বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সহিত আন্তরিক ভাবে মতবিনিময় করেন এবং
সেলাই মেশিন , সাইকেল , ভ্যান, শিক্ষা উপকরন, ল্যাপটপ ও আর্থিক অনুদান বিতরন করেন ।
তিনি মনে করেন যে, খাদ্যর নিশ্চয়তা,আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত জীবন মান উন্নয়নের জন্য সমবায়ের বিক্ল্প নাই ।
এসব কারনে তিনি, ''একটি বাড়ী একটি খামার '' সামাজিক আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন ।
সন্প্রতি তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিল্ক ভিটার পণ্যর প্রচার করছেন এবং বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের সভায় মিল্কভিটার
দুধ,কেক ,লাবাং, ঘি ইত্যাদি ক্রয়ের আহব্বান জানাচ্ছেন ।
সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, ন্যায্য দাম প্রাপ্তি, দারিদ্র বিমোচন ও ক্ষুদ্র সণ্চয় করা যায় ।
যা আমি দেখেছি , জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারতে ।
একসময়ে বাংলাদেশে ও এর সুফল সাধারন প্রান্তিক সমবায়ীরা ভোগ করেছে । দু:খের বিষয় এখন কেন আমরা
পারচ্ছিনা । যেখানে সরকার প্রধান এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক ।
বিষয়টি নিয়ে বিগত ০৯/০৫/২০২৪ তারিখ একটি ঘরোয়া আলোচনা হচ্ছিল, যেখানে সংল্শিষ্ট মন্ত্রনালয়ের
একজন পদস্হ ব্যক্তি,বিভাগীয় কর্মকর্তা, সমবায়ের প্রতিনিধিরা ছিলেন ।
ভারতে যদি সমবায় কার্যক্রম সুনামের সহিত চলতে পারে তবে বাংলাদেশে কেন বারবার হোচঁট খাচ্ছে ???
কিছু সংখ্যক সমবায় কর্মকর্তার দুর্নীতি ও হাতগেোনা কয়েকটি টাউট সমবায় প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডর জন্য সাধারন
সমবায়ীরা ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে ।
সাধারন সমবায়ীরা ৪৯ ধারা ও অডিটের মারপ্যাচঁ আতন্কে স্বত:ফূর্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে ।
ভারতে সমবায়ীরা অত্যন্ত সম্মানের সহিত সমবায় আন্দোলন করে যাচ্ছে, তাদের কার্যক্রমে দাপ্তরিক কোন সরকারী
কর্মকর্তা বাধা হয়ে দাঁড়ায়না বা হুমকি দেয়না , যা আমাদের দেশে বিশ্বাস করা কষ্টকর ।
শুধু এটুকু বলতে পারি , মা'র থেকে মাসীর দরদ বেশী হলে এদেশে দিকভ্রান্ত সমবায় আন্দোলন
সঠিক ট্র্যাকে ফিরে আসবে না। পক্ষান্তরে কিছু সুবিধাভোগীর পকেট ভারী হবার রাস্তা খোলা থাকবে ।
্
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:৩৭