খবরঃ ইন্টারনেট গতির দিক থেকে ১৭৮ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ১৭১ তম।
কারণ কি? কারণ হল ব্যান্ডউইথের উচ্চমূল্য। ৫১২ কেবিপিএস এর লাইনের চেয়ে ১ এমবিপিএস লাইনের দাম প্রায় দ্বিগুণ, আর ২ এমবিপিএস লাইনের দাম ১ এমবিপিএসের দ্বিগুন।
বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথের দাম বিবেচনা করলে দেখা যায় ৫১২ কেবিপিএস এর লাইনের মূল্যটাই কেবল সাধারণ মানুষের ধরা ছোয়ার মাঝে। বিটিটিবি যদি ৫১২ এর দামে ২ এমবিপিএস স্পীড জনসাধারণের কাছে দেবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিত, তবে সাধারণ জনসাধারণ ক্রয়সীমার মাঝেই মানসম্পন্ন ইন্টারনেট[স্পীড অনুযায়ী] ব্যবহার করতে পারত। এতে মানুষকে একটা ক্লিক করে আর পরের পাতার জন্য ঝিম মেরে বসে থাকতে হত না। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবাগুলি অনেক দ্রুতগতির হত। ফলে এক ধাপে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যেত।
দাম বেশী রেখে লাভ কার হচ্ছে? জনসাধারণের? অবশ্যই না। কর্তৃপক্ষ বলছে - দাম কমিয়েছি, কিন্তু ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত এর সুফল পৌছায়নি। আর ব্যবসায়ীরা বলছে - অন্যান্য খরচ বেড়ে যাবার দরুন ভোক্তা পর্যায়ে দাম খুব একটা বেশী কমান সম্ভব হয়নি। তাহলে এই দাম কমানোতে সাধারণ জনসাধারণের কি লাভ হল?
উন্নত বিশ্বে ৪ [4] এমবিপিএসকে সাধারণ স্পীড ধরা হয়। তাই বিটিটিবি কর্তৃপক্ষের উচিত, নূন্যতম এর অর্ধেক অর্থাত ২ এমবিপিএস যাতে আমাদের সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মাঝে রাখা যায় - সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু শ্লোগানে না রেখে সেটা মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছে থাকলে এই বিষয়টি আশু বাস্তবায়ন করা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২০