পেটুক মানুষ যেখানেই যাক শুধুই খাবারের গল্প। আজ আমার সেই প্রিয় কলিগ বড় ভাইয়ের খাবারের গল্প বলি। উনার ওজন ১২০+ হবে,ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার সবই উনার নিত্যসঙ্গী। খাবারের বেলায় যেমন ভোজনরসিক কথাবার্তাতেও খুব রসিক মানুষ। উনি মাঝে মাঝেই ফেসবুক টাইমলাইন এ বিভিন্ন মজার মজার রান্নার রেসিপি শেয়ার দিয়ে থাকেন। উনার বক্তব্য হচ্ছে- পৃথিবীতে এসেছো আল্লাহ তোমাকে খাওয়ার সামর্থ্য দিয়েছেন তুমি খাও। যদি না খাও তবে একদিন আল্লাহ তোমাকে বলবে, 'এই ব্যাটা তোকে খাওয়ার সামর্থ্য দিয়েছিলাম তুই খাসনি ক্যান আজ তোর বিচার হবে'। উনি এই বিচারের ভয়েই প্রতিদিন পোলাও, বিরানি, বড় বড় মাছ, মাংস সাবাড় করেন। আর বাজারে বড় বড় মাংস কিনেন, তবে তিনি মুরগী অপছন্দ করেন উনার ভাষ্য হচ্ছে মুরগীর মাংস রোগীর খাবার।
উনার শাশুড়ি উনাকে একদিন ফোন দিয়ে বললেন কাল তোমাদের সবার দাওয়াত(মানে উনার পুরো পরিবারের) উনি ভাবলেন কি না কি রান্না করে, পরে দেখা যাবে শাকপাতা,মাছ, ডাল রান্না করে খাইয়ে বিদায় দিয়ে দিয়েছেন। তখন আর কিছুই করার থাকবে না । তাই উনি তখনই বললেন, ঠিক আছে আম্মা কাল আমরা চলে আসবো, আপনার হাতের পোলাও মাংস খুব মজা লাগে। এবারতো আর পোলাও রান্না না করে উপায় নেই,যেহেতু জামাই খেতে চেয়েছি।
আর একদিন উনার এক আত্মীয় উনার সাথে খেতে বসেছেন তিনি(আত্মীয়) নিজে না খেয়ে শুধু উনার খাওয়া দেখছেন আর নানা মন্তব্য করছেন। যেমন - এত খাস না অকালে মরে যাবি ইত্যাদি। উনি তখন বললেন আপনারা নিজেরাও খাবেন না আবার অন্যকেও খেতে দিবেন না, এই কথা শুনে ব্যাচারা আত্নীয় একেবারে চুপসে গেলেন।
এই গল্প থেকে আমরা কি শিখলাম?
শিখলাম দুনিয়াটা মস্ত বড় খাও দাও ফুর্তি কর,আগামীকাল বাঁচবে কিনা বলতে পারো।
উৎসর্গ : পোষ্টটি রাজীব নুর ভাইকে উৎসর্গ করলাম, কারণ গতকাল আমার সাড়ে তিন হাত মাটি জুটবে তো পোষ্টটিতে উনার মন খারাপ হয়েছিল তাই পোষ্টটি মন ভাল করার প্রয়াস।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০১