পাঁচ বছরের জন্য হারামজাদা গুলোকে জাতীয় সংসদে কেন পাঠাই আমরা? আজাইরা কাউ কাউ করার জন্য? গত ৩৮ বছরে কয় কদম এগুতে পেরেছি আমরা? পাটের জন্য বিখ্যাত ছিলাম; ঐটা এখন যাদুঘরের সামগ্রী হয়েছে! গার্মেন্টস্ শিল্প নিয়ে অনেক আশায় বুক বেঁধেছিলাম; অজানা আশঙ্কার বাতাসে বারে বারে আহত এ শিল্প আজ ধুঁকছে! দেশের অর্থনীতির ভিত এত নড়বড়ে যে, বিদেশি সাহায্য ছাড়া এক দিনও চলে না! বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি করে তাও যা দুই পয়সা রেমিটেন্স আসছিল, সে রাস্তা ও বন্ধ হবার যোগাড়।
বিডিআর হত্যাকান্ড, বসুন্ধরায় অগ্নিকান্ড, শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা, বিশ্বব্যাপী মন্দার ঢেউ- সব মিলিয়ে জাতি হিসেবে এমন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি যে, এখন আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ ও দুরদর্শী জাতীয় প্রয়াসের কোন বিকল্প নেই। পাগলে ও নিজের ভালোটা বোঝে; শুধু বোঝে না এই হারামখোর গুলো!
সন্তানের জন্ম সংবাদ বাপের মুখ থেকে শোনা গেল, নাকি চাচার মুখ থেকে সেটা নিয়ে হাউকাউ করার মানে কী? লাভের গুড় তো সবাই খায়! তখন তো "সব শিয়ালের এক রা'!" ছেলের জন্ম তো কেউ অস্বীকার করছে না! আপাততঃ ছেলেকে মানুষ করাই প্রধান কাজ। অমানুষ-অপদার্থ সন্তানের বাপ পয়গম্বর হলেও কী, আর ডাকাত হলেও কী! খারাপ তো খারাপই; তাই না?
জিয়া সম্পর্কে কটুক্তির প্রতিবাদ বিএনপির ওয়াক আউট; প্রথম দিনেই উত্তাপ ছড়ালেন মহিলা এমপি রা সকালে পড়লাম। তারপর থেকেই মেজাজটা খারাপ। জনগনের কতগুলো টাকা খরচ হয় এক এক অধিবেশনে? এমন কয়টা কথা ওখানে আলোচনা হয়, যা জনগনের উপকারে আসে? অনেকদিন ধরে ব্লগেও এই নিয়ে কামড় কামড়ি লেগেই আছে। ইতিহাস জানার প্রয়োজন আছে; কিন্তু জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে কিছু কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কিছুদিনের জন্য ধামাচাপা দিতেই হয়!
আর কতটা ভুল করলে; আর কতটা ক্ষতি হয়ে যাবার পর আমাদের হুঁশ হবে? নগরে দাবানল লেগে গেলে দেবালয়ও অক্ষত থাকে না! খোদা না করুন, ঝড় একটা এসে গেলে কে বি এন পি?, কে আওয়ামী লীগ?- জিজ্ঞেস করা হবে না! মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ-বিপক্ষ একসাথেই উড়ে যাবে!
(মেজাজ খারাপ করে গালিগালাজ করার জন্য দুঃখিত। কী করবো? সব দেখে শুনে মাথা ঠিক নাই! চোখ-কান বন্ধ রাখার পরও সমস্যা! বিবেক নামক ফাউল জিনিসটাকে মেরে ফেলতে পারি নি। তাই প্লাস-মাইনাসের ডর নাই!)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




