somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বৈরাচার পতন দিবস ও আজকের এরশাদ [২৩ বছর+]

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আজ ৬ ই ডিসেম্বর। স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ সালে এরশাদ কাগু এই দিনে ক্ষমতা হতে আত্মহত্যা করেছিলেন।


আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একটা কথা প্রায় বলেন। তাহলো এরশাদ কোন রাজনীতিবিদ না! একজন পাওয়ার প্লেয়ার! সব সময় পাওয়ারের মধ্যে থাকতে অথবা পাওয়ার নিয়ে নড়াচড়া করতে ভালো্বাসেন! ইদানিং পত্রপত্রিকা-মিডিয়ার নানা রিপোর্ট পড়লে দেখলে তাই ধারনা হবে!
এটি সংসদীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী যাকে মন্ত্রিত্ব দেন, রাষ্ট্রপতি তাকে শপথ করান। পদত্যাগপত্রও প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রীকে এড়িয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ বা কিছু নিয়ে যাবার সুযোগ নেই! এখানে নেপথ্যের দরকষাকষির বিষয়ে প্রথম আলোতে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে!
মন্ত্রিত্বের লোভ ছাড়াও এক্ষেত্রে রওশন এরশাদের রোল হচ্ছে তিনি জানেন এই বয়সে জেলে গেলে এরশাদের সমূহ বিপদ হবে। কারন পারকিনসন্স এর কারনে যার এখন হাত-পা কাঁপে! জাতীয় পার্টির বনানী অফিসের তিনতলার সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠতে তাকে তিনবার থামতে হয়! আর জিএম কাদেরকে এরশাদ আগেই ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিলেন! আরেকটা বিষয় এরশাদ জানেন, তাহলো বিএনপি নির্বাচনে আসলে তিনি ৭/৮টার বেশি সিট পাবেন না!!!
আবার শুনা যাচ্ছে লাঙ্গল প্রতীক নাকি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেতে পারেন। লাঙ্গল প্রতীক আদালতের রায়ের অপেক্ষায়, এই প্রতীক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়ে যেতে পারেন। কারন তিনিই এই প্রতীকের বরাদ্দের জন্য নিরবাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন। তখন তিনি জাপার মহাসচিব ছিলেন।
এদিকে শোনা যাচ্ছে ৮৯টি আসনে জাপা প্রাথ্রীরা থেকে যাচ্ছে। এদের মধ্যে এডভোকেট সালমা ইসলামও আছেন। এরশাদ জাপার শতাধিক প্রাথী লাঙ্গল পেলে মঞ্জুর জাপাতে ভোট করার কথা। জাপার একটা নতুন কমিটি হবে নয়তো এরা মঞ্জুর জাপাতে যোগ দেবেন।
চাচা এখন তো আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন পথ খলা নাই।


বর্তমান সময়ে উনি আত্মহত্যার যে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তার জন্য এ দিনটি শুভ বলে প্রতিয়মান হচ্ছে।
বুধবার রাতে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। একইসঙ্গে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও নড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। এরশাদ বলেন, "সরকারকে বলে দিয়েছি, কেউ যদি চালাকি করার চেষ্টা করে, আমার কাছে চারটি লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। বালিশের নিচে রেখেছি। ‘আই উইল কমিট সুইসাইড। দিস ইজ মাই প্রমিজ। " সুত্রঃ প্রথম আলো
এরশাদ পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়ায় ভরকে গিয়ে গুলশান থানায়, থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে জিডি করেন। সুত্রঃ দৈনিক বর্তমান


:D মতি কন্ঠের জনৈক সিনিয়র সাংবাদিক এরশাদকে ধরলেন। বললেন, স্যার, একটা আত্নহত্যা করতে চাইরটা পিস্তল কেন লাগবে?
আবেগঘন ফন্টে এরশাদ বললেন, আমার মাথা আর আগের মতো কাজ করেনা। এই মাথা রেখে লাভ কি বলো? টেল মি। এজন্য একটা পিস্তল ঠেকাবো মাথায়।
এরপর এরশাদ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানান, আমি আর কবিতা লিখতে পারি না। বুকের ভেতর কোনো হাহাকার নেই। এই বুক আমি চাই না। আই ডোন্ট ওয়ান্ট মাই বুক। এজন্য আরেকটা পিস্তল ঠেকাবো বুকে।
খিদা আছে কিন্তু পেট আর খেতে পারে না। এই পেট দিয়ে আমি কি করবো, তুমিই বলো? এজন্য তৃতীয় পিস্তল ঠেকাবো পেটে।
বলে এরশাদ থামলেন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন, চতুর্থ পিস্তল কোথায় ঠেকাবেন স্যার? ডিসাইড করছেন?
এরশাদ রেগে গিয়ে বললেন, এতো প্রাইভেট প্রশ্ন তোমরা কেন করো? বোঝো না?
তারপর তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?
আজকের এই দিনেই আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার কথা বেমালুম অস্বীকার করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শুক্রবার এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সুইসাইড করবো কথাটা সত্য নয়।'


সামাজিক মাধ্যমে বিনোদনের অন্যতম উপাদান এখন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তাকে নিয়ে সমালোচনা ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যের ঝড় বয়ে যাচ্ছে ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরশাদকে কৌতুক অভিনেতা উল্লেখ করে এক ব্লগার লিখেছেন, শুরু হয়েছে এরশাদ রঙ্গ, নাটকের বাকি অংশ দেখতে পপকর্ন অথবা চালভাজা নিয়ে বসে পড়ূন টিভির সামনে।
নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। ঠিক এ অবস্থাতেই মঙ্গলবার 'পরিবেশ নেই' বলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গতকাল তার দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই নাটকীয় ঘোষণার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া।
ফকির মজুমদার ফেসবুকে 'মানুষ পরিবর্তনশীল'এর ইংরেজি অনুবাদ করতে গিয়ে লিখেছেন, 'Man is Ershad.'
এরশাদকে মীরজাফর উপাধি দিয়ে আতাউর লিখেছেন, কথা দিয়ে কথা না রাখলে আগে বলা হতো বেঈমান, এখন বলা হবে এরশাদ। ইতিহাসে মীরজাফরের পর এরশাদের নাম লেখা থাকবে।
তালুকদার খালেক টুইট করেছেন, মুরুবি্বরা বলতেন, আকাশের রঙ, নারীর মন বিধাতাও বুঝতে পারেননি। এখন থেকে বিধাতার অভেদ্য রহস্যের তালিকায় এরশাদের নামও যোগ হলো! উনার বর্ণ বুঝতে বিধাতাও নাজেহাল!
অল্প সময়ের ব্যবধানে নিজের বক্তব্য থেকে এরশাদের সরে যাওয়া সম্পর্কে নায়লা জাহিন লিখেছেন, 'এরশাদ সাহেবকে নিয়ে ফেসবুকে সবাই বড় বড় স্ট্যাটাস দিচ্ছে। আমি ভাই ওই ফাঁদে পা দিতে চাই না। স্ট্যাটাস লিখে এন্টার দিতে দিতেই আঙ্কেল ভোল পাল্টে ফেলতে পারেন।'
শাকির আহমেদ এরশাদের সংজ্ঞা দিয়ে লিখেছেন, যে প্রাণী দেখতে মানুষের মতো কিন্তু বিবেক বুদ্ধি মানুষের মতো অতটা উন্নত নয়, এক প্রকার সামুদ্রিক মাছের মতো অবস্থা বুঝে নিজের রঙ পরিবর্তন করতে পারে এবং যার স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর (সকালে কী বলে তা বিকেলেই ভুলে যায়) তাকে এরশাদ বলে।
জি এম দেব লিখেছেন, 'এরশাদ মারা গেলে অনেকেই বিশ্বাস করবে না! বলবে, এখনও মরে নাই, আবার বেঁচে উঠবে! ওনার মৃত্যু হয়েছে কি-না তা বোঝার জন্য দাফন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে
হবে।' বিদ্রোহী রণক্লান্ত লিখেছেন, টাল বলো, মাতাল বলো, যা খুশি তা বলো। প্লিজ, এরশাদ বলে গালি দিয়ো না।
পল্লীবন্ধু শব্দকে ব্যঙ্গ করে সজল নামের একজন টুইটারে লিখেছেন, দেশ-বিদেশে বেটাগিরী আমরা হক্কল সিলেটি :'পল্লীবন্ধু এরশাদ এখন পল্টিবন্ধু এরশাদ'।
'ইস্টিশন' ব্লগে আসাদুর রহমান লিখেছেন, এর স্বাদ চ্যাচ্যার (এরশাদ চাচা) কাজ কাম সত্যিই বড়ই চমেতকার! এই অবরোধের মাঝেও তিনি নির্মল আনন্দ দিতে পারেন।
এর প্রতিউত্তরে আশিক মিয়া লিখেছেন, 'পরিস্থিতি ঠিকই আছে, শুধু এরশাদ নিজে ঘুরপাক খাচ্ছে! এরশাদের কাজই হলো শেষ সময়ে এসে পল্টি খাওয়া।'
সামহয়্যার ইন ব্লগে সুরিন্দা লিখেছেন, নিজের কথায় ঠিক না থাকার বিষয়টি এরশাদের মজ্জাগত। তার কথায় এখনও যে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, সেটিই অবাক করার বিষয়। তার নিচে স্বাধীন বাংলা কমেন্ট করেছেন, কাকা বুড়া বয়সেও হিটলারি করলেন।
আজ স্বৈরাচার পতন দিবস! উহ ৯০ এর স্বৈরাচার পতন দিবস!
রাজনীতির যাতাকলে ৯০এর স্বৈরাচার, আজ গনতন্ত্রের সুস্বাদু আচার!
২৩ বছরের গনতন্ত্রের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় উপহার আছে কি?

তবে বিগত সময়ে রবিউল,হাসমত,দিলদার এদের মৃত্যতে আমাদের হাস্যরসের জগতে যে ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয় তা পূরণের জন্য এরশাদ কাগুর জীবন আরো লম্বা হউক দীর্ঘ হউক।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×