: ৫ তারীখ সরকার গনহত্যা চালাইছে। প্রফেশনাল শুটাররা উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে স্নাইপার রাইফেল দিয়ে মানুষ মারছে। সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দের চোটে স্নাইপারের আওয়াজ শোনা যায় নাই।
: হুম। মতিঝিলে তো বিদ্যুত ছিলো না। স্নাইপাররা ঠিকমত টার্গেটে শুট করলো ক্যাম্ন?
: আরে ভাই, ২৫০০ লাশ সরানো হইছে ৯ টা ট্রাকে।
: মানে এক ট্রাকে ২৭৭ জন! একজন মানুষের ওজন নূন্যতম ৫০ কেজি ধরলেও এই মানুশগুলার ওজন ১৩ টনের বেশি। বাংলাদেশের একটা ট্রাক কি এত লোড নিতে পারে?
: সব লাশ ফেলা হইছে তুরাগ আর মেঘনা নদীতে।
: ও। তুরাগ আর মেঘনাতে তো লাখ লাখ হাঙর থাকে। আড়াই হাজার লাশ দুই মিনিটে পেটে চালান কইরা দিছে।
: মতিঝিল এলাকায় রক্তের বন্যা চলতেছে।
: এত রক্ত কোথায় গেল?
: শেষ রাতের বৃষ্টিতে ধুইয়া গেছে।
: ২৫০০ লাশের রক্ত সামান্য বৃষ্টিতেই ধুইয়া গেল?
: সামান্য বৃষ্টি না। রীতিমত তুফান আর সিটি কর্পোরেশনও ময়লা পরিষ্কারের নামে রক্তের দাগ মুইছা ফেলছে।
: দেড় ঘন্টায় এত কিছু!
: ভাই, এই জালেম সরকার সব পারে।
: আচ্ছা, একটা প্রশ্ন করি?
: করেন।
: গাঁজার দাম এখন কত?
: বৃষ্টির দিন। হাফ দামে যাইতেছে সব।
লাশ গায়েবের গুজবে বলা হচ্ছে ২৫০০ লাশ ৯টি ট্রাকে করে পিলখানায় নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে । এটা কি গাণিতিকভাবে সম্ভব ?
২৫০০/৯=২৭৮ লাশ প্রতিটি ট্রাকে।
৫০ কেজি হারে ২৭৮ টি লাশের ওজন সাড়ে ১৩ টন । ট্রাকের পরিবহন ক্ষমতার আড়াই গুন।
৬ ঘনফুট হারে ২৭৮ টি লাশের আয়তন সাড়ে ষোলশো ঘনফুট । ট্রাকের গড় ধারন ক্ষমতার দ্বিগুনের চেয়েও বেশি।
২৭৮ টি করে লাশ নয়টা গাড়ির পাশে আগে থেকেই জমা করে রাখা থাকলে তা লোড করতে লাশ প্রতি কমপক্ষে ৩০
সেকেন্ড করে ধরলেও গাড়ি প্রতি লোডিং টাইম আড়াই ঘন্টা করে । ধরা যাক সব লাশ এক সাথে লোড শুরু হয়েছিল।
গাড়ি আনা, প্লেস করা, লাশগুলো এক জায়গায় জড়ো করা, ধরি আরো কমপক্ষে ১ ঘন্টা।
মোট সাড়ে তিন ঘন্টা।
কখন শুরু হল এই সব কাজ ? এ্যাকশন শুরুর অন্তত এক ঘন্টা পরে।
এ্যাকশন শুরু-আড়াইটায়।
লাশ গুম শুরু - সাড়ে তিনটায় ।
লোডিং শেষ - সাতটায় ।
ও মাই গড, কি করে সম্ভব । সূর্যোদয় হয়ে গেছে ঘন্টা দেড়েক আছে । মানুষ অফিসে আসার জন্য বের হতে শুরু করেছে।
দ্বিগুনের চেয়ে বেশি ওভার লোড নয় ট্রাক লাশ এখনো যাত্রা শুরু করে নাই। দিনের আলোয়, হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে দিয়ে, শত শত গাড়ি রিকশা ঠেলে ঢাকার প্রাণ কেন্দ্র দিয়ে, রাস্তায় রক্তের ফোটা ফেলতে ফেলতে এই ট্রাকগুলো পিলখানায় সাড়ে আটটা থেকে নয়টার দিকে পৌছালো অথচ, কি অবাক কান্ড ?
পুরো নগরের কেউ তা দেখল না। কেউ জানলো না । কেউ একটা ছবি তুলে রাখলো না।
একটু বেশিই গাজাখুড়ি গল্প বলে মনে হচ্ছে না ?
ও হ্যাঁ, গল্পের গরুতো, আকাশে ওড়াতে দোষ কি??
জেনেনিন বিবিসি কি বলে.... লিন্ক
আর ছাগলদের প্রচারনা আপনারাই দেখে বলেন কি বলবেন ?
যারা নাস্তিক ফরহাদ মাজহারকে শাফির পাশে বসিয়ে নাস্তিকদেরই বিচার চাইতে পারে
যারা নারীদেহ বিশেষজ্ঞ এরশাদের পানি খেয়ে পিপাসা মিটাতে পারে
যারা রাসূল (সঃ) এর হিজরতকে লংমার্চ বলতে পারে
যারা মসজেদের জায়নামাজ পোড়াতে পারে
যারা শাফিকে মূসা নবীর সাথে তুলনা করতে পারে
যারা মসজিদের মাইক দিয়ে মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে মানুষ ক্ষুন করতে পারে
যারা নারী সাংবাদিকের ওপরে চড়াও হতে পারে
যারা সাইদীকে চাঁদে পাঠাতে পারে
যারা টুপি মাথায় দিয়ে ৭১ এ ধর্ষনে লিপ্ত হতে পারে
যারা নিজেদের স্বার্থে চিটাগাংযে অন্য একজন মাদ্রাসার ছাত্রকে হত্যা করতে পারে
.
.
তারা কোরআন পোড়াতে পারে।
[কোরআন পুড়িয়ে এই হেফাজতি নাস্তিকের দল সরকারের ওপরে দোষ চাপাতে চেয়েছিল, কিন্তু নিজেরাই ধরা পড়ে গেছে। বায়তুল মোকাররমের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারেরাই বলছে তাদের দোকানে হেফাজতিরা আগুন দিয়েছে। এখানে চুদুর-বুদুর বোঝানোর কোনো সুযোগ নেই]
মিথ্যা বলে, কুরআন পুড়িয়ে যারা সত্য ও শান্তির ধর্মের প্রতিষ্ঠার কথা বলে। তারা ও তাদের অনুসারীরা আর যাই হোক মুসলীম হতে পারেনা। তাদের স্বস্তি দাবী করি আপনি করেন তো?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১০