেইল ([email protected]) করতে পারেন, তবে যদি এক সপ্তাহের মধ্যে আমি কোনো রিপ্লাই না দেই, তাহলে ব্যস্ততার কারণে করতে পারিনি ভেবে ক্ষমা করে দিবেন।



দিন * সাত


মনে রাখবেন একটি ভ্রমণ তখনই মজাদার ও স্মরণীয় হয় যখন দেখার পাশাপাশি আপনি তার ইতিহাসটাও একটু জানবেন। আর প্যারিস হচ্ছে সেই ইতিহাসের খণি! সেই খণির ভান্ডারও অফুরন্ত। যেখানে যাচ্ছেন ইচ্ছে করলেই একটু খোঁজ-খবর নিয়ে নিতে পারেন। এই কয়দিনে প্যারিসের অনেক কিছুই হয়তো দেখেছেন আর দেখার বাহিরেও থেকে গেছে অনেক কিছু। তাই আজকে আর নির্দেশনা না দিয়ে চয়েজ দিলাম। এই পারি নগরীর শেষ দিনটা আপনি আপনার পছন্দ মতো উপায়ে উপভোগ করুন।

• ওপেন ট্যূরঃ (L’Open Tour)
খোলা বাসে চড়ে প্যারিসের সকল দর্শণীয় স্থান দেখা যাবে। বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।



• ফ্রান্স মিনিয়েচারঃ (France miniature)

ফ্রান্সের সকল দর্শনীয় স্থান একদিনে একই জায়গায় দেখতে চান? যেমন আইফেল টাওয়ার, লুভ্যর মিউজিয়াম, ভার্সাই রাজবাড়ি, সেইন নদী কিংবা আল্পস পর্বতমালা? নাকি সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন তেজেবে অথবা নগর পরিবহন মেট্রো লাইনের বিস্তার দেখতে চান? নাকি বাচ্চাদের প্রিয় জায়গা ডিজনিল্যান্ড অথবা বড়দের প্রিয় আটলান্টিক সমুদ্র সৈকত দেখতে চান?



সব দেখতে পারবেন ফ্রান্সের একটি পার্কে এক সাথে। পার্কের নাম 'ফ্রান্স মিনিয়েচার'। পাঁচ হেক্টর জায়গার উপর ফ্রান্সের মানচিত্রের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে এই বিশাল মিনিয়েচার পার্কটিকে। এখানে বাস্তবের সাথে মিল রেখে গড়ে তোলা হয়েছে দর্শর্নীয় স্থান ও জিনিস সমূহকে। পাহাড় থেকে সাগর সবকিছুর মিনিয়েচার করে ফ্রান্সের ভেতরেই গড়ে তোলা হয়েছে আরেকটি মিনি ফ্রান্স।

• সমুদ্রজগতঃ (Sealife)
যা অবস্থিত প্যারিসের সবচেয়ে বড় সুপার মার্কেট ‘ভাল দ্য ইউরোপ’ (Val d'Europe)।



• সাইন্স সিটিঃ (Cité of science and industry/ Parc de la Vilette)
চোখ ধাধানো প্রেজেনটেশন নিয়ে সাইন্স সিটির অবস্থান। সাথে চমৎকার বিশাল পার্ক। বিজ্ঞান ও প্রকৃতির অপূর্ব সমাহার যেনো এখানে।



• ফিউচার পার্কঃ (Futuroscope)
আধুনিক টেকনোলজি নির্ভর এই পার্কটি ফিউচার পার্ক হিসেবে গড়ে উঠেছে।



• প্যারিসে চিড়িয়াখানাঃ (Parc zoologique de Paris)
প্রাণিজগত দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই চিড়িয়াখানা থেকে।



• খোলা বাজারঃ (Paris Flea Markets)
স্বল্পদামে বিহারী জিনিসের দোকানের জন্য ফ্রান্সের খোলা বা একদিনের বাজার গুলোর তুলনা হয় না। এখানে আপনি সবই পাবেন। এর মাঝে সবচেয়ে বড় খোলা বাজারটা বসে প্যারিসের মেরি দ্য সেন্তুয়া তে। নিচের লিংক থেকে প্রয়োজনী তথ্য পেয়ে যাবেন।



• লুক্সেম্বুর্গ পার্কঃ (Jardin du Luxembourg)
প্যারিসের অন্যতম বৃহৎ পার্ক। এই পার্ক ফরাসি সিনেট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। এর আয়তন ২২৪,৫০০ বর্গমিটার। এখানে বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা, পাপেট শো, চরকি, সহজলভ্য খাবার, বিনামূল্যে গান পরিবেশনা প্রভৃতি সুবিধাদি আছে। এছাড়া বেশ কিছু মূর্তি এবং খোদাইকৃত ভাস্কর্য আছে। মনে আছে রোম যখন জ্বলছিলো নীরু তখন কি করছিলো? ...বাঁশি বাজাচ্ছিলো। এই ভাস্কর্যটি এখানে আছে।



নৌকা ভ্রমণঃ

Bois de Vincennes প্রকৃতি দর্শন


Bateaux parisiens আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে




মাইকেল মধুসূদন দত্ত যেখানে থাকতেন আর সৈয়দ মুজতবা আলী সেখানে শুয়ে আছেন, সেই সকল স্থানে গিয়েও আপনি আপনার শ্রদ্ধা জানিয়ে আসতে পারেন।

এখানে তালিকার কিছু বর্ণনাসহ বৃত্তান্ত দেয়া হলো কেবল। এই বৃত্তান্তের বাহিরে শুরুতেই আমি যে তালিকাটা দিয়েছিলাম তার অধিকাংশই অনালোচিত রয়ে গেছে। ভ্রমণকারী তার পছন্দ এবং সময়ের সাথে খাঁপ খাইয়ে নিতে পারে এমন একটা তালিকা তৈরি করে ঘুরে বেড়াতে পারেন।

জানি লেখাটা হয়তো অনেকেরই কাজে লাগবে না; তবে আনন্দ পাবো যদি সবার ভালো লাগে।

আপনাদের ভ্রমণ আনন্দময় ও নিরাপদ হউক

ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
২২টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×