somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ব গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধকালীন নেতৃত্ব গাথা

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস ও দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে স্বাধীনতা লাভ বিংশ শতকে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। এ গৌরবময় অধ্যায়টি সার্থকভাবে রচনার জন্য বাঙালি জাতিকে পরিণত, অতঃপর প্রস্তুত ও প্রত্যয়ী করেছিলেন সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ও জাতিগত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা তিনিই জাগ্রত করেন। এ জন্য আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ গণভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলেন। যে দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব পাকিস্তান আমলে জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি, সংহতি প্রতিষ্ঠা, অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত সংগ্রামের দিকে সমগ্র জাতিকে ধাবমান করে।
বঙ্গবন্ধু প্রাতিষ্ঠানিকতার প্রতিভূ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরোধিতা যেমন করেছেন; তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র দুই মাসের মাথায় মিত্র বাহিনীকেও নিজ দেশে পাঠানো নিশ্চিত করেছেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে একটি সশস্ত্র সংগ্রামের প্রাক-প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পাশাপাশি বাঙালির সংগ্রামের বিরুদ্ধে বিছিন্নতাবাদের অপপ্রচারের সুযোগ একদমই রাখেননি। স্বাধীন দেশে মাত্র পৌনে চার বছরের শাসনামলে গভীর মানবিক মূল্যবোধসংবলিত একটি সংবিধান প্রণয়ন, অপরিহার্য সব প্রতিষ্ঠানের বুনিয়াদ গঠন ও পরিচালনার নীতি প্রণয়নের কাজ অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন।
আমাদের গৌরবদীপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রামকালীন, জনগণের মহান অধিনায়ক বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলাদেশের গণসংগ্রামের সংবাদ বিশ্লেষণ এ আলোচনায় সহায়ক হবে।
বাঙালির সংগ্রামসাধ্য স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের দুর্ভাগ্যজনক রাজনীতিকীকরণের জন্য আমাদের কিছুটা তির্যক হতেই হয়। জাতিকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের আহ্বান আকস্মিকভাবে হতে পারে না। যে ঋজু নেতৃত্ব এমন ইতিহাসের নায়ক, গণমাধ্যমের শিরোনাম তো অনিবার্য তিনিই হবেন। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকদের সংবাদ শোঁকার নাক তাঁকেই খুঁজবে। প্রতিপক্ষ তাঁকেই লক্ষ্য বানাবে, তাঁকে ঘায়েল করতেই তাদের সব কৌশল আবর্তিত হবে, হয়েছেও তাই। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম; যা রক্তক্ষয়ী, অশ্রুঝরা, ত্যাগের মহিমাময়, সেখানে শুধুই শেখ মুজিব ও তাঁর নেতৃত্বে গণযুদ্ধরত জাতি। বিজয় অর্জনের পর তিনি আবির্ভূত জাতির পিতা রূপে, যিনি সর্বসহায়, পরম নির্ভর। তাঁর সপরিবারে শাহাদাতের পর যাদের অধিষ্ঠান, বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় পরাজিত শক্তির সঙ্গে ছিল তাদের অব্যাহত নিবিড় যোগাযোগ। সেখানে তাই স্বাধীনতার ঘোষক বা সপক্ষচারী খোঁজার প্রশ্ন নেই। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তখনকার সংবাদ বিশ্লেষণ স্থূলভাবেই সাক্ষ্য দেয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের রক্তস্নাত গৌরব বঙ্গবন্ধুর হাতে পরিণতি প্রাপ্ত, (নির্বাচিত) প্রথম বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে মরণপণ যুদ্ধের মাধ্যমে সূচিত, যাঁর গৌরবদীপ্ত নেতৃত্বকে নির্বাসন, আন্দোলন বা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরাভূত করা যায় না। যাঁকে অন্তত আক্ষরিক ক্ষমতাহীন করতেও হত্যা করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকে না চক্রান্তকারীদের।

THE GUARDIAN ২৭ মার্চ ১৯৭১ 'Heavy fighting after UDI (Unilateral Declaration of Independence) by East Pakistan শিরোনামে লিখেছে, Heavy fighting was reported from several areas of East Pakistan last night as Government troops moved into crush a breakaway movement led by Sheikh Mujibur Rahman.

The Times, March একই দিনে 'Heavy fighting as Shaikh Mujibur declares E Pakistan independent শিরোনামে উল্লেখ করে-Civil war raged in the eastern region of Pakistan last night after the provincial leader, Shaikh (Sheikh) Mujibur Rahman, had proclaimed the region an independent republic.The Yomiury, Independence Declared শিরোনামের সংবাদে লেখে, East Pakistan leader Sheikh Mujibur Rahman today proclaimed independence for the province.

১৯৭১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সংখ্যাতেই লন্ডন টাইমস রিপোর্ট করে : শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের উদ্দেশে প্রদত্ত বিবৃতিতে 'পূর্ব পাকিস্তান'-এর পরিবর্তে 'বাঙালি জাতির' কথা উল্লেখ করেন।

২৪ ফেব্রুয়ারি লিভারপুল ডেইলি পোস্ট মন্তব্য করে : হোয়াইট হলে এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, পাকিস্তান দ্বিখণ্ডিত হয়ে যেতে পারে অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান নিজে স্বাধীন বাঙালি মুসলিম প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করবে। ব্রিটিশ সরকার একটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশ বিভক্তির মারাত্মক আশঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা ২ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকার সংবাদ সম্মেলনের খবর পরিবেশন করে এই বলে : আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় তাড়াহুড়া করে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে বললেন, আওয়ামী লীগ মার্চ মাসের ৭ তারিখে একটি জনসভা অনুষ্ঠান করবে এবং এই সভায় তিনি বাংলার জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের কর্মসূচি প্রদান করবেন।

৯ মার্চ সংখ্যায় ডেইলি টেলিগ্রাফ মন্তব্য করে : শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা একরকম ঘোষণাই করেছেন; ২৫ মার্চে জাতীয় পরিষদ অধিবেশনে যোগদানের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রদত্ত চার দফা দাবির মধ্যেই এ কথা লুকায়িত রয়েছে...আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিব তাঁর আন্দোলনকে 'স্বাধীনতার আন্দোলন' বলে অভিহিত করে জাতীয় পরিষদে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন শর্ত আরোপ করেন, যা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মেনে নিতে পারেন না।

একই দিন ডেইলি টেলিগ্রাফের সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করে : আমরা ইতিমধ্যেই পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের সম্ভাব্য নামকরণ শুনেছি, যা বাংলাদেশ কিংবা বঙ্গভূমি হতে পারে। এর পতাকাও বানানো হয়ে গেছে।

১৫ মার্চ নিউ ইয়র্কভিত্তিক 'টাইম' সাপ্তাহিক রিপোর্ট করে : পাকিস্তানকে দুটি পৃথক রাষ্ট্রে পরিণতকরণে আসন্ন বিভক্তির পশ্চাতে যে মানুষটি রয়েছেন, তিনি হচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান। গত সপ্তাহে ঢাকায় শেখ মুজিব টাইমের সংবাদদাতা ডন কগিনকে বলেন, বর্তমান পাকিস্তানের মৃত্যু হয়েছে, সমঝোতার আর কোনো আশা নেই।

লন্ডন থেকে প্রকাশিত টাইমস ও গার্ডিয়ান পত্রিকায় ২৭ মার্চ '৭১ সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল- Sheikh Mujibur Rahman the acknowledged leader of Bengali Nationalism responded heroically to the Pakistan Armys intervention with a call for resistance and declaration of independence.

জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে সেই সময় একাধিক সংবাদ ও সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। পত্রিকার ৮ মে সংখ্যায়, 'সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা' শিরোনামে সম্পাদকীয় লেখা হয়। সেখানে তারা উল্লেখ করে, অবৈধ আওয়ামী প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান গত ২৬ মার্চে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এঁটে সব আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন। সামরিক সরকার তা জানতে পেরেই ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে আকস্মিক হামলা চালিয়ে তাঁর সে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয় এবং পাকিস্তানকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। আরো প্রকাশ, এ পরিকল্পনার পেছনে ভারতের সক্রিয় সহযোগিতা ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র থেকেই...জাতির পিতা কায়েদে আজমের নাম-নিশানা মুছে নতুন জাতির নতুন জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠা অভিযান চলেছিল। পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতের বদলে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত চালু করা হয়েছিল।
সম্পাদকীয়ের একপর্যায়ে বলা হয়, 'পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে শুধু মুখের ঘোষণাটি বাকি রাখা হয়েছিল ২৫ মার্চের জন্য।'

লন্ডন অবজারভার পত্রিকার ২৮ মার্চ '৭১ সংখ্যায় Sheikh Calls for Help শিরোনামে লেখে...as free as Bangladesh the name he (Sheikh Mujib) gave to East Pakistan when he declared it independent on friday.Newsweek April 05, 1971 সংখ্যায় উল্লেখ করে- In his turn Mujib proclaimed East Pakistan the Sovereign, independent Peoples Republic of Bangladesh (Bengal Nation). তারা Poet of Politics উপশিরোনামে আবারও স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করে এভাবে : When Sheikh Mujibur Rahman proclaimed the independence of Bangladesh last week...

Time Magazine 5 April, 1971...Pakistan : ...soon the Free Bengal Revolutionary Radio Center, probably somewhere in Chittagong crackled in life. Over the clanestine station. Mujib proclaimed the creation of the ‘Sovereign independent Bengali nation and called on its people to resist the enemy forces at all costs in every corner of Bangladesh... At 1:30 a.m. the following day soldiers seized the Sheikh in his home.

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের জাতির উদ্দেশে ভাষণ : ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান রেডিও ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সে ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পুরোপুরি দোষারোপ করে বলেছিলেন, 'Sk. Mujib has declared independence of East Pakistan. He is a traitor. This time he will not go unpunished' (শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। সে একজন দেশদ্রোহী। এবার সে শাস্তি এড়াতে পারবে না)। ২৭ মার্চ ১৯৭১ তারিখে লন্ডন থেকে প্রকাশিত The Daily Telegraph পত্রিকার প্রথম পাতায় নতুন দিল্লি থেকে তাদের সাংবাদিক ডেভিড লোমাকের পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে Civil War in East Pakistan/Sheikh a traitor, says President. শিরোনামে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা লেখা হয়।

২৫-২৬ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর 'স্বাধীনতা ঘোষণা' বিশ্বের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ২৭ মার্চ ১৯৭১ প্রকাশ করে। declare independence এ শিরোনামের নিচে লেখা ছিল শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিলে সেখানে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

সমকাল অতিক্রান্ত হলেই ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ ও নির্মোহ বিশ্লেষণের সন্ধান মেলে। 'স্বাধীনতা ঘোষণা' প্রত্যয় যুগল যে মাহাত্ম্য প্রকাশ করে, বহুমাত্রিক নীতির অনুবর্তী একাধিক গণমাধ্যমের সংবাদের বীক্ষণ অন্তে সেই কৃতিত্ব দিতে হয় শেখ মুজিবকেই। তাঁর নেতৃত্বে সিকি শতাব্দীরও কম সময়ে আমরা পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হই, মাত্র দশ মাসে শাসনতন্ত্র লাভ করি, আন্তর্জাতিক আদর্শ আশ্রয়ী লেফটিস্ট রাজনৈতিক দল কাউন্সিলে তাঁকে প্রধান অতিথি করে, অগণন প্রলয়ের মুখেও তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ সমহিমায় টিকে থাকে। এর সবই পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল।
সুত্র
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×