আজ ২৯শে ফেব্রুয়ারী। সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।সব কাজ শেষ করার চেষ্টায় অবিরাম কাজ করে চলেছি।একটা কোচিং সেন্টারে পার্ট টাইম কাজ করার সুবাদে বিকালটা কোচিং এ কাটালাম।
সন্ধা নামার পর থেকেই আকাশে তুমুল মেঘ করেছে।হয়তো বৃষ্টি নামবে । আমি বৃষ্টির প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছি।ফাগুন মাসের বৃষ্টি কেমন হয় দেখব। আমার প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তুমুল বৃষ্টি শুরু হল সাথে সেই রকম ঝড়।আমার মজাই লাগছে ফাল্গুন মাসে ঝড় বৃষ্টি একসাথে এই রকম তো দেখা হয়না ।সেই সাথে ঝড়- বৃষ্টির কারনে বাইরে যেতে পারছি না বলে মন আনচান করেছে । সবচেয়ে বড় কারন হল সিগারেট ফুরিয়ে গেছে। তার পর ও যেহেতু প্রকৃতি চাচ্ছে না যে আমি বাহীরে বের হই তাই আর কি করা লাইট অফ করে শুয়ে আছি আর গান শুনছি।
রাত টার দিকে তন্ময় এর ফোন। বললাম কিরে তোর তো আমার কথা ছিল আসলি না কেন? কথা শেষ হবার আগেই ও বলল " আমি এসেছি কিন্তু এই বৃষ্টির মধ্যে মজমপুর নেমে কোন রিক্সা পাচ্ছি না"
আমি ও বুঝতে পারছি না কি বলবো কারন বাইরে তুমুল ঝড়- বৃষ্টি হচ্ছে। তাও বললাম তুই একটা রিক্সা নিয়ে সোজা আড়ুয়া পাড়া ২ নং স্কুল চলে আয় আমি দাড়িয়ে থাকছি।তন্ময় শুধু আসছি বলে ফোন কেটে দিল। আমি ছাতা মাথায় দিয়ে কোন মতে স্কুলের সামনের দোকানে এসে দাড়ালাম। কিছুক্ষন পর আবার ফোন বলল সে কোর্ট স্টেশন পেরিয়েছে কিন্তু রিক্সাওয়ালা ২নং স্কুল চেনে না।কি আর করা বললাম তুই বনফুড মোড়ে নাম আমি আসছি। বলে আমি হাটা শুরু করলাম।
তন্ময় এর অবস্থা দেখে আমি হাসবো না কাদবো বুঝতে পারছিনা। ভীজে একেবারে ব্যারাছ্যারা অবস্থা।
এর মধ্যে আবার বলে সেভ করাবে। তবে আমি একা যাই নি সাথে রানা ভাই মানে আমার সুমুন্দি ভাই ও আছে। সে আবার এক কাঠি সরেস মাল তন্ময় বলতে না বলতেই সে উৎসাহ দিল কারন তার ও ইচ্ছা যে চুল-দাড়ি বিসর্যন দিয়ে রুমে ফিরবে। এদের পাল্লায় পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুমে ফিরলাম ততক্ষনে ঝড়- বৃষ্টি শেষ। সেলুনে বসেই তন্ময়ের আসার কারনটা জানলাম। সে একটা প্রেম করেছে যশোরে । তন্ময় নিজেও যশোরে থাকে । মেয়েটা আগামি কাল শিলাইদহ পিকনিক করতে আসছে তার কলেজ থেকে। এখানেই দেখা হবে । অবশ্য যশোরে আগেও দেখা করেছে কিন্তু এখানে সারা দিন একসাথে ঘুরতে পারবে এই আশায় তার কুষ্টিয়া আগমন।
চলবে
আগের পর্ব

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




