somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তারেক_মাহমুদ
আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

শৈশব স্মৃতি

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায় দেড় বছর পর স্বপরিবারে গ্রামের বাড়িতে এসেছি। চার দেওয়ালে বন্দী আমার মেয়েটা যেন মুক্ত আকাশে ডানামেলে উড়ে বেড়ানো পাখি। গ্রামের রাস্তাঘাট নদী, খালবিল, পুকুর,পরিচিত মানুষ সব কিছুই আমার ফেলে আসা শৈশবকে মনে করিয়ে দিচ্ছি তাই শৈশব স্মৃতি লিখতে বসলাম।

সময় খুব দ্রুত চলে যায়। মনে হয় এইতো সেদিন বাবার হাত ধরে গ্রামের হাটে যেতাম। বাজার শেষে বাবা এক পোঁটলা বাদাম,চানাচুর কিনে দিতেন খেতে খেতে বাড়ি ফিরে আসতাম। সবুজ ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে কাধে বই নিয়ে স্কুলে যেতাম(তখন ব্যাগ ছিল না)। ধুলোয়ঢাকা পথে পায়ের ছেন্ডেল দিয়ে ধুলো উড়াতে উড়াতে বাড়ি ফিরতাম। নিজেদের বাড়িতে আম গাছ থাকলেও রাস্তায় অন্যের গাছের পাকা আমের দিকে লোভির দৃষ্টিতে তাকাতাম। মাঝেমধ্যে ঢিল ছুড়ে দিয়ে ভোদৌড়। একবার একজনের বরই গাছে ঢিল মেরে ধরা খেয়েছিলাম। ওই বাড়ির এক বড়ভাইয়ের হাতে মার খেয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমিও বড় হলে ওকে একদিন পেটাবো। আমি বড় হওয়ার আগেই বেচারা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে।আমি ওনাকে মাফ করে দিয়েছি।

স্কুল থেকে ফেরার পথে বন্ধুদের সাথে সারারাস্তা পাখির বাসা খুঁজে বেড়াতাম, ছোটবেলায় শখছিল একটা পাখি পোষার কিন্তু এই শখটা পুরুণ হয়নি, কারণ আমি গাছে উঠতেই পারতাম না। গাছে না উঠতে পেরে একদিকে ভালই হয়েছে আমার দ্বারা কোন পাখির বাসা বা তাদের বাচ্চারা আক্রান্ত হয়নি। রাস্তায় দুষ্টু কাঠবেড়ালীটাকে দৌড়াতে দেখলে ওর পিছনে দৌড়ানো ছিল অনেকটা নেশার মত, জানতাম দৌড়ে কাঠবেড়ালী ধরা আদৌ সম্ভব নয়। তবুও ওর পিছনে দৌড়াতে ভাল লাগতো।


বৃষ্টির দিনে বাড়ির আশপাশের ডোবা থেকে বড় বড় কৈ মাছগুলো উপরে উঠে আসতো। একবার রাস্তার পাশ থেকে অনেকগুলো কই মাছ ধরেছিলাম মাছগুলো ধরার পর সেকি আনন্দ! তাছাড়া পুকুর থেকে ডোবা থেকে ছিপ দিয়ে পুটি মাছ ধরার আনন্দ বলে বোঝানো না । একবার বর্ষাকালে কলার ভেলায় চড়ে বন্ধুদের সাথে বিলের গভীরে চলে গিয়েছিলাম শাপলা তুলতে। আমি সাতার জানতাম না, পরে আম্মার হাতে প্রচুর মার খেতে হয়েছিল এই কাজের জন্য। একবার ছোট্ট একটা গাছ থেকে পড়েগিয়ে আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল, আম্মাকে বলেছিলাম খেলতে গিয়ে পড়ে হাত ভেঙ্গেছে,ভয়ছিল যদি সত্যি কথা বলি তাহলে আরো কয়েকটি উওম মধ্যম লাগাবেন।

একসময় আমিও সাতার শিখে গেলাম।তখন পুকুরে একবার গোছল করতে নামলে তিন চার ঘন্টার কম উঠতাম না। মাছধরা পানিতে ছুঁয়াছুঁয়ি খেলা আরো কত কি?পুকুরে ডুব দিতে দিতে একসময় চোখ লাল হয়ে যেতে। শেষমেশ আম্মা যখন লাঠি নিয়ে পুকুর পাড়ে হাজির হতেন তখনই পানি থেকেই উপরে উঠতাম।

শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে অদ্ভুত ভাললাগা কাজ করে। মনে হয় এইতো সেদিনের কথা, প্রত্যকটি স্মৃতি এখনো মনের কোনে উজ্জ্বল হয়ে আছে, খুব বেশি হাতড়াতে হচ্ছে না এমনিতেই স্মৃতিরা এসে ধরা দিচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১১
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×