পাওয়ায় রিজাইন লেটার দিল। কোম্পানির সিইও তাকে প্রথমে দুই একবার অনুরোধ করলেন থাকার জন্য, কিন্তু ছেলেটি রাজী হল না। তখন সিইও স্যার রেগে গেলেন খারাপ ব্যবহার করলেন বললেন
- তুমি এই মুহুর্তে আমার অফিস থেকে বেরিয়ে যাও আর কোনদিন এই অফিসে ঢুকবে না। ছেলেটি দুঃখ পেল, সে ভেবেছিল সবার কাছ থেকে ভালভাবে বিদায় নিয়ে চাকুরী ছাড়বে কিন্তু সিইও স্যার তার আশা পূর্ণ হতে দিল না।
কিছুদিন পর অফিসের এমডি সিইও স্যারের কোন একটি কাজে ভিষন অসন্তুষ্ট হলেন। একদিন ডেকে নিয়ে বললেন
- তুমি কোন কাজেরই নও। তোমাকে এত টাকা দিয়ে পুষে আমার লাভ কি? তুমি সোজা বেরিয়ে যাও আর কোনদিন আমার অফিসে ঢুকবে না।
ব্যাচারা সিইও নিজের অফিস রুম থেকে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রগুলোও নেওয়ার সুযোগ পাননি।
একটি রুপকথার গল্প :
একদেশে ছিল এক কবি রাজা। সেই রাজ্যের প্রজারা কবি রাজার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই একদিন গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে কবি রাজা ক্ষমতাচ্যুত হন। পুতুল রাণী ক্ষমতা গ্রহণ করলেন,এবং কবি রাজাকে কারাগারে নিক্ষেপ করলেন। পতিত কবি রাজা কারা অভ্যন্তরে একটি বরই গাছের চারা রোপন করলেন পুতুল রাণীর জন্য। এরপর কবি রাজা একসময় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন। ততদিনে বরই গাছটি বড় হয়ে গেছে। গোপালী রাণী ক্ষমতা গ্রহণ করলেন। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস কোন এক বরই মৌসুমেই সেই পুতুল রাণীও সেই একই কারাগারে বন্দী হলেন। বরই গাছটি তখন পাকাপাকা টসটসে টক বরই এ পরিপূর্ণ। পুতুল রাণী সেই গাছের বরই চেখে দেখেছিলেন কিনা জানা নেই। তবে বরই গাছটি দেখে পতুল রাণী ভাবতে লাগলেন গোপালী রাণীর জন্য কি গাছের চারা লাগলো যায়? এর পরের কাহিনী অজানা।
বি:দ্র: এটি একটি কাল্পনিক গল্প, এর সাথে বাস্তবের কোন ব্যাক্তি বা চরিত্রের মিলে যাওয়া নিতান্তই কাকতালীয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৬