somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুন্দরবন ভ্রমনের বিবরণ (বিজ্ঞাপনমূলক পোস্ট)

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভ্রমনের স্থান : সুন্দরবনের হারবারিয়া করমজল, কচিখালি, কটকা, টাইগার পয়েন্ট, জামতলা সমুদ্র সৈকত, দুবলার চর ও হিরন পয়েন্ট ।

ভ্রমনের সময় : ৩ দিন ২ রাত।

ভ্রমনের বাহন : ত্রিপলডেকার লঞ্চ। যাতে রয়েছে ৩২টি ক্যাবিন (৭০ সিট ), ৬টি টয়লেট/বাথরুম, আধুনিক সাঁজে সজ্জিত ও মনোরম পরিবেশপূর্ণ ৩য় তলা ডেক , ৩৬ টি চিয়ারকোচ সম্বলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিনি কনফারেন্স রুম

ভ্রমন বিস্তারিত :

১ম দিন : সকালে খুলনা হতে লঞ্চ ছাড়া হবে হারবারিয়া / করমজল এর উদ্দেশ্যে। হারবারিয়া/করমজল ভ্রমন শেষে কটকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া হবে। প্রথম দিনে রাত্রীযাপন কটকাতে।

২য় দিন : সকাল ০৬:০০ টায় পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু হবে সুন্দরবনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জামতলা সমুদ্র সৈকত ও টাইগার পয়েন্টের উদ্দেশ্যে। সেখানে সমুদ্রøান ও খেলাধুলা সেরে জাহাজে ফিরে নাস্তা সেরে নেওয়া হবে। নাস্তা সেরে আবারও পায়ে হেঁটে হরিণের অভয়ারণ্য থেকে ঘুরে আসা হবে। সেখান থেকে ফিরে লঞ্চযোগে দুবলার চরে শুটকিপল্লীতে ঘুরতে যাওয়া হবে । শুটকিপল্লী ঘুরে আবারও লঞ্চে করে সমুদ্র দিয়ে যাওয়া হবে গেটওয়ে বাংলাদেশ হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় দিনে রাত্রীযাপন হিরণ পয়েন্টে।

৩য় দিন : খুব ভোরে হিরণ পয়েন্টে ঘুরে দেখা হবে। এরপর যাত্রা শুরু হবে খুলনার উদ্দেশ্যে । পথে সময় পেলে সুন্দরবনের আরও একটি দর্শনীয় ন্থান ঘুরে দেখা হবে। রাত ০৭:৩০ টার মধ্যে খুলনায় পৌঁছানো হবে।

নিরাপত্তা : সরকারী রাজস্ব প্রদান করে বন বিভাগ ও বি আই ডব্লিউ টিএ'র অনুমোদন নিয়ে ভ্রমণ পরিচালনা করা হবে। প্রতি লঞ্চে থাকবে ২ জন বন্ধুকধারী নিরাপত্তারী, অভিজ্ঞ গাইড ও ক্যাপ্টেন দ্বারা ট্যুর পরিচালনা করা হবে।
সুবিধাদি : ২৪ ঘন্টা বিদুৎ ব্যবস্থা, টিভি, ডিভিডি ও সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা। ছোট খালে ভ্রমনের জন্য অতিরিক্তি নৌকা সাথে নেয়া হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। সম্পূর্ণ ভ্রমনটি ভিডিও করা হবে।

বিনোদন: প্রতিদিন রাতে র‌্যাফেল ড্র, মিঃ ও মিসেস প্রতিযোগিতা, ইনডোর গেম, হাউজি খেলা, সী বীচে দৌড়, ফুটবল ও অন্যান্য খেলা। বড়শী ও জাল দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা থাকবে।

খাবার তালিকা
১ম দিন:
সকালের নাস্তা ০৭:৩০ টায় ঃ পরাটা, ডাল ভাজি, ডিম মামলেট , সুন্দবনের মধু, চা/কফি।
হালকা নাস্তা ১১:০০ টায় ঃ কেক ও কলা, চা/কফি।
দুপুরের খাবার ০১:৩০ টায় ঃ বেগুনভর্তা, মিক্সড সবজি, পার্সে/কোরাল মাছ, চিকেন কারী, ডাল।
বিকালের নাস্তা ০৫:৩০ টায় ঃ ডাল পুরি, সস, বিস্কুট ও চা/কফি।
রাতের খাবার ০৯:৩০ টায় ঃ মিক্সড সবজি, খাসির মাংস রেজালা, ডাল, মিষ্টি/দধি।

২য় দিন:
হালকা নাস্তা ০৬:৩০ টায় ঃ বিস্কুট, চিপস, ও চা।
সকালের নাস্তা ০৯:৩০ টায় ঃ খিচুড়ি, বেগুন ভাজি, ডিম ভাজি , আচার, চা/কফি ।
হালকা নাস্তা ১১:৩০ টায় ঃ কুল / আপেল, বিস্কুট, চা/কফি।
দুপুরের খাবার ০১:৩০ টায় ঃ কলা ভর্তা , সবজি, রুই মাছ ও ডাল।
বিকালের নাস্তা ০৫:৩০ টায় ঃ শীতরে পিঠা।
রাতের খাবার ০৯:৩০ টায় ঃ বিরিয়ানী, ফিস ফ্রাই, চিকেন ভেজিটেবল, কোমল পানীয়।
৩য় দিন:
হালকা নাস্তা ০৬:৩০ টায় ঃ বিস্কুট , চিপস ে চা।
সকালের নাস্তা ০৯:৩০ টায় ঃ পরাটা , লটপটি, ডিমভাজি, সুন্দরবনের মধু, চা/কফি।
হালকা নাস্তা ১১:৩০ টায় ঃ মুড়ি , মুড়কি, চানাচুর ও চা/কফি।
দুপুরের খাবার ০১:৩০ টায় ঃ শুটকি ভর্তা, মিক্সড সব্জি, চিংড়ি/ইলিশ মাছ, চিকেন কারি ও ডাল।
বিকালের নাস্তা ০৫:৩০ টায় ঃ ছোলা ও বেগুনী চপ।
রাতের খাবার ০৯:৩০ টায় ঃ সবজি, মুরগির মাংস ও ডাল ।

এছাড়াও ২৪ ঘন্টা চা/কফির ব্যবস্থা থাকবে।
সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সময় প্রত্যেককে হালকা নাস্তা ও মিনারেল ওয়াটার দেয়া হবে।
সার্বনিক ফিল্টার পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে।

ভ্রমনকারীর চাহিদা অনুযায়ী খাবারের সংযোজন / বিয়োজন করা যাবে।

মোবাইলঃ +৮৮ ০১৭২২ ৯৩৬০৬৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×