সেই সময় কইথেকে এক নাস্তিক হাজির হইয়া বলিল আমিও রাজাকারের ফাসি চাই, আমিও খুনিদের বিচার চাই।
ওই নাস্তিকরে পরদিন জামাত -শিবিররা খুন করিল।
তার পরের দিন বাঙ্গালী বলিয়া উঠিল যেহেতু এক নাস্তিক ও রাজাকারের বিচার চাই বলিয়াছে কাজেই আমরা আর রাজাকারের ফাসি চাই না, আমরা হক্কলে রাজাকার বাহিনিতে যোগদান করিয়া দেশ নাস্তিক মুক্ত করিব। আহা কি সুখ।
আন্দোলনের মাঠে ১ জন ২ জন নাস্তিক থাকতে পারে, কিন্তু লাখো জনতা তো নাস্তিক নয়, আমি তুমি তো নাস্তিক নই... তাইলে আন্দোলন এর গায়ে কালিমা রটাইয়া ষড়যন্ত্রকারিরা পার পেয়ে যাবে কেন ?
ওহে বাঙ্গালী, স্লোগান কে দিল তা বড় না, স্লোগানটা কি সেটাই আসল। অপরাধির বিচার করতে চাও নাকি রাজাকার দের হাতে বাংলাদেশকে ধর্ষণ হইতে দেখতে চাও ?
যদি বিচার চাও তাইলে শাহবাগ এ দেখা হবে ইনশাল্লাহ।
আজকে ইমরান ভাই মরলে আপনারা বলবেন, সে আওয়ামী লীগ করত, জনগণের সাথে বেইমানি করছে,
আজকে আরিফ জেবতিক মরলে আপনেরা বলবেন, সে এক সময়ে ছাত্র দল করত, মারছে ভালই হইছে।
আজকে অমি পিয়াল মরলে এই আপনেরাই বলবেন শালায় """"নাকি"""" এক সময়ে চটি লিখত, মরছে ভালই হইছে।
আজকে বাঁধন সপ্নকথক মরলে এই আপনেরাই বলবেন, এই শালায়ও আওয়ামী লীগের দালাল ছিল, মারছে ভালই হইছে।
আজকে আপনাকে মেরে ফেললে আপনার বন্ধুরাই বলবে, সে আন্দোলনে যাইত কেন, বেসই বুঝত-মরছে ভালই হইছে।
আজকে যে কাউকে মেরে ফেলার আগে বা পরে একটা """ট্যাগ""" লাগিয়ে তারপরে টাকে মেরে ফেলা হবে, এবং এই আপনারাই বলবেন, সে """অমুক"" ছিল, বা অমুক করত-মারছে ভালই হইছে, সামনে পাইলে আমিই মেরে ফেলতাম-টাইপের কথা বার্তা।
যারা এই সমস্ত আলাপ করতেছেন, তাদের বলি, প্লিজ, একবার অন্তত একবার নবীজীর জীবনী টা পরুন-প্লিজ একবারের জন্য হলেও আজকে আবার পড়ুন।
মানুষের ধর্ম মনুষ্যত্ব, পশুর ধর্ম পশুত্ব।
রাজীব হায়দার হত্যাকান্ড জামাত -শিবিরের একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। এর মধ্য দিয়ে তারা একদিকে ব্লগারদের একটা হুমকি দিতে চেয়েছে, অন্যদিকে রাজীবের ধর্মবিশ্বাসকে পূঁজি করে এই আন্দোলন সম্পর্কে সাধারণ ধর্মভীরু মুসলমানদের নেতিবাচক করে তোলার অপচেষ্টা চালাবে।এটা স্পষ্ট যে, তারা দীর্ঘ দিন থেক্সেই রাজীব হায়দার্ এর লেখা এবং ব্যক্তিগতভাবে তাকে ফলো করছিলো।
আঘাত করার মোক্ষম সময়টিই তারা বেছে নিতে চেয়েছে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এই খেলা নতুন কিছু নয়। যখনই তারা কোনঠাসা হয়েছে, এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, জাতিগত বিভেদ, কুৎসা রটনা ও গুজব ছড়ানোর মতো জঘন্য কাজ করেছে। জামাতে ইসলাম যার ব্রেইন চাইল্ড, সেই মওদূদীকে কাদিয়ানিদের হত্যায় উস্কানি দেয়ার চক্রান্তের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের ট্রাইবুনালে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছিলো।
তাই আজ আমাদের দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর জামাত-শিবিরের এই পাতানো ফাঁদে পা দেব না। আমরা রাজীব হায়দারের হত্যাকান্ডে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি, হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের প্রধান দাবী ”রাজাকারদের ফাঁসি”; রাজীব যার জন্য জীবন দিয়েছে। অন্য কোন ইস্যুতে লেখালেখির অনেক সময় পাওয়া যাবে। রাজাকারদের উদ্দেশ্যমূলক বিতর্কে জড়িয়ে না পড়ে মূল দাবীর পক্ষে সোচ্চার হই।
“রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে বলীয়ান হই”
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




