অর্ধাঙ্গী নারীকূল---
রক্ত মাংসে গড়া ঈশ্বরের ইন্দ্রজাল!
ওদের আশ্রয়ে জীবন লালিত হয়।
কালান্তরের বুকে প্রেম বয়ে যায়।
তীব্র বিতৃষ্ণায় ভাবুকের অর্থহীন জীবনে,
ওরাই পথ দেখায় মুগ্ধ যতনে।
একের প্রেয়সী, অন্যের রোদনরুপসী মিসট্রেস।
কারো উজ্জলতা ধরায় আদ্র, কেউ দেবদাস।
আবার ওদের জন্যই মানুষ ঘর বাঁধে।
মায়ার বন্ধন সন্তান-সন্তুতীর ভর কাঁধে,
সোনার বীথি রচনা করে।
কংকালকেও ওরা জীবনের গন্ডিতে শৃঙ্খলিত করে।
যেমন করে সাবিত্রী বাঁচায় লখিন্দরকে সংসারে।
নাচে গানে দেবতাদের খুশি করে।
একশটা ছেলের বাপ করবার জন্যই--
না যায় ওদের বাঁধা, না যায় ওদের ছাড়া।
সবাই এমনই- একই বন্ধনের রজ্জুতে গড়া।
মুক্তি কভু না দায়!
ওরা নিজেরাও কাঁদে, পরকেও কাঁদায়।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০২