এক যে ছিলো চাঁদকন্যা আর ছিলো এক সূর্য্যপুত্র....
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
চাঁদকন্যা: শুনো সূর্য্যপূত্র
সূর্য্যপূত্র: বলো ওওওওওওওও
চাঁদকন্যা:তোমার কিন্তু বেশী বাড় বেড়েছে।
চাঁদকন্যা: তুমি মরো।সত্যি সত্যি! দয়া করে...মরো তুমি...
সূর্য্যপূত্র:
সূর্য্যপূত্র: আমি আবার কি করলাম?
সূর্য্যপূত্র: আমাকে ফোন করতে হবেনা?
সূর্য্যপূত্র: আমার ফোন করা লাগবেনা?
চাঁদকন্যাঃফোন করা লাগবে, তাই না?
সূর্য্যপূত্র: আরে সত্যি সত্যি
চাঁদকন্যা: শুনো! তোমাকেই আমার লাগবেনা
চাঁদকন্যা:দূর হও
সূর্য্যপূত্র: আরে কি করলাম? বলো।
সূর্য্যপূত্র: কি হয়েছে বলোনা?
চাঁদকন্যা: তুমি কাল থেকে হাওয়া হয়ে হয়ে কোথায় যাও?সারাদিন আমি যতক্ষণ থাকিনা তখন যেতে পারোনা?
সূর্য্যপূত্র: কই?
সূর্য্যপূত্র: কোথায়???
চাঁদকন্যা:সন্ধ্যা বেলা আমি যখন আসি ঠিক তক্ষুনি তোমার মনে ফাল্গুনের হাওয়া বয়ে যায়, না?
সূর্য্যপূত্র: বুঝিনা
সূর্য্যপূত্র: আরে
চাঁদকন্যা: চুপ!
সূর্য্যপূত্র: আজকে তো ফ্রেন্ড এর বার্থডে ছিলো।
চাঁদকন্যা: ঢং করা লাগবেনা, আজকে ফেলেনডেল বাদদে তিলো,কালকে আমাদেল বাতায় কাবাল তিলোনা,তাই আমলা সল্টজে গেতিলাম, পলশু আমার কলিগের নানা শ্বসুল মলে গেতিলো।
চাঁদকন্যা: তার থেকে তুমি যাও
চাঁদকন্যা: নিজেই মরো।
সূর্য্যপূত্র: আরে
সূর্য্যপূত্র: আরে
(সবুজবাতিটা নিভে গেলো)
সেই ছিলো এক চাঁদকন্যা আর ছিলো এক সূর্য্যপুত্র!!! তাদের কথা ভাবলে আমি আজও ফিরে যাই সেই সময়টাতেই। সেই যখন চাঁদকন্যা আর সূর্য্যপুত্রের জন্ম হলো, এই ব্লগে। আজ থেকে ৬ বছরেরও বেশী সময় আগের কথা। তখন ব্লগটা ছিলো এক স্বর্গ! অপার্থীব কোনো জগতের অজানা কোনো ভুবন! যেখানে নেই কোনো দুঃখ! নেই কোনো ভাবনা!!!
হা হা হা আমাকে আজও অনেকেই প্রশ্ন করে, চাঁদকন্যা না হয় ছিলো সত্যিকারেই এবং আজও আছে বহাল তবিয়তেই.....কিন্তু সূর্য্যপুত্র! কোথায় গেলো সে? সত্যিই কি তার কোনো অস্তিত্ব ছিলো?
আমি শুনে হাসি আঁখি জলে ভাসি
এই ছিলো মোর ঘটে.........
তুমি সূর্য্যপুত্র চলে গেছো আজ
আমি আজ .............
হায় হায় কথায় কথায় কবিতা বা ছড়িতা লেখা দেখছি ভুলেই গেছি আমি। সে যাইহোক, অনেকগুলো বছর পরেও আমি ড্রাফটে রাখা পোস্টগুলো পড়ে পড়ে ব্যাক টু দ্যা পাস্টে চলে যাবো ভাবতেই পারিনা, পারিনিও কখনও সেদিন।
৬টা বছর! অনেকের কাছেই অনেক অনেকটা সময় হয়তো কিন্তু আমার কাছে মাত্র ৬টা বছর!! এই তো সেদিন !!!!
সূর্য্যপুত্রঃ তুমি সব সময় অনুযোগ কর-,আমি নাকি বড় বেশী সোজা সাপ্টা!!
একদম নাটকীয়তা পারিনা!! মেয়ে.....আমার বলার মতো কিই বা আছে? বলো!
চাঁদকন্যাঃ কিযে বল, এসব আমার অনুযোগ হবে কেন?
এসব আমার সাবধানবাণী
জানোনা একটু নাটক না শিখলে
কত্ত বিপদে পড়তে পারো?
সেইযে পড়েছিলে---------
এত সহজেই ভুলে গেলে?
হাহাহা, শুধু নিজেই পড়নি, আমাকে শুদ্ধু ডুবিয়েছিলে।
কিযে সব কান্ড করো তুমি!!!
এইজন্যই বলি একটু চালাক হও
একটু নাটক করলে ক্ষতি কি
তবুও তো বাঁচতে পারবো ,
একটু খানি শান্তি নিয়ে
উফফ চারিদিকে যে অশান্তির ঝান্ডা।
হাহাহা, তবুও----
তবুও তারা হার মেনেছে
আমাদের ভালোবাসার কাছে।
সূর্য্যপুত্রঃআমাদের এমন একটা ভালবাসা আছে- যা কখনো পরিণত হবেনা!!
আমার এমন একটা স্বপ্ন আছে, যা ঘুমের ভেতরও ধরা দেয়না!
চাঁদকন্যাঃ কে বলেছে হবেনা?
তুমি কি বলতে চাও
আমাদের ভালোবাসাটা এখনও অপরিণত??
কি আশ্চর্য!! তাহলে পরিণত ভালোবাসার সংগা কি?
কে পারে আমার মত করে তোমাকে ভালোবাসতে?
কেউ না, কেউ ই পারেনা।
পারবেওনা কোনোদিন!!!!
আর হ্যা , স্বপ্নের কথা বলছো?
স্বপ্ন দেখতে ঘুম লাগে?
হাহাহাহাহা মোটেই না
আমি বেশ স্বপ্ন দেখতে পারি
জেগে জেগে
পড়ার টেবিলে, ক্লাসের মাঝে।
সূর্যপুত্রঃআমার এমন একটা সাগর আছে-
যার তীরে কখনো তোমার হাত ধরে হাঁটা হবেনা!
চাঁদকন্যাঃ এমন করে বলনা সূর্যপুত্র
হাতটা বাড়িয়ে দাও
এই দেখ, কে ধরে আছে তোমার হাতটা ?
আমি আমি, এই একটাই আমি!!!!!!
সূর্যপুত্রঃআমার চেনা শহরের ভেতর কতো কাছে তুমি!
অথচ চাইলেই হেঁটে চলে যেতে পারিনা।
চাঁদকন্যাঃতোমার আর আমার অবস্থানের মাঝে
শুধুই দুরত্ব,একটা মাত্র রোড
সে পথ আমি দিনে হাজারবার পাড়ি দেই
চোখটা বন্ধ করলেই সোজা তোমার সামনে,
আর তারপর---- হাহাহাহাহা
এত্ত এত্ত ভালোবাসা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
কে ঠেকাতে পারবে বলো?
মনের দরজা বন্ধ করবার,
সাধ্যি আছে কার?
সূর্যপুত্রঃ মুঠো ফোনে সারাদিন কতো ব্যাস্ততা আমার!
একটি বারের জন্যও পাইনা তোমার খোঁজ!
চাঁদকন্যাঃ টেলিপ্যাথি। কত্তবার বলেছি,
টেলিফোনের কি দরকার, টেলিপ্যাথিটা প্রাকটিস করো
কিন্তু কে শোনে কার কথা।
সূর্যপুত্রঃআজ তোমার জন্মদিন!!
একটা গোলাপ, কিম্বা একটা শুভেচ্ছা পত্র পাঠাতেও
পাড়ি দিতে হবে কতো বন্ধুর পথ!!
হ্য়তো তা পৌছুঁবেনা তোমার কাছে কখনো!
চাঁদকন্যাঃ তুমি কিন্তু আমাকে কাঁদালে সূর্যপুত্র।
বলেছিলে, তোমার জন্মদিনে
এমন একটা কিছু দিতে,
যেন চোখে জল আসে তোমার।
আর আমাকে তুমি এমন কিছু এনে দেবে,
যেনো সারাটাজীবন সেকথা ভাবলেই আমার হাসি পায়।
আর কি করলে তুমি ???????????
তোমার এ লেখা পড়তে গিয়ে
দুচোখ জলে ভরিয়ে ফেললাম আমি!!!!
যুগ যুগ ধরে আমাকে রেখে দিও তোমার বুকের মধ্যে
লুকিয়ে রেখো
কেউ যেন কেড়ে না নিতে পারে।
কেউ যেন................
কেউ যেন কখনও এই আমাকে .........
তুমি আমাকে অনেক কাঁদালে সুর্যপুত্র
এমন কিন্তু কথা ছিলোনা।
সূর্যপুত্রঃ একটা পাখী, চারটা পাখী, তিনটা পাখী।
চাঁদকন্যাঃ হুম একটা পাখি চারটা পাখি ,তিনটা পাখি
আর তুমি আমার একটাই সুর্যপুত্র!!!!!!!!!!!!
মাই ইমাজিনারী ফ্রেন্ড!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বন্ধু দিবসে অনেক অনেক শুভেচ্ছা সবাইকে!!!!!!
২১টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন