somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেখক হুমায়ূন নিয়ে মাজহারের সর্বশেষ ফতোয়া!!!!!:D:D:D:D:D

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিউইয়র্ক, ২১ জুলাই (এনা) : বিজনেস ক্লাসের টিকিট লাগবে হুমায়ূন পরিবারের। তা না হলে তারা লাশের যাবেন না। এমন ফতোয়া দিয়ে বিব্রত করেছিলেন জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম। আর এ দাবি পেশ করেছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোমেনের কাছে। লাশের সাথে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় যাবেন ৬ জন। হঠাৎ করে ৬টি টিকিট সংগ্রহ করাই যেখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমন পরিস্থিতিতে সবগুলো টিকিট বিজনেস ক্লাসের লাগবে বলে উল্লেখ করেন মাজহার। বিষয়টি জানাজানি হবার পর আমেরিকার বাঙ্গালী কম্যুনিটিতে এ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, টিকিট দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এ সময়ের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের লাশসহ পরিবারকে বিজনেস ক্লাসে ঢাকায় পাঠাতে কারোই আপত্তি নেই। তবে এটিতো স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, এত স্বল্প সময়ে বিজনেস ক্লাসে ৬টি টিকিট সংগ্রহ করা কী সহজ-এমন মন্তব্য সচেতন প্রবাসীদের।
গত বছরের মধ্য সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার জন্যে সপরিবারে হুমায়ূন আসেন নিউইয়র্কে। তখন থেকেই সাথে রয়েছেন মাজহারুল ইসলাম। নিউইয়র্কে লেখক পরিবারের সাথে ভাড়াটে বাসাতেও বাস করেন মাহজার। সে বাসার ভাড়া কে দিয়েছে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে লেখকের চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশে মিডিয়ার উপর তিনি মাঝেমধ্যেই ফতোয়া জারি করেছিলেন। লেখকের চিকিৎসার প্রকৃত তথ্য তিনি এবং লেখক পত্নী মেহের আফরোজ শাওন ছাড়া কেউ জানেন না বলেও দাবি করেছেন একাধিকবার। তাই অন্য কারো উদ্ধৃতি দিয়ে যেন কোন সংবাদ মিডিয়ায় পরিবেশন করা না হয় সে ফতোয়া দেন মাজহার। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ২৪ ঘন্টা আগে উত্তর আমেরিকার বাংলা ভাষার সর্বাধিক প্রচারিত ঠিকানা পত্রিকায় ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হুমায়ূন’ শীর্ষক সংবাদকেও তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এভাবেই মাজহারুল ইসলাম হুমায়ূনের চিকিৎসার প্রকৃত অবস্থা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন কী জন্যে-এ প্রশ্ন এখন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ঢাকার ওয়েবসাইট পত্রিকা এবং কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন মাজহারুল ইসলাম।
চিকিৎসারত অবস্থায় জননন্দিত এই লেখককে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। এ সুবাদে লেখকের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতেন রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন। তিনি মাঝেমধ্যে হাসপাতালেও গমন করেন। তাকে উদ্ধৃত করে কোন সংবাদ দিলেও ক্ষেপে যেতেন এই মাজহার। নিউইয়র্কে মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহা খোঁজ-খবর রাখতেন চিকিৎসার। তার বরাত দিয়েও কোন সংবাদ পত্রিকায় দেয়া চলবে না বলে জানিয়েছিলেন বার্তা সংস্থা এনাকে। এভবে লেখক হুমায়ূনের চিকিৎসা সম্পর্কিত অনেক কিছুই এই মাজহার এক অজানা কারণে গোপন রাখতে চেয়েছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন এবং বিশ্বজিৎ সাহা বলেছেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্যে বিশ্বে সবচেয়ে উত্তম স্থান হচ্ছে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতাল। সেখানে হুমায়ূনের চিকিৎসা শুরু হলেও পরবর্তীতে ম্যানহাটানের বেলভ্যু হাসপাতালে কেন স্থানান্তর করা হয়েছিল সেটি জানতে চান প্রবাসীরা। এ নিয়ে লেখক দম্পতির কাছে থেকে সঠিক তথ্য জানতে সক্ষম না হলেও অপর একটি সূত্র মাজহারের কাছ থেকে জানতে পেরেছে যে, আর্থিক কারণে স্ল্যোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালে তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখা নাকি সম্ভব হয়নি। এ বিষয়টি এখন প্রবাসে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ‘ইকনোমি ক্লাসে ভ্রমণে অনাগ্রহী মাজহারুল ইসলাম। তাহলে এর আগে আর্থিক কারণে হুমায়ূনের চিকিৎসা স্থল পরিবর্তন করা হয়েছিল কেন?’-এ জিজ্ঞাসা অনেকের। একজন লেখকের চরম সংকটে সার্বক্ষণিকভাবে পাশে থাকার জন্যে প্রকাশক মাজহারুল ইসলামের প্রশংসাও করছেন অনেকে।
দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের পর জ্ঞান ফিরলে লেখক আর্তচিৎকার করে বলতেন যে, ‘কুসুম, ওরা আমাকে ফেরে ফেলবে, এক্ষুণি এখান থেকে বাসায় নিয়ে চলো আমাকে’। জীবন সম্পর্কে অনেক বেশী আত্মপ্রত্যয়ী লেখক হুমায়ূনের এ আকুতির নেপথ্যে কী কাজ করছিল তা কী ভেবে দেখা উচিত নয়-এ প্রশ্নও প্রবাসীদের।
১৬টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×