কি জাদু করিয়া বন্ধে
মায়া লাগাইছে...
লোকায়ত ধারার সঙ্গীত সাধক বাউল কবি শাহ আবদুল করিম। তার গানের কথার ঐন্দ্রজালিক বিচরণ, সুরের মায়াময়তা আমাদের জাদু করেছে। সাত দশক ধরে তিনি নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে হেটে চলেছেন সঙ্গীতের প্রান্তরে। অজান্তেই তৈরি করে ফেলেছেন অমরত্বের পথ। তার উদাত্ত কন্ঠের সুর ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার প্রান্তরে।
প্রচুর খ্যাতির লোভ কখনোই ছিল না তার। সুর বাধার পরিক্রমায় নানা দুঃখ কষ্ট আসলেও উজানধল গ্রাম আর কালনী নদীর তীর ছেড়ে নগরীতে চলে আসেন নি। মহান এই শিল্পীই লিখেছেন,
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান.....।
শাহ আবদুল করিম আধ্যাত্নিকতা নিয়ে গেয়েছিলেন-
গাড়ি চলে না, চলে না, চলে নারে
গাড়ি চলে না.....।
জীবনগাড়ি বুঝি তার আসলেই চলে না। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় আছেন তিনি। মহান এই সাধক শিল্পী দিন কাটাচ্ছেন অবহেলিত অবস্থায়, পাচ্ছেন না তার যথার্থ সম্মান। রাজা আসে রাজা যায়, নেতার পর নেতা নির্বাচিত হয়ে আসে। কিন্তু একজন শাহ আবদুল করিম আসবেন না বারবার। জীবিত অবস্থাতেই তাকে সঠিক সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন।
শাহ আবদুল করিম গানকেই জীবনের ধ্যান-জ্ঞান করেছেন। আর তাইতো তিনি উদাত্ত কন্ঠে গেয়েছেন-
আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া
গান গাই আমার মনরে বোঝাই
মন থাকে পাগলপারা
গানে প্রাণবন্ধুরে ডাকি
গানে প্রেমের ছবি আঁকি
পাবো বলে আশা রাখি
না পাইলে যাবো মারা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



